প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৭ জানুয়ারি
তিন প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন সীতাভোগ , মিহিদানা ও ল্যাংচা নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসীর গর্বের অন্ত নেই। ইদানিং আবার রসগোল্লা নিয়েও চমক দেখাচ্ছেন এই জেলার মিষ্টান্ন কারিগরেরা । যানিয়ে রীতিমতো হইচই পড়েগেছে কালনার হাতিপোতায় চলা দেবদাস স্মৃতি মেলায় ।
‘রসগোল্লা বাংলার’এই স্বীকৃতি মেলার পর থকে রসগোল্লার কদর বাংলায় বহুগুন বেড়েগেছে।দেবদাস স্মৃতি মেলায় এখন সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই রসগোল্লা । এই রসগোল্লা অবশ্য যেসে রসগোল্লা নয় । মস্ত সাইজের সেই রসগোল্লার কোনটির ১ পিসের দাম ২০০০ টাকা আবার কোনটির ১০০০ টাকা । যার কোনটির ওজন ৬ কেজি আবার কোনটির ওজন ৪ কেজি । মেলার স্টলে পৌছে এমন দর্শনধারি রসগোল্লা স্বচোক্ষে দেখার ভিড় যেমন বেড়েছে । তেমনি মেলা প্রাঙ্গনে একসঙ্গে বসে মস্ত রসগোল্লার স্বাদ নেবার সূযোগও কেউ হাতছাড়া করতে চাইছেন না । দেবদাস স্মৃতি মেলায় তাই দেদার বিক্রি হচ্ছে ২০০০ ও ১০০০টাকা পিসের পেল্লাই রসগোল্লা । স্টলে ক্রেতা ভিড় উপচে পড়ায় মুখের হাসিও চওড়া হয়েছে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের ।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী হবিরুল মন্ডল ও লালন সেখ প্রমুখরা বলেন , ‘রসগোল্লা বাংলার’ এই স্বীকৃতি মেলার পরথেকেই সারা বাংলায় রসগোল্লা নিয়ে আলাদা উন্মাদন তৈরি হয়েছে । সেই বিষটি মাধায় রেখে তাঁরা রসগোল্লা নিয়ে বিশেষ অভিনব কিছু করার জন্য মাথা ঘামানো শুরু করেন । ঠিক করেন ছোট সাইজের পরিবর্তে তাঁরা প্রকাণ্ড সাইজের একএকটি রসগোল্লা তৈরি করে চমক দেবেন । হাবিরুল বলেন প্রথমে তাঁদের মনেহয়েছিল রসগোল্লার সাইজ দেখে ও দাম শুনে হয়তো ক্রেতারা মুখ ঘুরিয়ে নেবেন । কিন্তু শুক্রবার মেলার স্টলে রসগোল্লা তৈরি হয়েযেতেই তা মেলায় আগত দর্শক ও ক্রেতা মহলের কাছে সুপারহিট মিষ্টি বনে যায় । হাবিরুল বলেন, এখন তাঁদের দু জনের মিষ্টির স্টলেই ক্রেতা ভিড় উপচে পড়চে ।
কিভাবে তৈরি করলেন প্রকাণ্ড সাইজের অথছ সুস্বাদু এমন রসগোল্লা ? এর উত্তরে কারিগর হবিরুল মন্ডল বলেন,‘ আড়াই কিলো ছানার সঙ্গে চিনি মিসিয়ে রসগোল্লা তৈরি করেছেন । যারা নলেন গুড়ের রসগোল্লা খেতে চাইছেন তাদের জন্য একই পরিমান ছানার সঙ্গে নলেন গুড় মিশিয়ে রসগোল্লা তৈরি করে দিচ্ছেন । এই কারিগররা জানালেন আড়াই কেজি ওজনের ছানার প্রতি রসগোল্লার দাম ২০০০ টাকা । আর ১ কেজি৩০০ গ্রাম ওজনের ছানা দিয়ে তৈরী রসগোলার দাম রেখেছেন ১০০০ টাকা । এছাড়াও ৫০০ ও ১০০ টাকা পিস দামের রসগোল্লাও তৈরি করেছেন বলে দুই বিক্রেতা জানিয়েছেন । হাবিরুল ও লালন দুজনেই দাবি করেন এদিন তাঁদের তৈরি মস্ত রসগোল্লা ভালই বিক্রি হয়েছে । মেলার বাকি কটাদিনও একই রকম বিক্রিবাটা হবে বলে তাঁরা মনে করছেন ।
মেলার আয়োজকদের তরফে রেজাউল মোল্লা বলেন ,“গ্রামের মেলায় এমন রসগোল্লার বিক্রিবাটা এতকাল কোথাও তাদের নজরে আসেনি । রসগোল্লার আকার বিশাল হলেও খেতে যথেষ্টই সুস্বাদু হয়েছে । এককথায় বলাচলে দেবদাস উপন্যাসের মতোই সুপারহিট হয়েগেছে দু-হাজার ও এক হাজার টাকা পিসের রসগোল্লা । মেলায় আগত সকল মানুষজন এখন তাই রসগোল্লায় মজেগেছেন । ”
No comments
Post a Comment