প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ):- কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সর্বাত্মক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।একই ভাবে সংক্রমন রুখতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ।বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলার কোথাও কেউ যাতে হোম কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ না করেন তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে । জেলার যেসব এলাকার ব্যক্তিদের হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বালা হয়েছে তাদের বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ ।শুধু নোটিশ লাগানোই নয় ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার যাতে নিরাপদে থাকতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।প্রশাসনের এই উদ্যোগের তারিফ করেছেন জেলার আপামোর বাসিন্দা ।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাার বাসিন্দা মহলেও উদবেগ আতঙ্ক কম ছড়ায়নি ।উদ্ভুত এই পরিস্থিতির মধ্যে যেসব ব্যক্তিরা বিদেশ কিংবা ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরছেন তাদের নুন্যতম ১৪ দিন নিজের গৃহে অন্তরীণ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও ভিন রাজ্য ও ভিন দেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসকের সেই পরামর্শ মানছেন না। তাদের কেউ কেউ বাজার করতে যেমন বেরিয়ে পড়ছেন তেমনই লোকজনের সাথেও মেলামেশাও করছেন।এরফলে ঝুঁকি বাড়ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ।এমনটা আটকাতেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ শাটিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে । একই সঙ্গে ওই সকল ব্যক্তিদের হোম কোয়ারান্টিনে থাকার মুচলেখাও দিতে হচ্ছে পুলিশের কাছে ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নোটিশ লাগানো হচ্ছে তাতে লেখা থাকছে কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তির নাম । এছাড়াও লেখা থাকছে ওই ব্যক্তির পরিবারে মোট কতজন সদস্য আছেন এবং কতদিন ওই ব্যক্তিকে হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে তার তথ্য।তবে পোস্টার মারানিয়েও আবার বিপত্তি তৈরি তৈরি হয়েছে । জেলার জামালপুরের বত্রিশবিঘা গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই মনেকরতে শুরু করেন যাদের বাড়িতে পোস্টার মারা হচ্ছে তারাই করোনা আক্রান্ত ।
এইসব নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয় । এই খবর নড়েচড়ে বসে জামালপুর ব্লক প্রশাসন । জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান সোমবার ওই গ্রামে পৌছে যান ।
তারা গ্রামের সকল মানুষজনকে বুঝিয়ে বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই বাইরে থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বাড়িতে পোস্টার মেরে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হচ্ছে । কারুর বাড়িতে পোস্টার মারা হয়েছে মানেই ওই বাড়ির কোন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমনটা যারা মনেকরছেন তারা ভুলকরছেন ।এমন মিথ্যা গুজব না ছড়ানোর কথাও প্রশাসনের কর্তারা গ্রামসীদের জানিয়ে দেন ।’এরপরেই বত্রিশবিঘা গ্রামের মানুষজনের উদবেগ কাটে । অন্যদিকে আবার জেলার অনেক গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে গ্রামের রাস্তার আটকে দিয়েছেন ।তারা বাইরের লোকজনকে যেমন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছেন না তেমনই গ্রামের লোক জনকে বাইরে বেরহতে দিচ্ছেন না ।
যদিও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । তিনি নিজেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালানো শুরু করেছেন ।সবাইকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দিষ্ট করেদেওয়া পরামর্শ ও নিয়ক কানুন মেনে চলারও বার্তা দিচ্ছেন ।
No comments
Post a Comment