Showing posts with label ভ্রমন. Show all posts
Showing posts with label ভ্রমন. Show all posts

পূর্ব বর্ধমান জেলাপুলিশের বড়সড় সাফল্য, ধরা পরলো বাইক চুরির বড় চক্র

No comments

Saturday, January 18, 2020



কৃষ্ণ কুমার সাহা

পূর্ব বর্ধমান জেলাপুলিশের বড়সড় সাফল্য, ধরা পরলো বাইক চুরির বড় চক্র। এই চুরির ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে ২৮টি মোটরবাইক। জেলাপুলিশ সুপার ভাষ্কর মুখার্জী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মাধবডিহি থানা পুলিশ একটি বাইক চুরির ঘটনায় তদন্ত করতে নেমে জানতে একটা বড় চক্র বাইক চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে। 


প্রথমে এই ঘটনায় যুক্ত শেখ গিয়াসুদ্দিন ওরফে ফটিক কে গ্রেপ্তার করে মাধবডিহি থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে সূত্র ধরে আরো পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে ২৮টি বাইক। এই বাইক গুলি বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর গুলি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে এর মালিকের খোঁজের উদ্দেশ্যে। 


তিনি আরো বলেন, এতো গুলি বাইক সহ ছয় জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনা জেলা পুলিশের  বড়সড় সাফল্য বলে মনে করছেন। ধৃতদের জিঞ্জসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে যে, এই চুরির ঘটনায় আরো কেউ জরিত আছে কি না বা এরা আন্তরাজ্যে বাইক চুরির গ্যাঙ গুলির সাথে জরিত আছে কি না।


পূর্ব বর্ধমানে দামোদরে তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও তর্পন সারলেন লাখো আদিবাসী পূণ্যর্থী

No comments

Thursday, January 16, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি

এক ঝলক দেখলে মনে হবে এযেন এক অন্য গঙ্গা সাগর। বৃহস্পতিবার লাখো আদিবাসী পূণ্যার্থী  পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরূষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারলেন দামোদরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের  তেলকুপি  গয়া ঘাটে । তর্পন সেরে তারা পুজোও  দিলেন তেলকুপি ঘাটের মারাংবুরু মন্দিরে। পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গা সাগর যেমন ভরে গিয়েছিল হিন্দু পূণ্যার্থী সমাগমে ঠিক তেমনই এই দিন দামোদরের তেলকুপি ঘাটের বালির চড় ঢাকা পড়লো আদিবাসী পূণ্যার্থীদের  ভিড়ে ।


প্রতিবছর ১ মাঘ  জামালপুরের তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও অস্থি বিসর্জন সমারোহে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা  আদিবাসী পূণ্যর্থীরা। শুধু এই রাজ্যের আদিবাসীরাই নয় ,ঝাড়খণ্ড , বিহার ও ওড়িষ্যা রাজ্যের  হাজার হাজার পূণ্যার্থীও এদিন  পূণ্য স্নান সারলেন তেলকুপি গয়া ঘাটে ।


পূণ্য স্নান পর্ব নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করতে গঙ্গাসাগরের মতো  এখানেও এদিন মোতায়েন রাখা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় , জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা , সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার  প্রমুখরা এদিন তেলকুপি ঘাটে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদেন । তেলকুপি ঘাটের  নিরাপত্তা  ব্যবস্থা সামাল দিতে এদিন হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের । দামোদরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল ।  দামোদরের চরেই এদিন বসানো হয়েছিল মেডিকেল ক্যাম্প । জেলা পুলিশ সুপার আদিবাসী সমাজের ৫০ জন্য বিশিষ্ঠ জনের হাতে  তাঁদের ধর্মীয় পোষাক পাঞ্চি তুলেদেন । 


তর্পন উৎসব আয়োজকদের  তফরে  রবীন মাণ্ডি বলেন ,“বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে  গঙ্গাই সবথেকে পবিত্র জলাশয় ।কিন্তু  সেই সুপ্রাচীন কালথেকেই দামোদর নদকেই সবথেকে  পবিত্র জলাশয় হিসাবে মান্যতা দিয়ে আসছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন।  দামোদরের তেলকুপি গয়া ঘাট এই দেশের আদিবাসী  সম্প্রদায়ের  মানুষজনের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ পূণ্য তীর্থভূমি হিসাবে পরিচিত ।বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন মহালয়ার দিন গঙ্গায়  পিতৃপুরুষের উদ্দ্যেশ্যে তর্পন সারেন । আর আদিবাসীরা প্রতিবছর  ১ মাঘ দামোদরের তেলকুপি গায়া ঘাটে পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারেন। তর্পন সেরে আদিবাসীরা তাদের আরাধ্য দেবতা “ শিব তথা  মারাং বুরুর” মন্দিরে   পুজো দেন । ”  আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ , কবি , সাহিত্যিক ও শিল্পীরা এদিন পূণ্য তীর্থ তেলকুপি ঘাটে সমবেত হয়েছিলেন। ধর্মীয় উপাচার সেরে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা এদিন দামোদরে বালির চরে  নাচ গানে মাতোয়ারা হন । বালির চরেই চললো  রান্না করে স্বপরিবার খাওয়া দাওয়া । আদিবাসী তর্পন উৎসব উপলক্ষে  দামোদরের বালির   চরে  এদিন জমজমাট মেলাও বসেছিল।  রীতি মেনে সূর্যাস্তের প্রাক্কালেই  দামোদর ছেড়ে যে যার নিজের  বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন পূণ্যার্থীরা  ।


মুরারইয়ের পর বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখায় মালগাড়ির বগি ফেলে ছুটলো ইঞ্জিন । চরম ভোগান্তি পোয়ালেন যাত্রীরা

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৫  জানুয়ারি 

বীরভূমের মুরারুইয়ের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি বুধবার ঘটলো পূর্ব রেলের বর্ধমান হাওড়া কর্ড শাখায় । বগি ফেলেই ছুটলো  মালগাড়ির ইঞ্জিন ।এদিন  ভোর ৫ টা ৫০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রাম স্টেশান এলাকায়। বড়সড় কোন  বিপত্তি না ঘটলেন বগি ফেলে শুধু মালগাড়ির ইঞ্জিনের ছুটে যাওয়া প্রত্যক্ষ করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন  জৌগ্রাম স্টেশানে  উপস্থিত থাকা ট্রেন যাত্রীরা ।

ইঞ্জিন ছুটে এগিয়ে যাবার পর  জৌগ্রাম রেলগেট ও আপ প্ল্যাটফর্মে ঢোকার লাইন জুড়ে মালগাড়ির বগিগুলি দাঁড়িয়ে পড়ে । তার জেরে এদিন সাতসকালে  চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় ট্রেন যাত্রীদের । এছাড়াও রেল গেট দীর্ঘ সময় ধরে  বন্ধ থাকায় মেমারি জামালপুর রুটে যানবাহন চলাচল স্তব্ধ হয়ে থাকে। দিনের কর্মব্যস্ত সময়ে এমন ভোগান্তির মুখে পড়ে ক্ষেভে ফেটে পড়েন ট্রেন যাত্রী ও সড়ক পথের যাত্রীরা । বেশ কিছুটা সময় বাদ অন্য ইঞ্জিন এনে ওই লাইন থেকে মালগাড়ির বগিগুলি  টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর  বেলা আনুমানিক সাড়ে ৯ টা নাগাদ ভোগান্তির নিস্পত্তি ঘটে । 


জৌগ্রাম স্টেশান বাজার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ গুপ্ত বলেন , অন্যান দিনের মত এদিনও ভোর ৫ টা নাগাদ তিনি প্রাত ভ্রমনে বের হয়েছিলেন ।হাটতে হাঁটতে ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ   জৌগ্রাম স্টেশান চত্তরে পৌছান । ওই সময়ে আপ লাইন দিয়ে  মালগাড়ি পাশ হবে বলে স্টেশান কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষনা করেন ।তখনই তিনি এবং স্টেশান বাজারে থাকা সকলেই দেখেন  শুধু মাত্র একটি রেলইঞ্জিন দ্রুত গতীতে এগিয়ে আসছে । এরপরেই দেখেন সেই ইঞ্জিন থেকে ছুট হয়েযাওয়া মালগাড়ির বগি গুলি রেল লাইন ধরে এগিয়ে আসছে ।অপর প্রত্যক্ষদর্শী    জৌগ্রামের  বাসিন্দা মইনুর রহমান বলেন, ইঞ্জিন বিহীন  মালগাড়ির বগিগুলি রেলগেট সংলগ্ন আপ ক্রশিং লাইন আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে । তার ফলে  অন্য কোন লোকাল ট্রেন  আর জৌগ্রামের আপ প্ল্যাটফর্মে  ঢুকতে পারে না । রেল গেটও  বন্ধ হয়ে থাকে । আপ ও ডাউন স্টেশান  প্ল্যাটফর্মের  মাঝের লাইনে  দাঁড় করানো হয় লোকাল ট্রেনগুলি। রেল লাইনের পাথরের উপর দাঁড়িয়ে  অল্প বয়সী  ট্রেন যাত্রীরা অনেক কষ্টে ট্রেনে চড়ে গন্তব্যে রহনা দেন । তবে প্রবীনরা  ওই ভাবে ঝুকি নিয়ে  ট্রেনে চড়তে  ব্যর্থ হন । তারা স্টেশান প্ল্যাটফর্মেই  বসে থাকতে বাধ্য হন । অন্য ইঞ্জিন এনে মালগাড়ির বগিগুলি টেনেনিয়ে যাওয়া হলে বেলা প্রায়  সাড়ে ৯টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক  হয়। রেলের গাফিলতিতেই এমন সব ঘটনা ঘটছে বলে জৌগ্রামের  বাসিন্দারা  মন্তব্য করেছেন ।

 

 
পূর্ব রেলের  মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক  নিখিল চক্রবর্তী জানিয়েছেন , এদিন  ভোর  ৫ টা ৫০ মিনিট নাগাদ  ঘটনাটি ঘটে । কাপলিং খুলে যাওয়ায়  মালগাড়ির বগি ছেড়ে ইঞ্জিন  এগিয়ে যায় । আপ প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকানোর   সমস্যা তৈরি হওয়ায়  রিভার্স লাইনে  ৩টি আপ লোকাল  ট্রেন দাঁড় করাতে হয়েছিল । যাত্রীদের ওঠানামার সুবিধার জন্য ওখানে ৪-৫ মিনিট করে ট্রেন  দাঁড় করানো হয়েছে ।এছাড়াও যাত্রীদের ওঠা নামার সময়ে  ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয় । পরে অন্য ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে সকাল ৯ টা ১০ মিনিট নাগাদ বগিগুলি ওই লাইন থেকে  টেনেনিয়ে যাওয়া হলে সবকিছু স্বাভাবিক হয় ।



বাঁকুড়া কাদেরাবাদ দরগাহ হযরত শাহ সূফী আজমাতুল্লাহ এঁর ঊরস মোবারকে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা

No comments

Monday, December 9, 2019



বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার অন্তর্গত পুনিশোল গ্রামের কাদেরাবাদ দরগাহ্ শরীফে প্রতি বৎসরের ন্যায় এ বৎসরও পালিত হলো বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ আঃ) ও বাঁকুড়া জেলার ন্যায় বাংলার অদ্বিতীয়  সুফি সাধক হযরত শাহ সূফী আজমাতুল্লাহ ( রঃ আঃ)- এর মহামিলনের উরস উৎসব (12 ই রবিউসসানি) - 9/12/2019
সারাদিনের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে পালিত হয় ঊরস, কলমাখানি, মিলাদ, ফাতেহা, দোয়া খায়ের, চাদর পুষি,ও আলোচনা সুফিবাদে ইসলামের দৃষ্টিকোণ, ইসলামে মানবতা, ভ্রাতৃত্বের গুরুত্ব।
বিভিন্ন জেলা থেকে অগণিত ভক্তের ঢল নেমেছে। দলে দলে মানুষ এসে এই পবিত্র ঊরস অংশ নিচ্ছে।




দিঘায় মুখ্যমন্ত্রীর বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে জোর প্রস্তুতি

No comments

Sunday, December 8, 2019


Chief-Minister-mamata-business-conference-in-Digha-prepares-west-bengal

তুহিন শুভ্র আগুয়ান; দিঘাঃ 

এই প্রথম রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত শহর দিঘাতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলন। পৃথিবীর প্রায় ৬৫টি দেশ থেকে চারশোরও বেশি শিল্প প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন এই সম্মেলনে। যার শুভ উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে এখন দিঘা শহর জুড়ে চলছে জোর প্রস্তুতি। নিরাপত্তা থেকে সৌন্দর্যায়ন সমস্ত ব্যাপারেই জোর দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
Chief-Minister-mamata-business-conference-in-Digha 2020

উল্লেখ, আগামী ১১ ও ১২ ই ডিসেম্বর দিঘায় অনুষ্ঠিত হবে দু'দিনের বাণিজ্য সম্মেলন (বিজনেস কনক্লেভ)। আর এই উপলক্ষে সেজে উঠেছে সৈকত শহর দিঘা। বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে দিঘায় দফায় দফায় চলছে প্রশাসনিক মহলের বৈঠক। গত বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর এই বাণিজ্য সম্মেলনের সমগ্র বিষয় খতিয়ে দেখতে আসেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। তিনি পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠকেও বসেন ওইদিন।  দু'দিনব্যাপী দিঘায় এই বাণিজ্য সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এরআগে বাণিজ্য সম্মেলন কলকাতা শহরেই মূলত অনুষ্ঠিত হতো।
কিন্তু গত আগস্ট মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিঘা কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধনে এসেছিলেন তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন পরবর্তী বাণিজ্য সম্মেলন দিঘা শহরের এই কনভেনশন সেন্টারেই অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর এই ঘোষণা মেনেই ডিসেম্বরের ১১ ও ১২ তারিখ দিঘায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক বড় মাপের বাণিজ্য সম্মেলন। প্রশাসন সূত্রে খবর, দিঘার এই বাণিজ্য সম্মেলনে পৃথিবীর ৬৫ টি দেশ এবং বিদেশ থেকে প্রায় চারশোরও বেশি শিল্প প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন এই বাণিজ্য সম্মেলনে। দু'দিনব্যাপী বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্প প্রতিনিধিদের নিয়ে বেশ কয়েকটি মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও রয়েছে বলে খবর। শিল্পপতিদের আগমনের কথা মাথায় রেখে দিঘায় ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে অতিরিক্ত পাঁচটি হেলিপ্যাড ময়দান।
১১ ডিসেম্বর বাণিজ্য সম্মেলন উদ্বোধনের পর সন্ধ্যায় নিউ দিঘা সংলগ্ন যাত্রানালা পার্কে বসবে এক বড় মাপের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রী সহ শিল্পপতিরা অংশ নেবেন বলে খবর। তাই নিউ দিঘার এই যাত্রানালা পার্কে বর্তমানে জোরকদমে সাজানোর কাজ চলছে। জেলা প্রশাসনে নিয়োগ করা বিশেষ শ্রমিকদের দিয়েই করানো হচ্ছে এই সমস্ত কাজ। তবে বর্তমানে সম্মেলনের কথা মাথায় রেখে সমস্ত বহিরাগতদের ভেতরে প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সৈকতের ধারে লোহার খাঁচা ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ খোলামঞ্চ‍।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বাণিজ্য সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দিঘা এলাকার প্রায় সমস্ত হোটেল বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে প্রশাসনের তরফ থেকে প্রায় ১৭০০টি হোটেল রুম বুকিং করা হয়েছে। শিল্পপতিদের আগমন ও তাদের যাবতীয় ব্যবস্থার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিজের হাতে। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে দিঘার রাস্তা থেকে পাকা ব্রিজ সমস্ত এখন নতুন রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে। দিঘায় হঠাৎ এই বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে জেলার মানুষদের মধ্যেও এখন বর্তমানে ব্যাপক উদ্দীপনা রয়েছে। অনেকের মতেই বাণিজ্য সম্মেলনের পরেই রাজ্যে এমনকি জেলায়ও বেশকিছু শিল্পের বিনিয়োগ হতে পারে।
তবে মূলত বাণিজ্য সম্মেলনে কি কি হতে চলেছে এবং কারা কারা উপস্থিত থাকতে চলেছেন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিঘায় বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন," দিঘায় বাণিজ্য সম্মেলন ঘিরে এখন সৌন্দর্যায়ন থেকে নিরাপত্তা সমস্ত বিষয়ে আমরা জোর দিয়েছি। জেলার সমস্ত আধিকারিকদের দিয়ে আমরা প্রস্তুতি বৈঠকও করেছি। এখন বলা যেতে পারে সার্বিকভাবে প্রস্তুতি চলছে।"

গ্রিনসিটির তালিকায় এবার পূজোয় দার্জিলিং

No comments

Tuesday, September 24, 2019


গ্রিনসিটি রূপে তৈরি করা হবে দার্জিলিং-কে। সেখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আরও আকর্ষনীয়ভাবে গড়ে তোলা হবে সরকারের তরফে।

গ্রিনসিটি দার্জিলিং,উদ্যোগী রাজ্য সরকার ও জিটিএ

বিশেষ করে, মিরিক লেকের শোভা বৃদ্ধি করার জন্য যৌথভাবে কাজের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার ও জিটিএ। তার জন্য ডিপিআর তৈরি করা হবে জিটিআর তরফে।
এই প্রকল্পে লেকের ধারের জমা পলি সরানো, লজগুলির সংস্করণ ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন।
ইতিমধ্যেই লেকের পলি সরানোর বিষয়ে ডিপিআর তৈরি করছে জল সম্পদ উন্নয়ন দফতর।
পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থার কাজ শুরু করবে নগরোন্নয়ন ও পুর বিষয়ক দফতর।

গ্রিনসিটি দার্জিলিং,বিশেষ নজর নিকাশী ব্যবস্থায়

এর জন্য বড় ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে এলাকার বড় বাড়িগুলিকে।এছাড়া কঠিন বর্জ্য নির্গত করতে তৈরি করা হবে কম্প্যাক্টর স্টেশন।
যদিও বিশেষ করে বর্জ্যের পৃথকীকরণ করা হবে বাড়িতে। করা হবে লজগুলির সংস্কার।
ঢোকার মুখে গড়ে তোলা হবে মিরিক গেট। পরিষ্কার করা হবে সমস্ত এলাকাকে।     

বেশ কয়েক বছর ধরেই দার্জিলিঙের পর্যটন স্থানগুলিতে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ উঠেছিল। এই পুজোর মরশুমে পর্যটক টানতে নতুনভাবে দার্জিলিংকে সাজাতে চাইছে সরকারের। 

পুজোর ছুটিতে দেবী দুর্গার এককোটি স্বামীর দেশে চলুন

No comments

Sunday, September 22, 2019



এককোটি থেকে মাত্র একটি কম ! তাই নাম ঊনকোটি । দেবী দুর্গার নিরানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয়শো নিরানব্বইটি স্বামীকে দেখা যায় ত্রিপুরার সবুজ ঘেরা রঘুনন্দন পাহাড়ে।


জায়গাটার নাম ঊনকোটি। শব্দের বাংলা অর্থ এককোটি থেকে কম। ত্রিপুরার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল শৈব তীর্থ ঊনকোটি। এই অদ্ভুত প্রাচীণ পাথুরে শিল্প ঊনকোটি  কৈলাসহরে অবস্থিত।


অবস্থানঃ

রাজধানী আগরতলা থেকে ১৭৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্র। কৈলাসহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ঊনকোটি।


কীভাবে যাবেন?


কলকাতা থেকে রেলপথে অথবা আকাশপথে চলে যান আগরতলা। সেখানে থাকুন। ঘুরে দেখুন শহরটি। পরে ত্রিপুরা পর্যটন দফতরের বাসে চড়ে চলে যেতে পারেন ঊনকোটির দেশে।


রেলপথে কুমারঘাট অথবা ধর্মনগর নেমে সড়কপথেও যেতে পারেন আপনি।


ঊনকোটি -র ইতিহাসঃ

ঊনকোটি


হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবী পার্বতীর ভক্ত ছিলেন স্থাপত্যকার কালু কামার।কথিত আছে,স্বামী মহাদেবের সঙ্গে কৈলাসে ফিরছিলেন পার্বতী। তখনই তাঁদের সঙ্গে কৈলাসে যাওয়ার জন্য বায়না ধরলেন কালু কামার।


সেই সময়ই কালু কামারের ওপর শর্ত রাখেন্ মহাদেব। এক রাত্রিরের মধ্যে এককোটি দেবদেবীর মূর্তি তৈরি করতে হবে স্থাপত্যকার কালু কামারকে।


কিন্তু এককোটি থেকে একটি কম অর্থাৎ ঊনকোটি মূর্তি তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। পাহাড়ের গায়ে খোদিত রয়েছে সেই মূর্তি।


ঊনকোটির মূর্তিগুলি নিয়ে পুরাকালে আরও একটি কাহিনি প্রচলিত রয়েছে।


দেবতাদের নিয়ে ত্রিপুরা হয়ে বারানসীর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলেন দেবাদিদেব শিব। মহাদেবকে নিয়ে দেবতাদের সংখ্যা ছিল এক কোটি।


ঊনকোটি

পুজোর ছুটিতে দেবী দুর্গার এককোটি স্বামীর দেশে চলুন

সন্ধে নামার পর রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা হয় রঘুনন্দন পাহাড়ে।পথ পরিশ্রমে ক্লান্ত দেবতারা গভীর নিদ্রায় অচেতন হলেন।


পরের দিন সূর্যোদয় হওয়ার আগে সবার বারানসীর উদ্দেশে যাত্রা করার কথা, কিন্তু মহাদেব ছাড়া অন্য কোনো দেবতাদের নিদ্রাভঙ্গ হল না।


মহাদেব বিরক্ত হয়ে একাই বারানসীর উদ্দেশে রওনা দিলেন।


কথিত রয়েছে গভীর নিদ্রায় সমাধিস্থ দেবতাদের আকালনিদ্রা আর ভাঙল না। অনন্তকালের জন্য পাথর হয়ে রইলেন তাঁরা।


সেই থেকেই রঘুনন্দন পাহাড়ের নাম হয় ঊনকোটি।


কী রয়েছে ঊনকোটি তে?


পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা মূর্তিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ৩০ ফুটের জটাধারী শিব। এছাড়াও রয়েছে গণেশ, দুর্গা, বিষ্ণু, রাম, রাবণ, হনুমান এবং শিবের বাহন নন্দীর মূর্তি। ঊনকোটির একটি প্রধান দ্রষ্টব্য হল গণেশকুন্ড।


কুন্ড সংলগ্ন পাথরের দেওয়ালে দক্ষ হাতে খোদাই করা আছে তিনটি গণেশ মূর্তি। এদের ডান পাশে রয়েছে চতুর্ভুজ বিষ্ণু মূর্তি। ঐতিহাসিকদের মতে, ঊনকোটির অভিনব ভাস্কর্য তৈরি হয়েছিল অষ্টম বা নবম শতাব্দীতে।




      

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION