Showing posts with label দূর্গা পুজো. Show all posts
Showing posts with label দূর্গা পুজো. Show all posts

বাবা পঞ্চানন ঠাকুর শুধু লৌকিক দেবতা নয়,আঞ্চলিক দেবতাও

No comments

Friday, January 17, 2020




কাটোয়া থেকে রাহুল রায়ের রিপোর্ট


পৌরাণিক দিক থেকে বলা হয়, শিবের অপর নাম হল পঞ্চানন। কারণ শিবের পাঁচটা মাথা ছিল।কিন্তু গবেষকদের মতে,এই দেবতাগুলি ছিল লৌকিক দেবতা।এই লৌকিক দেবতাকে যখন একটি বিশেষ অঞ্চলে পুজো করা হয় তখন তাকে বলা হয় আঞ্চলিক দেবতা। বাবা পঞ্চানন হলেন প্রথমত লৌকিক দেবতা,পরে হচ্ছেন আঞ্চলিক দেবতা।১লা মাঘ  কাটোয়া ২নং ব্লকের চাণ্ডুলী পাঞ্চাননতলায় বাবাপঞ্চানন দেবতার পুজো করা হয়। এই পুজোর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল,রোগ ব্যধিতে ভুগছে যে সমস্ত মানুষ ও যে সমস্ত বিবাহিত মহিলার বাচ্চা হয় না,তারা এই পঞ্চানন ঠাকুরের কাছে মানত করলে তাদের মনস্কামনা পুর্ণ হয়।কাটোয়া ২নং ব্লকের চাণ্ডুলী পঞ্চাননতলায় যে পুজো হচ্ছে তাতে ঘোড়ার চলন দেখা যায়।এই দেবতা ঘোড়াতেই সন্তুুষ্ট হন।এই পুজো উপলক্ষ্যে একটি মেলা বসে।সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে। সারাদেশে জুড়ে এন.আর.সি ও সি.এ.এ -এর আতঙ্ক যখন মানুষের চোখের ঘুম করে নিচ্ছে, ঠিক তখনি শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে পরিচালিত বাবা পঞ্চানন পুজো ও মেলা অনুষ্ঠান মানুষের মধ্যে আনন্দধারা বয়ে এনেছে। পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষরা এখানে পুজো ও মেলা দেখতে ভিড় জমান। শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্প করা হয়েছে। মানুষদের সুবিধার্থে  জলছত্রের আয়জন করেছে শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত মজুমদার,জেলা পরিষদের সদস্য তুষার সামন্ত,শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির অন্যতম নেতা বাপি রায়। এই পুজো উপলক্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করছে পুলিশ। পুজো উপলক্ষে মুলগ্ৰামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 




রাস্তার ধারে ধানের জমি থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো রায়না

No comments

Wednesday, October 30, 2019

পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ ব্লকের নাড়ু গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত র কুকুরা মিলন সংঘ দীর্ঘ ১২ বছর ধরে শ্যাম পুজো করে আসছে ।এ বছর ও পূজা উপলক্ষে চার দিন ধরে চলছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বুধবার দুপুরে পুজো উপলক্ষে মিলন সংঘের উদ্যোগে প্রায় 3500 জন মানুষের নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করে।এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানান গ্রামবাসীদের সহযোগিতা না পেলে এতবড় অনুষ্ঠান করতে পারতামনা
রাস্তার ধারে ধানের জমি থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়।মৃত যুবকের নাম সুকুমার মালিক(২৮)।বাড়ি রায়নার মেড়াল গ্রামে।ভাইফোঁটার খাওয়া সেরে মঙ্গলবার রাতে মামারবাড়ি রায়নার উচিৎপুর থেকে মোটর বাইক নিয়ে মেড়াল গ্রামে বাড়ি ফিরছিল।পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রচণ্ড মদ্যপ অবস্থায় বেসামাল হয়ে বাইক নিয়ে জমিতে পড়ে যায় এবং তাতেই তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহের পাশেই বাইকটিও পড়ে ছিল।

কাটোয়াবাসীর কাছে নিমগাছই "ঝুপো মা"

No comments

Monday, October 21, 2019


 গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী,পূর্ব বর্ধমানঃ

  কাটোয়ার মানুষের আজও ভরসা সেই প্রাচীন নিমগাছ। নিমগাছই "ঝুপো-মা"।নিমগাছই এখানে জাগ্রত ঝুপোকালী নামে পরিচিত।মূর্তি নয়,অন্য কোনও রূপেও নয় ।গাছরুপী এই দেবীই "ঝুপো-মা "নামেই প্রসিদ্ধ কাটোয়ার অজয় নদের তীরে লাগোয়া এলাকায়। 


কথিত আছে,ঝোপ জঙ্গলে ঘেরা এই নির্জন স্থানে বর্গীরা আত্মগোপন করে থাকত।এখান থেকেই অজয় ও ভাগীরথী সঙ্গমস্থলে বাণিজ্যতরীতে হামলা চালিয়ে লুটপাট চালাত জলদস্যুরা।এদের আরাধ্য দেবী ছিল এই নিমগাছ। দস্যুবৃত্তির পূর্বে দেবীকে স্মরণ করে লুটপাট করতে যেত তারা ।তবে সেসব এখন অতীত।


পরে জনসংখ্যা বাড়তে থাকায় জনবসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে ঘন জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে নিমগাছ সংলগ্ন ওই বেদিটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা । ধূপধুনো দিয়ে পুজো করার রেওয়াজও শুরু হয় তখন থেকেই । জায়গাটির পরিচর্যাও শুরু হয় । বাড়তে থাকে ভক্তসংখ্যাও ।প্রতি অমাবস্যা তিথিতে ও নানা তিথিতেই দুর-দুরান্ত থেকে ভক্তরা আসতে থাকে এখানে।সুষ্ঠুভাবে যাতে ভক্তরা পুজো দিতে পারে তার জন্য ২০১৩সালে ঝুপো-মা পুজো কমিটি গঠিত হয়েছে। বারোমাসই ঠাকুরের সেবা হয় । তার জন্য দুজন পুরোহিত রয়েছে। ভক্তদের দানের সোনা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে।


 কালীপুজোর সময় আশেপাশের জেলা থেকেও প্রচুর দর্শানাথী ও ভক্তদের আগমন ঘটে।দর্শানাথীদের সুবিধার কথা ভেবেই প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্র,পুলিশ বুথ,স্বেচ্ছাসেবক, ব্যারিকেড, আলো,জল ও প্রসাদ বিতরণীর কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়। সব জায়গায় যখন প্রতিমা বিসর্জন হয় তখন এখানে প্রতিমার পরিবর্তে নিমগাছের ছবি দিয়ে মানুষ পরিক্রমার মধ্য দিয়ে এই পুজোর সমাপ্তি হয় যা আজও কাটোয়ার মানুষদের কাছে এক অভিনবত্ব ও নতুনত্ব।



লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভাতারে।

No comments

Wednesday, October 16, 2019


 ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট

পূর্ব বর্ধমান - জেলার রামপুর গ্রামে গুপ্ত বাড়ির লক্ষ্মীপুজো হয় মহা ধুমধামে। প্রায় 70 বছর ধরে হয়ে আসছে এই লক্ষ্মীপূজা। কিন্তু বর্তমানে তা  সর্বজনীন রূপ নিয়েছে।গতকাল রাত্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল। প্রায় আট দশ গ্রামের মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন রামপুর গ্রামে ।

বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার d,s,p অরজিত পাল চৌধুরী ,ভাতার থানার ওসি প্রণব কুমার ব্যানার্জি, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা, জি বাংলা খ্যাতনামা শিল্পী অঙ্কিতা ভট্টাচার্য ও সৌম্য চক্রবর্তী।


প্রায় 6000 মানুষ বিভিন্ন গ্রাম থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে আসেন রামপুর গ্রামে। প্রশাসনের নজর ছিল চোখে পড়ার মতো ।রামপুর গ্রামের লক্ষ্মীপূজা যেন গ্রামের সর্বজনীন পূজায় পরিণত হয়েছে।  কচিকাঁচা দের নাচ গান ও জি বাংলার শিল্পীদের গানে ভরে ওঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।এলাকার মানুষ এই অনুষ্ঠানে  গুপ্ত পরিবারের কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।


জেলা সভাধিপতি শম্পা ধারা এই অনুষ্ঠানে এসে এলাকার মানুষদের কে বার্তা দিয়ে যান জল অপচয় বন্ধ করা ও প্লাস্টিক বর্জন করার।

গুপ্ত বাড়ির সদস্য বৈদ্যনাথ গুপ্ত জানান,আমরা দুই দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, আজকে প্রথম দিন । আগামীকালও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আছে। প্রশাসন খুবই সাহায্য করে। আমাদের এই অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে হয় ,এলাকার মানুষ প্রচুর সাহায্য করে ।

‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে হাজারো প্রচারের মধ্যেও পুজোর পঞ্চমী থেকে দশমীর রাত পর্যন্ত দুর্ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে মৃত ৬ - জখম ৪ সিভিক ভল্যান্টিয়ার সহ ৩৯ জন

No comments

Wednesday, October 9, 2019



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান  ৯  অক্টোবর 

 ‘সেফ ড্রাভই সেভ  লাইফ ’ কর্মসূচির থিমে  দুর্গা পুজোর আয়োজনের পাশাপাশি সর্বত্র চলেছিল সচেতনতা প্রচার।কিন্তু এতসবকিছুর 
পরেও পুজোর দিনগুলিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রোখা গেলনা দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা । 
পুজোর পাঁচ দিনে পৃথক পৃথক পথ দুর্ঘটনায়   
মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের । জখম হয়েছে ৩৯ জন
তারমধ্যে মহানবমীর রাতথেকে দশমীর  রাত পর্যন্ত  পৃথক চারটি  পথ দুর্ঘটনায়  মৃত্যু হয় দুজনের ।দুর্ঘটনা গুলি ঘটেছে জামালপুর , শক্তিগড় ও মেমারির থানা এলাকায় । জখমদের মধ্যে রয়েছে   ৪ জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার।  তাদের মধ্যে দুজনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক । পুলিশ দুর্ঘটনা  গুলির  তদন্ত শুরু করেছে ।


 পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , সোমবার গভীর রাতে টোটোয় চড়ে  বড়শুলের দিকে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছিলেন মেমারির ষষ্ঠিপল্লীর ৯ জন বাসিন্দা । টোটো আরোহীরা গভীর রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে  যাচ্ছিলেন ।  পথে শক্তিগড় থানার কাঁঁদোসোনা  এলাকায় একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ন্ত্রন সামলাতে না পেরে টোটোর  পিছন  ধাক্কা  মারে । তাতে বেসামাল  হয়েগিয়ে দুটি গাড়ি সোজা গিয়ে ধাক্কা খায় রাস্তার পাশের গাছে ।  এই দুর্ঘটনার দিনেই মৃত্যু হয়  লক্ষ্মী মিদ্দা (৪৭)  নামে এক মহিলার ।  চিকিৎসাধীন থাকাকালে পরে মৃত্যু হয় প্রীয়া মিদ্দা (১৯)নামে  টোটো অপর  আরোহীর ।  ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় টোটো ও স্করপিও গাড়ির  ১২ জন  আরোহী  জখম হন  । তাদের কয়েকজনকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকিদের  বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি  হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।জখমদের মধ্যে কয়েকজনের  আঘাত গুরুরতর বলে জানাগেছে ।  দুর্ঘটনাগ্রস্থ দুটি গাড়ি পুলিশ  আটক করেছে ।



এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে  মঙ্গলবার সকালে জামালপুরের নতুনগ্রামে হওয়া দুর্ঘটনায় গুরুতর জখন হন এক বাইক আরোহী । অচৈতন্য অবস্থায়  মেমারি তারকেশ্বর রোডে  উপর পড়েছিল শ্রীকান্ত মাঝি (২৬) নামে ওই  বাইক আরোহী ।  পাশেই পড়েছিল তাঁর ভাঙাচোরা বাইকটি ।  খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে  ব্লক হাসপাতালে নিয়েযায়  । যুবকের  শারীরিক অবস্থা  খারাপ থাকায় তাকে স্থানান্তর করা হয়  বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।  কিভাবে দুুর্ঘটনা ঘটলো তার তদন্ত পুলিশ শুরু  করেছে  । পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , দুর্ঘটনায় জখম যুবকের বাড়ি হুগলীর ধনিয়াখালি থানার পূর্ব কেশবপুর এলাকায় । ফের এদিনই দুপুরে  মেমারি তারকেশ্বর  রোডে  জামালপুর থানার  মণিরামবাটি  এলাকায় বাইক   দুর্ঘটনা ঘটে ।  এই দুর্ঘটনায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয় ।  জখম হয় একই বাইকের অপর এক আরোহী  ।  পুলিশ সূত্রে জানাগেছে মৃত ব্যক্তির নাম উদয় মালিক (৫৭)। জখম  বছর ৬০ বয়সী ব্যক্তির নাম রঞ্জিত মালিক  ।  তাঁকে  বর্ধমান মেডিকেল  কলেজ ও হাসপাতালে  স্থানান্তর করা হয়েছে ।  পুলিশ সূত্রে জানাগেছে  মৃত ও জখম দুজনেরই বাড়ি  জামালপুরের  দক্ষিনশুড়া গ্রামে ।  মৃতর আত্মীয়  তাপস মালিক  জানিয়েছেন , দুই বন্ধু উদয় ও রঞ্জিত  সোমবার তারকেশ্বরে ঠাকুর দেখতে গায়েছিল  । মঙ্গলবার  দুপুরে বাইকে চড়ে তারা তারকেশ্বর থেকে  নিজেদের  বাড়ি ফিরছিল  । পথে মণিরামবাটি এলাকায়  রাস্তার ধারে  দাঁড়িয়ে থাকা  লরির পেছনে  সজোর ধাক্কা মেরে বসে বাইক আরোহীরা ।  খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে  রক্তাত অবস্থায় দুই বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে  জামালপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়েযায়  ।  সেখানে চিকিৎসক উদয় মালিককে মৃত ঘোষনা করেন । আশঙ্কাজনক অবস্থায় রঞ্জিতকে স্থানান্তর করা হয় বর্ধমান  মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে । পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বাইক চালাতে চালাতে চালক ঘুমিয়ে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে । এই দিনই গভীর রাতে বড়সড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ২ নম্বর জাতিয় সড়কে  মেমারির সরডাঙ্গা এলাকায় ।  ট্রাফিক সামলানোর ডিইটিরত  চার সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে  সজোরে ধাক্কা  মেরে পালায় একটি চারচাকা গাড়ি । এই ঘটনায়  গুরুতর  জখম হয়েছে  তিন সিভিক ভল্যান্টিয়ার ।  তাদের মধ্যে দুজনের  শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে  স্থানান্তর করা হয়েছে । একজনের চিকিৎসা চলছে বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি  হাসপাতালে ।  প্রাথমিক চিকিৎসার পর এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।  পুলিশ সূত্রে জানাগেছে  ,  পুজোয় ট্রাফিক ডিউটি  সামলানোর জন্য মাধবডিহি থানার চার সিভিক  ভল্যান্টিয়ারকে পাঠান হয়েছিল  মেমারি থানায় ।  মঙ্গলবার  গভীর রাতে  তারা
২ নম্বর জাতীয় সড়কে মেমারির  সরডাঙ্গা এলাকায় ডিউটি করছিল ।  তখনই তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ।  সিসিটিভি ফুটিজে খতিয়েদেখে পুলিশ কর্তারা জানতে পেরেছেন দ্রুত গতীতে চলা  একটি  গাড়ি  চার সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে  ধাক্কা মেরে পালায় ।  বরাত জোরে প্রাণে বাঁচলেও  এই দুর্ঘটনায় চার সিভিক ভল্যান্টিয়ার  জখম হয় । ঘাতক গাড়ির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ ।


 পুজোর মধ্যে শুধুমাত্র যে  নবমী ও দশমীর দিন  হওয়া দুর্ঘটনায় কারোর মৃত্যু হয়েছে  এমনটা নয় । মহাপঞ্চমীর দিন  পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট ও মন্তেশ্বরে হওয়া পৃথক পথ দুর্ঘটনা ৩ জনের মৃত্যু হয় ।  জখম হন আরো  ১১ জন ।  এরপর  মহাসপ্তমীর দিন  দুপুরে রেষারেষি করে দ্রুতগতীতে যাবার সময়ে রায়না থানার বাঁকুড়া মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে গিয়ে উল্টেপড়ে যাত্রীবাহী বাস  । এই দুর্ঘটনায় আহত হন বাসের ৭ যাত্রী ।  দুর্ঘটনা  ঘটে মহাষ্টমীর দিন রাতেও ।  ওইদিন রাতে  হওয়া পৃথক  দুটি মোটরবাইক দুর্ঘটনায়  মৃত্যু হয় এক বাইক আরহী যুবকের  । জখম হন দুই বাইকের আরো তিন আরোহী ।


জেলা পুলিশ সুপার  ভাস্কর মুখোপাধ্যায়  যদিও জানিয়েছেন ,পুজোর সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে  পুলিশের তরফে কোন খামতি রাখা হয়নি । ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে  ৮ অক্টোবর পর্যন্ত পথে নেমে পুলিশ একটি বাইকে  ৩ জন চেপে ঘোরা , মদ্যপ অবস্থায় ও বিনা হেলমেটে  বাইক  বাইক চালান সহ ট্রাফিক রুল ভঙ্গের ঘটনায়   ৫৯০ জনকে ফাইন করেছে । ফাইন বাবদ আদায় হয়েকে ১,৬৩,১০০ টাকা । জেলার সর্বত্র ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কর্মীকেও মোতায়েন রাখা হয়েছিল । তার পরেও এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশের কর্তারা বলছেন, পুলিশ সচেতন করলেও  জনগন সচেতন হতে না চাওয়াতেই  দুর্ঘটনায় লাগাম টানা দুঃসাধ্য  হয়েউঠেছে ।

আউশগ্রামে অভিনব ভাবে শোভাযাত্রা মাধ্যেমে প্রতিমা বিসর্জন করা হল

No comments

পূর্ব বর্ধমান: আউশগ্রামের বারোসতীর ডাঙ্গায় যৌথ বিসর্জন ঘিরে মেতে উঠলেন এলাকাবাসী। আশপাশের বেশকয়েকটি গ্রাম মিলে একত্রে প্রতিমা বিসর্জন করা এলাকার পুরানো এক ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য মেনেই এবছরেও বুধবার যৌথ শোভাযাত্রা হল আউশগ্রামের বারোসতীর ডাঙ্গায়। তাতে মাতলেন এলাকাবাসী।

আউশগ্রামের উত্তর রামনগরের বারোসতীর ডাঙ্গায় এই  যৌথশোভাযাত্রাকে ভাসানমেলা বলেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রায় ২০০ বছরের পরম্পরা মেনে আশপাশের গ্রামের দেবীপ্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় বারোসতীর ডাঙ্গায়। সেখানে একে অপরের সঙ্গে বিজয়ার সৌহাদ্য বিনিময় করেন। ঢাক ঢোল কাঁসর ও নানান বাজনা বাজিয়ে আনন্দ উল্লাসে মাতেন গ্রামবাসীরা। কয়েকঘন্টা ধরে চলে। তারপর ফের যে যার প্রতিমা নিজেদের গন্তব্যে ফিরে গিয়ে নিরঞ্জন করে।


আউশগ্রামের উত্তর রামনগরের বারোসতীর ডাঙ্গা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে এক জনশ্রুতি। প্রবীন বাসিন্দা অমর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উত্তররামনগরের এই ডাঙ্গায় আগে একটি উঁচু ঢিবি চিল। প্রাচীনকালে সেই ডিবিতেই সতীদাহ হত। অতীতকালে  এই ডাঙ্গাতেই ১২ জন সতীতে দাহ করা হয়েছিল। সেই থেকে এই উঁচু ফাঁকা জায়গাটি বারো সতীর ডাঙ্গা নামে পরিচিত।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রামনগর, গোষ্বামীখন্ড, মল্লিকপুর, খটনগর, প্রভৃতি ৬ – ৭ টি গ্রাম মিলে পারিবারিক ও সর্বজনীন পুজো হয় বেশ কয়েকটি। ওই সমস্ত গ্রামের মিলে ১৪ – ১৫ টি প্রতিমাকে কাঁধে চাপিয়ে  নিয়ে আসা হয় বারোসতীর ডাঙ্গায়। এদিন বারোসতীর ডাঙ্গা হাজারো মানুষের ভিড়ে হয়। মেলা বসে। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রবীর বিশ্বাস বলেন, ” আমি কর্মসূত্রে বাইরে থাকি। তবে এই বিসর্জন দেখতে প্রতিবছর বাড়ি আসি। এত মানুষের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ আর পাওয়া যায় না।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন প্রথা মেনে প্রতিবছর বিজয়াদশমীর রাতে বারোসতীর ডাঙ্গায় এই যৌথ শোভাযাত্রা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বৃষ্টির কারনে তা হয়নি। পরিবর্তে এদিন সকালে করা হয়। বেশ কয়েকবছর আগেও আকই কারনে একাদশীর দিন এই শোভাযাত্রা করতে হয়েছিল।

ভাতারের কাঁটার গ্রামের কোন বাড়িতে দুর্গাপূজার চার দিন রান্না হয় না।

No comments

ভাতার থেকে রিপোর্ট আমিরুল ইসলামের

পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটার গ্রামে দুর্গা উৎসবের চারদিন কোন বাড়িতে রান্না হয় না।
কাঁটার গ্রামে সর্বজনীন দূর্গা উৎসব পালন হয়। প্রায় 51 বছর ধরে হয়ে আসছে এই দূর্গা উৎসব। দুই বছর ধরে নতুন নিয়ম চালু হয়েছে গ্রামে।গ্রামের মহিলারা বাড়ির রান্না করতে করতেই সমস্ত সময় কেটে যায় ।তাই বাড়ির ছেলেরা পুজোর চারদিন আনন্দ করলেও গ্রামের কোন মহিলা সেইভাবে আনন্দ করতে পারতেন না ।সেই কথা চিন্তা করে গ্রামের মানুষেরা ঠিক করে গ্রামের বারোয়ারি তলায় গোটাগ্রাম একত্রিত হয়ে রান্নার লোক নিয়ে এসে রান্না করা হবে।গত বছর থেকে চালু হয়েছে এ নিয়ম এবছরও সেই একই নিয়মে চারদিন ধরে রান্না হচ্ছে বারোয়ারি তলায় ।গ্রামের সকল মানুষ এক কাছে বসে খাওয়া দাওয়া করেন এই চারদিন ধরে। আজ বিজয়া দশমী, বিগত দিনের প্রথা  মেনে আজকে বিসর্জন হবে মা দুর্গার। তাই গ্রামের মহিলারা আনন্দে মেতে উঠেছে সিঁদুর খেলায়।আনন্দে মেতে উঠলেও সকলের কিন্তু মন খারাপ আবার একটা বছর অপেক্ষা করতে হবে মায়ের জন্য ।সব মিলিয়ে ভাতারের কাঁটার গ্রামে দুর্গা উৎসবকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ।

 আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা


যোগাযোগ - 9775728465/9734743074

কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়

আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com

দুর্গা পুজো মাতলেন বর্ধমানের জামাই তথা সাংসদ আহলুওয়ালিয়া

No comments

Monday, October 7, 2019


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় 


পুজোর কটাদিন মণ্ডপে  মণ্ডপে ঘুরে দুর্গা প্রতিমা দর্শন করলেন  বর্ধমানের জামাই তথা বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া । শুধু ঠাকুর দেখাই নয়  ,পুজো মণ্ডপে বসে তিনি  দেবীকে পুজো দিবেদনও  করেছেন।  এই পুজোর সনয়ে  আহলুওয়ালিয়া জী সবথেকে বেশি  খুশি হয়েছেন সোনি টিভি আয়োজিত ২০১৯  সিঙ্গিং সুপারস্টার  প্রতিযোগীতায়   বর্ধমানের খুদে শিল্পী প্রীতি ভট্টাচার্য বিজেতা  নির্বাচিত  হওয়ায়। প্রীতি  বিজয়ী হবার ঠিক দুদিন আগে  অর্থাৎ মহাষষ্ঠির  দিন  তিনি তাকে  কোলে তুলেনিয়ে  শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ।একই সঙ্গে বিজয়ী  হবার জন্য প্রীতিকে  আশীর্বাদ করেছিলেন    আহলুওয়ালিয়াজি ।


 শারদোৎসবের মধ্যেই প্রীতি  বিজয়ী হওয়ার খবরে পেয়ে বেজায়  আপ্লুত এস এস আহলুওয়ালিয়া।  খুদে  শিল্প প্রীতির বিজয়ী হওয়া প্রসঙ্গে আহলুওয়ালিয়াজী বলেন,‘ মোদিজীর বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পের অগ্রদূত বর্ধমানের প্রীতি   ভট্টাচার্য ।  এই ছোট্ট বয়সে খ্যাতি ও যশ অর্জন করে প্রীতি প্রমান করেদিয়েছে বেটিরাও কোন অংশে কম নয় ।’ রবিরার মহাষ্টমীর দিন  বর্ধমানের বড়শুল ইয়ংমেনস অ্যাসোসিয়েশনের পুজো মণ্ডপে পৌছে তিনি পুষ্পাঞ্জলী দেন । একই ভাবে মহানবমীর দিনও জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্য কার্যকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আহলুওয়ালিয়াজী  ঠাকুর  দেখতে বের হন  ।
বর্ধমানের  জামাই আহলুওয়ালিয়াজীকে  খাতির যত্নে অবশ্য কোন ত্রুটি রাখেনি তাঁর সাংসদ এলাকার মানুষন ।  সবার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এদিন আহলুওয়ালিয়াজী  শারদোৎসবের শুভেচ্ছা জানান । 

বর্ধমান তালিতের ভট্টাচার্য্য পরিবারের দুর্গাপূজায় সাজো সাজো রব

No comments

প্রতিনিধি সেখ আব্বাস আলি

বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বাঘার 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিতের ভট্টাচার্য্য পরিবারের দুর্গাপূজায় নবমীর দিন সাজো সাজো রব। সকাল থেকে পূজো শুরুর পূর্বে পরিবারের মহিলা ও পুরুষ সদস্যদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিলো নজরকারা, পুজোর ফল কাটা থেকে শুরু করে মালা গাঁথা সব কিছুই করে পরিবারের সদস্যরা। পুজোর শেষে থাকে মধ্যাহ্ন ভোজনের ব্যাবস্থা। প্রায় 400 বছরের পুজোকে ঘিরে প্রত্যেক সদস্যই অধীর অপেক্ষায় বসে থাকে। কিন্তু পরিবারের মহিলা সদস্য প্রগতি মুখার্জি জানান নবমী মানেই মূলত পুজোর শেষ পর্যায়ে, দশমী পেরোলেই আবারও সেই এক বছরের প্রতীক্ষা। দশমীর দিন প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও পরিবারের সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মেমারি 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি পক্ষ থেকে দূর্গা পুজো অভিনব উদ্যেগ

No comments

মেমারি 1 নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি এবং মেমারি 1 সমষ্টি উন্নয়ন কার্যালয় এর পক্ষ থেকে মেমারী 1 নম্বর অঞ্চলের অতি গ্রামীণ ও ক্ষুদ্র অবহেলিত দুর্গাপুজো কে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য পূজা পরিক্রমা 2019 আয়োজন করা হয়েছে , সার্বিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মেমারি থানা ,এই পুজো পরিক্রমা পরিক্রমা মন্ডলীর বিশিষ্ট 12 জন সদস্য আছেন যারা  প্রতিমা আলোকসজ্জা  বিভিন্ন প্রকল্প সরকারি  থিম  বিবেচনা করে তাদের প্রাইজ প্রদান করবে  এই মন্ডলীর মধ্যে আছে অধ্যাপক  ডক্টর  আইনজীবী  লেখক শিল্পী  এবং সরকারি দপ্তরের পদমর্যাদা সম্পন্ন কিছু কর্মী সদস্য , কিছু বারোয়ারি কে পুরস্কৃত করা হবে
এবং সান্তনা প্রাইজ দেয়া হবে সাথে সাথে প্রত্যেকটি  বারোয়ারি কে একটি করে আম গাছের চারা দেয়া হয় এবং কিছু বারোয়ারি কে কাপড় জামা ও প্রদান করা হয় , আরো জানা যায় এ অঞ্চলে প্রায় 150 টি বারোয়ারি আছে , এই কার্যকলাপের জন্য ছোট ছোট বারোয়ারি এবং গ্রামীণ বারোয়ারী গুলি খুবই অভিভূত , তাদের  এই ধরনের প্রচেষ্টা আগে কোনদিনই চোখে পড়েনি এটি একটি নজিরবিহীন কার্যকলাপ , ওরা চাই এই ধরনের কর্মসূচি সরকারিভাবে আরো বেশ কিছু হোক




মহাষ্টমীর রাতে পৃথক বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১ যুবকের - জখম ৩।

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৭ অক্টোবর 

মহাষ্টমীর দিন রাতে  পৃথক  মোটরবাইক  দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহী যুবকের । জখম হয়েছে দুটি বাইকের  আরো তিনজন ।   আরোহী ।  দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার  কৃষ্ণচন্দ্রপুর  ও হরগোবিন্দপুর এলাকায় । পুলিশ সূত্রে জানাগেছে মৃত বাইক আরোহীর নাম ফিরোজ মল্লিক (২৬)।  তার বাড়ি  জামালপুরের  মাঠনসিপুর গ্রামে । একই রাতে  হরগোবিন্দপুর  এলাকায় ঘটেযাওয়া অপর  বাইক দুর্ঘটনাতেও দুজন জখম হয়  ।
পুলিশ  দুটি দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে  জানাগেছে ,রবিবার রাতে  নিজের গ্রামের দুই বন্ধু সান্তনু কিস্কু ও হাবিব মল্লিককে  সঙ্গে নিয়ে ফিরোজ মল্লিক ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল । একটি বাইকে তিন বন্ধু চেপে প্রথম বর্ধমানের বড়শুলে ঠাকুর দেখতে যায় ।  রাতে সেখান থেকে তারা  বাড়ি ফারছিল । পথে জামালপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পুলের কাছে ঘটেযায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা । খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ তিন জখম  বাইক আরোহীকে উদ্ধার করে  জামালপুর হাসপাতালে নিয়েযায় । শারীরিক অবস্থা সংকটজনক থাকায় রাতেই  ফিরোজকে স্থানান্তর করা হয়  বর্ধমান মেডিকেল  কলেজ ও হাসপাতালে । সেখানে সোমবার সকালে  মারাযায় ফিরোজ মল্লিক । এদিনই  বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে  ফিরোজ মল্লিকের মৃতদের  ময়নাতদন্ত হয় ।


হরগোবিন্দপুরে হওয়া বাইক দুর্ঘটনায়  জখম  দুজনের চিকিৎসা হয়  জামালপুর হাসপাতালে । তারা আপাতত বিপদ মুক্ত বলে চিকিৎসকদের কথায় জানাগেছে । কিভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।

বর্ধমান সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবকুমারী পুজো

No comments

প্রতিনিধি - বলরাম সাহা

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী দেবী সর্বমঙ্গলা।তিনি বাংলার লৌকিক দেবতা ও বটে। তিনি মুলত বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজিত হন।এই মন্দিরটিকে অনেকে শক্তিপীঠ বলেন।সেই মতে এখানে দেবীর নাভি পরেছিল।দেবী সর্বমঙ্গলা ও ভৈরব শিব/মহাদেব ।

সর্বমঙ্গলা মন্দিরের নিত্যপুজো ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজবংশের শেষ যুবরাজ উদয়চাঁদ মহতাব ট্রাস্ট কমিটি গঠন করেন।তাঁর পুজো প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি পুরোনো। সর্বমঙ্গলার ঘট প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শারদোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়ে থাকে পূর্ব বর্ধমানে।কুমারি পুজাও হয়।

মহানবমীতে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নব কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের রীতি মেনে নবমী তিথিতে নয় কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করা হয় এদিন। বর্ধমানের শ্যামসায়র রামকৃষ্ণ আশ্রম সহ বিভিন্ন জায়গায় মহাষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়। আবার কোথাও কোথাও দশমীর দিনেও কুমারী পুজো হয়ে থাকে। কুমারী পুজো উপলক্ষে এদিন সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে।

চন্দ্রযান ২ অভিযান দেখতে দর্শনার্থী ভিড় উপচে পড়ছে কোলুপুকুর সার্বজনীনের দুর্গা পুজো মণ্ডপে ।

No comments

Sunday, October 6, 2019


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৬ আক্টোবর

দেবীপক্ষ পড়ার কিছু দিন আগে ভিএসএলভি  মার্ক থ্রি রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ২। ভারতের মহাকাশ  বিজ্ঞানীদের  পাশাপাশি  গোটা দেশবাসীর মধ্যে  প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, এবার সফল ভাবেই চাঁদের মাটিতে পা রাখবে চন্দ্রযান ২ ।  কিন্তু সফলতার দোরগোড়ায় পৌছেগিয়েও শেষপর্যন্ত নিরাশ হতে হয় ইসরোর বিজ্ঞানীদের । চন্দ্রযান ২ চাঁদে পৌছানোর ২,১ কিমি আগেই নিরুদ্দেশ হয়েযায় তার ল্যান্ডার বিক্রম ।  ভারতের দ্বিতীয় চাঁদ অনুসন্ধান অভিযান হয়তো সফল হয়নি, তবে  চন্দ্রযান ২ অভিযান সমগ্র দেশবাসী মহলে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল । এবার দুর্গা পুজোর থিমে  সেই চন্দ্রযান ২ অভিযানকে  তুলে ধরে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের কোলুপুকুর  সার্বজনীন  দুর্গোৎসব কমিটি । যা দেখতে পুজো প্রাঙ্গনে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের  ভিড় ।

কোলুপুকুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সুমন কল্যান  মজুমদার জানিয়েছেন , এবছর তাঁদের দুর্গা পুজো অষ্টম বর্ষে পদার্পন করেছে । চন্দ্রযান ২ অভিযানকে সামনে রেখেই  তারা মণ্ডপ তৈরি করেছেন।   মহাকাশে মহামায়া এই আঙ্গিকে  তৈরি করা হয়েছে প্রতিমা । দুর্গা পুজোর থিমে চন্দ্রযান ২ অভিযান কেই বেছেনেবার  কারণ কি ? এই প্রশ্নের উত্তরে সুমন কল্যান জানিয়েছেন , হয়তো সফলতা আসেনি । তাসত্ত্বেও ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের  চন্দ্রযান ২ অভিযান  ভারতবাসী মহলে সাড়াফেলে দিয়েছিল ।  প্রধানমন্ত্রী নেরেন্দ্র মোদিও  ইসরোর বিজ্ঞানীদের  প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন  । সুমন কল্যান বলেন,এই সবের পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁরা দেশেজুড়ে  আলোড়ন  ফেলেদেওয়া  চন্দ্রযান ২ অভিযানকে মণ্ডপে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নেন  ।

  পুজো কমিটির সভাপতি শংকর হাওলাদার  জানিয়েছেন , মণ্ডপটি তৈরি করেছেন স্থানীয়  শিল্পী বিষ্ণু শিকদার  । প্রথমে শিল্পী বাঁকারির সাহায্যে চন্দ্রযান ২ এর স্ট্রাকচার তৈরিকরেন  । পরে থার্মোকল ও ফোম ব্যাবহার করে তিনি  চন্দ্রযান ২ এর পূর্ণাঙ্গ রুপদেন  । প্রায় একমাস সময় লেগেছে  এই মন্ডপ তৈরি করতে ।  ক্লাবের কর্মকর্তা তাপস সরকার জানিয়েন এবছর তাঁদের পুজোর বাজেট পৌনে তিন লক্ষ টাকা । নজরকাড়া এই মণ্ডপের জন্য জামালপুর থানা এবং জামালপুর  পঞ্চায়েত সমিতি  পুজো উদ্যোক্তাদের পুরস্কৃত করেছে বলে তিনি জানান ।  জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  মেহেমুদ খান এদিন মণ্ডপ পরিদর্শন করে বলেন,‘ একথা ঠিকই চন্দ্রযান ২ অভিযান  দেশজুড়ো সাড়া ফেলেছিল । সেই স্মৃতিকে আরো একবার উস্কে দিয়েছে কোলুপুকুর সর্বজনীনের দুর্গা পুজো । 

জমিদারি প্রথার বিলোপের পর জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজো অাঁকড়ে শারদোৎসব কাটানো নয় । এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে দুর্গা পুজোর আয়োজন করলেন ৯ বধূ ।

No comments

Saturday, October 5, 2019


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৫ অক্টোবর 


 হিন্দু পুরাণ অনুসারে নয়টি  ভিন্ন রুপে পূজিতা হন দেবী পার্বতী অর্থাৎ  দেবী দুর্গা  ।  শৈলপুত্রী ,চন্দ্রঘন্টা , ব্রহ্মচারিণী, স্কন্দমাতা, কুম্মাণ্ডা ,কালরাত্রি , কত্যায়নী,মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী ,এই হল দেবীর নয় রুপ। এমনই ভিন্ন রুপের নয় নারীর  একান্ত উদ্যোগে  পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের মণিরামবাটি  গ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গা । তাদের আয়োজিত দুর্গা পুজা এবছর চতুর্থ  বর্ষে পদার্পণ করেছে । বাজেট সামান্য হলেও  মা দুর্গা  মহিলা সমিতির সদস্য  ভক্তিভাব  ও আন্তরিকতা টেক্কা দিচ্ছে বড়বাজেটের  পুজো আয়োজকদেরও ।প্রশাসনিক অনুমতি নিয়ে  সুশৃংখল ভাবে পুজো আয়োজনের জন্য  মা দুর্গা  মহিলা সমিতিকে বিশেষ ভাবে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  জামালপুর থানা । মহাসপ্তমীর সন্ধায়   জামালপুর থানার পুলিশ কর্তারা  মা দুর্গা মহিলা  সমিতির সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন । পুরুষরা মুখ লুকোলেও প্রথমবার পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত মণিরামবাটি গ্রামের বধূরা ।

দুর্গা মাতা  মহিলা সমিতির  সম্পাদিকা কুমকুম বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন , তাঁদের গ্রামে দুর্গা পুজো না হওয়ায় পূর্বে সবাই আফসোস করতো । তাসত্ত্বেও গ্রামের পুরুষরা কেউই দুর্গা পুজোর আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়নি । মণিরামবাটির জমিদার বাড়ির দুর্গা পুজো  নিয়েই শারদোৎসবের কটাদিন কাটাতে   বাধ্য হত গ্রামের মানুষজন । কুমকুমদেবী বলেন, জমিদারি প্রথার বিলোপ ঘটার পরেও জমিদার বাড়ির পুজো অাঁকড়ে  শারদোৎসব কাটোনোর পক্ষপাতী  তিনি এবং তাঁর সহযোগী মহিলারা  ছিলেন না । তাই তারা  স্থির করেন গ্রামের বধূরা মিলেই দুর্গা পুজোর আয়োজন করবেন । কুমকুমদেবী বলেন এরজন্য কটুক্তি সমালোচনা অনেককিছুই শুনতে হয়েছে ।  তবে  সবকিছুকে দূরে সরিয়েরেখে তিনি এবং গ্রামের অপর বধূ  চিন্ময়ী, টগরি , মিনতি , অপর্ণা , ঝর্ণা  , কৃষ্ণা এবং সাধনা কর্মকার ও সাধনা ধারা মিলে চারবছর আগে গ্রামে প্রথম দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন । সেই শুরু তারপর থেকে তারা আর পিছন ফিরে তাকাননি ।এবছর তাঁদের পুজো চতুর্থ বর্ষে পা রাখলো ।


  চিন্ময়ী নন্দী , সাধনা কর্মকার প্রমুখরা জানিয়েছেন , এবছর তাঁদের পুজোর বাজেট মাত্র ৪৫ হাজার টাকা । তারমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা । নয় বধূ মিলে গ্রামের ১১৪ ঘর বাসিন্দার  বাড়ি বাড়ি ঘুরে  চাঁদা তুলেছেন । যথসামন্য  সেই চাঁদার অর্থ এবং  বাকিটা  নয় বধূ মিলে দিয়ে এবছর সমস্ত পুজোর আয়োজন সম্পূর্ণ করেছেন ।  আগামীদিনে গ্রামে দুর্গা মন্দির গড়ে বড়করে দেবী দশভূজার আয়োজন করার  বাসনার কথা শুনিয়েছেন মা দুর্গা মহিলা সমিতির সদস্যরা । 

লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রের বড়শুলে

No comments

Wednesday, October 2, 2019


পূর্ব বর্ধমান:- গত পরশুদিন অর্থাৎ 30/09/2019 তারিখে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক স্কুল ছাত্রের, নাম বাপন মন্ডল (৯)। গুরুতর আহত পিতা অরবিন্দ মন্ডল।হরিপল্লী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র বাড়ি পূর্ববর্ধমানের সদর ২ ব্লকের বড়শুল তেঁতুল তলায়।

 সেদিন সন্ধ্যায় বাবা অরবিন্দ মন্ডলের সঙ্গে পুজোর বাজার করে সাইকেলে করে ফিরছিল, বড়শুল গ্রামের ধর্মতলায় লরিটি  সাইকেলে ধাক্কা মারে,ছিটকে পরে যায় বাবা ও ছেলে।এলাকার বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় বড়শুল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাপন মন্ডল কে মৃত বলে ঘোষনা করে।গুরুতর আহত অরবিন্দ মন্ডলের চিকিৎসা চলছে।ঘাতক লরিটি ধাক্কা মেরে দামোদর নদের দিকে চলে যায় ।পুলিশ ঘাতক লরিটির খোঁজ চালাচ্ছে।দূর্ঘটনা এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পরে।

উলেখ্য দুইদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনো ঘাতক লরি ও চালককে গ্রেফতার করতে পারেনি অথচ এই ল রি গুলি রীতিমতো এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বালি নিয়ে যায়,এই সব অভিযোগ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন বরশুল গ্রামবাসী।

আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা

কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com

পুজোর আগে মানুষকে সচেতন করতে বাইক রেলি করল সিজি গ্রুপ

No comments


                                          বলরাম সাহা

পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের বাদুলিয়া সিজি গ্রুপের উদ্যোগে খণ্ডঘোষ থানা ও সেহারাবাজার ট্রাফিক এর ব্যবস্থাপনায় পুজো কে সামনে রেখে সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন করা হল বুধবার। বাদুলিয়া বাজার থেকে শতাধিক বাইক নিয়ে পলেমপুর পর্যন্ত একটি বাইক রেলী করা হয়। পোলেমপুর এ বাইক আরোহীর গাড়িতে সতর্কমূলক পোস্টার লাগানো হয়। উপস্থিত ছিলেন খণ্ডঘোষ থানার ওসি সঞ্জয় রায় সহ খন্ডঘোস থানা অন্যান্য অফিসার ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা। এছাড়া সেহারাবাজার ট্রাফিক ওসি সুকুমার মন্ডল ও সিজি গ্রুপের সদস্যরা।

আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা
যোগাযোগ - 9775728465/9734743074


কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com

আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা

No comments
আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা

কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com


স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে সেজে উঠছে মেচেদা।

No comments

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদ উৎসব যার কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার মেছেদা শহরে ঠাকুর দেখার জন্য। কারণ মেচেদা শহরের প্রায় পনেরো থেকে 20 খানা দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলে রয়েছে একই এলাকায়। মুক্তধারা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রাজপথে রঙ্গলি আলপনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুললেন। জল অপচয় বন্ধ করার বার্তা দিলেন মুক্তোধারা সংস্থা সারারাত ধরে চলে এই আলপনার রঙ্গলি কাজ। প্রায় 100 জন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মীরা তাদের নিজেদের ভাবনা ফুটিয়ে তুলেন রঙ্গোলী  মাধ্যমে। সংস্থার সদস্যদের দাবি রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে রাস্তার দিকে দেখতেই হবে। তাই সাধারণ মানুষের কাছে রাস্তা রং এর মাধ্যম দিয়ে বার্তা দিতে এই অভিনব উদ্যোগ বলে জানান।
আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা
যোগাযোগ - 9775728465/9734743074


কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com


পঞ্চমী থেকেই বর্ধমান শহরের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করল জেলা পুলিশ।

No comments

Tuesday, October 1, 2019


আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গাপূজোর সপ্তমী কিন্তু তার দুদিন আগেই পঞ্চমী থেকেই বর্ধমান শহরের যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করল জেলা পুলিশ। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রকাশিত পুজোর গাইডে জানানো হয়েছে আগামী ৩ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রত্যেকদিন বিকাল ৪টে থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত জিটিরোড দিয়ে মোটর বাইক ছাড়া সমস্ত ধরণের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

জেলা পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু পুজোর এই দিনগুলিতে প্রচুর মানুষ ঠাকুর দেখতে রাস্তায় নামবেন তাই এই যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দু চাকা ছাড়া বাকি যে কোনও গাড়িকে বর্ধমান শহর ঢোকার মুখে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতে পারে বা তাদের অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

জেলা পুলিশের পুজোর গাইডে বলা হয়েছে কাটোয়ার দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে কাটোয়া রোডের পেট্রোল পাম্পের কাছে, কালনা রোডের ক্ষেত্রে এমবিসি ইনষ্টিটিউটের কাছে এবং অন্যান্য দিকেরগুলি তেলিপুকুরমোড়, কানাইনাটশাল মোড়, গোলাপবাগমোড়, আলিশামোড়, গুসকরামোড় এবং পালার শ্রীরামপুরমোড়ে গাড়ি আটকানো হবে। জেলাপুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এবছর বর্ধমান শহরের মোট ৫১টি বড় পুজো মণ্ডপকে পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছরও পুজোর উদ্বোধনে সেলিব্রেটিদের ভিড় থাকছে বর্ধমান শহরে।

আপনার পাড়ার পুজো তুলে ধরুন আমাদের মাধ্যমে কৃষক সেতু বাংলা
যোগাযোগ - 9775728465/9734743074


কৃষক সেতু বাংলা নিউজ আপডেট পেতে,
আজই লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।

আপনি কি কবিতা , গল্প লেখেন ?
আমাদের পাঠান ' কৃষকসেতু বাংলা ' আপনার লেখা প্রকাশিত হবে, আমাদের  পুজো সংখ্যায়
আপনার লেখা পৌঁছে দেব বাংলার দরবারে Email - krishaksetubangla@gmail.com




বস্ত্র বিতরণ সারা এডুকেশনাল ও ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে কৃষকসেতুর সম্পাদক

No comments

Sunday, September 29, 2019


আসন্ন শারদীয়ার কে সামনে রেখে এক মহতী উদ্যোগ নিল পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ এর বেরুগ্রামের সারা এডুকেশনাল এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের উদ্যোগে এলাকার দুস্থ মানুষদের হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হল। পুজোর আগে নতুন বস্ত্র পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষজন। এর সাথে সাথে সেভ লাইফ গিভ ব্লাড এর বার্তা দেওয়া হয় সকলকে । উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবীরা। ট্রাস্ট এর সম্পাদক হাপিজুল রহমান এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের সভাপতি শফিকুল ইসলাম  জানান পুজোর মুখে দুঃস্থদের বস্ত্র দিতে পেরে আমরা গর্বিত যাতে দুস্ত মানুষেরা পুজোর ভালো ভাবে কাটাতে পারে নতুন বস্ত্র পড়ে সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে ছোট্ট এই প্রয়াস।


loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION