Showing posts with label কলকাতা. Show all posts
Showing posts with label কলকাতা. Show all posts

করোনা মোকাবিলায় কন্যাশ্রীর টাকা দিলেন দুই ছাত্রী

No comments

Wednesday, April 1, 2020


পূর্ব বর্ধমান: করোনা মোকাবিলায় এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন এক কলেজ পড়ুয়া। একইসঙ্গে ওই কলেজ পড়ুয়ার বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সেই টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করল। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ বেনফেড গলির বাসিন্দা ইশিকা ব্যানার্জী এদিন জেলাশাসকের হাতে তাঁর কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল। ইশিকা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বহু ছাত্রছাত্রী নানাবিধ অসুবিধায় পড়েছে। তাদের খাওয়াদাওয়া সহ পড়াশোনায় যাতে কিছু সাহায্য করা যায় তার জন্যই সে এই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল।

উল্লেখ্য, ইশিকা বর্ধমানের মানকড় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে, এদিন দিদির সঙ্গেই তার মূল্যবান সঞ্চয়কে তুলে দিল ঈশাণী ব্যানাজ্জী। সে বর্ধমান হরিসভা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সে এদিন জেলাশাসকের হাতে ১১১১ টাকা তুলে দিয়েছে মুখ‌মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ঈশাণী জানিয়েছেন, তার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগে তাহলেই সে খুশী হবে।

শুধু এটাই নয় এদিন ইশিকা ও ঈশাণীর মা গৃহবধু মিঠু ব্যানার্জ্জীও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১লক্ষ টাকা দান করেছেন। উল্লেখ্য, ইশিকার নামেই তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই অর্থ তিনি দান করেছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুদেবী। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মিঠুদেবীর ননদ মিতা মুখার্জ্জীও।


রেল লাইনের ধারথেকে উদ্ধার নিখোঁজ ব্যক্তির রক্তাত মৃতদেহ

No comments

Sunday, February 16, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি 

নিখোঁজ  ব্যক্তির রক্তাত মৃতদেহ উদ্ধার হল রেল লাইনের ধার থেকে। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  পূর্ব বর্ধমানের  মেমারির  বাগিলা এলাকায় । হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার বাগিলা স্টেশানের অদূরে রেল লাইনের একপাশে পড়ে ছিল  মৃত ব্যক্তির রক্তাত দেহ ।  
অপর পাশে পড়েছিল একটি ব্যাগ এবং তেল সাবান সহ অন্য সামগ্রী । এমনটা দেখেই স্থানীয়রা খবর দেয়  মেমারি থানায় । খবর পেয়ে  মেমারি থানার পুলিশ প্রথম ঘটনাস্থলে পৌছায় । পরে দুপুরে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়  আরপিএফ । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত । 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মৃত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন মণ্ডল । আনুমানিক বছর ৫৫ বয়সী এই ব্যক্তির বাড়ি বাগিলার ডিভিসি পড়ায় । তিনি হুগলীর সিমলাগড়ে একটি প্লাস্টিক কারখানায়  কাজ করতেন । মৃতর ছেলে শ্রীনিবাস মণ্ডল  জানিয়েছে,তিনিও কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। বাগিলার  বাড়িতে তাঁর মা ও বাবা থাকতেন । শ্রীনিবাস জানান ,প্রতিদিন  সকালে বাগিলি থেকে ট্রেনে চড়ে তাঁর বাবা সিমলাগড়ে কাজে যেতেন । কর্মস্থলে যাবার যান্য শনিবারও একই সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন ।  কিন্তু রাতে তাঁর বাবা আর বাড়ি ফেরেনি । সেই কথা তাঁর মা এদিন বেলায়  তাকে  ফোনকরে জানান । 

 শ্রীনিবাস বলেন , এই খবর পেয়েই বেলায় তিনি বাগিলার বাড়িতে ফিরে আসেন ।  তার পরেই তিনি জানতে পারেন গরু চরাতে বেরিয়ে স্থানীয় কয়েকজন  বাগিলা রেল স্টেশানের অদূরে দেখতে পায়  রেল লাইনের ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে  । সেই খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌছে  দেখেন রেল লাইনের ধারে তাঁর বাবারই মৃতদেহ পড়েরয়েছে । রক্তাত ছিল তাঁর বাবার মাথার অংশ । এই মৃত্যু প্রসঙ্গে  শ্রীনিবাস বলেন , তাঁর এবং তঁদের পরিবারের সঙ্গে কারুর শত্রুতা নেই । বাবার মৃত্যু দুর্ঘটনার কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন । মৃতর প্রতিবেশী তরুণ সরকারূ বলেন , হয়তো কোন ভাবে চলন্ত  ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন  মনোরঞ্জন মণ্ডল । তখন  মথায় গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে ।  পুলিশি তদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ সামনে আসবে বলে মৃতর পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশিরা মনেকরছেন । মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে , দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু বলে প্রাথমিক ভাবে মনেকরা হচ্ছে ।  ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে  মৃত্যুর পরিস্কার হয়ে যাবে । 






ধান জমিতে থেকে মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আউশগ্রামে

No comments

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি  : ফাঁকা ধান জমিতে পড়েছিল মানুষের পায়ের কাটা  অংশ । এই ঘটনা জানাজানি হতেই  রবিবার সকাল থেকে  ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  পূর্ব বর্ধমানের  আউসগ্রামে।খবর পেয়ে  
আউশগ্রাম থানার পুলিশ জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌছে  ধানজমিতে পড়ে থাকা মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার করে । কাটা পা কিভাবে জমিতে এল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে । 


পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা এদিন সকালে তাঁদের জমি দেখতে যান। তখনই তাঁরা ফাঁকা  ধান জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন কোন মানুষের পায়ের গোড়ালির নিচ  কাটা অংশ । এলাকার বাসিন্দা  আনাদ দফাদার   বলেন , গ্রামের একটি পুকুরের অদূরে থাকা  ধান জমিতে ওই পায়ের অংশ পড়ে ছিল। তা দেখতে পাবার পরেই স্থানীয়রা  আউশগ্রাম থানায় খবর দেয় ।  

পুলিশ  ঘটনাস্থলে পৌছে পায়ের কাটা অংশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আউশগ্রাম থানার এক  পুলিশ অফিসার বলেন ,প্রাথমিক তদন্তে  জানাগেছে সপ্তাহ খানেক আগে বর্ধমান রামপুরহাট লুপলাইনের ভেদিয়ার কাছে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ট্রেনে কাটা পড়েযাওয়া ওই মহিলার  মৃতদেহ  বর্ধমান জিআরপি উদ্ধার করে । 

কিন্তু ওই দিন জিআরপি মৃত মহিলার পায়ের কাটা অংশ খুঁজে পায় নি।এদিন  রেল লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে মানুষের একটি  পায়ের  কাটা অংশ  পাওয়া গেছে। প্রথমিক তদন্তে মনেকরা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া পায়ের কাটা অংশ ওই  মহিলারই  হতেপারে  । 



বাড়ি কিনে বিপাকে এক মহিলা

No comments

Thursday, February 13, 2020

র্ণশ্রী থানার রামকৃষ্ণ সরণীতে বাড়ি কিনে বিপাকে এক মহিলা। পঞ্চাশোর্ধ ওই মহিলার নাম গীতা বৈরাগী। গত নভেম্বর মাসে তিনি বাড়িওয়ালা কৃষ্ণকান্ত হাজরার কাছ থেকে প্রায় 5 লক্ষ টাকার বিনিময় বাড়ির একাংশের দুটি ঘর কিনে নেন। এর কিছুদিন পর বাড়িওয়ালা কৃষ্ণকান্ত হাজরা মারা যান। উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও পাড়ার স্থানীয়  রামকৃষ্ণ পল্লী ক্লাব এর বেশ কয়েকজন বল পূর্বক ওই ঘরে তালা মেরে দেন। অভিযোগ অভিযুক্তরা স্থানীয় 129 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সংহিতা দাস এর স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা অঞ্জন দাসের অনুগামী বলে পরিচিত। এই ঘটনায় ওই মহিলা অঞ্জন দাস এবং  পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ জানালেও কোন সুরাহা হয়নি, উপরন্তু দিনের পর দিন তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, হেনস্থা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে। অথচ বাড়ির মালিকের অন্যান্য ওয়ারিশরা জানান যে বাড়ির মালিক কৃষ্ণকান্ত হাজরা গীতা দেবী কেই বাড়ির ওই দুটি ঘর উপযুক্ত নথিসহ হস্তান্তর করেন তা সত্ত্বেও অভিযুক্তরা জোর করে তালা বন্ধ করে দিয়েছে ওই ঘর দুটিতে। সমগ্র ঘটনা আজ পর্ণশ্রী থানায় জানানো হলে পুলিশ গীতা বৈরাগীকে সব রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি অঞ্জন দাস এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আজ তিনি বাইরে আছেন আগামীকাল সকালে জমির উপযুক্ত নথিপত্র দেখে ওই ঘর দুটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

শিকলের বাঁধনে থেকেই শৈশব কাটছে কেতুগ্রামের নাবালিকা মাম্পির

No comments

Tuesday, February 4, 2020




প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ৪ ফেব্রুয়ারি 

“আমি আর কাউকে কামড়াবোনা। কাউকে  খামচাবোনা ।খুলে দাও  আমার পায়ে বেঁধে রাখা শিকল । আমি স্কুলে যাবো। “এই  আকুতি  শিকলের বাঁধনে শৈশব জীবন কাটানো পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কেউগুড়ি গ্রামের  নাবালিকা মাম্পি খাতুনের । মেয়ে ফের যাদি কাউকে খামচে দেয় কিংবা কামড়ে দেয় তাহলে  গ্রামবাসীরা আর ছেড়ে কথা বলবেনা।তাই নাবালিকা মেয়ের শত আকুতি উপেক্ষা করেই গ্রামবাসীদের নিদান মেনে তাঁর পায়ে শিকল জড়িয়ে তালা চাবির বাঁধন দিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছেন বাবা -মা। শিকলে বাঁধা শৈশব জীবন থেকে  আদৌ মুক্তি মিলবেকিনা তার উত্তর অবশ্য নাবালিকার কাছে অজানাই রয়েগেছে । 


কেতুগ্রাম ২  ব্লকের শিতাহাটি পঞ্চায়েতের কেউগুড়ি গ্রামে বসবাস নাবালিকার পরিবাবের । বাবা মিরাজ সেখ দিন মজুরের কাজ করেন। মা সাবিনা বিবি সংসার সামলানোর পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজও করেন। অ্যাজবেস্টার্স চালার দু’কুটুরি ঘরে মেয়ে মাম্পিকে  নিয়ে তাঁরা  থাকেন। মঙ্গলবার  
মিরাজ সেখের বাড়িতে পৌছে দেখাগেল বাড়ির একটি ঘরে পায়ে শিকল ও  তালাচাবি বাঁধা অবস্থায় বসে রয়েছে  মাম্পি খাতুন । কেন মাপ্পিকে  শিকলের বাঁধনে বেঁধে রাখা হয়েছে ? এই প্রশ্ন শুনে মাপ্পি নিজেই  বলেওঠে 
 “আমি দুষ্টমি করিবলে  রেগেগিয়ে গ্রামের সবাই বাড়িতে এসে বলে গেছে আমাকে বেঁধে রাখতে । তাই মা আমার পায়ে শিকলের বাঁধন দিয়ে রাখে । এর জন্য আমার কষ্ট হয় । মাম্পি আরো বলে , আমার  স্কুল যেতে ইচ্ছা করে। আমি আর  কাউকে খামচাবোনা, কামড়াবোনা । আমার পায়ের শিকল খুলে দিলে আমিও  স্কুল যাব। ”


মেয়ে মাম্পি  এমন আকুতির কথা শোনালেও  মা সাবিনা বিবি ও বাবা মিরাজ সেখ অবশ্য তাঁদের  অসহায়তার কথাই শোনালেন  ।তাঁরা  বলেন ,“মাম্পি আমাদের একমাত্র সন্তান ।  কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমাদের একমাত্র মেয়ে মানসিক  ভাবে সুস্থ নয় । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল  এবং  কলকাতার হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে ছিলেন ।পরে  বহরমপুরে  মেয়েকে নিয়েগিয়েও এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান ।কিন্তু  টাকা পয়সা আর জোগাড় করতে না পারায় পরবর্তি সময়ে মাম্পির আর চিকিৎসা করাতে পারেননি । তবুও মেয়েকে  গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন । সেখানে শিক্ষকরা মাপ্পিকে  আগলে রাখতেন । প্রাথমিকের পাঠ সম্পূর্ণ করার পর ভয়ে মাম্পিকে আর হাই স্কুলে ভর্তি করেন নি ।  কারণ  মানসিক ভাবে অসুস্থ মাম্পি কখনও  কারুর বাচ্চাকে খামচে দিয়ে আবার কারুর বাচ্চাকে কামড়ে দিয়ে আহত করত । কোন কোন সময়ে আবার ঘরথেকে বেরিয়ে  মাম্পি দূরগামী বাসে চড়ে বসছিল । এই সবের কারণে গ্রামের সবাই রেগে খাপ্পা হয়েযায় । তারা স্পষ্ট জানিয়েদেই মাম্পির এই আচরণ তাঁরা আর বরদাস্ত করবেনা ।  গ্রামবাসীদের নিদান মেনেই প্রায় দু’বছর ধরে ঘরেতেই পায়ে শিকল তালাচাবি দিয়ে মাম্পিকে বেঁধে রাখতে হচ্ছে ।”


মাত্র ১২ বছর বয়সী নাবালিকা মাম্পির এই করুণ পরিণতি প্রসঙ্গে প্রতিবেশী মোমিনা বিবি বলেন, ‘দুঃখ জনক ঘটনা । কোন মা-ই চান না তাঁর একমাত্র সন্তানকে শিকলের বাঁধনে বেঁধে রাখতে । কিন্তু অন্যের সন্তানকে কামড়ে , খামচে দেয় বলে সবাই মাম্পির প্রতি রেগে খাপ্পা হয়েগেছে । তাই ওর  বাবা- মা নিরুপায় হয়েই ওর পায়ে শিকলের বাঁধন পরিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছে ।  মোমিনা খাতুন বলেন সরকার কিংবা প্রশাসন মাম্পির চিকিৎসার ব্যবস্থা করেদিলে হয়তো মাম্পি সুস্থ হয়ে আবার  স্কুল যেতে পারবে ।  মোমিনা বিবির মতোই গ্রামের অন্য মহিলারাও চাইছেন প্রশাসন অসহায় নাবালিকার পাশে দাঁড়াক । ’


কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও অরিজিত দাস জানিয়েছেন ,’বুধবার আমি নাবালিকার বাড়িতে যাব । নাবালিকা ও তাঁর বাবা মায়ের  সঙ্গে কাছথেকে  সবিস্তার জেনে কাটোয়ার মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেন । মহকুমা শাসকের পরামর্শ মেনে নাবালিকাকে বাঁধন মুক্ত করে তাঁর  চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে । ’



    

বালির গাড়ি চেকিংয়ে বের হওয়া ভূমি দফতরের কর্মীদের মারধোর । গ্রেফতার ১০ অভিযুক্ত ।

No comments

Tuesday, January 28, 2020



প্রদীপ  চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৮  জানুয়ারি

বালির গাড়ি চেকিংয়ে বেরহওয়া ভূমি দফতরের আধিকারিকদের মারধোরের  ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ । সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম আবসার মোল্লা,নুর হোসেন সেখ ,সবুর মল্লিক ,সেখ পাপ্পু , হাসিবুর মোল্লা ,সামাদ মোল্লা,আয়ূব সেখ , সেখ মনসুর, সেখ মামুদ মনোয়ার ও সেখ মণিরুল । ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি আউশগ্রাম থানার গেঁরাই গ্রামে ।  মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে ।  বিচারক ধৃতদের  সকলকে জেল সেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । 




পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , সোমবার সন্ধ্যায়  ভূমি দফতরের আধিকারিকরা সড়কপথে  বালির গাড়ি চেকিংয়ে  বেরহন । চেকিং করতে  করতে ভূমি দফতরের আধিকারিকরা সন্ধ্যার কিছুটা পর আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর অঞ্চলের গেঁরাই বাস স্ট্যান্ডের কাছে পৌছান ।  তখনই অভিযুক্তরা ভূমি দফতরের কর্মীদের উপর হামলা চালায় । জেলা ভূমি আধিকারিক শশীকুমার  চৌধুরী  বলেন  , পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই  ভূমি দফতরের আধিকারিক দল  গেঁরাই এলাকায়  যখন  যাচ্ছিলেন তখন একদল লোক ভূমি দফতরের গাড়ির পথ  আটকায় । তারা  ভূমি দফতরের আধিকারিকদের জোরজবস্তী গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধোর শুরু করে । দফতরের দুটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় । বাধা দিতে গিয়ে পুলিশ হামলাকারীদের হাতে  আক্রান্ত হয় । পরে ছোড়া ফাঁড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে আধিকারিকদের উদ্ধার করেন । এই ঘ টনা বিষয়ে রাতেই আউশগ্রাম  থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত  ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে ।  জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে  ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে । তাদেরও  গ্রেফতার করা হবে । 

  


জেলা সংশোধনাগারে সাংবাদিক সম্মেলন

No comments

Friday, January 24, 2020


পূর্ব বর্ধমান থেকে পাপাই সরকারের রিপোর্ট

পূর্ব বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সন্মেলন হয়।এই সন্মেলনে পূর্ব বর্ধমানের ডি আই জি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নবীন কুমার সাহা জানান এই প্রথম বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আগামী ২৫ ও ২৬শে জানুয়ারি এই দু দিন ব‍্যাপি সংশোধনাগারে চলবে এক শীতকালীন মেলার আয়োজন।এই মেলা দুপুর ৩টে থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত ।এই মেলায় প্রবেশ অবাধ ।বাইরের সাধারন মানুষজন এই মেলা দেখতে আসতে পারবেন ।

এই সংশোধনাগারে ১,০৫০জন কারা বন্দী আবাসিক  আছেন।এই মেলায় বিশিষ আকর্ষন বন্দী আবাসিকদের হাতে তৈরি শিল্পদ্রবের প্রদর্শনী।শুধুমাত্র বর্ধমান নয় কলকাতা ,মেদিনীপুর ,বহরমপুর ,সহ বিভিন্ন  দূরদূরান্ত জেলার বন্দী আবাসিকদের হাতে তৈরী মধুবনী শাড়ী,টেরিকোটার গয়না ফ‍্যাশান বেগ,বাটিক রাঁধুনি কূর্তি সহ পাটের রকমারি জিনিস হবে এই মেলায়।এছারাও থাকছে বন্দী আবাসিকদের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকমারি খাবারের প্রদর্শনী


আন্তরাজ্য একটি গ্যাংএর দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ

No comments

Tuesday, January 21, 2020




পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমান শহর জুড়ে একের পর এক সোনার গহনা চুরি এবং কেপমারীর ঘটনায় আন্তরাজ্য  একটি গ্যাংএর দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। মংগলবার বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর থেকে পরপর বেশ কয়েকটি সোনার গহনা কেপমারীর ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ভুয়ো পুলিশের পরিচয় দিয়ে এই কাজ করে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে নেমে বর্ধমান জেলা পুলিশ মধ্য প্রদেশের বুরহানপুর থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার  করে।




 ধৃতদের নাম মহসিন খান ওরফে বাকড় এবং রজনীকান্ত জয়সওয়াল। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অপরাধীরা একটি গাড়িতে মধ্যপ্রদেশ থেকে এখানে আসত। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জ এলাকায় কোনো হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকত এবং সেখান থেকে মোটর বাইক নিয়ে তারা অপরাধ সংঘটিত করে আবার ফিরে যেত। তিনি জানিয়েছেন, পরপর এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।


 বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ধৃতদের ব্যবহৃত চারচাকা গাড়িটিও। মোটর বাইকের সন্ধান সহ চুরি যাওয়া মাল উদ্ধার এবং এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানতে ধৃতদের পুলিশী হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বর্ধমান আদালতে।এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।



মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কামালপুরে দামোদরের চরে আয়োজিত হয় মোরগ লড়াই

No comments

Saturday, January 18, 2020


কৃষ্ণ কুমার সাহা

প্রতি বছরই নিয়ম করে বসে মোরগ লড়ায়ের আসর। বিজয়ীদের জন্য থাকে নানান রকমের পুরস্কারের ব্যবস্থা। চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই মোরগ লড়ায়ের আসর। মোরগ লড়াই দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বহু উৎসাহী।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বর্ধমানে পালিত হচ্ছে ঘুড়ির মেলা, যা এই শহরের একটি ঐতিহ্য । বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতি বছরের মতো এবছরেও ১লা মাঘ বর্ধমান শহর সংলগ্ন দামোদরের তীরে সদর ঘাটে বসেছে ঘুড়ির মেলা ।

কত বছর আগে এই মেলার প্রচলন হয় তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয় ।

মাঝখান্ডা যুব কমিটির উদ্যোগে এই ঘুড়ির মেলা তথা মাঘী উত্‍সব চলে । দামোদরের তীরে এক দিকে থাকে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা, অন্যদিকে মাঠে জমে মেলার জমজমাট আসর । এই মেলা একদিকে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি টিকিয়ে রেখেছে, তেমনি এই মেলায় থাকে গ্রাম বাংলার খেটেখাওয়া মানুষের নিত্য ব্যবহারের কাস্তে-কুড়ুল, কুটীরশিল্পের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি । সঙ্গে থাকে খাব্র ও খেলানার দোকান । হাজাএ জাহার মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না । তাই ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ পাহারার ।

নদীর বালু চরে পোলেমপুর মাঘ উত্‍সব কমিটির আয়োজিত ঘুড়ির মেলা ও মোরগ লড়াই । মুলত: এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতা । এই মোরগ লড়াইয়ে কোনো এন্ট্রি ফি লাগেনা, কার্যতঃএই প্রতিযোগিতায় মোরগ লড়াইয়ের সময় যে মোরগ আত্মসমর্থন করে বা পরাজিত হয় ওই মোরগটি জয়ীর হাতে তুলে দেন ।

বর্ধমানের কালনায় দেবদাস স্মৃতি মেলায় ক্রেতা আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে ২০০০ ও ১০০০ টাকা পিসের মস্ত রসগোল্লা

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৭ জানুয়ারি

তিন প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন সীতাভোগ , মিহিদানা ও ল্যাংচা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান  জেলাবাসীর গর্বের অন্ত নেই। ইদানিং আবার  রসগোল্লা নিয়েও  চমক দেখাচ্ছেন এই জেলার মিষ্টান্ন কারিগরেরা । যানিয়ে রীতিমতো  হইচই  পড়েগেছে  কালনার হাতিপোতায় চলা  দেবদাস স্মৃতি মেলায় । 


রসগোল্লা বাংলার’এই স্বীকৃতি  মেলার  পর থকে রসগোল্লার কদর বাংলায়  বহুগুন  বেড়েগেছে।দেবদাস স্মৃতি মেলায় এখন সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই রসগোল্লা । এই রসগোল্লা অবশ্য  যেসে রসগোল্লা নয় । মস্ত সাইজের সেই রসগোল্লার  কোনটির ১ পিসের  দাম ২০০০ টাকা আবার কোনটির  ১০০০ টাকা ।  যার কোনটির  ওজন  ৬ কেজি আবার কোনটির  ওজন  ৪ কেজি । মেলার স্টলে পৌছে এমন  দর্শনধারি  রসগোল্লা স্বচোক্ষে দেখার  ভিড় যেমন বেড়েছে । তেমনি  মেলা  প্রাঙ্গনে একসঙ্গে বসে মস্ত রসগোল্লার  স্বাদ  নেবার সূযোগও কেউ হাতছাড়া করতে চাইছেন না । দেবদাস স্মৃতি মেলায় তাই দেদার বিক্রি হচ্ছে ২০০০ ও ১০০০টাকা পিসের পেল্লাই রসগোল্লা । স্টলে ক্রেতা ভিড় উপচে পড়ায় মুখের হাসিও চওড়া হয়েছে  মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের  ।


মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী হবিরুল মন্ডল ও লালন সেখ প্রমুখরা বলেন , ‘রসগোল্লা বাংলার’ এই স্বীকৃতি মেলার পরথেকেই সারা বাংলায় রসগোল্লা নিয়ে আলাদা উন্মাদন তৈরি হয়েছে । সেই বিষটি মাধায় রেখে তাঁরা রসগোল্লা নিয়ে বিশেষ অভিনব কিছু করার জন্য  মাথা ঘামানো শুরু করেন । ঠিক করেন ছোট সাইজের পরিবর্তে তাঁরা প্রকাণ্ড সাইজের একএকটি রসগোল্লা তৈরি করে চমক দেবেন । হাবিরুল বলেন প্রথমে তাঁদের মনেহয়েছিল  রসগোল্লার  সাইজ দেখে  ও দাম শুনে হয়তো ক্রেতারা মুখ ঘুরিয়ে নেবেন । কিন্তু শুক্রবার মেলার স্টলে  রসগোল্লা তৈরি হয়েযেতেই তা মেলায় আগত দর্শক ও ক্রেতা মহলের কাছে  সুপারহিট মিষ্টি বনে যায় । হাবিরুল বলেন, এখন তাঁদের  দু জনের  মিষ্টির স্টলেই   ক্রেতা ভিড় উপচে পড়চে ।



কিভাবে তৈরি করলেন প্রকাণ্ড সাইজের অথছ    সুস্বাদু এমন রসগোল্লা ? এর উত্তরে  কারিগর হবিরুল মন্ডল বলেন,‘ আড়াই কিলো ছানার সঙ্গে চিনি মিসিয়ে রসগোল্লা তৈরি করেছেন । যারা নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেতে চাইছেন তাদের জন্য একই পরিমান ছানার সঙ্গে নলেন গুড় মিশিয়ে রসগোল্লা   তৈরি করে দিচ্ছেন । এই কারিগররা জানালেন আড়াই কেজি  ওজনের ছানার প্রতি রসগোল্লার দাম ২০০০ টাকা  । আর ১ কেজি৩০০ গ্রাম ওজনের   ছানা দিয়ে তৈরী  রসগোলার দাম রেখেছেন ১০০০ টাকা । এছাড়াও ৫০০ ও ১০০ টাকা পিস দামের রসগোল্লাও তৈরি করেছেন বলে দুই  বিক্রেতা  জানিয়েছেন । হাবিরুল ও  লালন দুজনেই দাবি করেন এদিন তাঁদের তৈরি  মস্ত রসগোল্লা ভালই বিক্রি হয়েছে ।  মেলার বাকি কটাদিনও একই রকম বিক্রিবাটা হবে বলে তাঁরা মনে করছেন । 


মেলার আয়োজকদের তরফে রেজাউল মোল্লা বলেন ,“গ্রামের মেলায় এমন রসগোল্লার বিক্রিবাটা এতকাল কোথাও তাদের নজরে আসেনি । রসগোল্লার আকার বিশাল হলেও খেতে যথেষ্টই   সুস্বাদু হয়েছে । এককথায় বলাচলে দেবদাস উপন্যাসের  মতোই সুপারহিট হয়েগেছে  দু-হাজার ও এক হাজার টাকা পিসের রসগোল্লা । মেলায় আগত সকল মানুষজন এখন তাই রসগোল্লায় মজেগেছেন । ”


বাবা পঞ্চানন ঠাকুর শুধু লৌকিক দেবতা নয়,আঞ্চলিক দেবতাও

No comments

Friday, January 17, 2020




কাটোয়া থেকে রাহুল রায়ের রিপোর্ট


পৌরাণিক দিক থেকে বলা হয়, শিবের অপর নাম হল পঞ্চানন। কারণ শিবের পাঁচটা মাথা ছিল।কিন্তু গবেষকদের মতে,এই দেবতাগুলি ছিল লৌকিক দেবতা।এই লৌকিক দেবতাকে যখন একটি বিশেষ অঞ্চলে পুজো করা হয় তখন তাকে বলা হয় আঞ্চলিক দেবতা। বাবা পঞ্চানন হলেন প্রথমত লৌকিক দেবতা,পরে হচ্ছেন আঞ্চলিক দেবতা।১লা মাঘ  কাটোয়া ২নং ব্লকের চাণ্ডুলী পাঞ্চাননতলায় বাবাপঞ্চানন দেবতার পুজো করা হয়। এই পুজোর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হল,রোগ ব্যধিতে ভুগছে যে সমস্ত মানুষ ও যে সমস্ত বিবাহিত মহিলার বাচ্চা হয় না,তারা এই পঞ্চানন ঠাকুরের কাছে মানত করলে তাদের মনস্কামনা পুর্ণ হয়।কাটোয়া ২নং ব্লকের চাণ্ডুলী পঞ্চাননতলায় যে পুজো হচ্ছে তাতে ঘোড়ার চলন দেখা যায়।এই দেবতা ঘোড়াতেই সন্তুুষ্ট হন।এই পুজো উপলক্ষ্যে একটি মেলা বসে।সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলে। সারাদেশে জুড়ে এন.আর.সি ও সি.এ.এ -এর আতঙ্ক যখন মানুষের চোখের ঘুম করে নিচ্ছে, ঠিক তখনি শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির পক্ষ থেকে পরিচালিত বাবা পঞ্চানন পুজো ও মেলা অনুষ্ঠান মানুষের মধ্যে আনন্দধারা বয়ে এনেছে। পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষরা এখানে পুজো ও মেলা দেখতে ভিড় জমান। শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ক্যাম্প করা হয়েছে। মানুষদের সুবিধার্থে  জলছত্রের আয়জন করেছে শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি। উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত মজুমদার,জেলা পরিষদের সদস্য তুষার সামন্ত,শ্রীবাটী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির অন্যতম নেতা বাপি রায়। এই পুজো উপলক্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করছে পুলিশ। পুজো উপলক্ষে মুলগ্ৰামে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। 




পৃথক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে পুড়ে ভস্মিভূত দুই গৃহস্থের বাড়ি

No comments

Thursday, January 16, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি 

পৃথক  অগ্নিকান্ডের  ঘটনায় ভস্মীভূত হল দুই গৃহস্থের  বাড়ি ।বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় উত্তর বাজারে এলাকায় ।এরপর রাতে মন্তেশ্বরের পিপলন পঞ্চায়েতের করন্দা গ্রামে গৃহস্থের বাড়িতে আগেন লাগে । দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে  আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তার মধ্যে দুই এলাকার দুটি বাড়ি আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েযায় । বাড়িতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র সহ  সমস্ত সামগ্রী পুড়ে নষ্ট হয়েযাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন দুই পরিবারের  সদস্যরা ।  
প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত দুই পরিবারেরই  পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগীতার হাত  বাড়িয়ে দিয়েছেন ।  


পুলিশ ও স্থানীয়  সূত্রে জানাগেছে , বুধবার সন্ধ্যার মুখে  হঠাৎতই  শক্তিগড় উত্তর বাজার এলাকা নিবাসী  সাবির খাঁর খড়ের চালার বাড়িতে আগুন ধরেযায় । মূহুর্তের  মধ্যে  আগুন ভয়াবহ আকার নেয় ।খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় । দমকল বাহিনী কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তারই  মধ্যে  বাড়িতে  সঞ্চয় করে রাখা টাকা পয়সা সহ বই খাতা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র  সব পুড়ে ছাই হয়েযাায়। এই ঘটনা দেখে কান্নায় ভেঙেপড়েন সাবির খাঁর স্ত্রী তনুজা বিবি  ও সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা তানজিলা । 


এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ওই দিনই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ  মন্তেশ্বরের  করন্দা গ্রাম নিবাসী ছবি বাগের মাটির দোতলা বাড়িতে আগুন ধরেযায় । সেই সময়ে পরিবার সদস্যরা বাড়ির নিচের তলার ঘরে খাওয়াদাওয়া কর ছিলেন। প্রতিবেশীরা  আগুন দেখে চিৎকার জুড়েদিলে  বাগ পরিবারের সদস্যরা ঘরছেড়ে বাড়ির  বাইরে বেড়িয়ে পড়েন । মুহুর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার নেয় । স্থানীয়রা পুকুর থেকে  বালতিতে  জল তুলেএনে  আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ।আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ  ঘটনাস্থলে পৌছায় ।  খবর দেওয়া হয় দমকলে । বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ছবি বাগের গোটা বাড়ি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। আগুনের গ্রাসে  বাড়িতে থাকা সঞ্চয়ের টাকা, আসবাবপত্র , গহনা সব পুড়ে  ছাই হয়ে যাওয়া দেখে বাগ পরিবারের সদস্যরা কন্নায় ভেঙে পড়েন । পরিবারটিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পিপলন পঞ্চায়েত ।





মুরারইয়ের পর বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখায় মালগাড়ির বগি ফেলে ছুটলো ইঞ্জিন । চরম ভোগান্তি পোয়ালেন যাত্রীরা

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৫  জানুয়ারি 

বীরভূমের মুরারুইয়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি বুধবার ঘটলো পূর্ব রেলের বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখায় । বগি ফেলেই ছুটলো  মালগাড়ির ইঞ্জিন ।এদিন  ভোর ৫ টা ৫০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রাম স্টেশান এলাকায়। বড়সড় কোন  বিপত্তি না ঘটলেন বগি ফেলে শুধু মালগাড়ির ইঞ্জিনের ছুটে যাওয়া প্রত্যক্ষ করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন  জৌগ্রাম স্টেশানে  উপস্থিত থাকা ট্রেন যাত্রীরা ।

ইঞ্জিন ছুটে এগিয়ে যাবার পর  জৌগ্রাম রেলগেট ও আপ প্ল্যাটফর্মে ঢোকার লাইন জুড়ে মালগাড়ির বগিগুলি দাঁড়িয়ে পড়ে । তার জেরে এদিন সাতসকালে  চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের । এছাড়াও রেল গেট দীর্ঘ সময় ধরে  বন্ধ থাকায় মেমারি জামালপুর রুটে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে থাকে। দিনের কর্মব্যস্ত সময়ে এমন ভোগান্তির মুখে পড়ে ক্ষেভে ফেটে পড়েন ট্রেন যাত্রী ও সড়ক পথের যাত্রীরা । বেশ কিছুটা সময় বাদ অন্য ইঞ্জিন এনে ওই লাইন থেকে মালগাড়ির বগিগুলি  টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর  বেলা আনুমানিক সাড়ে ৯ টা নাগাদ ভোগান্তির নিস্পত্তি ঘটে । 


জৌগ্রাম স্টেশান বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ গুপ্ত বলেন , অন্যান দিনের মত এদিনও ভোর ৫ টা নাগাদ তিনি প্রাত ভ্রমনে বের হয়েছিলেন ।হাটতে হাঁটতে ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ   জৌগ্রাম স্টেশান চত্তরে পৌছান । ওই সময়ে আপ লাইন দিয়ে  মালগাড়ি পাশ হবে বলে স্টেশান কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষনা করেন ।তখনই তিনি এবং স্টেশান বাজারে থাকা সকলেই দেখেন  শুধু মাত্র একটি রেলইঞ্জিন দ্রুত গতীতে এগিয়ে আসছে । এরপরেই দেখেন সেই ইঞ্জিন থেকে ছুট হয়েযাওয়া মালগাড়ির বগি গুলি রেল লাইন ধরে এগিয়ে আসছে ।অপর প্রত্যক্ষদর্শী    জৌগ্রামের  বাসিন্দা মইনুর রহমান বলেন, ইঞ্জিন বিহীন  মালগাড়ির বগিগুলি রেলগেট সংলগ্ন আপ ক্রশিং লাইন আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে । তার ফলে  অন্য কোন লোকাল ট্রেন  আর জৌগ্রামের আপ প্ল্যাটফর্মে  ঢুকতে পারে না । রেল গেটও  বন্ধ হয়ে থাকে । আপ ও ডাউন স্টেশান  প্ল্যাটফর্মের  মাঝের লাইনে  দাঁড় করানো হয় লোকাল ট্রেনগুলি। রেল লাইনের পাথরের উপর দাঁড়িয়ে  অল্প বয়সী  ট্রেন যাত্রীরা অনেক কষ্টে ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে রহনা দেন । তবে প্রবীনরা  ওই ভাবে ঝুকি নিয়ে  ট্রেনে চড়তে  ব্যর্থ হন । তারা স্টেশান প্ল্যাটফর্মেই  বসে থাকতে বাধ্য হন । অন্য ইঞ্জিন এনে মালগাড়ির বগিগুলি টেনেনিয়ে যাওয়া হলে বেলা প্রায়  সাড়ে ৯টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক  হয়। রেলের গাফিলতিতেই এমন সব ঘটনা ঘটছে বলে জৌগ্রামের  বাসিন্দারা  মন্তব্য করেছেন ।

 

 
পূর্ব রেলের  মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক  নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন , এদিন  ভোর  ৫ টা ৫০ মিনিট নাগাদ  ঘটনাটি ঘটে । কাপলিং খুলে যাওয়ায়  মালগাড়ির বগি ছেড়ে ইঞ্জিন  এগিয়ে যায় । আপ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকানোর   সমস্যা তৈরি হওয়ায়  রিভার্স লাইনে  ৩টি আপ লোকাল  ট্রেন দাঁড় করাতে হয়েছিল । যাত্রীদের ওঠানামার সুবিধার জন্য ওখানে ৪-৫ মিনিট করে ট্রেন  দাঁড় করানো হয়েছে ।এছাড়াও যাত্রীদের ওঠা নামার সময়ে  ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয় । পরে অন্য ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে সকাল ৯ টা ১০ মিনিট নাগাদ বগিগুলি ওই লাইন থেকে  টেনেনিয়ে যাওয়া হলে সবকিছু স্বাভাবিক হয় ।



JNU তে ছাত্রদের উপর হামলার ও সোচ্চার মহানগর বিক্ষোভ এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন

No comments

Tuesday, January 7, 2020


দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় সোচ্চার মহানগরী কলকাতা। এসইউসিআইয়ের ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও -র পক্ষ থেকে এদিন বিক্ষোভ সংগঠিত হয় কলকাতার রাজপথে।প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হয় সেখানে বিক্ষোভ দেখান ডিএসও-র সদস্যরা।

protests-against-students-JNU-student-organizations-sfi
সেখান থেকে মিছিল করে কলেজস্ট্রিট মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধও করে তারা।এ দিনের কর্মসূচি থেকে দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন আন্দোলনকারীরা। বিজেপি এবং আরএসএস এর মদতে গেরুয়া শিবির দিল্লির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া দের উপর আক্রমণ শানিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা।

এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে এবং এনআরসির বিরুদ্ধে আগামী জানুয়ারি দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এ আই ডি এস ও।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ শ্রীরামপুরে অবরোধ- বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি

No comments

Sunday, January 5, 2020


।। তুহিন শুভ্র আগুয়ান * পূর্ব মেদিনীপুর ।। মোবাইল-9800890030..
Email:-tuhinsubhraaguan@gmail.com

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শুক্রবার তমলুকের শ্রীরামপুরে সকাল থেকে তমলুক- ময়না ব্রীজের ওপর আগুন জ্বালিয়ে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি হয়ে ওঠে ধুন্ধুমার। যারফলে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে ময়না- তমলুক সড়কে ব্যাপকভাবে যানজটের সৃষ্টি হয়।
 

উল্লেখ, গত ২৩শে নভেম্বর তমলুকের শিমুলিয়া গ্রামের বধূ মুসকান বিবিকে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার স্বামী সেক মেহেরাজের বিরুদ্ধে। মুসকানের বাপের বাড়ি তরফ থেকে অভিযুক্ত স্বামী সেক মেহেরাজের বিরুদ্ধে মুসকানের শ্বশুরবাড়ির থানা তমলুক ও বাপের বাড়ি থানা ময়নাতে অভিযোগ করে তার বাপের বাড়ির লোকজনেরা। ঘটনায় প্রায় এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোনরকম হস্তক্ষেপ করেনি। আর এই অভিযোগেই শুক্রবার সকাল থেকে ব্রিজের ওপর টায়ার ও বাঁশ জ্বালিয়ে হাতে পোস্টার নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় কয়েক হাজার গ্রামবাসী। যারফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ময়না-তমলুক সড়ক।
রাস্তার উপর সারি সারি দাঁড়িয়ে পড়ে বাস লরি। অবরোধের খবর স্থানীয় ময়না ও তমলুক থানায় পৌছতেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় দুই থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে অবরোধ উঠানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরও ধুন্ধুমার আকার নেয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, মুসকানকে হত্যা করার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও দুই থানার পুলিশ কোনরকম তদন্তে হস্তক্ষেপ করেনি। উল্টে পুলিশকে তদন্তের বিষয়ে বলা হলে পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ দেওয়ার কথা মুসকানের বাপের বাড়ির লোকজনকে বলে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় মুসকানের বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার করা হতো। এবিষয়ে মেয়ে আমাদের বারবার জানালে আমরা ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজনদেরকে বললেও ওরা কোনরূপ আমাদের কথা শোনেনি। উল্টে ওরা বলে যৌতুকের টাকা না দিলে অত্যাচার আরো বাড়বে। এভাবে বিয়ের তিন বছর পর গত ২৩শে নভেম্বর মুসকানের বাপের বাড়ির কাছে খবর আসে মুসকান আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শিমুলিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় মুস্কানকে হত্যা করেছে ওর শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা
এই ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে তমলুক ও ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও অভিযুক্ত স্বামী সেক মেহেরাজকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। আর এই অভিযোগ এই শুক্রবার সকাল থেকে ময়না ব্রিজের উপর টায়ার- বাঁশ নিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক হাজার গ্রামবাসী। ঘটনায় ময়না ও তমলুক থানার পুলিশ বাহিনী গিয়ে অভিযোগকারীদের বোঝালেও ওঠেনি বিক্ষোভ। এরপর র‍্যাফ নামালেও ওঠেনি অবরোধ। এমন পরিস্থিতিতে তমলুক ও ময়না থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের তদন্তের আশ্বাস দিলে উঠে যায় বিক্ষোভ।
এদিন অবরোধ তুলে নিলেও দ্রুত পুলিশ তদন্ত না শুরু করলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন ও অনশনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা। এই ঘটনায় মৃতার বাবা পিন্টু মল্লিক বলেন, "পুলিশ কোনরকম তদন্তে হস্তক্ষেপ করছে না। বারবার তদন্তের কথা বলা হলেও পুলিশ আশ্বাস দেয় কিন্তু কোনোরকম তদন্ত শুরু করেনি এখনো পর্যন্ত। আমাদের দাবি অভিযুক্ত সেক মেহেরাজকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক"। তবে এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে বলে মত ময়না ও তমলুক থানার পুলিশের।

ফিরহাদ হাকিম বলেন ভারতবর্ষে বিজেপি এখন নোংরা ধর্মের নামে রাজনীতির খেলায় মেতেছে

No comments

Thursday, January 2, 2020


খিদিরপুরের 79 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হলো একটি রক্তদান শিবির। ওই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, মালা রায় সহ অন্যান্য নেতৃবর্গ। ওই সভায় ফিরহাদ হাকিম বলেন ভারতবর্ষে বিজেপি এখন নোংরা রাজনীতির খেলা করছে, ধর্মে ধর্মে বিভেদ বাঁধিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।

আমি সবাইকে বলব জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একজোট হন। বিরোধীদের তরফ থেকে সব সময় বলা হয় মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলকে মিনি পাকিস্তান আমি বলেছি কিন্তু একটাও ফুটেজ দেখাতে পারবে না যে এ কথা আমি বলেছি। সব সময় আমাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে এই একটি কথা নিয়ে। পাকিস্তানের রাজনীতি বিজেপি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য।


বাইট: আজ ভাটপাড়া প্রমাণ করল গুন্ডামি করে ভোটে জেতা যায় না। আমাদের কর্মীদের উপর গুন্ডামি করা হয়েছিল, অর্জুন সিং অত্যাচার করেছিল। বাইরে থেকে শার্প শুটার নিয়ে এসে ভাটপাড়ায় বোমাবাজি করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। কারণ সে সময় মমতা ব্যানার্জির প্রশাসন ছিল না, নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল। তারপর যখন রাজ্য সরকারের হাতে আবার প্রশাসন আসলো প্রশাসনের সক্রিয়তায় এবং একজন ভাল পুলিশ কমিশনারের দক্ষতায় ভাটপাড়া শান্ত হয়েছে।  মানুষ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে, কনফিডেন্স ফিরে এসেছে।

মানুষের যেই কনফিডেন্স ফিরে আসায় বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষ নো কনফিডেন্স দেখিয়ে দিয়েছে। বিজেপি আদালতে যাচ্ছে, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা কোর্টে যায়নি মানুষের আতঙ্ক  কেটে যেতে মানুষ নিজেরাই রায় দিয়েছে। ববি হাকিমের মিনি পাকিস্তান বলা কে নিয়ে সায়ন্তন বসু কটাক্ষ করেন। তার উত্তরে সায়ন্তন বসু কে পরোক্ষে পাগল, ছাগল বলেন ববি হাকিম।

নতুন বছরের(2020) প্রথম দিনের আবহাওয়া কেমন থাকবে , জেনে নিন ?

No comments

Tuesday, December 31, 2019



প্রতিনিধি - পিয়ালী নস্কর
আজ পরিষ্কার আকাশ থাকবে দুই বঙ্গে । রাতের তাপমাত্রা আজ থেকে বাড়বেও শীতের আমেজ বজায় থাকবে। আগামী কাল কলকাতার তাপমাত্রা 12 ডিগ্রি ও পরে 13 থেকে 14 ডিগ্রি  হতে পারে । 1 তারিক শুধু বীরভূম,পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টি পাত হবে । 2 তারিখ দক্ষিণ বঙ্গের সবজায়গায় বৃষ্টি হবে। 3 তারিখেও বৃষ্টি হবে,পরিমাণ কমে যাবে ।
4 তারিখ বিকেল থেকে বৃষ্টি কমবে । উত্তরবঙ্গে 4 তারিখ সব জায়গায় বৃষ্টি হবে। দক্ষিণ বঙ্গে পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম,ঝাড়গ্রাম এ বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি পাত  হবে। কলকাতাতে 2 তারিক বিকেল  ও 3 তারিখ বৃষ্টি হবে। 4 তারিখ কমবে। উত্তর বঙ্গে বছরের প্রথম তুষার পাত এর সভাবনা কম পশ্চিমি ঝঞ্জার কারণে। 5 তারিখের পর থেকে আবার তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা। রাজ্য জুড়ে।

তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাসন্তী, মাদার তৃণমূল করার অপরাধে যুব তৃণমূলের মার। গুরুতর আহত এক যুবক।

No comments

Friday, December 27, 2019


বাসন্তী : তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাসন্তী। মাদার তৃণমূল করার অপরাধে, এক যুবককে এলোপাতাড়ি মারলো যুব তৃনমূলের কয়েকজন কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তী থানার ৪ নম্বর পেটুয়াখালী গ্রামে। আহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর শেখ (৩২)।

 ঘটনার সূত্রে, মাদার তৃণমূল করার অপরাধে এক যুবককে চায়ের দোকান থেকে টেনে বার করে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারলো কয়েকজন যুব তৃনমূলের কর্মীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে জাহাঙ্গীর। এরপর তাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে আসে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে।

 বর্তমানে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যুবক। এ বিষয়ে বাসন্তী থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহতের পরিবার।

৪২ টি কচ্ছপ কলকাতায় পাচার করতে গিয়ে বর্ধমান জিআরপির হাতে ধরা পড়লো বিহারের দুই মহিলা ।

No comments

Wednesday, December 18, 2019



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৮  ডিসেম্বর 

ডাউন অমৃতসর এক্সপ্রেসের কামরায় তল্লাশি চালিয়ে  বুধবার ৪২ টি কচ্ছপ উদ্ধার করলো  বর্ধমান  জিআরপি । কচ্ছপ পাচারের ঘটনায়  জড়িত থাকার অভিযোগে জিআরপি দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ।  জিআরপি  জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফুলা সাহানী ও কারী সাহানী ।  দুজনেই বিহারের ফটুয়া জেলার ঘোষপাহাড়ি এলাকার  বাসিন্দা । 

সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজুকরে জিআরপি এদিনই  দুই ধৃতকে পেশকরে বর্ধমান আদালতে । বর্ধমান  জিআরপি সূত্রে জানাগেছে , এদিন বেলা ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ডাউন অমৃতসর এক্সপ্রেস  বর্ধমান স্টেশনের ৫ নম্বর  প্ল্যাটফর্মে থামে । ওই ট্রেনের কাময়ায়  রুটিন তল্লাশির চালানোর সময়েই দুটি বস্তার ভরেরাখা  কচ্ছপগুলি জিআরপির নজরে আসে ।
Two-women-Bihar-arrested-by-GRP-while-smuggling-42 turtles-to-Kolkata

কচ্ছপ পাচারের ঘটনায় জড়িত দুই মহিলাকে  তখনই ধরেফেলে জিআরপি । জিআরপি  অফিসাররা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানতে পেরেছেন বিহারের আড়া স্টেশন থেকে কচ্ছপগুলি ট্রেনের কামরায় তুলেনিয়ে পাচারের জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলিকে এদিনই বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


লুঙ্গি বাহিনী অশান্তি ছড়াচ্ছে বলা নিয়ে দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মন্ত্রি সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

No comments
Minister Siddiqullah Chowdhury sharply criticizes Dilip Ghosh over allegations that Lungi forces are spreading unrest



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৮ ডিসেম্বর 

সিএএ পাশ হবার পরথেকে লুঙ্গি বাহিনী রাজ্যে  অশান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে চলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ । আর বুধবার পূর্ব  বর্ধমান গ্রন্থাগার বইমেলার উদ্বোধনে  এসে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন  রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ।

এদিন বর্ধমানের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন ,“আসলে ওই লোকটা খুব ল্যাংটা  লোক।  ওর পুব পশ্চিম জ্ঞান নেই।সাংসদ হয়েছে ,কিন্তু রাখাল বাগালের মত কথা বলে । ” সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন আরো বলেন , যারা খাঁটি মুসলমান তারা এইসব অশান্তির ঘটনা ঘটাবে না ।

আর টুপি ও লঙ্গিতো খোলা বাজারেই কিনতে পাওয়া যায় । টুপি ও লুঙ্গি পরারা সকলেই  মুসলমান একথা কিকরে ওরা বলছে। সিদ্দিকুল্লাহ বাবু দাবি করেন, রাজ্যের  বেশ কয়েকটি জায়গায় এনআরসি ও সিএএ বোরোধী আন্দোলন শান্তি পূর্ণ না থাকার জন্য কিছুলোক দায়ী।  আশলে তারা  গোলমাল পাকিয়ে কেন্দ্রের শক্ত করতে  চাইছে।

যাতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারী করা যায়।পাশাপাশি তিনি এদিন জানিয়েদেন ,আগামী রবিবার কলকাতার রাণীরাসমনি রোডে জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ সভা করবে। সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে সেই সভা অনুষ্ঠিত  হবে।

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION