প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি
বাংলা সাহিত্যে চির অমর হয়েরয়েছে কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘দেবদাস’ উপন্যাস“ । কথিত আছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রাম থেকেই এই উপন্যাস লেখার রসদ খুঁজে পেয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় । সেই বিশ্বাসে ভরকরেই “দেবদাস” কে চিরস্মরণীয় করে রাখতে হাতিপোতা গ্রামের মানুষজন প্রতিবছরই ‘দেবদাস স্মৃতি মেলার ’ আয়োজন করে আসছেন । বৃহস্পতিবার ২০ তম বর্ষের দেবদাস স্মৃতি মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা । উৎসব আগামী সোমবার পর্যন্ত চলবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন ।
আয়োজকদের তরফে রেজাউল মোল্লা এদিন জানালেন , কথাসাহিত্যিকের ‘দেবদাস’ উপন্যাসে অন্তিম অনুরোধে ছিল-“তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও ”সেই প্রার্থনাতে সাড়া দিয়েই জাঁকজমক পূর্ণভাবে প্রতিবছর উৎসবের আয়োজন করা হয় । হাতিপোতা গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা এদিন জানান , হাতিপোতা গ্রামের প্রাক্তন জমিদার ছিলেন ভুবনমোহন চৌধুরীর। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী তালসোনাপুরের ‘পার্বতী-ই’ দেবদাস উপন্যাসের নায়িকা। প্রবীনরা আরো বলেন উপন্যাসের একাংশে উল্লেখ রয়েছে , “পার্বতীর পিতা কাল বাটি ফিরিয়াছেন।এই কয় দিন তিনি পাত্র স্থির করিতে বাহিরে গিয়াছিলেন।প্রায় কুড়ি-পঁচিশ ক্রোশ দূরে বর্ধমান জেলার হাতিপোতা গ্রামের জমিদারই সেই পাত্র”।উপন্যাসের কাহিনীর এই অংশে প্রকাশ পেয়েছে বাস্তবের হাতিপোতা গ্রামের নাম । এমনটাই দাবি করছেন এলাকার প্রবীন বাসিন্দারা । হাতিপোতা গ্রামের বাসিন্দারা আজও মনেকরেন ১৮৯৫-১৯০০ সালের মধ্যে শরৎচন্দ্র নিজেই নদীপথে এসেছিলেন তাঁদের গ্রামে।
উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য আবজেদ সেখ বলেন,কথাশিল্পির দেবদাস উপন্যাসের দৌলতেই ধন্য হয়েছে হাতিপোতা গ্রাম । একই সঙ্গে বেড়েছে হাতিপোতা গ্রামের গুরুত্ব। তাই এই উপন্যাসকে পাথেয় করেই প্রতিবছর হাতিপোতা গ্রামে দেবদাস স্মৃতি মেলার আয়োজন করা হয়ে আসছে ।
No comments
Post a Comment