Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

করোনা মোকাবিলায় স্কলারশিপের টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেদিল জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র

No comments

Saturday, March 28, 2020





প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যে দৃষ্টান্ত গড়ল
 জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র শুভম ঘোষ।স্কলারশিপ বাবদ পাওয়া টাকার কিছুটা পড়াশুনার জন্য রেখেদিয়ে বাকি ৫ হাজার টাকা  শুভম দান করেদিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে । করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে মেধাবী ছাত্র শুভমের এমন ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রশাসনের কর্তারা  ।


পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়া গ্রামে   বাড়ি ছাত্র শুভম ঘোষের। তাঁর বাবা শৈলেন ঘোষ পেশায় চাষি। ছোট বয়স থেকেই শুভম পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী।সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়াশুনার জন্য  সে  ভর্তি হয় জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার সমস্ত স্কুল , কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার  নির্দেশ দেবার পর শুভম পাঁচড়া গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে ।শুভম জানিয়েছে ,বাড়িতে ফিরে এসে সে জানতে পারে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন।এমনটা জানার পরেই  সে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য মনস্থির করেফেলে।শুভম জানিয়েছে ,সে কলেজ থেকে স্কলারশিপ বাবদ যে অর্থ পেয়েছিল তার কিছুটা পড়াশুনার জন্য রেখেদিয়ে বাকি ৫ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় । শুক্রবার বিকালে জামালপুর  ব্লকের বিডিও অফিসে পৌছে বিডিওর সহযোগীতায় ৫ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করেছে বলে শুভম জানিয়েছে ।একই সঙ্গে সে এই কঠিন সময়ে সকলকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের সকল ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আবেদন  রেখেছে।


জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন ,মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার জন্য ছাত্র শুভম তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে  বিডিও অফিসে হাজির হয়। তার আবেদন শুনে মুখমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার কাজে তাঁকে সর্বতভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে । বিডিও বলেন, এই দূর্যোগের সময়ে নিজের স্কলারশিপের টাকা মু্খ্যন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে  দান করে শুভম শুধু যে দৃষ্টান্ত গড়লো এমনটাই নয়। শুভম ছাত্র সমাজের কাছেও ভাল বার্তা দিল । শুভম কে দেখে রাজ্যের অন্য ছাত্ররাও যদি অর্থ দান করে তবে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার আরো  নানা পদক্ষেপ গ্রহনে সক্ষম হবে ।

করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা এক কবিতা দেখেনিন এক ক্লিকে

No comments

Thursday, March 26, 2020


রোনা ভাইরাসের কবলে সারা বিশ্ব।মুক্তি পায়নি ভারতবাসীও।এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার সধারণ মানুষ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনও জারি রয়েছে।নচিকেতা চক্রবর্তীর কথায় "পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে,স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী।" হ্যাঁ ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে।যদি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয় তবে ঘরবন্দী হয়েই থাকতে হবে।এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করার লক্ষ্যে কলকাতা ৩৩ এর ৫৪/১০A দেশপ্রান শাসমল রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিপ্রা মন্ডল লিখলেন একটি কবিতা।


      একতাই   বল

    ভয়  পেয়ো  না  বঙ্গবাসী 
           সাহস  রাখো  মনে ,  
  একজোটে  আজ  লড়ব  মোরা 
        করোনা  ভাইরাসের  সনে । 
   ছাড়ব  নাতো  কাউকে  মোরা 
                  ধরব   কষে   হাল, 
   কেমন  করে  টলায়  দেখি ..
               করে  বেসামাল ? 
   বেরোবোনা  বাইরে   কেউ
            থাকব  সবাই  ঘরে ,
  সদাই  মোরা  সচেতন  থেকে 
        হাত  ধোবো  বারে  বারে ..
  বাড়িতে  কাউকে  ডাকব না আর 
                 যাব  না  কারো  ঘরে  , 
  লড়াই   করে  ভাইরাস   দেখি 
                জেতে   কেমন   করে ! 
  একটি   কথা   সবার  তরে 
                 শোন   দিয়ে   মন ..
  নিজের   মতো  চোলোনা  কেউ 
                বেরিয়ো না   এখন । 
   এই   কথাটি  মনে    রেখো  
                      একতাই    বল , 
  ভাঙতে  বাধ্য   হবেই   শত্রু 
                 যতই   হোক   অটল !  
   যদি    থাকো   এ   সঙ্কটে  
                    একসাথে  সকলে..
দেখবে  শান্ত  হবে  ধরা
              ভরবে ফুলে - ফলে।।

সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত এই শিক্ষক

No comments

Tuesday, March 24, 2020

ছবি :- ইন্টারনেট


চারিদিকে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ,সবাই ভীত সন্ত্রস্ত।সকলে গৃহবন্দি।স্কুল ও কলেজ বন্ধ।এই রকম পরিস্থিতে এক দিশা দেখালো বাংলার শিক্ষক কৃশানু পাল।।বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে বাসিন্দা।।পেশায় তিনি আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয় কলেজে গ্রন্থাগার কর্মী ও গৃহশিক্ষক।বাংলা গৃহ শিক্ষক হিসাবে পরিচিত অনেক দিন থেকেই।বিশেষ করে সাহায্য কারী শিক্ষক হিসেবে নামডাক প্রচুর।এই পরিস্থিতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত।নোটসকে পি.ডি.এফ বানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় কনফারেন্স কলের মাধ্যমেও শিক্ষাদান করছেন।এই রকম পরিস্থিতে কোনো ভাবে পড়াশোনা থেমে নেই ছাত্র-ছাত্রী দের।।শিক্ষকের এই রকম আন্তরিকতায় খুশি বহু পড়ুয়ারা।শুধু নিজ এলাকা বা নিজ জেলা নয় ভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে।বিশেষ ভাবে উপকৃত হচ্ছে কলেজ পড়ুয়ারা।
ছবি :- শিক্ষক কৃশানু পাল
কেশবপুর কলেজের এক ছাত্র সায়ন সরকার বলে,"কৃশানু স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের উপকারে দিনের বেশিভাগ সময় দিয়ে থাকেন,এতে আমরা খুব উপকৃত হই।"আর একদল কলেজ ছাত্রী মৌটুসী,রিঙ্কু,প্রিয়াঙ্কা বলে,"কলেজ বন্ধ,তবে ব্যাক্তিগত ভাবে এই মানবিক কৃশানু স্যার এর দৌলতে আমাদের পড়াশোনার কোনো ঘাটতি হচ্ছে না।" তবে শিক্ষক কৃশানু পাল বলেন,"শিক্ষাদান ই আমার কর্তব্য।ছাত্র-ছাত্রী রাই আমার জীবনের একটা অংশ,ওদের কিছু দিতে পারলে তবে আমার মনের শান্তি আসে।ওদের প্রয়োজনে আমি সব সময় আছি ও থাকবো।গরীব ছাত্র ছাত্রী যারা আর্থিক সমস্যার জন্য পিছিয়ে যায় পড়াশোনা হতে,তাদের পাশে আমি আছি ও থাকবো।"সমাজের মানুষজন সাধুবাদ জানিয়েছেন এই স্যার কে,বর্তমানে এই রকম অবস্থায় এই অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতির জন্য।

চাল ও আলু বিতরণের ক্ষেত্রে নজির গড়লো কলকাতার দেশপ্রান রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়

No comments

Monday, March 23, 2020



কৃষ্ণ সাহা ( কলকাতা ) :-  চাল ও আলু বিতরণের ক্ষেত্রে এইবার নজির গড়লো কলকাতা ৩৩ এর ৫৪/১০A দেশপ্রান শাসমল রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কারফিউ জারির পর লকডাউন ঘোষণা।কি খাবে সাধারণ মানুষ? বারংবার উঠেছে এই প্রশ্ন।তার জন্যই মুদিখান,মাছ মাংস সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান  খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়ীর বাইরে বেরোনো নিষিদ্ধ।জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত রাস্তায় বেরোলে জেল জরিমানার  মুখে পড়তে হবে। তবু বাঁচাতে হবেই এই মারণ ভাইরাসের কবল থেকে। তাই এমন উদ্যোগ।
রাজ্য সরকারের নির্দেশে প্রাইমারি এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের চাল বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সংযুক্তা রায়।প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রী পিছু দু কেজি চাল ও দু কেজি করে আলু বিতরণ করার কথায় ধার্য করা হয়েছে।প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত ছাত্রছাত্রী পাবে এই পরিষেবা।চাল ও আলু বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ শিক্ষক শিক্ষিকারা। হাতে হাত মিলিয়েছেন তারাও।


ভারতে COVID 19 এ আক্রান্তের সংখ্যা চারশো ছাড়িয়েছে।মৃত্যুও হয়েছে বেশ কিছু জনের।অন্যান্য দেশগুলিতে এর প্রভাব আরও বেশি।হসপিটাল নার্সিংহোম গুলিতে বেশি সংখ্যায় ডাক্তার নার্স নিয়োগ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের নির্দেশানুসারে,বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।গৃহবন্দী থেকেও যাতে তাদের সুস্থ জীবনযাপনে কোনো বিঘ্ন না ঘটে তার জন্যই এমন ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এর আগেও সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্য সরকার সহ কেন্দ্রীয় সরকার।তারই মধ্যে বিনামূল্যে রেশন ও ছাত্রছাত্রীদের  চাল আলু বিতরনের বিষয়টি বিশেষ ভাবে নজর কাড়ে।

ওঁয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হল চাল ও আলু বিতরণ

No comments

নিজস্ব প্রতিনিধি ( খন্ডঘোষ ):- পূর্ব বর্ধমান জেলার খন্ডঘোষ ব্লকের অন্তর্গত ওঁয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হল চাল ও আলু বিতরণ।মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রদত্ত নির্দেশে রাজ্যে প্রাইমারি এবং হাইস্কুল গুলিতে চলছে এই কর্মসূচী।এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীরা। মাথাপিছু দুই কেজি করে চাল ও আলু দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওঁয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ তোজামুল হক। ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাসিনুজ্জামাল বলেন,তাদের প্রাপ্য এই চাল ও আলু শুধু মাত্র অভিভাবকদের হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
COVID 19 এর দাপটে কাঁপছে সারা বিশ্ব। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন প্রত্যেকেই।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ষোলো ঘণ্টা কারফিউ জারি থাকার পড়ে আবারও তেইশ তারিখ বিকাল পাঁচটা থেকে সাতাশে মার্চ পর্যন্ত সারা ভারতে লকডাউন।এখনও পর্যন্ত সুস্থ মানুষদের মধ্যে যাতে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়ে না পরে তার জন্যই এই ব্যবস্থা।তবে খোলা থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান। রাজ্যের মানুষদের কথা চিন্তা করেই মুখ্যমন্ত্রী বিনামূল্যে রেশন এবং স্কুলগুলিতে চাল আলু বিতরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আর এই নির্দেশকে মান্যতা দিয়েছে সাধারণ মানুষ।

করোনা আতঙ্কের মাঝে পূর্ব বর্ধমানে অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র খোলা থাকা নিয়ে উদবেগে অবিভাবকরা

No comments

Monday, March 16, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- মারণ ভাইরাস করোনা সতর্কতায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত  রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল রাজ্য সরকার।সোমবার ফের ঘোষনা করা হয় ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে  রাজ্যের  সমস্ত  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।পূর্বের নির্দেশ মেনে এদিন  পূর্ব বর্ধমানের সমস্ত স্কুল,কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে । কিন্তু  নির্দেশ না মেলায় এদিন দিব্যি চালু থাকে জামালপুর সহ জেলার  অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রগুলি।এদিন সকালেই খুদে পড়ুয়া সহ দিদিমনিরা হাজির হয়েযান সেন্টারে।খুদে পড়ুয়াদের পড়ানো ও সেন্টারে  খাবার রান্না করে খাওয়ানো সবই চললো  নিয়ম মেনেই ।এই ঘটনা নিয়ে উদবেগ বেড়েছে পড়ুয়াদের অবিভাবকদের । অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দের দিদিমনিরা জানিয়েছেন 
,অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হবে না খোলা রেখে কাজ চালিয়ে যেতে হবে এমন কোন নির্দেশিকা এখনও তারা হাতে পান নি । কি করবেন সেই বিষয়ে  সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েগেছেন। জামালপুরের বকুলতলার অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের দিদিমনি অভয়া অধিকারী এদিন জানান ,প্রশাসনের কর্তারা  কি সিদ্ধান্তের কথা জানান এখন সেদিকেই তারা সকল  দিদিমনিরা  তাকিয়ে রয়েছেন । 
কোরানা ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে  গোটা বিশ্ব ।মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এদিনই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে আউশগ্রামের এক বাসিন্দাকে বর্ধমান  মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন  ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে । করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভাতারের নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের  সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন । সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রাজ্য সরকারের নির্দেশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,এস এসকে , এম এসকে এমনকি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ী বিষয়ে সুষ্পষ্ট কোন নির্দেশিকা না থাকায় বাধ‍্য হয়েই সেন্টার চালাচ্ছেন দিদিমনিরা । অন্যদিকে  রাজ্য সরকারের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জামালপুরে কয়েকটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেও ছুটি ঘোষণা করেনি  । এদিন সেইসব স্কুলে পঠন পাঠন  জারি রাখা হয় । এমনই একটি বেসরকারী স্কুলের শিক্ষক সৈয়দ আবুল ইসলাম এদিন বলেন অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন স্কুল খোলা রাখা হবে না বন্ধ করে দেওয়া হবে। 
যদিও এদিন বিকালে  মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পরেই জামালপুর  ব্লকের বিডি শুভঙ্কর মজুমদার  জানিয়েদেন অঙ্গনওয়ড়ী সহ সরকারী বেসরকারী সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে  হয়ে । বাচ্চাদের খাবার বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে । অন্যথা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । 

মেমারিতে বিদ্যালয়ের জতুগৃহে বসেই পঠন পাঠন চালিয়ে যেতে হচ্ছে পড়ুয়া ও শিক্ষককে

No comments

Friday, March 6, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বিদ্যালয় তৈরি হলেও পরিকাঠামোর কোন উন্নতি না হওয়ায় জতুগৃহে পরিণত হয়েছে শ্রেণীকক্ষ। গোটা বিদ্যালয় চালান একজন মাত্র অতিথি শিক্ষক । আতঙ্ক বুকে নিয়ে জতুগৃহে  বসেই নিত্যদিন  ক্লাস করতে হয় পড়ুয়াদের । তাও আবার এমনই শ্রেণীকক্ষ যার ব্ল্যাক বোর্ডের নিচে রাখা থাকে গ্যাস  সিলিন্ডার । আর শ্রেণীকক্ষের বাইরে দরজার মুখে  চলে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে মিডডে মিলের  রান্না। কোন সরকারি বিদ্যালয় এমন হতে  পারে তা শুনে সবার  অবাক লাগাটাই স্বাভাবিক ।কিন্তু  বাস্তবেই এমন করুণ দশা তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের  মেমারির জনতা হিন্দি জুনিয়ার হাই স্কুলের। কবে জতুগৃহ দশা কাটিয়ে এই বিদ্যালয়টি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে তার উত্তর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আজানাই রয়ে গিয়েছে । 


মেমারি পুরসভার কৃষ্ণবাজার এলাকায়  রয়েছে জনতা হিন্দি জুনিয়ার হাই স্কুল। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি । সেই থেকে এখনো পর্যন্ত  অনেক শ্রেণীকক্ষে জানালা থাকলেও নেই  কাঠের দরজা । ইটের দেওয়ালে পালেস্তারা বলেও কিছু নেই ।নেই  মিডডে মিল রান্নার নির্দিষ্ট ঘরও । বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ষষ্ঠ থেকে অষ্টম পর্যন্ত পঠন পাঠন হয় । ৭০ জন পড়ুয়ার পঠন পাঠন এবং বিদ্যালয় পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব সবকিছুই সামলান  একজন মাত্র শিক্ষক। তাও আবার অতিথি শিক্ষক । অভিযোগ ২০১৬  সাল থেকে  বিদ্যালয়ের এমনই অবস্থা হয়ে রয়েছে । পড়ুয়াদের  স্বার্থে এই অবস্থার পরিবর্তন চেয়ে   প্রশাসনের নানা মহলে দরবার করেছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অবিভাবকরা। কিন্তু আজ অবধি কোন সুরাহার ব্যবস্থা  হয়নি । 
বিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক বালচাঁদ রাম জানিয়েছে , শিক্ষক ঘাটতির জন্য  পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।তিনি ষষ্ঠ শ্রেণীতে ক্লাস  নিতে গেলে ঠায় বসে থাকতে হয় সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের। দিনের পর দিন এমন অবস্থাই মেনেনিতে হচ্ছে । অতিথি শিক্ষক আরো বলেন ,তিনি একা  তিনটি শ্রেণীর  ৭০ জন পড়ুয়াকে  যথাযোগ্য ভাবে পাঠদান করে উঠতে পারছেন না। তাও যতটা সম্ভব  হিন্দিভাষী পড়ুয়াদের যথাযথ শিক্ষাদানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অবিভাবকরা বলেন ,  ছেলে মেয়েদের  বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় । এই অবস্থার কথা  এস.আই ছাড়াও  ডি.আই স্কুল এবং জেলাশাসক কে বহুবার জানানো হয়েছে  কিন্তু  সুরাহার কোন ব্যবস্থা  হয়নি ।এদিন বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণীকক্ষে  গিয়ে দেখাগেল শ্রেণিকক্ষের এক দিকে মুখকরে বসে রয়েছে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়ারা ।

 
একই শ্রেণীকক্ষের অপর দিকে  মুখ করে  আবার বসে  রয়েছে অষ্টম  শ্রেণীর পড়ুয়ারা । অতিথি শিক্ষক একবার একদিকে গিয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছেলে মেয়েদের পড়াচ্ছেন । তখন বসে থাকছে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা। এরপর আবার অন্য মুখে গিয়ে ওই  শিক্ষকই যখন অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের পড়ানো শুরু করলেন তখন ঠাস  বসে থাকলো সপ্তম  শ্রেণীর পড়ুয়ারা । আরো দেখাযায় শ্রেণীকক্ষের  ব্ল্যাকবোর্ডের ঠিক নিচে রাখা রয়েছে গ্যাস  ভর্তি সিলিন্ডার । আর সেই সিলিন্ডারের উপরে ব্ল্যাকবোর্ডটি দাঁড় করিয়ে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে । শ্রেণীক্ষের দরজার ফুটখানেক দূরত্বে গ্যাসের ওভেন জ্বালিয়ে রান্না করা হচ্ছে মিড ডে মিল ।শ্রেণীকক্ষের ভিতরেই ডাঁই  করে রাখা হয়েছে  মিড ডে মিলের যাবতীয় সামগ্রী । বছরের পর বছর  পরিকাঠামোর কোন উন্নতি না হওয়ায় কার্যত এমন জতুগৃহে বসেই পঠন পাঠন চালিয়ে যেতে বাধ্য হতেহচ্ছে  পড়ুয়াদের । তারা জানিয়েছে বিদ্যালয়ে এসে তাদের আতঙ্কের মধ্যেই থাকতে হয় । অন্যদিকে  মিডডে মিলের রাঁধুনিরাও এদিন স্বীকার করেনেন ,‘অঘটন যেকোন সময়েই ঘটেযেতে পারে । তবে যদি অঘটন ঘটে তবে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে । 
বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক (দক্ষিণ)সুদীপ ঘোষ জানিয়েছেন , বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয় । স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবস্থার রিপোর্ট  নিয়ে  সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা  হবে । মেমারর বিধায়ক নার্গিস বেগম জানিয়েছেন , বিদ্যালয়ের  সমস্যা সমাধানের বিষটি নিয়ে  তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন । দ্রুত যাতে এই অবস্থার বদল ঘটানো যায় তার চেষ্টাও চালাবেন । 


২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হলো সেহারাবাজার রহমানিয়া আল আমিন মিশনে

No comments

Friday, February 21, 2020


সেহারাবাজার ( সেখ সফি কামাল ) :- শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হলো সেহারাবাজার রহমানিয়া আল আমিন মিশনে।জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর কেরাতপাঠ ও কবিতা আবৃত্তি করেন মিশনের ছাত্ররা।এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান ছন্দমের প্রিন্সিপাল মেহবুব হাসান, বাংলা দেশ থেকে আগত  বর্ধমান ইউনিভার্সিটির ইন্টার নাশানাল  স্টুডেন্ট আসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সেহারাবাজার রহমানিয়া আল আমিন মিশনের সভাপতি বদরুল আলম,মি‌শনের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, সেহারবাজার রহমানিয়া ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সহ সম্পাদক আশরফ আলি,প্রধান শিক্ষক মহঃ সেলিম সহ মিশনের সকল শিক্ষক এবং ছাত্ররা। 
মিশনে আগত অতিথি ও মিশনের শিক্ষকগন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে মিশনের ছাত্রদের কাছে বিস্তারিত আলোচনা করেন। মিশনে আগত অতিথিদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি দুই সাংবাদিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মিশনের পক্ষ থেকে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল আসানসোল জেলা গ্রন্থাগারে

No comments

 থাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হল আসানসোল জেলা গ্রন্থাগারে | আয়োজক জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর,পশ্চিম বর্ধমান | ব্যবস্থাপনায় জেলা গ্রন্থাগার ও বাংলাবিদ্যাসভা | উপস্থিত ছিলেন মেয়র পারিষদ অভিজিৎ ঘটক, জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক তমেজিৎ চক্রবর্তী, জেলা তথ্য আধিকারিক ও অন্যান্য সম্মানীয় ব্যাক্তিবর্গ |

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র পারিযদ শতাব্দী প্রাচীন ইস্টার্ন রেলওয়ে বয়েজ স্কুলকে বাংলা মাধ্যম স্কুল থেকে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পরিবর্তনের জন্য রেলের সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন| তিনি বলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যখন উর্দু, সাঁওতালি, কুরমালি ভাষায় পঠনপাঠন চালু করছেন, নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠা করছেন, মানভুম আকাদেমি, রাজবংশী আকাদেমী, কামতাপুরী আতাদেমি প্রতিষ্ঠা করছেন তখন আসানসোলের মতো মিনি ভারতবর্ষে  ঐতিহ্যবাহী বাংলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উদ্বেগের | সম্প্রতির নীতিতে বিশ্বাসী সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে|


মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনে রাস্তায় গাড়ি আটকে জোরজবস্তি শিবরাত্রী পুজোর চাঁদা আদায়

No comments

Wednesday, February 19, 2020


বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি  রাস্তায়  গাড়ি আটকে চলছিল জোরজবস্তি  শিবরাত্রি পুজোর চাঁদা আদায়।নিষেধ সত্ত্বেও বুধবার  মাধ্যমিকের ইংরাজি পরীক্ষার দিন একই ভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেফতার হল এক যুবক ।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পিপলনে। মন্তেশ্বর থানার পুলিশের 
হাতে ধরা পড়া ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ ঘোষ । তাঁর বাড়ি পিপলন ঘোষপাড়া এলাকাতে।
এদিকে চাঁদা আদায়কারীকে গ্রেফতারের  প্রতিবাদ জানাতে এদিন দুপুর ১টা নাগাদ  আবার এলাকার কিছু লোকজন পিপলনে সড়ক পথ অবরোধ করে ।তা নিয়ে সাধারণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়ায় ।এরপরেই  পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে কিছু সময়ের মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা  অবরোধ তুলেনিতে বাধ্য হয়। চাঁদা আদায়কারী ও পথ অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে এদিন তীব্র নিন্দা উগরে দিয়েছেন শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীদের অবিভাবকরা । যদিও বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন জোরজবস্তি চাঁদা আদায়ের অভিযোগ সত্য নয় । 
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , মন্তেশ্বরে পিপলনে মালডাঙ্গা-মেমারি সড়কপথের অদূরেই রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র। এদিন  সেই পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছাকাছি রাস্তায় গাড়ি আটকে কিছু লোকজন শিবরাত্রি পুজোর চাঁদা  আদায় করা শুরু করে ।সেই খবর  মন্তেশ্বর থানার পুলিশের কাছে পৌছায় ।পরীক্ষার্থী ও অবিভাবকদের অসুবিধায় পড়তে হবে বুঝে পুলিশ চাঁদা তোলা বন্ধ করার কথা তাদের জানিয়েদেয়। অভিযোগ পুলিশের সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদা আদায়কারীরা সড়ক পথে গাড়ি আটকে চাঁদা তোলা চালিয়ে যেতে থাকে । এরপরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এক চাঁদা আদায়কারীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়েযায় ।
অভিভাবক সিদ্ধার্থ সোম,পরাণ হাজরারা প্রমুখ বলেন, ‘মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলিতে সড়কপথে গাড়ি আটকে  চাঁদা আদায় চলতে থাকলে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তো । পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে পুলিশ সঠিক কাজই করেছে । ’


কাটোয়াতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে অভিনব উদ্যোগ

No comments

Tuesday, February 18, 2020



রাহুল রায় ( কাটোয়া ) :- ঙ্গলবার থেকে শুরু হল ২০২০ র মাধ্যমিক পরীক্ষা। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে অভিনব উদ্যোগ কাটোয়া ২নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কভার ফাইল,পেন,একটি করে জলের বোতল পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত মজুমদার,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী নিষাদ সামন্ত,কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল নেতা পিন্টু মন্ডল,জেলা পরিষদের সদস্য তুষার সামন্ত,কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অচিন্ত্য মন্ডল,বিদ্যালয়ের সভাপতি মহাবিষ্ণু শর্মামন্ডল সহ প্রমুখ।কাটোয়া ২নং ব্লকের করুই অঞ্চলের মেঝিয়ারী সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মেঝিয়ারী সতীশ চন্দ্র স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯১ জন। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের জন্য পাণীয় জল ও চায়ের ব্যবস্থা করা হয়। জানিয়েছেন দেওয়া। কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের এইরকম উদ্যোগে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।



ছুটি উপভোগ করতে ২৩ জানুয়ারির বদলে ২২ জানুয়ারি নেতাজীর জন্মদিনপালন করে জনরোষের মুখে পড়লেন শিক্ষকরা

1 comment

Thursday, January 23, 2020




প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ২৩ জানুয়ারি 

ছুটি অপভোগ করার অভিপ্রায়ে বিদ্যালয় শিক্ষরাই বদল ঘটিয়েদেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম তারিখের।২৩ জানুয়ারির  পরিবর্তে ২২ জানুয়ারি খুদে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে শ্রেণীকক্ষের ভিতরে  নেতাজীর জন্মদিন পালন করে দায় সারেন শিক্ষকরা। পূর্ব বর্ধমানের  জামালপুর  ব্লকের কোলসরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  শিক্ষকদের এমন কীর্তির কথা জানাজানি  হতেই  ক্ষোভ বিক্ষোভ   মাত্রা ছাড়ায়  দেশবরেন্য বিপ্লবী নেতাজী সুভাষ  চন্দ্র  বসুর প্রতি এই অবমাননা মেনেনিতে পেরেননি  কোলসরা গ্রামের  বাসিন্দারা ।তাঁরাই  শ্রদ্ধা সহকারে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে  বৃহস্পতিবার  সকালে  বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে নেতাজীর ১২৩ তম জন্মদিন  পালন  করলেন। পরে অনেটা বেলায় ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দিতে দুই শিক্ষ বিদ্যালয়ে পৌছালে তাঁরা কার্যত গ্রামবাসীদের ঘাড়ধাক্কা খেয়ে  বিদ্যালয় ছাড়তে বাধ্য হন ।  ছুটি কাটাতে ব্যস্ত অপর দুই শিক্ষক অবশ্য এদিন  বিদ্যালয়ে গড় হাজিরই থাকেন । গ্রামবাসীরা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন  নেতাজীর প্রতি অবমাননার ঘটনায় জড়িত বিদ্যলয়ের  শিক্ষরা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন । 

বর্ধিষ্ণু গ্রাম হিসাবেই পরিচিত জামালাপুর ব্লকের  আবুজহাটি ২ পঞ্চায়েত এলাকার কোলসরা গ্রামটি । ১৯৬৮ সালে এই গ্রামেই প্রতিষ্ঠিত হয় কোলসরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ।  
সময় গড়ানোর  সাথে সাথে গড়িমা বাড়ে বিদ্যালয়ের । প্রথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন জারি থাকা এই বিদ্যালয়ে 
ছাত্রী ছাত্রী বর্তমানে একশোর কাছাকাছি । 
বিদ্যালয়ের  শিক্ষক শিক্ষিকা সংখ্যা চারজন । 
দেশের বরেন্য বিপ্লবী ও মনীষীদের সম্পর্কে শ্রদ্ধা জাগাতে বিদ্যালয়ের  দেওয়ালে আাঁকা রয়েছে কবিগুরু  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ,ঈশ্বরচন্দ্র  বিদ্যাসাগর ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ছবি । সেই ছবির পাশের লেখা হয়েছে তাঁদের  মূল্যবান বাণী ।এমন বিদ্যলয়ে  নেতাজীর প্রতি অবমাননা কোন ভাবেই  মেনেনিতেন পারছেন অবিভাবক গ্রামবাসী এমনকি  বিদ্যালয় পরিরিচালন কমিটির সভাপতিও । 


কোলসরা গ্রামের বাসিন্দা সুদীপ্ত বন্দোপাধ্যায়, অরুনাভ পাল প্রমুখরা বলেন , গোটা দেশবাশী  জানেন নেতাজীর জন্ম তারিখ ২৩ জানুয়ারি।  
পাঠ্য পুস্তক পড়ে সেটাই জেনে আসছে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। এতসব কিছুর পরেও শুধুমাত্র ছুটি কাটানোর অভিপ্রায়ে পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করে বুধবার অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি শিক্ষরা বিদ্যালয়ে  নেতাজীর জন্মদিন পালন করেছে  । জাতীয় পতাকা না তুলে চুপিসাড়ে  বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে দায়সারা ভাবে নেতাজীর জন্মদিন সারা হয় । এরপরে ওইদিনই শিক্ষকরা পড়ুয়াদের জানিয়েদেন  বৃস্পতিবার ছুটি থাকবে বিদ্যালয় । সুদীপ্ত বাবু   অন্য গ্রামবাসীরা অভিযোগে বলেন, শুধুমাত্র ছুটি কাটানোর জন্য নেতাজীর জন্ম তারিখ নিয়ে পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করলেন  গুনধর  শিক্ষক শিক্ষিকারা। এমনটা তাঁরা কেউ মেনেনিতে পারেন নি । তাই  দেশবরেন্য বিপ্লবীর প্রতি  ছাত্র ছাত্রীর যাতে  শ্রদ্ধাশীল থাকে সেই দায়িত্ব  নিজেরাই  কাঁধে তুলে নেন ।পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে এদিন বন্ধ থাকা  বিদ্যালয়ের  প্রাঙ্গনে নেতাজীর ফটোতে  মালা পরিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তলনের  মধ্যদিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান । 


এদিকে গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের  ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে এদিন  বেলা ১১ টা নাগাদ প্রাধন শিক্ষিকা ইন্দ্রা লাহা বিদ্যালয়ে হাজির হন । অপর এক শিক্ষক  সোমনাথ দাস বেলা  ১২ টা নাগাদ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন । সুদীপ্ত বাবু বলেন , গ্রামবাসীরা  দুই শিক্ষকের কাছে জানতে চান কেন ২৩ জানুয়ারির পরিবর্তে  ২২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে নেতাজীর জন্মদিন পালন করে  এই দিনটিতে ছুটি ঘোষনা করা হয়েছিল ? দুই শিক্ষকের কেউই এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে  না পারায় গ্রামবাসীরা তাঁদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা ঊগরে দেন । বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি অঞ্জনা পাল বলেন,নেতাজীর প্রতি  চুড়ান্ত অবমাননার ঘটনা ঘটিয়েছেন  বিদ্যালয়  শিক্ষকরা।ওনারা ক্ষমার অযোগ্য  অপরাধ করেছেন । এই ঘটনা নিয়ে প্রধান শিক্ষিকা  সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখে কুলুপ অাঁটলেও  ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেনেন অপর শিক্ষক সোমনাথ দাস । 

22 জানুয়ারি শ্রেণিকক্ষে নেতাজির জন্মদিন পালন করা হচ্ছে
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন , এদিন  বিদ্যালয়ে কোন ছুটি থাকেনি । নিয়ম করে বিদ্যালয়ে নেতাজীর জন্ম জয়ন্তী পালনের কথা ছিল । তা করা না হয়ে থাকলে অন্যায় হয়েছে । খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । 



দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রদর্শনী মেলা

No comments

Sunday, January 19, 2020



পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রদর্শনী মেলা। এই মেলাতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র নিয়ে স্টল বসাই এবং বিক্রিও করে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে তাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম আসবাবপত্র কেনেন ,কথায় বলা যায় এদিন দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছিল বিক্রেতা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছিলেন ক্রেতা, 

এছাড়াও বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া ও মেধা ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীদিনের ব্যবসা সম্পর্কে সচেতন ও কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে তারই একটা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনী মেলা।

খন্ডঘোষ থেকে মীর ওজলের রিপোর্ট


বসে আঁকো প্রতিযোগিতার দিন পরিবর্তন

No comments

Saturday, January 18, 2020




পূর্ব বর্ধমানের উচালন উৎসব 2020 (6 তম) বর্ষের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা টি আগামী 19/1/2020( রবিবার) বেলা 10 টায় উচালন ফুটবল মাঠে মেলা প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। 

: আগ্রহী সমস্ত শিল্পীদের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উচালন উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য- অঙ্কন প্রতিযোগিতা টি 2 দিন এর পরিবর্তে একদিন নেওয়া হবে আগামী 19/1/2020 রবিবার সকাল 10 টায়।

কথাশিল্পির দেবদাস উপন্যাস কে আঁকড়ে ধরে বর্ধমানের হাতিপোতা গ্রামে শুরু হল দেবদাস স্মৃতি মেলা ।

No comments

Thursday, January 16, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি

বাংলা সাহিত্যে চির অমর হয়েরয়েছে কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা  ‘দেবদাস’ উপন্যাস“ । কথিত আছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রাম থেকেই এই উপন্যাস লেখার রসদ খুঁজে পেয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  । সেই বিশ্বাসে  ভরকরেই  “দেবদাস” কে চিরস্মরণীয়  করে রাখতে হাতিপোতা গ্রামের মানুষজন প্রতিবছরই ‘দেবদাস স্মৃতি মেলার ’ আয়োজন করে আসছেন ।  বৃহস্পতিবার ২০ তম বর্ষের  দেবদাস স্মৃতি মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের  মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা ।  উৎসব  আগামী সোমবার  পর্যন্ত চলবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন । 
                        

আয়োজকদের তরফে রেজাউল  মোল্লা এদিন জানালেন , কথাসাহিত্যিকের ‘দেবদাস’ উপন্যাসে অন্তিম অনুরোধে ছিল-“তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও ”সেই প্রার্থনাতে সাড়া দিয়েই  জাঁকজমক  পূর্ণভাবে প্রতিবছর  উৎসবের আয়োজন করা হয় ।  হাতিপোতা  গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা এদিন জানান , হাতিপোতা গ্রামের প্রাক্তন জমিদার  ছিলেন  ভুবনমোহন চৌধুরীর।  তাঁর  দ্বিতীয় স্ত্রী তালসোনাপুরের ‘পার্বতী-ই’ দেবদাস উপন্যাসের নায়িকা। প্রবীনরা আরো   বলেন উপন্যাসের একাংশে উল্লেখ রয়েছে  , “পার্বতীর পিতা কাল বাটি ফিরিয়াছেন।এই কয় দিন তিনি পাত্র স্থির করিতে বাহিরে গিয়াছিলেন।প্রায় কুড়ি-পঁচিশ ক্রোশ দূরে বর্ধমান জেলার হাতিপোতা গ্রামের জমিদারই সেই পাত্র”।উপন্যাসের কাহিনীর এই অংশে  প্রকাশ পেয়েছে  বাস্তবের হাতিপোতা গ্রামের  নাম ।  এমনটাই  দাবি করছেন  এলাকার প্রবীন বাসিন্দারা  । হাতিপোতা গ্রামের  বাসিন্দারা আজও মনেকরেন  ১৮৯৫-১৯০০ সালের মধ্যে শরৎচন্দ্র নিজেই নদীপথে এসেছিলেন তাঁদের  গ্রামে।


উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য আবজেদ সেখ  বলেন,কথাশিল্পির দেবদাস উপন্যাসের দৌলতেই ধন্য হয়েছে হাতিপোতা গ্রাম । একই সঙ্গে বেড়েছে  হাতিপোতা গ্রামের  গুরুত্ব।  তাই এই উপন্যাসকে পাথেয় করেই প্রতিবছর হাতিপোতা গ্রামে দেবদাস স্মৃতি মেলার আয়োজন করা হয়ে আসছে ।





জেএনইউ এর ঘটনার প্রতিবাদে স্বোচ্চার হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা

No comments

Tuesday, January 7, 2020

students-professors-Burdwan-University-protest-JNU incident

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান 

মুখ ঢাকা দিয়ে জেনএনইউ তে ঢুকে দুস্কৃতীদের  তান্ডব চালানোর ঘটনার  প্রতিবাদে  স্বোচ্চার হল  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও ছাত্র ছাত্রীরা  সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়  ধিক্কার মিছিল।বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক,গবেষক,ছাত্র-ছাত্রী ও আধিকারিকরা এদিনের  ধিক্কার মিছিল পা মেলান ।রবিবার জেএনইউ তে যে তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা করে লেখা নানা পোস্টার ও  ব্যানার সঙ্গেনিয়ে ধিক্কার  মিছিল সংঘটিত হয় ।
students-professors-Burdwan-University-protest-JNU incident
গোলাপবাগ ক্যাম্পাস ঘুরে হিউম্যানেটিজ বিল্ডিংয়ের কাছে পৌছে শেষ হয় মিছিল ।তৃণমূল কংগ্রেস ও  বিভিন্ন  বামপন্থী সংগঠনের পক্ষ থেকেও এদিন  পূর্ব বর্ধমানের  মেমারি , রায়না সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে  জেএনইউ এর ঘটনার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল বের করা হয় । রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের নেতত্বে   বর্ধমান শহরে হয় ধিক্কার  মিছিল ও  সভা । গ্রামের বহু সাধারণ মহিলা এই দুই দলের  ধিক্কার  মিছিলে পা মেলান। 
students-professors-Burdwan-University-protest-JNU incident

ছাত্র ছাত্রীদের সাথেই এদিনের বিক্কার মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির গবেষক  সাদ্দাম হোসেন মন্ডল, ইংরাজি বিভাগের আফ্রোজ জাহান, স্নেহা প্রসাদ সহ আরও অনেকেই। এনারা সবাই  বলেন, ‘জেএনইউ তে রবিবার যে  ঘটনা ঘটেছে তার  তীব্র নিন্দা করেন । একই সঙ্গে বলেন এই ঘটনার কথা জেনে  আমরা আতঙ্কিত । শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা কোন ভাবেই  মানা যায়না’।  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগে অধ্যাপক অংশুমান কর বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে মুখ   ঢেকে যারা জেএনইউ  তে তাণ্ডব চালালো  তারাই   আসলে ভীত। তবে ভয় দেখিয়ে তান্ডব চালিয়ে স্বাধীন চিন্তা ও প্রতিবাদী কন্ঠ কে কোনভাবেই রুদ্ধ করা যাবে না। প্রতিবাদ আগামীদিনে আরো জোরদার হবে ।

JNU তে ছাত্রদের উপর হামলার ও সোচ্চার মহানগর বিক্ষোভ এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন

No comments

দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় সোচ্চার মহানগরী কলকাতা। এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও -র পক্ষ থেকে এদিন বিক্ষোভ সংগঠিত হয় কলকাতার রাজপথে।প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হয় সেখানে বিক্ষোভ দেখান ডিএসও-র সদস্যরা।

protests-against-students-JNU-student-organizations-sfi
সেখান থেকে মিছিল করে কলেজস্ট্রিট মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধও করে তারা।এ দিনের কর্মসূচি থেকে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। বিজেপি এবং আরএসএস এর মদতে গেরুয়া শিবির দিল্লির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দের উপর আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে এবং এনআরসির বিরুদ্ধে আগামী জানুয়ারি দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এ আই ডি এস ও।

অ্যাসিড হামলাও যাঁদের দমাতে পারেনি, জেনে নিন তাদের সম্পর্কে

No comments

Wednesday, December 11, 2019


অ্যাসিড মেরে জীবন শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু রূপা, মধু, শবনম, খুশবুরা প্রমাণ করে দিয়েছেন, জীবনকে জিতে নেওয়া যায়। তাঁদের কাফে এখন বেঁচে থাকার আর এক নাম।

কাফে শিরোস

আগ্রার শিরোস হ্যাংআউট তৈরি হয়েছে এক দল অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে নিয়ে। কাফে তৈরি থেকে পরিচালনা, সবটাই তাঁরা করেন।
জীবনযুদ্ধ

যুদ্ধটা সহজ ছিল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময়ে অ্যাসিড হামলার মুখে পড়েছিলেন এই মহিলারা। বিকৃত হয়ে গিয়েছে মুখ। এক সময় তাঁরা ভেবেছিলেন, শেষ হয়ে গিয়েছে জীবন।


লড়াইয়ের শুরু

খাদের কিনারা থেকে সেই মেয়েদেরই তুলে আনে একটি সংস্থা।তাঁদের বোঝানো হয় রূপ আসলে মনে। একটা অ্যাসিড হামলায় জীবন শেষ হয়ে যেতে পারে না। বরং প্রমাণ করে দিতে হবে, এর পরেও মূলস্রোতের সমাজে ফিরে আসা যায়।
নতুন জীবন
শিরোস কাফে নতুন জীবন দিয়েছে ওই মহিলাদের। নিজেদের হাতে একটু একটু করে তৈরি করেছেন তাঁরা এই অসামান্য কাফে।

কেন কাফে
অনেকেরই প্রশ্ন, কাফে কেন? শিরোসের বক্তব্য, কাফেতে নানা ধরনের মানুষ আসেন।খেতে, গল্প করতে। তাঁদের সঙ্গে অ্যাসিড হামলার শিকার নারীদের একটা সম্পর্ক তৈরি করাই উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য ইতিমধ্যেই সফল হয়েছে। আরো কাফে খোলার পরিকল্পনা চলছে।
এটাই স্বাধীনতা

নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে আক্রান্ত মহিলাদেরও। শুধু কাফেতেই কাজ নয়, তাঁরা এখন ফ্যাশন শোতেও যোগ দিচ্ছেন। সমাজের নানা ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিভাগের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়

No comments

Monday, December 9, 2019


প্রতিনিধি কৃষ্ণ সাহা

চতুর্থ আঞ্চলিক বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি কংগ্রেস শুরু হল পূর্ব বর্ধমান শহরের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের উদ্যোগে এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায়  এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।

অন্যদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ , আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় , বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা প্রমুখ। এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে দেশ ও রাজ্যের বহু বিজ্ঞানী ও গবেষক অংশ নিচ্ছেন। বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, ‘‌ আশানুরূপ বিজ্ঞান চর্চা হচ্ছে  ।

এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে । কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া মানুষের সভ্যতা অগ্রসর হতে পারত না। ভয় থেকেই জন্ম নেয় কুসংস্কার। বিজ্ঞান চেতনার অভাব একটি দেশের উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা।

এই প্রতিবন্ধকতাকে দূর করার লক্ষ্য নিয়েই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দিকে তাকিয়ে আছি। আপনাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান এই কংগ্রেসে পেশ করবেন। দিশা দেবেন আমাদের রাজ্যকে। আমি নিশ্চিত এখানে যে সব গবেষণাপত্র পাঠ করা হবে তা থেকে আমরা সমৃদ্ধ হব।’‌

তিনি আরও বলেন, ‘‌সারা রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে। সেই কর্মযজ্ঞে আপনাদের অংশগ্রহণ ও পরামর্শ ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। বিজ্ঞানের সঙ্গে রাষ্ট্রনীতির একটা সমন্বয় সুসম উন্নতির জন্য খুবই প্রয়োজন।

অন্যদিকে , এদিন বেলা 11 টা সময় scince congress এর অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায় আসার কথা ছিলো ।  কিন্তু কোনো কারণে তিনি ওই সময় আসতে পারেননি,ফলে সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উন্মাদনা ছিল তা বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই কমতে থাকে।

পর্ণশ্রীর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষমার্গ রোডের বাসিন্দা কেয়া দাস দীর্ঘদিন ধরে শশুর বাড়ীতে নির্যাতনের শিকার।

No comments

Sunday, December 8, 2019


অভিযোগ প্রায় নিত্যদিন কেয়া দাসের উপর অত্যাচার চালাতো কেয়া দাসের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গত কয়েক মাস আগে কেয়া দাসকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে এমনকি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় । তারপরেই কেয়া দাস কে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দেয়, চার মাস ঘর ছাড়া কেয়া দাস। কেয়া দাস অভিযোগ করে পর্ণশ্রী থানায়। চার মাস ধরে ১২ বছরের ছেলেকে নিয়ে ঘরছাড়া কেয়া দাস প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কনো রকম সাহায্য পায়নি ।

পর্ণশ্রীর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষমার্গ রোডের বাসিন্দা কেয়া দাস দীর্ঘদিন ধরে শশুর বাড়ীতে নির্যাতনের শিকার। আরো পড়ুন -...

তাই আজ রত্না চ্যাটার্জী নিজে মহিলা সংগঠনকে নিয়ে কেয়া দাস এর শশুর বাড়িতে দিয়ে আসে ।কেয়া দাসের শাশুড়ির বক্তব্য কোন ভাবে কেয়া দাস কে এই বাড়িতে থাকতে দেওয়া যাবেনা।ছেলে ওকে অন্যত্র বাড়ি ভাড়া করে রাখুক।ঘটনাস্থলে আসে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ।আপাতত কেয়া শশুর বাড়ীতেই আছে,তার ১২ বছরের ছেলে কে নিয়ে।


loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION