Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts
Showing posts with label রাজনীতি. Show all posts

দরিদ্র মানুষের পাশে নজরুল স্মৃতি সংঘ

No comments

Wednesday, April 1, 2020


রায়না , পূর্ব বর্ধমান-----পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের  প্রায়শই দেখা গেছে কোনো না কোনো ভাবে দরিদ্র মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সে কোন ক্লাবে হোক কিংবা কোন সংগঠন। এবার কালুই  গ্রামের দীন দুঃখী মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটালেন কালুই নজরুল স্মৃতি সংঘের পক্ষ থেকে। এই পরিষেবাটি দেওয়ার জন্য তারা গ্রামের মোট ৬৫ টি দরিদ্র পরিবারকে বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন শেখ রাজিব আলী বলে ক্লাবের সম্পাদক। প্রত্যেকটি পরিবারে তিন কেজি চাল, দেড় কেজি আলু এবং তার সঙ্গে আড়াইশো গ্রাম করে মুসুরির ডাল ,তেল বিতরণ করছেন ক্লাবের সদস্যরা। 


        এর আগেও নজরুল স্মৃতি সংঘ কে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দেখা গেছে। মাস্ক, স্যাভলন সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। যা বারবার উঠে এসেছে আমাদের কৃষক সেতুর ক্যামেরায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুটিরুজি নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে সেই সব মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত ও ক্লাবগুলি। এই দিন উপস্থিত ছিলেন উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনিসুর রহমান সেখ, ক্লাবের সভাপতিসহ সমস্ত সদস্যরা। শরীর অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারেননি প্রধান। কিন্তু তারা তাদের কর্মসূচি বেশ কিছুদিন পরপরই চালিয়ে যাবেন, যতদিন না এই লকডাউন  উইথড্র করে নেওয়া হচ্ছে।


"জয় বাংলা" প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহের কাজ চলছে পাঁইটা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে

No comments

Thursday, March 19, 2020


সুনীতা ঘোষ ( রায়না ) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশানুসারে এবং পাঁইটা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে "জয় বাংলা" প্রকল্পের ফর্ম সংগ্রহের কাজ চলছে গত চার দিন ধরে।আজই তার শেষ দিন।এই কাজের সাথে হাত মিলিয়েছেন রায়না দুই নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও।দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষরা বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতা পেত।এই নতুন প্রকল্প অনুযায়ী, St ও Sc এর অন্তর্ভুক্ত, ষাঠ বছর অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন।গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে প্রায় পাঁচশ ফর্ম সংগ্রহ করা হয়েছে।এখন সময় সংগৃহীত ফর্মগুলি সংশোধন করে নির্ভুল ভাবে আপলোড করা।তাদের এই চারদিনের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, বয়স্ক,শারীরিক ভাবে সক্ষম নয় এমন কৃষক সহ সমস্ত শ্রমজীবী মানুষরা যাতে বার্ধক্য ভাতা পায় সেদিকে নজর রাখা।

এছাড়াও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প গীতাঞ্জলির পরিবর্তে যে নতুন প্রকল্প "স্নেহালয়" প্রক্ল্প চালু হয়েছে ,তার জন্যও সমীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ত্রিপল বা খড়ের চালের ঘরে বসবাসকারী মানুষদের চিহ্নিত করে ও তাদের নাম নথিভুক্ত করে ব্লক স্তরে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপপ্রধান রামচন্দ্র পাল। রায়না দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভাদিয়ারা,শেরপুর,সুন্দরপুর, ছোটো বৈনান,সহ গ্রামগুলিতে চারদিন ধরে ক্যাম্প করে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই কর্মসূচির শেষ দিনে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রণব বাবু,বড়বাবু হারুনাল রশিদ,শ্যামাপদ পণ্ডিত,সমরেশ বাবু, পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু সাঁতরা,নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের সঞ্চালক গায়েত্রী কুন্ডু, কৃষি দপ্তরের সঞ্চালক শ্যামল রায়,পঞ্চায়েত সদস্যা কৃষ্ণা সাঁতরা সহ অন্যান্য সাধারণ কর্মচারীবৃন্দ।উপপ্রধান রামচন্দ্র পালের কথায়,রাত দিন এক করে কাজ করে গেছেন তারা,আজই সমস্ত তথ্য পাঠানোর শেষ দিন।।
তাই কাজে কোনো রকম খামতি রাখছেন না তারা।

বর্ধমানের রাজনীতিতে এখনও ‘জীবন্ত’ রয়েছে সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড

No comments

Tuesday, March 17, 2020



কৃষ্ণ সাহা ( বর্ধমান ) :- জ, মঙ্গলবার ওই ঘটনার পঞ্চাশ বছর পূর্তি ঘিরে জেলা জুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। সকালে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। বিকালে কর্মসূচি শেষ করার কথা তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের।

১৯৭০ সালের ১৭ মার্চ বর্ধমান শহরের প্রতাপেশ্বর শিবতলা লেনে খুন হন দুই ভাই, মলয় সাঁই ও প্রণব সাঁই। তাঁদের সঙ্গে নিহত হন সেই সময়ের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ছাত্র জিতেন রায়। ওই বাড়িতে পড়াতে যেতেন তিনি। ওই মামলায় নাম জড়ায় প্রয়াত নিরুপম সেন, বিনয় কোঙার-সহ সিপিএমের বহু নেতা-কর্মীর। কংগ্রেসের সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই তারাপদ মুখোপাধ্যায় কমিশন গড়ে তদন্ত শুরু করেন। পাঁচ বছর পরে, ১৯৭৭ সালে সিপিএম ক্ষমতায় এসে ওই কমিশন বন্ধ করে দেয়। সাঁই পরিবারের অভিযোগ, মুখোপাধ্যায় কমিশন তদন্ত-রিপোর্ট দিলেও বিচার মেলেনি। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরুণাভ বসুকে চেয়ারম্যান করে একটি কমিশন গঠন করেন। সেই কমিশনের রিপোর্টও এখনও প্রকাশ পায়নি। জিতেন রায়ের ভাইপো চিরকুমারবাবু বলেন, “দোষীরা একদিন শাস্তি পাবে, এই আশা এখনও করি।’’ ওই শিক্ষকের স্মরণে মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুরেও প্রতি বছর সভাও হয়।

সাঁই পরিবারের অভিযোগ, পুরো বাড়ি ঘিরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রান্নাঘরে ঢুকে প্রণব আর জিতেনকে বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে-পিটিয়ে খুন করা হয়। পাশের বাড়িতে খাটের তলায় লুকিয়ে থাকা মলয়কেও টেনে বার করে খুন করা হয়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কথায়, “কংগ্রেস কী ভাবে সাঁইবাড়ির খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।

তৃণমূল নেত্রীর অজ্ঞাতে জামালপুর বিধানসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষনা নিয়ে ক্ষোভ তৃণমূল শিবিরে

No comments

Monday, March 16, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- যেন সেনাপতিতে অন্ধকারে রেখেই সৈন্য নির্বাচন কাণ্ড।এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের এখনও ঢের দেরি রয়েছে।তার আগে তৃণমূল নেত্রীর অজ্ঞাতেই ঘোষনা করে দেওয়াহল ২৬২ জামালপুর(তপঃ ) বিধানসভা আশনের তৃণমূল প্রর্থীর নাম।আর এই ঘোষনা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের অন্দরে  ব্যাপক শোরগোল পড়েগেছে।দলের নিয়ম কানুন না মেনেই  প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়েছে বলে  অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই একাংশ।তারা এই ঘোষনার বিষটি নিয়ে তৃণমূলের উর্ধ্বতন নেতৃত্বেরও  দৃষ্টি  আকর্ষণ করেছে । 
বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে  রবিবার জামালপুরের চকদিঘীর তৃণমূল  পার্টি অফিসে স্বীকৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সেই সম্মেলনে জেলা তৃণমূল যুব কার্যকরী  সভাপতি শ্রীমন্ত রায় ,ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য এবং গত বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুর  বিধানসভা আশনে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিক উপস্থিত থাকেন। সম্মেলনে বহু কর্মী সমর্থক ও  নেতা নেত্রী যোগদেন করেছিলেন ।ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে উঠে  শ্রীমন্ত রায় ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে জমালপুর বিধানসভা আশনে প্রতিদ্বন্দ্বী  তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে উজ্জ্বল প্রামাণিকের  নাম তুলে ধরেন । শ্রীমন্ত ঘোষনা করেন “২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে আমরা আমাদের প্রার্থী উজ্জ্বল প্রামাণিককের হয়ে লড়াইয়ে নামবো। ২০২১ নির্বাচনে উজ্জ্বল  প্রামাণিককে জয়ী করে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যাবো।” সম্মেলনে উপস্থিত সকলে করতালি দিয়ে শ্রীমন্ত রায়ের এই ঘোষনাকে  স্বাগত জানান । প্রার্থীর নাম ঘোষনার বিষটি আবার  সোশ্যাল মিডিয়াতেও  ছড়িয়ে দেওয়া হয় । আর এর পরেই শোরগোল পড়েযায় জেলা তৃণমূলের অন্দরেই।ক্ষোভ বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে  জামালপুরে উজ্জ্বল বিরোধী শিবিরের নেতা ও কর্মী মহলেও  । 
এই ঘোষনা বিষয়ে সোমবার শ্রীমন্ত রায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ,২০১১ও ২০১৬ সালে উজ্জ্বল প্রামাণিক দলের প্রার্থী হয়েছিলেন ।তাহলে তাঁকে প্রার্থী বলায় আমার কি  ভুল হয়েছে বলতে পারবো না । আমার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হলে আমার কিছু করার নেই । যদিও  উজ্জ্বল প্রামাণিক পরিস্কার  জানিয়েদেন , শ্রীমন্ত ভুল করে বলে থাকতে পারে । বিধানসভা ভোটের এখনও অনেক দেরি আছে । কে প্রার্থী হবে সেটা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন । আবেগে  কে কি বলেছে সেটাকে গুরুত্ব দেবার কিছু আছে বলে  আমি মনেকরি না । একই সঙ্গে উজ্জ্বল বাবু বলেন , যারা ভুল ধরিয়ে দিয়েছে তাদের  আমি  সাধুবাদ জানাচ্ছি । 
প্রসঙ্গত রাজ্য রাজনীতিতে পালা বদলের সময়ে ২০১১ সালে জামালপুরের  তৃণমূল প্রর্থী হয়ে ভোটে লড়েন উজ্জ্বল প্রামাণিক । সেবার তিনি জয়ী হন। এরপর কয়েক বছর যেতে  না যেতেই উজ্জ্বল প্রামাণিকের সঙ্গে জামালপুরের যুব তৃণমূল নেতা মেহেমুদ খানের সম্পর্কে ফাটল ধরে। গোষ্ঠী কোন্দলের  জরে  ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে জামালপুর আশনটি  তৃণমূলের হাতছাড়া হয় । বাম প্রার্থী সমর হাজরার কাছে পরাজিত হন উজ্জ্বল বাবু ।অন্যদিকে মেহেমুদ  খান এখন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদে  দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সামনেই পুরসভা ভোট । তার পরেই বছর ঘুরলে হবে বিধানসভা নির্বাচন । কিন্তু  আজ অবধী দুই নেতার বিরোধ জিয়েই রয়েছে । গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর কোন উদ্যোগও দলীয় স্তরেও নেওয়া হয়নি।এমন পরিস্থিতির  মধ্যে শুধুমাত্র  জামালপুর আশনে প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীর নাম আগাম ঘোষনা করা হয়।  তার পরথেকে  জামালপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরো বেআব্রু হয়ে পড়েছে । 
এদিন মেহেমুদ খান বলেন, তৃণমূল  কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে আজ অবধি যত ভোট হয়েছে সব ভোটেই  দলনেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করেছেন। রবিবার যিনি  জামালপুর বিধানসভা আসনে তৃণমূল প্রার্থীর  নাম ঘোষনা করেলেন তিনি দল বিরোধী কাজ করেছেন।উনি হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
থেকেও  উর্ধ্বে যেতে চাইছেন । 


বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচীর স্বীকৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল রায়না ২ ব্লকে

No comments

Sunday, March 15, 2020


রায়না ( কৃষ্ণ সাহা ) :- বিভিন্ন বুথ স্তরে-যে সমস্ত কর্মীরা বিভিন্ন কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন- দলের নির্দেশে - সেই সমস্ত কর্মী সহ নেতৃত্বকে মূল স্রোতে ফেরাতে ও দলের কাজে যুক্ত হ‌ওয়ার আহ্বান জানান বিধায়ক সহ নেতৃত্ববৃন্দ।আজকে ১০০ জন সম্মানীয় নেতৃত্ব সহ কর্মীকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপণ করা হয়- উত্তরীয়,ফুল ও জলযোগের প‍্যাকেট সহ।
দলের এই রূপ উদ‍্যোগে সম্মর্ধনা প্রাপ্ত সকলেই খুশী।তারা দলকে আগামী দিনে আরো সমৃদ্ধ ও মজবুত করার জন‍্য অঙ্গীকার করেন বর্তমান নেতৃত্বের সাথে থেকে। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নেপাল ঘোড়ই, রায়না 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই, রায়না 2 ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আনসার আলী খান, রায়না 1 সমিতির সভাপতি ও রায়না 2 সমিতির সভাপতি। সহ রায়না 1 সমিতি পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোস্তফা চৌধুরী ও রায়না 2 পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ কলিমুদ্দিন বাপ্পা।

বাংলার গর্ব মমতা - কর্মসূচীর--খন্ডঘোষ বিধানসভার -স্বীকৃতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল-খন্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় এ

No comments
 
খণ্ডঘোষ ( কৃষ্ণ সাহা ):- বিভিন্ন বুথ স্তরে যে সমস্ত কর্মীরা বিভিন্ন কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন- দলের নির্দেশে - সেই সমস্ত কর্মী সহ নেতৃত্বকে মূল স্রোতে ফেরাতে ও দলের কাজে যুক্ত হ‌ওয়ার আহ্বান জানান বিধায়ক সহ নেতৃত্ববৃন্দ।আজকে ৮৯ জন সম্মানীয় নেতৃত্ব সহ কর্মীকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপণ করা হয়- উত্তরীয়,ফুল ও জলযোগের প‍্যাকেট সহ।

দলের এই রূপ উদ‍্যোগে সম্মর্ধনা প্রাপ্ত সকলেই খুশী।তারা দলকে আগামী দিনে আরো সমৃদ্ধ ও মজবুত করার জন‍্য অঙ্গীকার করেন বর্তমান নেতৃত্বের সাথে থেকে।উপস্থিত ছিলেন-বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগ,খন্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি- অপার্থিব ইসলাম,দুই কার্যকরী সভাপতি- শ‍্যামল দত্ত,প্রণব তা, পঞ্চায়েত সমিতীর সভাপতি- অসিত বাগদী,জেলা পরিষদ সদস‍্য - বিশ্বনাথ রায় সহ অন‍্যান‍্য ব্লক নেতৃত্ববৃন্দ।


"বাংলার গর্ব মমতা"কর্মসূচি উপলক্ষে কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খণ্ডঘোষ ও রায়না বিধানসভায়

No comments


প্রদীপ কুমার মন্ডল ( খণ্ডঘোষ ও রায়না ) :- বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি উপলক্ষে কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খণ্ডঘোষ ও রায়না বিধানসভায় পালিত হল। খণ্ডঘোষ বিধানসভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্লকের সম্প্রীতি হলে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ, জেলা পরিষদের সদস্য বিশ্বনাথ রায়, ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত কুমার বাগদি। অন্যদিকে রায়না বিধানসভায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের খেলার মাঠে উপস্থিত ছিলেন রায়না বিধানসভার বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত, ব্লক সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ সাই, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মোহন্ত। দুই জায়গায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে র প্রথমে ই ভারতীয় সংবিধান শপথ বাক্য হিসেবে পাঠ করানো হয়।খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন গত ২ মার্চ কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সুপ্রিমো তথা
পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলার গর্ব মমতা নামক একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন। এবং তিনি বলেন প্রত্যেকটি ব্লকে ৭৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান করতে হবে। আগামীকাল থেকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে সেই বিষয় গুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। রায়না বিধানসভার বিধায়ক নেপাল ঘোড়ই বলেন মমতা ব্যানার্জির প্রথম পদক্ষেপ দিদিকে বল বাংলা সারা পাওয়ার পর দ্বিতীয় পদক্ষেপ বাংলার গর্ব মমতা আরো অনেক বড় সাফল্য পাবে বলে মনে করছি।
রায়না বিধানসভা এলাকায় ২ ব্লকে ৭৫ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সাথে থেকে অর্থাৎ জনসংযোগ বাড়ানোই হবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত বলেন একসময় রায়নার মাটি ছিল সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি কিন্তু আজ চারিদিকে সবুজে সবুজ। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। এই শক্ত ঘাঁটি কে ধরে রাখার জন্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দ্বিতীয় প্রকল্প বাংলার গর্ব মমতা প্রকল্প কে সামনে রেখে আগামী ২১ সালের নির্বাচনে সিপিএম এবং বিজেপি নামক সাম্প্রদায়িক দল কে বাংলা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেব। দুই বিধানসভায় কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানের শেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দুই বিধায়ক।

কাটোয়ায় ‘বাংলার গর্ব মমতা ’ কর্মসূচিতেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ

No comments

Saturday, March 7, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- তৃণমূল নেত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও  শোধরালেন না তৃণমূল নেতৃত্ব । শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ‘বাংলার গর্ব  মমতা ’ কর্মসূচির মঞ্চেও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ ।তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মঞ্চ   ছেড়ে চলেগেলেন কাটোয়া শহর তৃণমূল  সভাপতি  অমর রাম।এই ঘটনা  সামনে আসতেই  বেজায় অস্বস্তিতে পড়েগেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরসভা নির্বাচনের আগে দুই নেতার এই দন্দ কাটাতে উচ্চ নেতৃত্ব  কি ব্যবস্থানেন এখন  সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কাটোয়ার তৃণমূল কর্মীরা।

বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এদিন বেলায় কাটোয়া  শহরের সংহতি মঞ্চে  শুরু হয় ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচি ।কাটোয়া বিধানসভা এলাকার বহু  দলীয়  কর্মী সংহতি মঞ্চে আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগ দেন ।  কাটোয়া শহর তৃণমূল সভাপতি অমর রাম কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু কর্মসূচিতে ছন্দপতন ঘটে  অমর রাম বক্তব্য রাখা শুরু করতেই । মঞ্চে দাঁড়িয়ে অমর রাম বলেন, ‘কারোর একটা ফোন পেয়ে আমি কর্মসূচিতে  যোগ দিয়েছি । কিন্তু বিধায়ক  আমাকে ফোন করেননি। জানিনা বিধায়কের আমাকে ফোন করার ক্ষেত্রে  কোন লজ্জা আছে কিনা। উনি কেন আমাকে ফোন করেন না জানিনা । তা সত্বেও আমি সভায় এসেছি। কারণ কলকাতার সভায় নেত্রী যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা মেনে  কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এই সভায় এসে শুধুমাত্র অপমানিত বোধ হবো সেই জন্য আমি সভায় আর থাকতে পারব না।’ এমন মন্তব্য করেই মমতা বন্দোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলে অমর রাম সভাস্থল ছেড়ে চলেযান । এই ঘটনা স্বচোক্ষে দেখে সভায় উপস্থিত সকলে হতবাক হয়েযান । অমর রামের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়  বলেন, ‘আমি আজকের সভা নিয়ে নিজে অমর রামকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছি । ,
সেই মেসেজ তিনি দেখেওছেন ।এমনকি জেলার সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে ফোন ও  করিয়ে আমন্ত্রন জানিয়েছি ।তার পরেও আমি তাকে আমন্ত্রণ  জানায়নি বলে  যে কথা অমর  বলো তা ঠিক নয়। রবিবাবু বলেন তবুও  অগ্রজ হিসেবে  আমি মনে করি  যদি কারুর  কোন অভিমান থাকে সেটা  আমাকেই দূর কর‍তে হবে। ’যদিও এদিনের কর্মসূচি পালন নিয়ে শুধু কাটোয়াতেই গোষ্ঠীদন্দ প্রকাশ্যে এসেছে এমনটা নয় ।বর্ধমান দক্ষিন , বর্ধমান উত্তর , মেমারি , জামালপুর ,কালনা এইসব বিধানসভা এলাকাতেও‘ বাংলার গর্ব মমতা ’কর্মসূচিতে যোগদানের ডাক পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে ক্ষভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল যুব কার্যকরী সভাপতি শ্রীমন্ত রায় বলেন , অনভিপ্রেত ঘটনা ।এমনটা না হওয়াই কাম্য ছিল। তবে নিশ্চিৎ ভাবে  জানিয়ে দিতে পারি নেত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের দলের  সবাই মান অভিমান ভুলে একযোগে  বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হবে ।আগামী পুরসভা নির্বাচন ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলেরই জয়জয়কার হবে বংলায় ।


"বাংলার গর্ব মমতা" কর্মসূচি পালিত হচ্ছে রায়নায়

No comments

ছবি :- বলরাম সাহা
কৃষ্ণ সাহা ( রায়না ) :- সারা রাজ্যের সাথে সাথে "বাংলার গর্ব মমতা" এই শীর্ষক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধান সভায়। এলাকার বিধায়ক নেপাল ঘুরুই উদ্দ্যোগে রায়না বিধানসভার শ্যামসুন্দর ফুটবল মাঠে শনিবার দুপুরে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এলাকার দুটি ব্লকের ১৫ টি অঞ্চলের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধি ও ব্লকের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা নেত্রী ও কর্মীদের নিয়ে মুলত ওই সম্মেলটি করা হয় ।

গত ২ রা মার্চ নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ২০২১ সালের বিধান সভার নির্বাচন জন্য ৭৫ দিনের কর্মসুচি ঘোষণা করেছিলেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী। তারই প্রথম পর্বের কর্মসুচী হিসাবে ওই সম্মেলন করলেন এলাকার বিধায় নেপাল ঘুরুই।

এদিনের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের পুর্ত কর্মাধক্ষ্য উত্তম সেনগুপ্ত, এলাকার বিধায়ক নেপাল ঘুরুই, রায়না ১ নং ব্লকের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ সাঁই, দুনম্বর ব্লক সভাপতি আনসার আলি খাঁন, রায়না ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রত্না মহন্ত, দু নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পার্বতী ধারা মালিক সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধিরা।

জামুরিয়াতে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি

No comments

মহেশ্বর মন্ডল ( জামুরিয়া ) :- তৃতীয় মার্চ থেকে পুরো বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একটি নতুন প্রচার শুরু করেছিল। বাংলার গর্ব মমতা নামে এই প্রচারের উদ্দেশ্যটি হল সমাজের প্রতিটি বিভাগকে তৃণমূল কংগ্রেসের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে জামুরিয়ার স্থানীয় টাউন হলে এই প্রচার শুরু হয়েছিল। আসানসোল পৌর কর্পোরেশনের অভিজিৎ ঘটক এই প্রচার শুরু করেছিলেন । এর আওতায় জামুড়িয়ার এক ও দু'জনের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর ও তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় সদস্য শেখ দিলদার সহ বিপুল সংখ্যক সদস্য  উপস্থিত ছিলেন । 

আসানসোল এ বাংলার গর্ব মমতার প্রচার

No comments

মহেশ্বর মন্ডল ( আসানসোল ) :- শ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে কুলটি থানার অন্তর্গত এমএলএ শ্রী উজ্জল চ্যাটার্জী অধীনে তৃতীয় মার্চ থেকে পুরো বাংলা তৃণমূল কংগ্রেস একটি নতুন প্রচার শুরু করেছিল বাংলার গর্ব মমতা নামে এই প্রচার. উদ্দেশ্যটি হলো তরুণ যুবক যুবতী তপশিলি  বর্ণ এবং সমাজের প্রতিটি  বিভাগকে তৃণমূল কংগ্রেসের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা. এই ধারাবাহিকতায় শনিবার  কুলটি তে আশীর্বাদ  ম্যারেজ হলে প্রচার শুরু হয়েছিল. এখানে উপস্থিত ছিলেন মহেশ্বর মুখার্জি অঞ্চল সভাপতি. এছাড়া আরো  কর্মকর্তারা এখানে উপস্থিত ছিলেন ।

দিল্লিতে রক্তের হোলি খেলেছে বলে বিজেপি এবছর আর হোলি খেলতে চইছে না - বললেন অনুব্রত মণ্ডল

No comments

Wednesday, March 4, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা ভাইরাস আতঙ্কে এবছর প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি সহ গোটা বিজেপি দল দোল বা হোলি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।বিজেপির এই সিদ্ধান্তেরই কঠোর সমালোচনা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের উদ্ধানপুরে দলীয় সভায় যোগদিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন ,‘দিল্লিতে রক্তের হোলি খেলে নিয়েছে বিজেপি । সেকারণে বিজেপি বসন্ত উৎসব করার আর দরকার আছে বলে মনে করছেনা ।  রক্তের হোলি খেলেছে বলেই বিজেপি আর আবির মাখতে রাজি নয় । ৭৫ জন মানুষকে ওরা মেরেদিল । আগুন ধরিয়ে দেওয়া  বাড়ি থেকে ও  ড্রেন থেকে  এখনও লাস বের হচ্ছে । এত মানুষের রক্তের হোলি খেলার পর বিজেপি আর কি করতে বসন্ত উৎসবের হোলি খেলবে। অনুব্রত মন্ডল বলেন ,সেকারণেই করোনা ভাইরাস আতঙ্কের দোহাই দিয়ে এবছর বিজেপি দোল বা হোলি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ’ যদিও অনুব্রতর এই যুক্তি অবান্তর বলে দাবি করেছে  বিজেপি নেতৃত্ব । 
কেতুগ্রামের জনসভা মঞ্চ থেকে অনুব্রত মণ্ডল 
দলের কর্মী ও সমর্থককের উদ্দেশ্যে বলেন , মনে রাখবেন বিজেপি একটা বিশ্বাস ঘাতকের দল ।  ওরা কোন মানুষের উপকার করেনা ।  শুধু দাঙ্গা বাঁধায় । এখন ওরা সারা দেশ জুড়ে
ঝগড়া অশান্তি বাঁধাতে চাইছে । ২০২১ সালে বিজেপি পয়সার খেলা চালাবে । পয়সা নিয়ে নেবেন কিন্তু মমতাকে  ভোট দেবেন । কারণ বাংলায় একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  সরকার থাকলেই সিএএ , এনআরসি করতে পারবেনা ।  মোদির কথায় বিশ্বাস করে বিজেপিকে ভোট দিলে সবথেকে ভুল করবেন । নিজেদের  বিপদ নিজেরাই  ডেকে আনবেন । জেনে রাখুন দিল্লিতে রক্তের হোলি খেলে  ওরা ৭৫ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রক্তের হোলি খেলেছে বলে ওদের অবির বা রঙ আরো ভালো লাগবে না । সেকারণেই করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে হোলি খেলবেনা বলছে । সভায় উপস্থিত সকলকে অনুব্রত মণ্ডল বলেন , বিজেপির কারুর কথা বিশ্বাস করবেন না আর ওদের কথা শুনে অহেতুক করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে গুজব ও ছড়াবেন না । 
জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দি বলেন ,
আশলে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিশ্বজুড়ে কতটা পড়েছে  সেই সব নিয়ে কিছুই জানেন না অনুব্রত বাবু ।ভারতে এখনও পর্যন্ত  ২৮ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এই সব বিষয়ে জ্ঞানগম্য না থাকার কারণে অনুব্রত  বাবু অবান্তর কথাবার্তা বলছেন। রাজ্যের মানুষতো দূরের কথা ওনার কথা ওনার দলের লোকও বিশ্বাস করেন না। যারা দেশের সচেতন নাগরিক তারা খুব ভালো ভাবেই  জানেন বিজেপি এবছর দোল না খেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা কতটা যুক্তিসংগত । 




গোলি মারো শালোকো শ্লোগান ফের দিলেই যোগ্য জবাব মিলেযাবে - হুঁশিয়ারি অনুব্রতর

No comments

Sunday, March 1, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় )মিত শাহর সভায় যোগদানকারী বিজেপি কর্মীরা রবিবার দিল্লির কায়দায় কলকাতাতেও   ‘গোলি মারো শালোকো ’শ্লোগান দিয়ে মিছিল করে।আর সেই শ্লোগান নিয়েই এখন ঝড় বইছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিতর্কিত শ্লোগান নিয়ে  বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও  ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।এদিন বিকালে মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে তৃণমূলের সভায় যোগদিয়ে অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারির শুরে বলেন ,‘এটা দিল্লি কিংবা গুজরাট নয় । এটা বাংলা । একবার গুলি মেরে দেখাক না । গুলি মারলে বাংলার মানুষ পাল্টা জবাব দেবে ।গোলি মারো শালোকো ’ শ্লোগান ফের দিলেই জবাব পেয়ে যাবে ।কিভাবে জবাব দেওয়া হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতর স্পষ্ট জবাব যে ‘গোলিমারো শালোকো শ্লোগান ’দেবে সেই বুঝতে পারবে কেমন জবাব তার মিলেছে । ’
মঙ্গলকোটের জনসভা থেকে নররেন্দ্র মোদির  বিরুদ্ধেও সুর চড়ান অনুব্রত মণ্ডল। নথি হাতে নিয়ে তিনি দাবি করে দিল্লির পিএমও অফিস মোদির নাগরিক পঞ্জি সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেনি । বলছে জানিনা। মোদির নিজের ঠিকানার  ঠিক না থাকলেও ওরা দেশের লোকের ঠিকানা খুঁজছে ।সভা থেকেই অনুব্রত মণ্ডল  স্পষ্ট জানিয়ে দেন এনআরসি মানা হবে না ।একই সঙ্গে সভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে  তিনি বলেন ‘ এনআরসি নিয়ে আপনাদের কেউ  কিছু বলতে এলে বা কাগজ দেখতে চাইলে ভয় পাবেন না । যে কাগজ দেখতে চাইবে তাকো বেধড়ক চাপকে দেবেন । কিছু হলে আমরা আপনাদের পাশে থাকবো । 
অনুব্রত মণ্ডলের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান  জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দি বলেন , লাইম লাইটে থাকার জন্য অনুব্রত মণ্ডল মাঝে মধ্যে বিতর্কিত কথাবার্তা বলে থাকেন । উনি বিজেপি কর্মীদের কি যোগ্য জবাব দিতে চাইছেন তা দিয়ে দেখান । বিজেপি রাজনৈতিক ভাবেই ওই জবাবের  মোকাবিলা করবে ।


দূর্ণীতি নিয়ে নিজের দলের নেতা নেত্রীদের সামনেই তোপ দাগলেন তৃণমূলের জয়হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি

No comments

Friday, February 21, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- ভাষা শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তোপ দাগলেন তৃণমূলের  জয় হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার  বর্ধমান টাউনহলে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান । সেই অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,“যখন শুনি বালি-পাথর গরু নিয়ে যাবার জন্য  কেউ টাকা তুলছে তখন খুব খারাপ লাগে। একই ভাবে খারাপ লাগে যখন শুনি কলকাতা থেকে এসে কেউ টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ছবি রাখবো আর অন্যদিকে এইসব করবো তা হতে পারেনা । জয়হিন্দ বাহিনীর রাজ্য সভাপতি আরও বলেন ,  তৃণমূলের জন্ম হয়েছে ত্যাগের মধ্য দিয়ে। গোটা দেশে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টান্ত রেখেছেন । তাই তাঁর অনুগামী হতে গেলে দলের সবাইকে  অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতে হবে। ত্যাগের মন্ত্রে দীক্ষিত হতে হবে। ”
পূর্ব বর্ধমান জেলা জয়হিন্দ বাহিনীর পক্ষ থেকে এদিন এক হাজার বোতাল রক্তদানের টার্গেট নেওয়া হয়। এছাড়াও মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদান কর্মসূচি পালিত হয়। 
সংগঠনের জেলা সভাপতি রবীন নন্দী, সাংসদ সুনীল মন্ডল সহ দলের  বিধায়করা টাউনহলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । 

তবে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দি । তিনি বলেন , গোটা  রাজ্যের মানুষ জানে বালি ,পাথর ও গরুর কারবারীদের কাছ থেকে করা তোলা তোলে । 
কাটমানি আর তোলা বাজি যে তৃণমূলের মূল ভীত্তি সেটা তৃণমূলের সবাই জানেন ।  কার্তিক বাবু যেসব কথা বলছেন সেই সব কথা ওনার দলের কেই যে মানেন না ও মানবেনও না তা তিনিও ভালোকরেই জানেই । 



কাটোয়াতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে অভিনব উদ্যোগ

No comments

Tuesday, February 18, 2020



রাহুল রায় ( কাটোয়া ) :- ঙ্গলবার থেকে শুরু হল ২০২০ র মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে অভিনব উদ্যোগ কাটোয়া ২নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কভার ফাইল,পেন,একটি করে জলের বোতল পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত মজুমদার,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী নিষাদ সামন্ত,কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল নেতা পিন্টু মন্ডল,জেলা পরিষদের সদস্য তুষার সামন্ত,কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অচিন্ত্য মন্ডল,বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাবিষ্ণু শর্মামন্ডল সহ প্রমুখ।কাটোয়া ২নং ব্লকের করুই অঞ্চলের মেঝিয়ারী সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মেঝিয়ারী সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯১ জন। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের জন্য পাণীয় জল ও চায়ের ব্যবস্থা করা হয়। জানিয়েছেন দেওয়া। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের এইরকম উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।



বিজেপি নিজের কবর নিজেই খুঁড়েছে - বললেন ফিরহাদ হাকিম

No comments

Monday, February 17, 2020


 বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :-  পুলওয়ামা , বালাকোট দেখিয়ে একবার মানুষকে বোকা বানানো যায় ।  বারে বারে বোকা বানানো যাবেনা । সিএএ ও এনআরসি করে বিজেপি নিজের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে । সেকারণেই সম্প্রতি এই রাজ্যে  হওয়া  তিনটি বিধানসভা আশনের উপনির্বাচনে সাফ হয়েছে । দিল্লির মানুষও  কাজের নিরিখে ভোট দিয়েছে । আর উন্নয়ন  কাজের জন্যই বাংলার মানুষ আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই ভোট দেবে । সোমবার বর্ধমানে এসে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন  দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । তবে পুরসভা ভোট  কবে হবে সেই বিয়টি তিনি খোলসা করেন নি। এদিন বর্ধমানে  কাঞ্চননগরে নবনির্মিত বৃদ্ধাশ্রম ‘নবনীড়’  এর উদ্বোধন করেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী । 

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম এদিন রাতে  বর্ধমান ভবনে দলের  নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন । 
সেই বৈঠকে জেলার দায়িত্বশীল তৃণমূল  নেতারা ছাড়াও , জেলার বিধায়ক গন , জেলাপরিষদের সভাধিপতি ও  সহ সভাধীপতি এবং জেলার পুরসভা গুলির প্রাক্তন কাউন্সিলার ও পুরপিতারা  উপস্থিত থাকেন । সেই বৈঠকেই পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নেতৃত্বকে মাঠে নামতে নির্দেশ দিলেন ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে জানিয়েদেন , পৌর ভোট কখন হবে  তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  তবে এদিন পর্যবেক্ষকের সামনেই  লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয় নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা অপর নেতার বিরুদ্ধে  কার্যত বিষোদাগার উগরে দেন । যদিও ফিরহাদ হাকিম গোষ্ঠী কোন্দল ভুলে  দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েযান ।
         

                                         


মন্তেশ্বরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ

No comments

Friday, February 14, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- টেন্ডার পাস করানিয়ে তৃণমলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হলেন দশ জন। শুক্রবার বিকালে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পানড়েয়ায়  । খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে যায় । গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে । এই ঘটনার পর থেকে থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা । উত্তেজনা থাকায় পুলিশ এলাকায় টলদারি জারি রেখেছে । একই সঙ্গে শুরু ধরপাকড় । পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ,,মন্তেশ্বরের পানবড়েয়া এলাকায় রয়েছে শুশুনীয়া পঞ্চায়েত অফিস ।এলাকায়  নতুন ঢালাই রাস্তা ও বেশ কিছু উন্নয়ন  কায করার   পরিকল্পনা নেয় পঞ্চায়েত । শুক্রবার পঞ্চায়েত অফিসে  সেইসব কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া  শুরু হয় ।টেন্ডার বক্স খোলার আগে এলাকার দুই তৃণমূল নেতা নাসিরুদ্দিন খান ও তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর  লোকজন  জড়ো হয়  পঞ্চায়েতের অফিসের বাইরে । টেন্ডার বক্স ওপেন হতেই কাজ পাওয়া ও না পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন বিবাদে জড়িয়ে পড়ে । অনিয়ম করে টেন্ডার পাস করানো হয়েছে বলে দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি পরে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধেযায় । সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনার পর পুলিশ পঞ্চায়েতের সিসিটিভি ফুটেছ সংগ্রহ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।  
মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূলের  সভাপতি আজিজুল সেখ বলেন,‘ অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে ।দলের উর্ধতন কতৃপক্ষকে সব জানিয়েছি।পঞ্চায়েতে গিয়ে অশান্তি মারপিট করার ঘটনায় জড়িত সকলের  বিরুদ্ধে উপযুক্ত  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


রক্তদান শিবির

No comments

Thursday, February 13, 2020


মীর ওজল (খন্ডঘোষ) :- খণ্ডঘোষ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় খণ্ডঘোষ হাটতলায়। এদিন সকালে এনআরসি বিরুদ্ধে একটি মৌন মিছিল করা হয় খণ্ডঘোষ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এ দিনের মিছিলে প্রথম সারিতে পা মেলান পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি শম্পা ধারা, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব হাজরা, পুত কর্মদক্ষ বাসবী রায়,প্রভরঞ্জন সেন সহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা, এদিন মিছিলটি খণ্ডঘোষ হাটতলা থেকে শুরু করে থানা মোড় পরিক্রমা করে আবার হাটতলা এসে শেষ হয় এ দিনের মিছিলে শতাধিক মানুষ পা মেলান, মিছিল শেষে ফিতে কেটে রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাধিপতি শম্পা ধারা
তিন বছরে পদার্পণ করল এই রক্তদান শিবির, সংগৃহীত রক্ত গুলি তুলে দেয়া হবে বর্ধমান ব্লাড ব্যাংকের হাতে, একদিনের রক্তদান শিবিরের পুরুষ ও মহিলারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্ত দান করেন, খণ্ডঘোষ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জীব হাজরা বলেন প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকি, আজকে ব্লক থেকে শুরু করলাম পরবর্তীতে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ভাবে এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করব, যেভাবে দিন দিন রক্তের সংকট দেখা দিচ্ছে আমরা চেষ্টা করব এই ধরনের রক্তদান শিবির করে কিছুটা হলেও রক্তের চাহিদা যাতে মেটে তাতে সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও রক্তের হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাবে l

ধনিয়াখালির চার বিজেপি নেতা গ্রেফতার হওয়া নিয়ে মন্ত্রী অসীমা পাত্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন হুগলী জেলা বিজেপি নেতা

No comments

Friday, February 7, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- গ্নেআস্ত্র,বোমা ও গুলি সঙ্গে নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হবার অভিযোগ এনে পুলিশ ধনেখালির চার বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে।  তারা সবাই  এখন রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের  জামালপুর  থানার পুলিশ হেপাজতে। শুক্রবার  তাদের সঙ্গে  দেখতে করতে এসেছিলেন হুগলী জেলা বিজেপির সহসভাপতি মধূসূদন দাস সহ অন্য নেতা নেত্রীরা।একই সময়ে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড  জামালপুরে দামোদরে  তেলকুপি ঘাট  এলাকায়  নিস্কৃয় করে ধৃত বিজেপি নেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার  হওয়া বোমাগুলি । থানা থেকে বেরিয়েই এই গ্রফতারি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালির  তৃণমূল  নেত্রী অসীমা পাত্রর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন  বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস । যে বক্তব্য নিয়ে বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । 


সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার  মুখোমুখি হয়ে  হুগলী জেলা বিজেপির  দুপুটে নেতা মধুসূদন দাস বলেন , সমগ্র ধনিয়াখালি জুড়ে সন্ত্রাস রাজ কায়েম করেছেন অসীমা পাত্র । বিজেপির লড়াকু নেতা আশীষ  দাস দীর্ঘদিন ধরেই অসীমা পাত্রর টার্গেটে ছিল । তাঁর নির্দেশে পুলিশ আগেও বহুবার আশীষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি এনকাউন্টার করেও মেরেদেবার প্রচেষ্টা চলেছ। তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীদের কথা মতোই জামালপুর থানার পুলিশ পরিকল্পনা  করে আশীষ সহ চার বিজেপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে । মধুসূদন বাবু দাবি করেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা অস্ত্র , বোমা ও গুলি নিয়ে ঘোরাঘুরি করেনা ।  বরং যারা অসীমা পাত্রর  ডান হাত ও বাম হাত বলে পরিচিত তাঁরাই ধনিয়াখালি এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রায়শই রাজ্যের কোথাও না  কোথাও  বোমা ফেটে  তৃণমূলের কারুর হাত আবার কারুর পা উড়ে যাচ্ছে । অস্ত্র  নিয়ে ঘোরা তৃণমূলের লোকজনকে পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করেথাকে। মধুসূদন বাবু দাবি করেছেন , ধনেখালির যে  চারজন  বিজেপি নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা সবাই  নির্দোষ।  মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুলিশই আশীষদের মারুতি গাড়িতে  বোমা , বন্দুক সহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র গুঁজে দিয়েছে বলে মধুসূদন  বাবু অভিযোগ করেছেন । একই সঙ্গে হুগলীর এই বিজেপি  এদিন স্পষ্ট জানিয়েদেন,তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীরা পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিজেপি নেতা কর্মীদের জেলে ভরেও দমাতে পারবেনা । আগামীদিনে বিজেপি ধনিয়াখালির বুকে আরে বৃহত্তর লড়াই আন্দোলন শুরু করবে । যদিও বিজেপি নেতার এই বক্তব্য অযৌক্তিক এবং  হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র । পাল্টা অভিযোগ তিনি বলেন , বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশের আগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি  আশীষ সংবাদ মাধ্যমকে  বলেছিল  তাঁদের দলের কার্যকর্তা বাপন মালিক  ওই সব অস্ত্রশস্ত্র এনেছিল । আশীষের এই স্বীকারোক্তির পরেও বিজেপির জেলা সহসভাপতি  নির্লজ্জের  মতো পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন । পাল্টা অভিযোগে অসীমা পাত্র বলেন , বিজেপির নেতারাই তাঁদের দলের কর্মীদের  আরএসএসের ট্রেনিং দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলেদিচ্ছে । আর ধরা পড়লেই  বলছে তৃণমূল নেতাদের কথায়  পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে । 
জামালপুর থানার পুলিশ বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের  বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন । এসডিপিও আমিনুল ইসলাম সেখ স্পষ্ট জানিয়েদেন,“মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১ টা  নাগাদ  জামালপুর থানার মহিষগড়িয়া এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ । ওই সময়ে একটি মারুতি ওমনি গাড়িতে চড়ে ছয় জন দশঘড়া - খানপুর রোড হয়ে জামালপুরের দিকে আসছিল । পুলিশ দেখে  মারুতি গাড়িটি বাঁক ঘুরিয়ে অন্য পথে পালানোর চেষ্টা করে ।  সন্দেশ হওয়ায় পুলিশ ওই গাড়িটির পথ আটকায় । তখনই দু’জন গাড়ি থেকে নেমে পালায় । গাড়ির চার আরোহীকে পুলিশ ধরে ফেলে ।  এরপর  গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় আগ্নেআস্ত্র , বোমা ,গুলি সহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র । পরদিন বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তের প্রয়োজনে ৪ দিনের পুলিশ হেপাজতে  নেওয়া হয়েছে  । ”


অভিনব প্রতিবাদ মিছিল করলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে

No comments

Tuesday, January 28, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ২৮ জানুয়ারি 

ভারত ভূমি সর্ব ধর্মের মানুষের মিলন ক্ষেত্র । সিএএ ,এনআরসি লাগু করে সেই  মহামিলক্ষেত্রে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির চক্রান্ত চলছে ।  

তারই প্রতিবাদে সর্ব ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষজন এক হাতে  তাঁদের ধর্মিয় গ্রন্থ অন্য হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে  সোমবার অভিনব প্রতিবাদ মিছিল করলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে । সেই মিছিল প্রায় তিন কিমি পথ অতিক্রম করে । মিছিলে ছিলনা কোন রাজনৈতিক শ্লোগান । 

ছিল শুধু জাতীয় সংগীত ।গান্ধিজী , নেতাজী ও বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ছবি হাতে নিয়ে অনেক মানুষ  এবং  বর্ধমান আদালতের আইনজীবীরা   এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান । 


loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION