Showing posts with label কৃষি কাজ. Show all posts
Showing posts with label কৃষি কাজ. Show all posts

সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পেরে ধর্নায় বসেছে গলসির গলিগ্রামের চাষীরা

No comments

Saturday, February 22, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- প্রতিটি চাষী যাতে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে পারে সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।খবরের কাগজে,টেলিভিসনে বিজ্ঞাপন দিয়ে তার প্রচারও চালানো হয়েছিল।এতসব কিছুর পরেও সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির সূযোগ না মেলার অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের গলসি ১ ব্লকের গলিগ্রামের চাষীরা। সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রীর  ব্যবস্থা করেদেবার দাবিতে  শনিবার সকাল থেকে এলাকার রাইসমিলে গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন গলিগ্রামের কয়েক শো চাষী। আর চাষীরা ধর্নায় বসতেই বেকায়দায় পড়ে যাওয়া প্রশাসনের কর্তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার  চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন।যদিও চাষীদের সাফ জবাব মৌখিক আশ্বাসে আর চিড়ে ভিজবেনা। সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পারা পর্যন্ত তারা ধর্না তুলবেন না  । 
ধর্নায় বসা গলিগ্রামের চাষী পুষ্পেন রায়, লবকুমার হুই, প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রমুখরা বলেন , প্রতিটি চাষী যাতে সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে পারে তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ প্রশাসনকে দিয়েছিলেন   মুখ্যমন্ত্রী।  কিন্তু তার পরেও  গলিগ্রামের অধিকাংশ  চাষী এলাকার তিনটি রাইসমিলের কোনটিতেও  সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করার সূযোগ  পাননি ।তাঁদের   বঞ্চিত করা হয়েছেন । ধান বিক্রীর জন্য সমবায় সমিতিতে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে  রেখেও  লাভ হয়নি । অপর চাষী রহিম মল্লিক,মইদুল চৌধুরী প্রমুখ বলেন,সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে না পেরে তারা গলসি ১ ব্লকের বিডিও এবং জেলা খাদ্য দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করেছিলেন । কিন্তু কোন তরফে  সুরাহার ব্যবস্থা করা হয়নি । প্রশাসনের কর্তারা নিশ্চুপ থেকে গেছেন । চাষীরা বলেন , এই পরিস্থিতিতে একান্ত নিরুপায় হয়েই তাঁরা ধর্নায় বসতে বাধ্য হয়েছেন।  সরকার কিংবা প্রশাসন তাঁদের ধান সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রীর ব্যবস্থা করে নাদেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ধর্না চালিয়ে যাবেন । 
গলসি ১ নম্বর ব্লকের  সমবায় পরিদর্শক অনির্বান হাজরা জানান, চাষিদের সমস্যার কথা তিনি জানতে পেরেছেন কয়েকদিন আগে। চাষিদের সুরাহা দিতে তিনি উচ্চ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। অনির্বান বাবু জানান, চাষিদের সমস্যার দ্রুত সমাধানের  চেষ্টা তিনি  করবেন।



সেরা কৃষক সন্মান পেলেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের তরুণ চাষি আমিরুল

No comments

Friday, February 21, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- ধুনিক পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে স্বল্প জলে তৈল বীজ চাষের দিশা দেখিয়ে সেরা কৃষক সন্মান পেলেন  আমিরুল হক সেখ। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র আয়োজিত রাজ্য তৈলবীজ কিষাণ মেলায় পূর্ব বর্ধমানের  মন্তেশ্বরের এই কৃষককে জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষক সম্মানে ভূষিত করা হয়।কৃষি দফতরের প্রত্যাশা আমিরুলের দেখানো পথে অন্য চাষীরাও তৈলবীজ উৎপাদনে  আগ্রহী হোক । তাহলেই  সম্বৃদ্ধ হবে রাজ্যের তৈলবীজ ভান্ডার । আমিরুল হক সেখের বাড়ি মন্তেশ্বরের ভাগড়া-মূলগ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর গ্রামে ।   চাষের কাজে অভিনবত্ব দেখানোর ব্যাপারে বছর ২৯ বয়সী এই চাষী বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।আমিরুল বলেন ,প্রথাগত চাষের বাইরে বেরিয়ে গ্রামে একমাত্র তিনিই  ঝুকি নিয়ে নিজের জমিতে  তেলবীজ চাষের  সিদ্ধান্ত নেন । কিন্ত পর্যাপ্ত ভূগর্ভস্থ জল কিভাবে মিলবে সেই বিষয়টি তাঁকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল । কারণ তাঁর জমির কাছাকাছি কোন সাবমার্সিবল যেমন নেই তেমনই নেই কোন মিনি পাম্প। সেচের কাজে একমাত্র ভরসা ছিল কয়েকশো ফুট দূরে থাকা নালা ও খালের জল। ছোট পাম্প চালিয়ে পাইপের সাহায্যে সেখান থেকে জল নিয়েযেতে হয় নিজের জমিতে ।এতকিছু করেও পর্যাপ্ত জল সেভাবে  জমিতে যোগান দেওয়া দুঃসাধই ছিল ।  তবুও হাল ছাড়েন নি আমিরুল । তিনি তৈলবীজ চাষের জন্য আধুনিক চাষের পদ্ধতিকে অবলম্বন করেন । সেই পদ্ধতি মেনে স্বল্প জলে সরষে,মুসুর,
তিল,সূর্য্যমুখী চাষ করে তিনি এলাকার চাষীদের  তাক লাগিয়ে দেন।শুধু তৈলবীজ  চাষই নয়। স্বল্প জলেই তরমুজ,
শশা সহ  বিভিন্ন ফলচাষেও তিনি সফল হয়েছেন।ভূগর্ভস্থ জল বাঁচিয়ে এলাকার জলাভূমি থেকে মেলা সামান্য জলে সফল ভাবে চাষকরার দিশা চাষীদের দেখাতে পেরেছে আমিরুল । তারই কৃতিত্ব স্বরুপ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নিমপিঠ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র তাঁকে সেরা কৃষক  সন্মানে ভূষিত করেছে ।
রাজ্য তৈলবীজ কিষাণ মেলায় বিশিষ্ঠ কৃষিবিদরা  আমিরুলের হাতে তুলে দিয়েছেন মানপত্র  ও ট্রফি। তরুণ এই চাষীর  সাফল্যে খুশি আপামোর  মন্তেশ্বরবাসী । 
মন্তশ্বরের ব্লক  কৃষি অধিকারিক  কণক দাস জানান,‘মন্তেশ্বর  সেমি ক্রিটিক্যাল ব্লক । এই ব্লকে ধান চাষটাই বেশি হয়। ভূগর্ভস্থ জলের অতিমাত্রায় ব্যবহার কমাতে কৃষকদের তৈলবীজ,ডালশস্য ও রবিশস্যে চাষে উৎসাহিত করা হয়েছিল। এই ব্যাপারে 
আমিরুল  প্রকৃত অর্থেই দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে ।  আধুনিক স্প্রিংলার পদ্ধতি,পয়রা ক্রপিং,বায়ো মালচিংয়ের মাধ্যমে তৈলবীজ চাষকরে সে প্রচুর পরিমাণে তৈলবীজ উৎপাদন করে দেখিয়েছে । কণক দাস বলেন ,আমিরুল হক সেখ ২০১৮-১৯ বর্ষে  ব্লকের  কৃষক রত্ন পুরষ্কার পেয়েছিল। অন্য কৃষকরা আমিরুলের পথেই চাষের কাজে এগিয়ে গেলে রাজ্যের শস্যগোলার  কৃষিক্ষেত্র আরো সম্বৃদ্ধ হবে । 




ধান জমিতে থেকে মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আউশগ্রামে

No comments

Sunday, February 16, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি  : ফাঁকা ধান জমিতে পড়েছিল মানুষের পায়ের কাটা  অংশ । এই ঘটনা জানাজানি হতেই  রবিবার সকাল থেকে  ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  পূর্ব বর্ধমানের  আউসগ্রামে।খবর পেয়ে  
আউশগ্রাম থানার পুলিশ জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌছে  ধানজমিতে পড়ে থাকা মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার করে । কাটা পা কিভাবে জমিতে এল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে । 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা এদিন সকালে তাঁদের জমি দেখতে যান। তখনই তাঁরা ফাঁকা  ধান জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন কোন মানুষের পায়ের গোড়ালির নিচ  কাটা অংশ । এলাকার বাসিন্দা  আনাদ দফাদার   বলেন , গ্রামের একটি পুকুরের অদূরে থাকা  ধান জমিতে ওই পায়ের অংশ পড়ে ছিল। তা দেখতে পাবার পরেই স্থানীয়রা  আউশগ্রাম থানায় খবর দেয় ।  

পুলিশ  ঘটনাস্থলে পৌছে পায়ের কাটা অংশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আউশগ্রাম থানার এক  পুলিশ অফিসার বলেন ,প্রাথমিক তদন্তে  জানাগেছে সপ্তাহ খানেক আগে বর্ধমান রামপুরহাট লুপলাইনের ভেদিয়ার কাছে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ট্রেনে কাটা পড়েযাওয়া ওই মহিলার  মৃতদেহ  বর্ধমান জিআরপি উদ্ধার করে । 

কিন্তু ওই দিন জিআরপি মৃত মহিলার পায়ের কাটা অংশ খুঁজে পায় নি।এদিন  রেল লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে মানুষের একটি  পায়ের  কাটা অংশ  পাওয়া গেছে। প্রথমিক তদন্তে মনেকরা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া পায়ের কাটা অংশ ওই  মহিলারই  হতেপারে  । 



গাভীর দুধ খেয়ে ছাগল ছানার বড় হয়েওঠার ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে আউশগ্রামের বাসিন্দা মহলে

No comments

Tuesday, January 28, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ২৮ জানুয়ারি 

দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সারমেয় ছানাদের নিজের দুধ খাইয়ে বড় করছে এক গাভী ।  এমন ছবি কিছুদিন  আগে ভাইরাল হয়েছিল  ।এবার সামনে এল গাভীর দুধ খেয়ে ছাগল ছানার বেড়ে উঠার ঘটনা।যা দেখে কার্যত চোখ কপালে উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দাদের। ছাগল ছানার গাভীর দুধ খেয়ে বড় হয়ে ওঠার ঘটনা ক্যামেরা বন্দি করতে উৎসাহীদের ভিড় এখন উপচে পড়ছে গবাদি পশু পালক  খিরো সূত্রধরের বাড়িতে। ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর  সাবকের প্রতি এক গাভীর এমন স্নেহ পরায়নতা দেখানোর ঘটনাই এখন কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে চর্চিত বিষয় হয়ে  দাঁড়িছে । 


গবাদি পশু প্রতিপালক খিরো সূত্রধর জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির গোয়ালেই একসঙ্গে থাকে গরু ও ছাগল । মাস ছয়  আগে একটি ছাগলের দুটি বাচ্চা হয়। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁর পোষ্য সাদা রঙের গাভীটির  সঙ্গে ছাগল ছানাদের একটির  সক্ষতা বাড়ে । দিন গড়ানোর সাথে সাথে দু’জন একে অপরের আপন হয়েওঠে । ছাগল ছানাটি নিজের  মাকে ছেড়েদিয়ে গাভীটিকেই আঁকড়ে ধরে । সব সময়ে গাভীটির পিছু পিছুই ঘুরে বেড়াতে শুরু করে ছাগল ছানাটি।  চার  মাস বয়স  থেকে ছাগল ছানাটি নিজের মায়ের দুধ খাওয়া একেবারেই ছেড়েদেয় । এখন গাভীর পেটের নিচে দাঁড়িয়ে তার দুধ খায়  ছাগল ছানাটি। তারজন্য  গাভীটি কোনরকম  বিরক্তি বোধও করেনা।  বরং দেখে  মনে হয় ছাগল ছানাটিকে নিজের দুধ খাইয়ে গাভীটি যেন তৃপ্ত বোধ করে । খিরো সূত্রধর আরো বলেন , তার পোষ্য  ছাগল ছানাটি  গাভীর দুধ খেয়ে বড় হচ্ছে এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দা মহলে শোরগোল পড়েযায় । ছাগল ছানার গরুর দুধ খাওয়া দেখতে এখন প্রতিদিনই শয়েশয়ে মানুষ তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন । আর সেই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করছেন । আগত  সবারই একটাই  বক্তব্য  ‘এটা নাকি অবাক করার   মতোই ঘটোনা’ । 

আউশগ্রামের কুরুম্বা গ্রাম নিবাসী যুবক   অর্জুন মজুমদার ,সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়  প্রমুখ বলেন , ছাগল ছানা গাভীর দুধ খেয়ে বড় হচ্ছে দেখে  তাঁরা সত্যি অবাক হয়েছেন । সৌভিক বলেন ,একটি গাভীর একই রকম মমতার ছবি কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল । সেই ছবিতে দেখাযায় সড়ক দুর্ঘটনায়  মারাযাওয়া একটি কুকুরের   চারটি ছানাকে পরম  মাতৃস্নেহে আগলে নিয়ে দুধ খাওয়াচ্ছে একটি  গাভী । এই ছবি শুধু ভাইরাল হয়েছিল এমনটা নয়।  গণম্যাধ্যমেও  
প্রকাশ হয়েছিল  ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর প্রতি  একটি গাভীর এমন  স্নেহ পরায়নতার  ছবি । কুরুম্বা গ্রামের গবাদি পশু পালক খিরো সূত্রধরের পোষ্য ছাগল ছানাটির একটি গাভীর দুধ খেয়ে বড় হয়ে উঠা একই রকম আশ্চর্য  জনক বলেই তাঁরা মনে করছেন । 
  

অভাবি বিক্রী বন্ধ করে শস্য গোলার চাষীদের ধান বিক্রীর জন্য কিষান মান্ডি মুখী হবার বার্তা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী

No comments

Wednesday, January 22, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান  ২২ জানুয়ারি

রাজ্যের শস্য গোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীদের অভাবী ধান বিক্রী বন্ধের বার্তা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী । সোমবার রায়না ২  ব্লকের  উচালন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়  মল্লিক বলেন , “ধান উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান জেলা এশিয়া মহাদেশের  মধ্যে  শ্রেষ্ঠ । পশ্চিম বাংলার অন্য কোন জেলায় এত পরিমাণ  ধান উৎপন্ন হয় না ।রাজ্য সরকার চায়না শস্য গোলার কোন কৃষক কম দামে ধান বিক্রী করে লোকসান করুক ।জেলার  সকল চাষীকে কিষান মান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রীর আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী । ” 


এদিন রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার , জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান বিশিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের  মধ্যদিয়ে  ষষ্ঠ বর্ষের উচালন  উদ্বোধন  করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক । 
আয়োজকদের তরফে হাসিবুর রহমান জানালেন ,মেলা চলবে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত । মেলায় উপস্থিত হয়ে এদিন স্থানীয় গৌতান মহাবিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে ১ লক্ষ টাকা দান করেন এলাকার সমাজ সেবি গফুর আলি খান ।  মন্ত্রী ও কৃষি উপদেষ্টা গফুর আলি খানের এই  ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেন । 


মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে  চাষীদের উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরো  বলেন , “চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য সরকার ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে । কৃষক স্বার্থে সরকার সমবায় মাধ্যমে  ১৮১৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে  ধান কিনছে । কিষান মাণ্ডিতে গিয়ে চাষীরা ধান বিক্রী করলে কুইন্টাল প্রতি আরও  ১৫ টাকা বেশি  অর্থাৎ ১৮৩৫ টাকা দাম পাবেন । এই ব্যবস্থা একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই  করেছে । খাদ্যমন্ত্রী এদিন মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত চাষীদের জানান , আমার জন্মভূমি এই জেলার মন্তেশ্বরের  বামুনপাড়া গ্রাম ।  আমার বাবা জমি চাষ করে ফসল বিক্রী করে অনেক কষ্টে  আমাদের মানুষ করেছেন । তাই চাষীর  চোখের জলের মর্ম আমি বুঝি।  সেকারণেই বলছি   অভাবি বিক্রী বন্ধকরে শস্য গোলার সকল চাষীরা সবাই কিষাণ মান্ডিতে ধান নিয়েগিয়ে  বিক্রী করুন । ধান বিক্রীতে চাষীদের সর্বত ভাবে সহযোগীতা  করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন । ” কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে জেলার চাষীদের  ধান নিয়ে কিষান মান্ডি মুখো হবার বার্তা দেন । 


দেনার টাকা শোধের চাপ বাড়ায় বিষ খেয়ে আত্মঘাতী ভাগচাষী

No comments

Tuesday, January 7, 2020


প্রদীপ  চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান 
বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক  ভাগচাষী । মৃত চাষীর নাম শ্যামল হাজরা (৫৭)।পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাড়াতল ১ পঞ্চায়েতের  বসন্তপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি ।  সোমবার বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত চাষীর দেহের ময়নাতদন্ত হয় ।দেনার দায়েই ভাগচাষী শ্যামল হাজরা বিষখেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবিকরেছে তাঁর পরিবার । চাষীর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তা খতিয়ে দেখছে ব্লক প্রশাসন । 

বসন্তপুর গ্রামের হাজরাপাড়ায় ইন্দিরা আবাস যোজনার এক কুটুরি ঘরে  বসবাস করেন  শ্যামল হাজরার পরিবার সদস্যরা । মৃতর  দুই ভাইপো সুকুমার হাজারা ও প্রশেনজিৎ হাজরা জানিয়েছেন , শ্যামল বাবুর নিজের কোন চাষজমি নেই ।পঞ্চায়েত এলাকার  কয়েকজন ব্যক্তির ৫ বিঘা জমি ভাগেনিয়ে তিনি চাষ করতেন । ভাইপোরা  জানিয়েছে , মূলত স্ত্রী ললিতার  নামে বিভিন্ন গোষ্ঠী মাধ্যমে লোন নিয়ে চাষে খরচ করতেন  শ্যামল হাজরা । এই ভাবে চাষ করতে গিয়ে তাঁর দেনার পরিমাণ  দাড়িয়েছিল প্রায় তিন লক্ষ টাকা । দেনার কিস্তি বাবদ  ১৫-২০ হাজার টাকা তাঁকে  প্রতিমাসে  শোধ করতে হত ।
দেনার টাকায় গত মরশুমে  আমন ধান ও আলু চাষকরে তিনি আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হন । সেকারণে দেনার কিস্তির টাকা  আর শোধ করেতে পারছিলেন না।  পাওনাদারদের চাপ এড়াতে  কিছুদিন আগে শ্যামল বাবুর স্ত্রী ললিতা হুগলীর  মাঝেরগ্রামে বাবার বাড়ি চলে যেতে বাধ্য হন । দিনকয়েক আগে ললিতাদেবী বসন্তপুরের বাড়িতে ফিরেএলে দেনা শোধের জন্য পাওনাদাররা তাঁকে ফের প্রচন্ড চাপদিতে শুরু করে । এইসব নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলেন শ্যামল হাজরা । রবিবার সকালে বাড়ির বাইরে জমিতে গিয়ে তিনি  বিষ খেয়ে নেন । ’ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথম  জামালপুর ব্লক  স্বাস্থকেন্দ্রে ও পরে   বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়েযাওয়া হয়  । রবিবার গভীর রাতে সেখানেই ভাগ চাষীর  মৃত্যু হয় । দেনার দায়েই শ্যামল হাজরা বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে এদিন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে দাবি করেছেন । 


জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  মেহেমুদ খান বলেন ,‘ বসন্তপুরের ভাগচাষী শ্যামল হাজরার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে  শুনেছি । প্রশাসনিক ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখাহবে প্রকৃত কি কারণে ওই চাষীর মৃত্যু হয়েছে ।

গতকাল কৃষি মেলায় সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

No comments

Monday, December 30, 2019



আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট -ভাতার 


গতকাল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের কৃষি মেলার শুভ সূচনা হলো, সারাদিন ধরে চলছে নানান অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সময় কচিকাঁচারা মেতে ওঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

ভাতারের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন এই সন্ধ্যাকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে।
আগামী দুদিন ধরে হবে এরকম নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জানিয়েছেন কৃষি দপ্তর।
কী জানাচ্ছেন কৃষি কর্মদক্ষ প্রদ্যুৎ পাল তা শুনবো।

পূর্ব বর্ধমান জেলায় উদ্যান পালনে দিশা দেখাচ্ছে উচালনে হওয়া জারবেরা ফুলের চাষ

No comments

Saturday, December 28, 2019


ছবি-কৃষ্ণ সাহা
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান ২৮ ডিসেম্বর 

রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা । এই জেলায় ধান , আলু সহ অন্য সব্জি  ফসলের চাষ পুরো মাত্রায় হলেও ফুল চাষে এই জেলা অনেকটাই পিছিয়ে । তারই  মধ্যে ব্যতিক্রম  ঘটিয়েছেন রায়না ২ ব্লকের উচালন পঞ্চায়েতের নন্দনপুর গ্রাম নিবাসী গুনধর সাহানা । তিনি চাষী পরিবাবের  ছেলে হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং  নিয়ে পড়াশুনা করেছেন । নিজের ফ্যাক্টরিও আছে । তাসত্বেও তাঁর চাষ নিয়ে  নতুন কিছু একটা করার  উৎসাহ জাগে।


প্রথাগত চাষের কথা মাথায় না এনে  তিনি ১৫ বছর  আগে গ্রামে নিজের বিশাল জমিতে  জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন । শীতে তাঁর সেই উদ্যান এখন ভরে রয়েছে অজশ্র জারবেরা  ফুলে ।  শনিবার সেই  উদ্যান ঘুরেদেখে  কার্যত মোহিত হয়েযান রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার ও জেলাশাসক বিজয় ভারতি সহ জেলার অন্যান প্রশাসনিক কর্তারা । তাঁরা এদিন  গুনধর সাহানাকে সর্বত ভাবে সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েযান । 


জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন , প্রথাগত চাষের বাইরে গিয়ে উদ্যান পালনে এই  জেলার চাষীরা আগ্রহ দেখান না । নন্দনপুরে চাষী গুনধর সাহানা নিজে উদ্যান পালনে আগ্রহুী হয়ে জারবেরা ফুলের চাষে আগ্রহ দেখিয়েছেন । সেই ফুলের চাষ  দেখে খুবই ভালো লাগলো । এই ফুলের বাজারি চাহিদাও যথেষ্ট রয়েছে । প্রয়োজনে এনাদের প্রসেসিং , প্যাকেজিং , এক্সপোর্ট ,মার্কেটিং  প্রভৃতি বিষয়ে  প্রশিক্ষণ নেবার ব্যবস্থা করেদেব । এই উদ্যানপালনের মধ্যদিয়েই অনেকের কর্মসংস্থান হবে ।
জেলাশাসক জানিয়েদেন ,বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ বাড়লে তা বিক্রীর জন্য জেলার কৃষক বাজার গুলিতেও  বিশেষ ব্যবস্থাও  গড়েতোলা হবে । জেলাশাসক চাষীদের উদ্দেশ্যে  বলেন ,অ্যালোভেরা সহ অন্যফুল চাষে চাষীরা আগ্রহী হলে জেলা প্রশাসন তাঁদের সর্বতভাবে সহযোগীতা  করবে । কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ  মজুমদার বলেন , ব্যতিক্রম  কিছু চাষ করেও যে রোজগার করাযায় সেই পথ এই জেলার  চাষীদের দেখিয়েছেন  গুনধর সাহানা ।  শুধু তাইনয় গুনধর এতদ অঞ্চলের  তরুনদের মধ্যেও উদ্যান পালনে আগ্রহ সঞ্চারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন । যা প্রশংসার দাবি রাখে । প্রদীপ বাবু বলেন , আমি মনেকরি এই চাষ  দেখে আগামীদিনে পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীদের উদ্যান পালনে আগ্রহ বাড়বে ।

গুনধর সাহানা জানিয়েছেন , জারবেরা মূহত হল্যান্ডের ফুল । ঠান্ডায় হয় । সেকারনে নিজের জমিতে গ্রীন হাউস তৈরি করে  টেম্পারেচার কনট্রোল করে তাঁকে এই ফুলের চাষ করতে হয়েছে  । টেম্পারেচার কনট্রোল করেরাখলে  বারোমাস জারবেরা ফুল  ফোটে।  এভাবেই ১৫-১৬ বছর ধরে  জারবেরা ফুলের  চাষ করে চলেছেন । গুনধর বাবু বলেন এই ফুলের চাষ করার জন্য তিনি সরকারী সহায়তাও পেয়েছেন । সারাবছর কলকাতার বাজারে এই  ফুলের চাহিদা থাকে । তাই ফুল কলকাতায় পাঠান বিক্রীর জন্য ।  এই ফুল চাষ যথেষ্ট লাভজনক । গুনধর বাবুর দাবি ,চাষীরা প্রথাগত চাষের বাইরে গিয়ে উদ্যান পালনে আগ্রহী হলে লাভের মুখ দেখবেনই ।

আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস গোটা রাজ্যে

No comments

Friday, December 27, 2019


In the next 24 hours, rain is forecast for the entire state .

দিনভর বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণবঙ্গ সহ গোটা 
রাজ্যে । অঙ্কের হিসাবে তা ছিটেফোঁটা থেকে মিলিমিটারে না পৌঁছলেও কখনও টিপটিপ কখনও ঝিম ধরা বৃষ্টি হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামিকাল শুক্রবার দুই ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। তার প্রভাব পড়বে কলকাতাতেও। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে না। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।

পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং একটি উচ্চচাপ বলয়ের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার ছিল। আজ আবার সূর্যগ্রহণ ছিল। কলকাতা থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ বা সূর্যের খণ্ডগ্রাস দেখার সম্ভাবনা থাকলেও মেঘলা আবহাওয়ার তা স্পষ্ট ছিল না। বিকেল থেকে শহর কলকাতায় শুরু হয় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তার জেরে রাতের তাপমাত্রা নামবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আলিপুরের আধিকারিকরা জানিয়েছন, যে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং উচ্চচাপ বলয়ের জন্য উত্তুরে হাওয়া প্রবেশে বাধা পাচ্ছে।

In the next 24 hours, rain is forecast for the entire state .
এই পরিস্থিতি কেটে গিয়ে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করলেই আবার কড়া শীতের পরিস্থিতি তৈরি হবে। পারদ নামতে পারে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি। আগামী দু’-এক দিন সকালের দিকে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মহানগরের পাশাপাশি দিনের বিভিন্ন সময়ে হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী আসানসোলে ৯.৮, বাঁকুড়ায় ৫.৬, পানাগড়ে ২.০, পুরুলিয়ায় ২.০, শ্রীনিকেতনে ৩.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


দক্ষিণ দামোদরের খাস চাল পারি দিচ্ছে আরব রাষ্ট্রে

No comments

Wednesday, December 18, 2019



ইয়াসির ইসলাম, বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমান এর রায়না, খণ্ডঘোষ, মাধবডিহিতে সারা বিশ্বের মধ্যে উন্নত  খাস চাল বা খোশবু চাল এই অঞ্চলেই  চাষ হয়ে থাকে |এই চাল আরব রাষ্ট্রে বা ইউরোপে খাদ্য রসিকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে |দক্ষিণ দামোদরের চাষীরা এই সময় এই ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন |পোঁকা বা অন্য কীটপতঙ্গ যাতে এই ধান নস্ট করতে না পারে তার জন্য চাষীরা সজাগ থাকেন |

রায়না, খণ্ডঘোষ, মাধবদিহির বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ধানে ভোরে উঠেছে মাঠ | কয়েকদিন বৃষ্টির জন্য অল্প কিছু ক্ষতি হলেও চাষীরা ভালো ফলনের জন্য আশাবাদী |খাস ধান ছাড়াও এই এলাকায় অন্য ধান প্রচুর ফলে থাকে |চাষীরা খাস ধানে অনেক বেশি মুনাফা লাভ করেন | এই ধান এখানে ব্যাপক চাষের জন্য অনেক রাইস মিল গড়ে উঠেছে |মিল মালিকরা এই খোশবু চাল বিদেশে রপ্তানি করে অনেক অর্থ উপার্জন করছেন |

রায়নার বহরম পুর সংখ্যা লঘু অধ্যুষিত অনুন্নত গ্রাম এই ধান চাল ব্যবসা করে এক সমৃদ্ধি শালী এলাকা হয়ে গেছে |অনেক রাইস মিল এই এলাকায় গড়ে উঠেছে | এখানকার মানুষের আর্থ সামাজিক মান উন্নয়ন ব্যাপক ভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে |আরব দেশের বস্তা এই দেশে চলে আসছে এবং বস্তা বন্দি হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের রসনা তৃপ্ত করছে |দক্ষিণ দামোদর যেমন চাল উৎপাদনে দেশের প্রথম সারিতে আছে তেমনি রাইস মিল শিল্প একটা গুরুত্ব পূর্ণ স্থান দখল করে আছে |

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও পূর্ব বর্ধমানে চাষের জমিতে অবাধে চলছে খড় পোড়ানো

No comments

Wednesday, December 11, 2019


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান  ১১ ডিসেম্বর
বেপরোয়া মনোভাব দেখিয়েই চলেছে চাষীরা । কৃষি ও পরিবেশ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই পূর্ব বর্ধমান জেলার  সর্বত্র চলছে চাষের জমিতে নাড়া পোড়ানো । এরফলে পরিবেশ দূষণ যেমন মাত্রা ছাড়াচ্ছে তেমনই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জমিতে থাকা উদ্ভিদের খাদ্য উপাদান । অতি সম্প্রতি  দূষণের ধোঁয়াসায় ঢাকা পড়েছিল দেশের রাজধানী শহর দিল্লী।
কলকাতাতেও বেড়েচলেছে  দূষণের মাত্রা । দূষণজনিত এমন পরিস্থিতি  থেকে নিস্কৃতি পাবার জন্য  কৃষি দপ্তর ও পরিবেশ বিদরা জমিতে নাড়া পোড়ানো থেকে চাষীদের বিরত হবার কথা বারে বারে বলে চলেছেন । নাড়া পোড়ানো যে বেআইনি সেই বিষয়টি তুলেধরে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরাও পথে নেমে  প্রচার চালাচ্ছে । কিন্তু এতসব কিছুর পরেও  জমিতে নাড়া পোড়ানো বন্ধে চাষীর কোন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ।
রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা । এই জেলার চাষীরাই যে শুধু জমিতে নাড়া পোড়াচ্ছেন এমনটা নয় । অন্য জেলার চাষীরাও  নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে  জমিতেই নাড়া পোড়াচ্ছেন  বলে অভিযোগ । “শীতের শুরুতেই বেশ কয়েকদিন ধরে  দূষণের  ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েথাকে  দেশের রাজধানী  শহর দিল্লী ।

ওই ধোঁয়াশার কারনে  বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দিল্লী বাসির জনজীবন ।ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেন আবহাওয়া ও পরিবেশ দপ্তর। তার  কারণ অনুসন্ধানে আশরে নামেন পরিবেশ বিদরা ।সবদিক খতিয়ে দেখে পরিবেশ বিদরা নিশ্চিত হন দূষণের কারণেই ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে দিল্লী শহর । এই ক্ষেত্রেও মুখ্য কারন হিসাবে সামনে আসে চাষের জমিতে নাড়া পোড়ানোর ঘটনা ।

‘অনুসন্ধানকারী পরিবেশ বিদরা জানতে পারেন শীত শুরুর প্রক্কালে  দিল্লীর গুরগাঁও সহ পার্শবর্তি এলাকার চাষীরা কম্বাইন হারবেস্টার মেশিনের সাহায্যে জমির ফসল কাটা ও ঝাড়ার কাজ সেরেছেন ।ঝাড়াই কাজ শেষে হবার পর ফসলের অপ্রয়োজণীয় অংশ অর্থাৎ নাড়া  জমিতে জড়ো করে তাতে  আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন সেখানকার চাষীরা ।

ওই নাড়া পোড়ানোর ধোঁয়া শীতের জলিয় বাস্পের সঙ্গে মিশে ধোঁয়াশায় পরিণত হয় । আর সেই ধোঁয়াশায় সমগ্র দিল্লী ঢাকা পড়ায় শ্বাস কষ্টে ভুগতে হয় দিল্লীবাসীকে ’। 

 
     
মঙ্গলবার জালালপুরে অনুষ্ঠিত  কৃষি মেলায় যোগ দেন রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার।  তিনি বলেন , “জমিতে নাড়া পোড়ালে প্রচুর পরিমানে উদ্ভিদ খাদ্য নষ্ট হয়ে যায় । আমন চাষ মরশুমে খড়ের অবশিষ্ট  অংশ জমিতে পুড়িয়ে দেবার বদলে গর্তকরে জমিতে ফেলে মাটি চাপা দিলে মাটির জৈব কার্বন বৃদ্ধি পাবে । কৃষি জমির উপরিভাগের ৬ ইঞ্চি মাটি সবথেকে মূল্যবান । জমিতে নাড়া পোড়ালে মাটির গঠন ও গুণমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।

জমিতে নাড়া পোড়ালে উপকারি জীবাণু উত্তাপের কারণে ধ্বংস হয়ে যায় । নষ্ট হয়ে যায় জমির গুনগত মান । জমি বন্ধা হয়ে যায় । ধানের নাড়া পোড়ানোর ফলে বায়ুমণ্ডলে প্রচুর দূষিত গ্যাস নির্গত হয় । যা মনুষের স্বাস্থের পক্ষেও ক্ষতিকর । জমিতে নাড়া পোড়ানোর সময় আগুনের ফুলকি উড়ে পাশের জমিতে থাকা চাষীর পাকা ধানও পুড়ে ভস্মিভূত হবার সম্ভাবনা পুরোমাত্রায় থাকে ।

প্রদীপ মজুমদার  জানান, হারভেস্টার মেশিনে ধান ঝাড়ার পর খড়ের অবশিষ্ট অংশ কমপোস্ট বা ডার্বি কমপোস্ট সার তৈরির কাজে লাগালে চাষীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনই দূষণ থেকেও রাজ্যবসি রক্ষা পাবে ।কষি উপদেষ্টা কৃষি মেলায়  উপস্থিত চাষিদের জমিতে নাড়া পোড়ানো থেকে বিরত হবার  বার্তা দেন ।


পরিবারপিছু ১ কিলো করে পেঁয়াজ দেবে রাজ্যসরকার

No comments

Monday, December 9, 2019


প্রতিনিধি পিয়ালী নষ্কর

পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। শুধু পেঁয়াজ কেন? বাজার পুরো অগ্নিমূল্য। মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাজারে প্রায় সব সবজিতে হাত দিলেই ছ্যাঁকা লাগছে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোজা বাজারে ঢুঁ মারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

নবান্নে যাওয়ার পথে ঘুরে দেখলেন যদুবাবুর বাজার।এদিন সকালে নবান্নে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে প্রথমেই ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে (Jadubabu Market) পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। জানেন, বাজারে ১৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ(Onion Price) বিক্রি হচ্ছে।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

তাঁদের কাছে জানতে চান, কেন এত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন? কত দামে তাঁরা পেঁয়াজ কিনছেন? কোথা থেকে পেঁয়াজ আনছেন? জবাবে, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, তাঁরাই ১৪৫ টাকা দামে পেঁয়াজ কিনছেন।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার পর গাড়িতে উঠে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নামার কোনও লক্ষ্মণই নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে পেঁয়াজ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় আজ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নিজে ময়দানে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রসঙ্গত, দাম যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি দিতে আজ সোমবার থেকেই রেশনে পেঁয়াজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

বাজারদরের অর্ধেক দামে রেশনে মিলবে পেঁয়াজ। রবিবার একথা জানান রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত পাইকারি বাজার থেকে ভর্তুকি দিয়ে পেঁয়াজ কিনে ৯৩৫টি কাউন্টারে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। এর খরচ বহন করবে সরকার।

পরিবার পিছু  ১ কেজি পেঁয়াজ দেবে সরকার। কেজি পিছু দেওয়া হবে ৫০ টাকা ভর্তুকি।  এক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম পড়তে পারে ৫৯ টাকা প্রতি কেজি।

হেলমেট পড়লেই উপহার পাবেন পিয়াঁজ

No comments

Sunday, December 8, 2019


ট্রাফিক নিয়ম মেনে হেলমেট পরে গেলেই ১কেজি পিঁয়াজ উপহার বাইক চালকদের , রবিবারের স কালে পথ সচেতনতায় অভিনব উদ্যোগ পল্লিমঙ্গল সমিতি র ; সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা অবধি পাল্লা রোডের রাস্তায় সচেত না শিবিরে হেলমেট পড়ে যাওয়া ৩২জন বাইক চালক কে ১কেজি করে পিয়াঁজ উপহার পল্লিমঙ্গলের, পিয়াঁজের দুর্মূল্য দামের সময়ে হেলমেট পড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে সচেতনতার বিনিময়ে পিয়াঁজ পেয়ে খুশি বাইক চালকরা ;
কিন্তু দূর্ভার্গের বিষয় ৩২ জন হেলমেট পড়ে গেলেও এদিন ২০০ উপড়ে বাইক চালক হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বেড়িয়ে আফশোসে কপাল চাপড়াচ্ছে ; পিয়াঁজ না পেয়ে কপাল চাপড়াচ্ছেন বটে কিন্তু হেলমেট না পড়লে আপনার জীবনের জন্য আপনার পরিবার কে কপাল চাপড়াতে হবেই , তাই পিয়াঁজ না নিজের জীবনের গ্যারেন্টির জন্য হেলমেট টা দয়া করে পড়ুন,
পল্লিমঙ্গল সমিতির তরফে এই রকম পথ সচেতনায় পিয়াঁজ বিলি সার্প্রাইজ ইভেন্ট হিসাবে সপ্তাহে ১দিন করা হবে হঠাৎ কোনোদিন আবার,  তাই দুর্মূল্যের বাজারে বিনা পয়সায় পিয়াঁজ পেতে পথ নিরাপত্তা মেনে হেলমেট পড়ে বেড়ুলে ক্ষতি কি ! পিয়াঁজের সাথে উপড়ি পাওনা নিজের জীবনের সুরক্ষার গ্যারান্টি !

বাঁকুড়া পাত্রসায়র এর বিভিন্ন প্রান্তে জমিতে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানের অবশিষ্টাংশ দুষিত হচ্ছে পরিবেশ ।

No comments
বাঁকুড়া :- দেবব্রত মন্ডল
বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র ব্লক মূলত কৃষিনির্ভর । বিভিন্ন শাক সবজির পাশাপাশি ধান চাষ একটি গুরুত্বপূর্ণ । আর সেইমতই সকল চাষি ঘরে আমন ধান তুলেছেন । 

কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায় , ঘড়ে ধান তোলার পর ধানের অবশিষ্টাংশ জমিতে পুড়িয়ে ফেলছেন চাষিরা ।আর এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিবেশ বিদ এবং পরিবেশ প্রেমীদের । এভাবে যদি ধানের অবশিষ্টাংশ বছরের-পর-বছর জমিতে পুড়িয়ে ফেলা হয় তাহলে পরিবেশ ক্রমান্বয়ে আরও দ্রুত ধ্বংসের মুখে যাবে। এমনিতেই বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে পরিবেশবিদরা বিকল্প চিন্তা ভাবনা করছেন ।পাত্রসায়ের ব্লক এর বিভিন্ন প্রান্তে ধান কেটে নেওয়ার পর ধানের অবশিষ্টাংশ এভাবে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে । হুশ ফিরছে না প্রশাসনের । 

সঞ্জয় ঘোষ নামে এক ধানচাষী বলেন , ক্ষতি আমরা জেনেই করছি । ধানের অবশিষ্টাংশ যদি তুলে ফেলতে হয় তাহলে খরচ অনেকটাই বাড়বে । এমনিতেই চাসে লভ্যাংশ কমে যাচ্ছে । আর সে কারণে জমিতেই পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানের অবশিষ্টাংশ । 

পাত্রসায়ের ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা রঞ্জন লোহারা বলেন , ইতিমধ্যে আমরা ক্যাম্প করে ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো অনেকটা বন্ধ করতে পেরেছি । তিনি বলেন আমরা চেষ্টা করছি আগামী দিনে প্রচার এর মাধ্যমে কিভাবে ধানের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো পুরোপুরি বন্ধ করা যায় । এছাড়াও তিনি বলেন এতে জমির উর্বরতা শক্তি অনেকটাই কমে যায় । তবে আগামী দিনে কোন চাষিকে ধানের অবশিষ্টাংশ না পড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ বিভাগের উদ্যাগে মেমারির ১ ব্লকের নিমো ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মৎস চাষ

No comments

Saturday, November 30, 2019


সেখ সামসুদ্দিনঃ ২০১৯-২০ বর্ষের বড় জলাশয়ে বড় মাছ চাষ প্রকল্প আজ মেমারির ১ ব্লকের নিমো ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কেন্না গ্রামের একটি বড় পুকুরে মাছের চারা ছাড়া হয় বেনিফিশিয়ারির নাম কৃষ্ণ চরণ সিংহ রায়।
পুকুরে  উপস্থিত ছিলেন মেমারি ১ সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিপুল কুমার মন্ডল, জয়েন্ট বিডিও উজ্জ্বল সর্দার, মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস, সহ-সভাপতি সেখ মোয়াজ্জেম, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ রেনুকা মহন্ত, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, মেমারি ১ মৎস দপ্তরের আধিকারিক সঙ্গীতা ঘোষ ও বিভাগীয় কর্মী হারাধন পাকড়ে। এফ ই ও জানান ৭৫০০ পিস মাছের চারা এদিন পুকুরে ছাড়া হয়। দুশো থেকে আড়াইশো গ্রাম ওজনের রুই-কাতলা-মৃগেল মাছের চারাগুলি, তার মধ্যে দু-একটি একটু বড় সাইজের ছিল।
এই চারাগুলিকে মাছের পরিপূরক খাবার ব্যবহার করে ১ বছরে দেড় কিলো সাইজের করতে হবে। বেনিফিসিয়ারিকে মাছের চারার সঙ্গে দেয়া হয় পাঁচশো কেজি চুন, মাছের খাবার যা পরে দেওয়া হবে, জলে অক্সিজেন দেওয়ার যন্ত্র এরেটার। এছাড়া ওষুধ, সার সহ অন্যান্য যাবতীয় খরচ বেনিফিশিয়ারি নিজে বহন করবে। এই মাছ ছাড়ার পর এক বছর মৎস দপ্তর পযাবেক্ষণে রাখবে।

বুলবুলের প্রভাবে পূর্ব বর্ধমানে ধান ও আলু চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাথায় হাত চাষীদের

No comments

Sunday, November 10, 2019


বহাওয়া দফতর বুলবুলের আগমন বার্তা দেবার পর ফসলের সর্বনাশ ঘটারআশঙ্কা তৈরি হয়েছিল রাজ্যের চাষীমহলের। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হল । বুলবুলের প্রভাবে রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত  পূর্ব বর্ধমান জেলায়  ক্ষতিগ্রস্ত  হল  পাকা ধান ও  রবি ফসলের চাষ । জলে ঢুবেছে  জমিতে কেটেরাখা পাকা ধানগাছ ও  শীতের সব্জি খেত ।  অনেক জায়গায়  আলু চাষের জমিও এখন জলের  তলায় ।জমিতে পোঁতা আলুবীজ নষ্ট হতে বসেছে । এই সবের কারণে মাথায় পড়েছে রাজ্যের শস্যগোলার চাষীদের । 
বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার দুপুর থেকে  রাজ্যের অন্যান অংশের এই জেলাতও শুরু হয়েছিল বৃষ্টিপাত । শনিবার সারাদিন ও ভোররাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ঝোড়ো হাওয়া ও  বৃষ্টিপাত  । আর বিরামহীন  বৃষ্টিপাতের ফলে জমিতে জল জমেযায় । জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানাগেছে,  গতবছর ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৮১৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছিল । ধান হয়েছিল ২০ লক্ষ টনেরও বেশী । এবছর জেলায় সমপরিমাণ জমিতে ধান চায় হয়েছে ।  তবে  একের পর এক অসময়ের বৃষ্টিপাতের কারণে ধান উৎপাদন  ব্যাহত হবে বলে মনেকরছে চাষীরা ।  যদিও জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা  জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ বুলবুলের প্রভাবে এই জেলায় যে পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে  ধান চাষে ব্যাপক  ক্ষতি হবে, এমন আশঙ্কা তিনি এখনই করছেন না । তবে ভিজে মাঠে ধান গাছ কেটে রাখা যাবেনা । নতুন চাষের জন্য জমি তৈরির কাজও পিছিয়ে যাবে ।
বুলবুলের প্রভাবে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক ভাবে বেশী হয়েছে বর্ধমান দক্ষিন মহকুমার রায়না , খণ্ডঘোষ, মেমারি ও  জামালপুর  ব্লকে । কালনা  ও কাটোয়া মহকুমার বেশকিছু অংশেও টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে । তুলনামূলক ভাবে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ভাতার , আউশগ্রামও গলসিতে । কালনায় পিঁয়াজ চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে । দক্ষিন দামোদর এলাকার চাষী সচিন ঘোষ  ,  হরপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়  প্রমুখরা বলেন , খরিফ মরশুমের ধানে পাক রং ধরেছে।দু'একদিনের মধ্যেই  মাঠে ধান কাটার কাজ শুরু হত ।কিন্তু তার আগেই ঝড়ো হাওয়া ও দুদিনের টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বেশীর ভাগ জমির ধানগাছ  জমিতে শুয়েগেছে । জামালপুরের চাষী ভক্তি দাস বলেন , এবছর খরিফ মরশুমে ধান রোয়ার সময় জমিতে জল ছিল না। সাবমার্সিবেল পাম্প দিয়ে জমিতে জলের জোগান দিতে হয়েছে । তার ফলে এবছর ধান চাষের  খরচ অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই  বেশী হয়েছে। তার উপর বুলবুলের দাপটে পাকা ধানে মই দেওয়া অবস্থা তৈরি হয়েছে । অনেক ধানের জমিতেই জল দাঁড়িয়ে রয়েছে । যে চাষীরা  ধান গাছ কেটে  জমিতে পেতে  রেখেছিলেন সেই ধান জলে ডুবেছে ।এরফলে উৎপাদন কমবে ধানের রঙ নষ্টও হয়ে যাবে।
শুধু ধান চাষে ক্ষতি নয় ।  আলুচাষেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন  জেলার শক্তিগড়, বড়শুল ও মেমারি এলাকার আলু চাষীরা । খব কমদিনে আলুর ফলন পাবার জন্য এই সব এলাকার চাষীরা মূলত পোকরাজ প্রজাতির আলুচাষ করেন । জমিতে আলু বীজও পুঁতে ফেলে ছিলেন এইসব এলাকার বেশীর ভাগ চাষী । 

লুচাষী  দেবকুমার মালিক ,হাজিবুল সেখ প্রমুখরা বলেন ,বুলবুলের প্রভাবে হওয়া দুদিনের টানা বৃষ্টিতে  আলুর জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেছে। এরফলে সবটাই ক্ষতি হল । আবার নতুন করে জমি তৈরি করে আলুর বীজ পুঁততে হবে।হাজিবুল সেখ বলেন ,এবার চড়া দামে আলুবীজ কিনতে হবে । পোকরাজ আলুবীজ মিলবেকিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে । নতুন করে জমি তৈরি ও বীজ পোঁতার জন্য ফের মোটা টাকা খরচ হবে ।
 এমনিতেই রাসায়নিক সার , কীটনাশকের দামের পাশাপাশি  ক্ষেতমজুরদের পারিশ্রমিকও বেড়েছে । সবমিলিয়ে নতুন করে আবার আলুচাষ করে লাভের মুখ কিছু দেখা যাবেকিনা  তা নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় জেলার আলু চাষীরা । সরকার কি ব্যবস্থা নেয় এখন সেদিকেই  তাকিয়ে শস্যগোলার চাষীরা । ছবি ধান জমি ও আলু জমি ।
 লুচাষীরা এখন ঘোর সংকটে। প্রথমতঃ আলুর বীজ কিনতে হবে চড়াদামে।দ্বিতীয়ত পোকরাজ প্রজাতির আলুর বীজ মিলবে না।সবনিয়ে আলুচাষীদের এখন মাথায় হাত।গত কয়েক বছরে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও ডিজেলের দাম বাড়ায় আলু চাষের খরচও বেড়েছে সাংঘাতিক। আলুচাষীরা বলেন এবছর গড়ে আলুচাষে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার টাকা করে প্রতি বিঘেতে।

বাড়ছে আলুর দাম চিন্তায় সাধারণ মানুষ

No comments

Wednesday, October 16, 2019


কদিন আগেই পেরিয়ে গেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব তারপর কেটেছে লক্ষ্মী পুজো বাড়তে শুরু হয়েছে আলুর দাম। সোমবার পর্যন্ত আলুর দাম ছিল ১৩_১৪ টাকা। তা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ থেকে ১৯ টাকা। পেঁয়াজ ও টমেটোর মত আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী দক্ষিণ দামোদর এলাকায়। দক্ষিণ দামোদর এলাকার মানুষ জন জানিয়েন আলু কে নিয়ে একটি কালোবাজারি চলছে যা নিয়ন্ত্রণ করছে বড়ো বড়ো ব্যবসাদার রা। এতে বৃদ্ধি পাচ্ছে সবজির দাম।

আরো পড়ুন - লক্ষ্মী পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভাতারে।
তাদের মতে এই সময় ৯ থেকে ১০ টাকা হওয়া উচিত ছিল আলুর দাম দেখা যাচ্ছে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। এতে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। ব্যবসাদাররা জানায় পুজোর সময় সমস্ত স্টোর বন্ধ থাকায় কিছু মানুষ আলুটি বেশি দামে বিক্রি করছে আমাদের। সেই কারণে আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী তবে কালীপুজোর আগে ই আলুর দাম নিম্নমুখী হবে বলে জানান।


ধান যাতে নষ্ট না হয় সে কথা মাথায় রেখে ভাতারের চাষিরা নিজেরাই এগিয়ে এলেন ক্যানেল সংস্কারে।

No comments

Friday, October 11, 2019


পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের বামুনারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের চাষের জমিরু ক্যালেন জল ঠিকঠাক পাচ্ছে না চাষীরা।
কাপশোড়, চন্ডিপুর, কানপুর, পানুয়া, সেরুয়া এই সমস্ত গ্রামের প্রায় সাড়ে সাত হাজার বিঘা জমি রয়েছে।

গত বছর এই মাঠের অধিকাংশ জমির ধান জলের অভাবে মারা গেয়ে ছিল। এবছর যাতে করে পুনরাবৃত্তি না হয় তাই চাষিরা নিজেদের উদ্যোগে ক্যালেন সংস্কারে এগিয়ে এলেন। চাষিদের দাবি অবিলম্বে সেরুয়া মাঠের 960 ডি,বি,সি থেকে হাজার চেন ডি,সি যে ক্যালেনটি আমাদের মাঠে আসছে সেই ক্যালেনটিকে অবিলম্বে সংস্কার করুক সরকার। এবং 960 ডি,বি,সির সামনে পাকা করতে হবে অবিলম্বে। তবেই হাজার চেন ডি,সি তে জল আসবে।

কানপুরের চাষী উৎপল সাই জানান, গত বছর জলের অভাবে আমার বেশ কয়েক বিঘা ধান মারা গেয়েছিল
 আমি কৃষি দপ্তরের বিভিন্ন অফিসে ভাতার বিধানসভার বিধায়ককে, ব্লক আধিকারিক থেকে শুরু করে সমস্ত ডিপার্টমেন্টে লিখিতভাবে জানিয়ে ছিলাম, কোন কাজ হয়নি ।প্রায় 10 বছর ধরে বিভিন্ন অফিসে লিখিতভাবে জানিয়েছি ।এমনকি বর্তমানে দিদিকে বল ফোন নাম্বারে ফোন করেছিলাম, সেখানে কোনো কাজ হয়নি ।বাধ্য হয়ে আমরা চাষিরা মিলে এই চ্যানেলটিকে সংস্কার করছি। যাতে করে এবছর আর থান যেন নষ্ট না হয়। ভাতার থেকে আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।

পুজোর মুখে নিম্নচাপের জেরে , মাথায় হাত পাত্রসায়ের থানার চাষিদের ।

No comments

Saturday, September 28, 2019


বাঁকুড়া : দেবব্রত মন্ডল

আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই ঢাকে কাঠি পড়বে । বঙ্গবাসী মেতে উঠবে মায়ের আরাধনায় । কিন্তু এতসবের পরেও মন ভালো নেই বাঁকুড়া পাত্রসায়ের থানার নারায়নপুর পঞ্চায়েতের চরগোবিন্দপুর , তাসুলই , পাঁচপাড়া গ্রামের সব্জি চাষীদের । কেননা হিক্কা নিম্নচাপের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় গত চারদিন ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে । বাদ যায়নি বাঁকুড়া জেলাও , গত চার দিনের টানা বৃষ্টিতে সব্জি চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে । কেননা বৃষ্টির জেরে ফুলকফি গাছে পচন ধরে নষ্ট হয়ে ঝরে পরছে । যে সমস্ত নতুন ফুল বের হচ্ছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । বিঘার পর বিভা সব্জি এবং ধান নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে এভাবেই মাঠে নষ্ট হচ্ছে । ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষিদের । আর এখানে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের । চাষিরা ফুলকফি বিক্রির জন্য বাজারে বিক্রি করতে পারেননি । ফেলে দিতে হয়েছে সেই ফুলকফি । কারন বৃষ্টিতে ফুলকফি ঘরে বা জমিতে যেখানেই থাকুক পচন ধরে নষ্ট হয়ে যাবে ।

সুরেশ চৌধুরী নামে এক ফুলকফি চাষী বলেন , এই বৃষ্টির জেরে আমাদের সমস্ত ফুল কফি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে এরপর আমরা কি খেয়ে বাঁচব পরবর্তী চাষী করার কোন উপায় নেই সামনে পুজো কিভাবে চলবে এর উপায় আমাদের জানা নেই কিভাবে বউ ছেলে মেয়ের হাতে একটা নতুন জামা কাপড় কিনে দেবো তা আমাদের জানা নেই

                         দূর্গাপুজো মেগা সেল ফ্লিপকার্টের, থাকছে আকর্ষনীয় ছাড়

চর গোবিন্দপুরের আরেক চাষী নেপাল গায়েন জানান এই টানা কয়েক দিন বৃষ্টির জেরে আমাদের ধান এবং কফির সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়ে গেছে ধান সবে ফুল এসেছে এ অবস্থায় ঝোড়ো হাওয়ায় ধান গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে সেই ধন কিভাবে তুলব এবিষয়ে আমাদের এখনও জানা নেই , এর ফলে আমরা আর্থিক দিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছি .

                                       BUY NOW
খুচরো সব্জি ব্যবসায়ী পরিতোষ মাঝি জানায় টানা বৃষ্টির জন্য চাষীদের সব্জির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে যে কারনে আমরা আমাদের চাহিদা মতো সব্জি কিনতে পারছি না আমাদেরও ইনকাম তেমন হচ্ছে না তিনি আরও বলেন পুজোয় বউ ছেলেদের কিছুই দিতে পারবো না |


সব্জি আড়ৎ মালিক প্রভাস রায় বলেন বৃষ্টির জেরে আমাদেরও ব্যবসায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে চাষীরা পর্যাপ্ত পরিমানে সব্জি আনতে পারছেনা যে কারনে আমরাও খুচরো সব্জি ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না |


                                     


জলের অভাবে বীজতলা তৈরি করতে সমস্যায় চাষীরা

No comments

Sunday, September 22, 2019


ওয়েবডেস্ক -
বৃষ্টির ঘাটতি জেরে জল কম পুকুরগুলিতে। জল নেই সেচ ক্যানেলগুলিতেও। একই চিত্র নদীগুলির ক্ষেত্রেও। গবাদি পশু ও খারিফ মরসুমে ধান চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করতে জলধার দিকে তাকিয়ে গ্রামের মানুষেরা।
এ রাজ্যের চাষিরা সাধারণত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই আমন ধানের বীজতলা তৈরির কাজে হাত দেন। কিন্তু এ বার বাদ সেধেছে প্রকৃতি। প্রবল গরমে জলের অভাবে জেলার অধিকাংশ ছোট নদী এবং খাল এ বার শুকিয়ে কাঠ। ফলে, বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে, এ বার আমন চাষের সময় পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। কানা নদী, কানা দামোদর, দামোদর, মুণ্ডেশ্বরী, দ্বারকেশ্বরের মতো কয়েকটি নদী ডিভিসি-র জলে পুষ্ট হয়। সমস্যা মূলত এই নদীগুলিকে ঘিরেই। জেলার ১৮টির ব্লকের অনেকগুলি দিয়েই এই সব নদী বয়ে গিয়েছে। কিন্তু ডিভিসি-র জল না-মেলায় এই সব নদী শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে, ওই নদীর জল বীজতলা তৈরির কাজে ব্যবহার করতে পারছেন না চাষিরা। ডিভিসি-র অনেক খালেরও ছবিটা একই।
ধনেখালির চেঁচুয়া গ্রামের চাষি শেখ মোমিন মণ্ডলের মাথায় হাত পড়েছে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কানা নদীতে জল নেই। মোমিনের খেদ, ‘‘আমরা ভাগচাষ বাদ দিয়ে কমবেশি পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করি প্রতিবার। নদীর পাড়ে বীজতলা করি। সেই কাজ সেরে জমির মাটি তৈরির কাজ করতে করতেই বর্ষা এসে যায়। তখন আর জলের সমস্যা হয় না। এ বার আমাদের এখানে নদীগুলির যা হাল, ৫০ বছরে এই পরিস্থিতি দেখিনি।’’ ওই ব্লকেরই আখনাপুরের চাষি অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নদী একেবারেই জলশূন্য হয়ে পড়ায়, এ বার চাষ অনেকটাই নাবি হয়ে গেল। বর্ষা ভাল মতো শুরু না হলে বীজতলার কাজে এ বার হাতই দিতে পারব না।’’
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং তা মোকাবিলায় অভিজ্ঞ চাষিদের নিয়ে জেলাস্তরের কৃষিকর্তারা শীঘ্রই বৈঠকে বসছেন। জেলার এক কৃষি আধিকারিক বলেন, ‘‘হুগলিতে নিম্ন দামোদর অববাহিকার চাষবাস অনেকটাই ডিভিসি-র জলাধারের উপর নির্ভরশীল। দামোদর-সহ অন্য ছোট নদী এবং খাল ডিভিসি-র জলেই পুষ্ট হয়। কিন্তু যেখানে জলাধারেই জল নেই, সেখানে একমাত্র পুরোমাত্রায় বর্ষা না-নামলে চাষ শুরু করার পরিস্থিতি আপাতত নেই। যে সব চাষি সেচসেবিত অঞ্চলে চাষ করেন, সেখানকার পরিস্থিতিও ভাল নয়। বৃষ্টি না-হওয়ায় মাটির নীচের জলস্তর হু-হু করে নামছে।’’
রাজ্যের মধ্যে হুগলি ও বর্ধমানেই সবচেয়ে বেশি ধান চাষ হয়। চাষে জলের আকালের শুরু গত মরসুম থেকেই। হিসাব অনুযায়ী গত বর্ষায় এ রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হয়। তার জেরে ডিভিসি-সহ সমস্ত জলাধারেই জলের পরিমাণ কমে। অনেক সময় এই রাজ্যে বৃষ্টিপাত কম হলেও পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে সেখান থেকে জল নেমে এসে এই রাজ্যের জলাধার ও নদীগুলিকে পুষ্ট করে। কিন্তু গত মরসুমে পশ্চিমবঙ্গের মতোই ঝাড়খণ্ডেও বৃষ্টিপাত কম হয়। তাই সব মিলিয়ে গত মরসুমে বোরো চাষের সময় রাজ্যের কৃষি দফতর জলের পর্যাপ্ত জোগান না-পাওয়া নিয়ে চাষিদের আগাম সতর্ক করেছিল। একই সতর্কবার্তা ছিল আলু চাষের ক্ষেত্রেও। কিন্তু সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করে ভাল আলু ফলান হুগলির চাষিরা। যদিও অকাল বৃষ্টির জন্য গত মরসুমে আলু থেকে লাভের কড়ি ঘরে তুলতে পারেননি চাষিরা।
এ বার সেই জলের প্রশ্নই ফের বিঁধছে রাজ্যের চাষিদের। তাঁরা এখন আকাশের দিকেই তাকিয়ে।
মন্ত্রী জানান, সেচ ক্যানাল মজে গিয়েছে বলে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল চাষিদের। মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় সেই সেচ ক্যানালগুলি সংস্কারের কাজ হচ্ছে।
এ দিকে জলের জন্য এ বার বোরো চাষে নামতে পারেননি দক্ষিণ বাঁকুড়ার বহু চাষি। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্য বছর রবি শষ্যের জন্য জানুয়ারিতেই এক বার কংসাবতী থেকে জল দেওয়া হত। সেই জলেই চাষিরা বোরোর বীজতলা করতেন। কিন্তু এ বার সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি। সেচ ক্যানালেও জল পাওয়া যায়নি। ফলে, বোরো চাষ মার খাচ্ছে।
সিমলাপালের কুকরাকন্দর এলাকার চাষি আজিত মাহাতো, রানিবাঁধ অম্বিকানগরের তপন মাহাতো বলেন, ‘‘পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া আমন চাষেও পর্যাপ্ত ফলন হয়নি। এ বার বোরো চাষও মার খাচ্ছে। আমরা খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছি।’’ সিমলাপালের দুবরাজপুরের শঙ্কর ঘোষ, বলেন, ‘‘আমি পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করতাম। এ বার এক কাঠা জমিতেও চাষ করা সম্ভব.হচ্ছে না সেচের জলের অভাবে।’’
বোরো চাষ যে এ বার মার খাচ্ছে, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন খাতড়া মহকুমা কৃষি আধিকারিক গণেশ সিং সর্দার। তিনি বলেন, ‘‘খাতড়া মহকুমা এলাকায় প্রতি বছর সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হত। কিন্তু, গত সপ্তাহ পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে এ বার বোরো চাষ আদৌ করা যাবে কি না, ঘোর সংশয় রয়েছে। যেটুকু এলাকায় চাষ হচ্ছে, তা কোনও হিসাবের মধ্যেই আসছে না।’’
সেচমন্ত্রীর সঙ্গে এ দিন ছিলেন রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত মিত্র।
loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION