পূর্ব বর্ধমান ( কৃষ্ণ সাহা ):- ঘরে ঘরে বাগদেবীর পুজো,তাই পুজোর বাজারকে ঘিরে রীতিমতো জমজমাট বর্ধমান শহরের বাজার হাট। মূলতঃ ফল থেকে শুরু করে ফুল পর্যন্ত আকাশ ছোঁয়া বাজার,তারই মধ্যে বাড়ির পুজো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুজোর জন্য আজ সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত কেনাকাটায় মত্ত সকলে।
পুজোর বাজার করতে এসে ক্রেতারা জানান,অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে দাম অনেকটাই বেশি,অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন,বিক্রি অনেকটাই কম, পাশাপশি ফুল বিক্রেতা ও অন্যান্য বিক্রেতারা বলেন ,তাদের বাজার খুব ভালো। সুতরাং ভালোতো হবেই মা সরস্বতীর পুজো বলে কথা ।
বাজার যে চড়া তা আগে থেকেই জানতেন সকলে। তার ওপর যখন সরস্বতী পুজো তখন যে বাজার চড়া হবে তা বলাইবাহুল্য। ফলে প্রতিমা থেকে ফল, ফুল থেকে কুল, সবই বিকিয়েছে চোখ কপালে তোলা দামে। যে প্রতিমা ১০০ টাকাতে গত বছরও মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে পুজো পেয়েছে, সেই প্রতিমাই এবার বিকিয়েছে ৩ গুণ দামে। বড় ঠাকুরেরও দাম বেড়েছে তাল মিলিয়ে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এতটা দাম বৃদ্ধি নিয়ে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। ফলের বাজারও সমান তালেই চড়া। ফলে যে বাজেট ভেবে অনেকে রবিবার বাজারে গিয়েছিলেন পুজোর বাজার করতে, তাঁরা কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝেছেন ওই টাকায় সবটা হবে না। ফলে হয় বাজেট বাড়িয়ে নিয়েছেন, অথবা জিনিসপত্রে কাটছাঁট করে পুজো সারার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছেন।
সরস্বতী পুজো মানেই কুল। টোপা কুল থেকে নারকেল কুল, সবেরই দাম এদিন মধ্যবিত্তের হাতে ছেঁকা দিয়েছে। তবু পুজোয় তো কুল লাগবেই। তাই কিছুটা পরিমাণে কমসম করেই কুল কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে তুলনামূলকভাবে রেহাই দিয়েছে দশকর্মা জিনিসপত্র ও তিলের মিষ্টি। সেগুলোর দাম গতবারের চেয়ে বিশেষ হেরফের হয়নি। ওটুকুই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সকলে। তবে বছরে তো একটাই দিন। দাম যাই হোক না কেন, পুজোর আয়োজন হয়েছে। ঘর সেজেছে। ঠাকুর এসেছে। এবার অপেক্ষা শুধু ঠাকুর মশাইয়ের সুরে সুর মিলিয়ে পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণের।
No comments
Post a Comment