দক্ষিণবঙ্গ

কথাশিল্পির দেবদাস উপন্যাস কে আঁকড়ে ধরে বর্ধমানের হাতিপোতা গ্রামে শুরু হল দেবদাস স্মৃতি মেলা ।

Thursday, January 16, 2020

/ by krishaksetu Bangla


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি

বাংলা সাহিত্যে চির অমর হয়েরয়েছে কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা  ‘দেবদাস’ উপন্যাস“ । কথিত আছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রাম থেকেই এই উপন্যাস লেখার রসদ খুঁজে পেয়েছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়  । সেই বিশ্বাসে  ভরকরেই  “দেবদাস” কে চিরস্মরণীয়  করে রাখতে হাতিপোতা গ্রামের মানুষজন প্রতিবছরই ‘দেবদাস স্মৃতি মেলার ’ আয়োজন করে আসছেন ।  বৃহস্পতিবার ২০ তম বর্ষের  দেবদাস স্মৃতি মেলা ও উৎসবের উদ্বোধন করলেন রাজ্যের  মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,অভিনেত্রী সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখরা ।  উৎসব  আগামী সোমবার  পর্যন্ত চলবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন । 
                        

আয়োজকদের তরফে রেজাউল  মোল্লা এদিন জানালেন , কথাসাহিত্যিকের ‘দেবদাস’ উপন্যাসে অন্তিম অনুরোধে ছিল-“তাহার জন্য একটু প্রার্থনা করিও ”সেই প্রার্থনাতে সাড়া দিয়েই  জাঁকজমক  পূর্ণভাবে প্রতিবছর  উৎসবের আয়োজন করা হয় ।  হাতিপোতা  গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা এদিন জানান , হাতিপোতা গ্রামের প্রাক্তন জমিদার  ছিলেন  ভুবনমোহন চৌধুরীর।  তাঁর  দ্বিতীয় স্ত্রী তালসোনাপুরের ‘পার্বতী-ই’ দেবদাস উপন্যাসের নায়িকা। প্রবীনরা আরো   বলেন উপন্যাসের একাংশে উল্লেখ রয়েছে  , “পার্বতীর পিতা কাল বাটি ফিরিয়াছেন।এই কয় দিন তিনি পাত্র স্থির করিতে বাহিরে গিয়াছিলেন।প্রায় কুড়ি-পঁচিশ ক্রোশ দূরে বর্ধমান জেলার হাতিপোতা গ্রামের জমিদারই সেই পাত্র”।উপন্যাসের কাহিনীর এই অংশে  প্রকাশ পেয়েছে  বাস্তবের হাতিপোতা গ্রামের  নাম ।  এমনটাই  দাবি করছেন  এলাকার প্রবীন বাসিন্দারা  । হাতিপোতা গ্রামের  বাসিন্দারা আজও মনেকরেন  ১৮৯৫-১৯০০ সালের মধ্যে শরৎচন্দ্র নিজেই নদীপথে এসেছিলেন তাঁদের  গ্রামে।


উৎসব কমিটির অন্যতম সদস্য আবজেদ সেখ  বলেন,কথাশিল্পির দেবদাস উপন্যাসের দৌলতেই ধন্য হয়েছে হাতিপোতা গ্রাম । একই সঙ্গে বেড়েছে  হাতিপোতা গ্রামের  গুরুত্ব।  তাই এই উপন্যাসকে পাথেয় করেই প্রতিবছর হাতিপোতা গ্রামে দেবদাস স্মৃতি মেলার আয়োজন করা হয়ে আসছে ।





No comments

Post a Comment

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION