Showing posts with label দক্ষিণবঙ্গ. Show all posts
Showing posts with label দক্ষিণবঙ্গ. Show all posts

করোনা মোকাবিলায় কন্যাশ্রীর টাকা দিলেন দুই ছাত্রী

No comments

Wednesday, April 1, 2020


পূর্ব বর্ধমান: করোনা মোকাবিলায় এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন এক কলেজ পড়ুয়া। একইসঙ্গে ওই কলেজ পড়ুয়ার বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সেই টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করল। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ বেনফেড গলির বাসিন্দা ইশিকা ব্যানার্জী এদিন জেলাশাসকের হাতে তাঁর কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল। ইশিকা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বহু ছাত্রছাত্রী নানাবিধ অসুবিধায় পড়েছে। তাদের খাওয়াদাওয়া সহ পড়াশোনায় যাতে কিছু সাহায্য করা যায় তার জন্যই সে এই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল।

উল্লেখ্য, ইশিকা বর্ধমানের মানকড় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে, এদিন দিদির সঙ্গেই তার মূল্যবান সঞ্চয়কে তুলে দিল ঈশাণী ব্যানাজ্জী। সে বর্ধমান হরিসভা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সে এদিন জেলাশাসকের হাতে ১১১১ টাকা তুলে দিয়েছে মুখ‌মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ঈশাণী জানিয়েছেন, তার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগে তাহলেই সে খুশী হবে।

শুধু এটাই নয় এদিন ইশিকা ও ঈশাণীর মা গৃহবধু মিঠু ব্যানার্জ্জীও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১লক্ষ টাকা দান করেছেন। উল্লেখ্য, ইশিকার নামেই তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই অর্থ তিনি দান করেছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুদেবী। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মিঠুদেবীর ননদ মিতা মুখার্জ্জীও।


করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা

No comments

Tuesday, March 31, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- ভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল এই বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ সলিউশান চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত  হয়েছে কন্যাশ্রী কন্যা দিগন্তিকা বোসের তৈরি মাস্ক।এছাড়াও ভারত সরকারের
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্কের  কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা শুরুকরে দিয়েছেন।  দিগন্তিকা আশাবাদী  তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক আগামী দিনে ভারতকে  মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন রোধের দিশা  দেখাবে ।


পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌর এলাকায় বাড়ি ছাত্রি দিগন্তিকার ।সে মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিররের(শাখা ২)একাদশ  শ্রেণীর ছাত্রি। দিগন্তিকা জানিয়েছে , করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক  যে মাস্ক সে তৈরি করেছে তার পোষাকি  নাম সে দিয়েছে ‘পিয়োর এয়ার প্রোভাইডার এ্যন্ড ভাইরাস ডেসট্রয়ার মাস্ক ’। কোরোনা ভাইরাস রোধে এই মাস্ক কিভাবে কাজ করবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক পরে কেউ প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে ।আর নভেল করোনা পজেটিভ ধরা পড়া ব্যক্তির মুখে থাকা তার তৈরি মাস্ক নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট বা অন্য কোন ভাইরাস কে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে যাবে। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।কিভাবে তাঁর আবিস্কৃত  মাস্ক এই কাজ করবে ? উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর তৈরি মাস্ক দুটি অংশ নিয়ে তৈরি। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্প এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার । প্রথমে অংশ প্রশ্বাস গ্ৰহনের বাতাস থেকে নির্গত ধূলিকণা ও জল কনা মাস্কের এক অংশ  আটকে দেবে । পরের অংশ ভাইরাস এর লিপিড প্রটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্পের মধ্য দিয়ে মাস্কের ভিতর থেকে  ফুসফুসে যেতে সাহায্য করবে । এছাড়াও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় মাস্কে থাকা অন্য একটি এক মুখি ভাল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে । ত্যাগ করা নিশ্বাস  ওই ভাল্পের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের  ভিতরে প্রবেশ করবে ।সেখানে যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার মাধ্যমে  মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রটিনের  স্তরটি  ভেঙে যাবে । এর ফলেই ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে  । ভাইরাস আর সংক্রমণই ঘটাতে পারবে না।  নভেল করোনা পজেটিভ ধরাপড়া  কোন ব্যক্তি তার আবিস্কৃত মাস্ক পরে থাকলে আর ভাইরাসের কোন অস্তিত্বই থাাকবে না।’মাত্র ২০০ টাকা খরচ করেই এই মাস্ক তৈরি করাযাবে বলে দিগন্তিকা  জানিয়েছে ।


দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্ত বোস জানিয়েছেন,
 তাঁর মেয়ের আবিষ্কৃত মাস্ক ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জের  অন্তর্ভুক্ত করেছে।মন্ত্রকের  ভাইরোলজিস্টরা দিগন্তিকার এই আবিষ্কার নিয়ে খুবই আশাবাদী।এছাড়াও ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন  স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরাও এখন এই মাস্কের কার্যকারীতা  খতিয়ে দেখছেন। উড়িষ্যার বীরসুন্দর সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির আইডিয়া ইনভেশন শাখা 'হ্যাক ফর কোভিড - ১৯ 'এর তালিকা ভুক্ত হয়েছে দিগন্তিকার  আবিস্কৃত মাস্ক ।সুদীপ্তবাবু বলেন ,ইতিপূর্বেই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়ে বেশ কয়েকটি যন্ত্র আবিস্কারের কৃতিত্ব স্বরুপ  দিগন্তিকা জাতীয় পুরস্কার লাভকরেছে ।দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সন্মানিত করেছেন দিগন্তিকাকে ।সুদীপ্ত বাবুর  প্রত্যাশা তাঁর মেয়ে দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্ক এবার দেশবাসীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে । 



লকডাউনে পথ কুকুরদের খাবার যোগাচ্ছে জামালপুরের একদল যুবক

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যয় ( বর্ধমান ) :- লকডাউন চলায় রাজ্যের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরেও বন্ধ রয়েছে হোটেল ,কারখানা ও অফিস কাছারি । শুনশান হয়ে রয়েছে পথঘাট।সেই কারণে  অভুক্ত থাকছিল পথ কুকুরা। এই বিষয়টি ব্যথিত  করে তোলে জামালপুর হাটতলা এলাকার একদল যুবককে।তারা সিদ্ধান্ত নেয় লকডাউনের কটাদিন তারাই সবাই মিলে পথ কুকুরদের দুবেলা  খাবারের  জোগান দেবে।  জামালপুর হাটতলা এলাকা নিবাসী কৌশিক পতিহার , প্রবীর নায়েক প্রমুখরা বলেন তারা  নিজেদের আর্থিক খরচায় পথ কুকুরদের জন্য খাবার রান্না করছেন ।
বড় গামলায় সেই খাবার ভরেনিয়ে জামালপুরের বিভিন্ন গ্রামে পৌছে গিয়ে তা পথ কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন।  কৌশিক পতিহার বলেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন - সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ’ এই বাণীকে পাথেও করেই  তারা  পথ কুকুরদের খাবারে  অভাব মেটাচ্ছেন । এভাবেই লকডাউনের কটা দিন দুবেলা পথ কুকুরদের খাওয়ানোর কাজ চালিয়ে যাবার শপথও নিয়েছেন হাটতলার  যুবকরা।আপামোর জামালপুরবাসী হাটতলা এলাকার পশুপ্রেমি যুবকদের এমন কর্মকাণ্ডে তারিফ করেছেন । 


উড়িষ্যা থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে পূর্ব বর্ধমানের মসাগ্রাম ও জৌগ্রামে পৌঁছালেন শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমীক - পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন

No comments

Monday, March 30, 2020




প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- কডাউনের জেরে চরম দুর্বিপাকে পড়েগিয়েছেন  ভিন রাজ্য  ও ভিন জেলায় কাজ করতে যাওয়া  শ্রমিকরা। করোনা নিয়ে  কেন্দ্র নতুন নির্দেশিকা জারি করায় তাদের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। নিজের নিজের বাড়ি ফেরার জন্য হেঁটো  মাইলের পর মাইল পথ পেরিয়ে এসেও ওই সব শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা আর হলনা ।পথই এখন তাঁদের জীবন, পথই এখন তাঁদের  মরণের  স্থান হয়ে উঠেছে।
শুনতে অবাক লাগলেও সোমবার বেলা পর্যন্ত  ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধানের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের আঝাপুর ও জৌগ্রামে  শুধুই শোনা যায়  বাড়ি ফিরতে চাওয়া শয়ে শয়ে  মানুষের আকুল আর্তি ।খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে পৌছেযান ।ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সকল পরিযায়ী শ্রমীদের জন্য পানীয়  জল ও খবারদাবারের ব্যবস্থ্যা করেন প্রশাসনের কর্তারা।আপাতত বাড়ি ফেরার চিন্তা ভাবনা ত্যাগ করে প্রায় ৫ শতাধীক পরিযায়ী শ্রমিকেকের ঠাঁই হয়েছে জৌগ্রামের একটি স্কুলে ।


রুটি রুজি যোগাড়ের জন্য পূর্ব বর্ধমানের প্রতিবেশী জেলার প্রায় ৫ শতাধীক  শ্রমিকের কেউ ভিন রাজ্যে  আবার কেউ ভিন  জেলায় কাজ করতে গিয়েছিলেন । করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষনা হবার পরেই এইসকল পরিযায়ী শ্রমিক  ও তাঁদের পরিবার সদস্যরা চরম দুর্বিপাকে পড়েযান । তাঁদের কাজকর্মও  বন্ধ হয়েযায়।  খাবার দাবার জোগড় করাও  দায় হয়েওঠে।  এমন পরিস্থিতি তৈরি হবার পরেই  তারা  যে যার নিজের বাড়ি ফেরার পথ খোঁজা শুরু করেদেন।উড়িষ্যার কটকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী  শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য তিন দিন আগে রেলপথ ধরে  হাঁটা শুরু করেন । আর যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন জেলায় কাজে গিয়েছিলেন  তারা বাড়ি ফেরার জন্য সড়ক পথ ধরে হাঁটা শুরু করেদেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্ত্রী ও শিশু সন্তানরাও হাঁটা পথে রওনা হতে বাধ্য হন । এইসব শ্রমিকদের বেশির ভাগজনই বিহার ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের  বাসিন্দা। বাকিরা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও  আসানসোলের বাসিন্দা। দীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে  ক্লান্ত হয়ে পড়ে এই সকল পরিযায়ী  শ্রমিকদের  বড় একটি দল এদিন সকালে জৌগ্রামে জাতীয় সড়কের ধারে বসেপড়েন । অপর একটি দল মসাগ্রামে জাতীয় সড়কের আন্ডার পাসের নিচে বসে পড়েন ।


এই খবর পাবার পরেই ত্রাতার ভুমিকায় তাদের কাছে পৌছেযান জামালপুর থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানা ও পঞ্চায়েত সমিতির  সভাপতি মেহেমুদ খান । ওসি পুষ্পেন্দু জানা ও মেহেমুদ খান দ্রুত ওই সকল শ্রমিকদের জন্য খাবার ও পানীয়  জলের ব্যবস্থা করেন ।
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে সহযোগীতার হাত বাড়িযে দেয় জৌগ্রামের  শাসক দলের কর্মিরাও ।


উড়িষ্যায় কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা  এদিন জামালপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের বলেন ,বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেদেবার জন্য তারা উড়িষ্যা পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন ।  কিন্তু উড়িষ্যা পুলিশ  তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত নির্মম ও খারাপ ব্যবহার করেছে। সামান্য খাবার দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে  হুমকি ও হুঁশিয়ার দিয়ে তাঁদের দ্রুত উড়িষ্যা ছাড়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয় । সেকারণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেলপথ ধরেই হাঁটা শুরু করতে বাধ্য হন ।
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির  সভাপতি  মেহেমুদ খান বলেন , ‘উচ্চ কর্তৃপক্ষের  নির্দেশ না আসাপর্যন্ত সকল পরিযায়ী শ্রমিককে জৌগ্রামের  গোপালপুরের স্কুলে থাকতে বলা হয়েছে । তাঁদের খাবারদাবার, পানীয়  জল সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে ।’  সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানাগেছে এদিনই একই রকম ভোগান্তির  শিকার হয়ে  বীরভূমের রামপুরহাটের  মোরগ্রামের ১৪ জন শ্রমিক  পৌছান মেমারিতে । মেমারি ১ ব্লক প্রশাসনও একই ভাবে ওই সকল পরিযায়ী  শ্রমিকদের জন্য সাহায্যের  হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ।
আপতক মেমারির বাগিলার একটি স্কুলে ঠাঁই হয়েছে ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের ।

হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তিতের বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ- দিতে হচ্ছে মুচলেখা

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ):- কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সর্বাত্মক  ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।একই ভাবে সংক্রমন রুখতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ।বর্তমান পরিস্থিতিতে  জেলার কোথাও কেউ যাতে হোম কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ না করেন তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে । জেলার যেসব এলাকার ব্যক্তিদের  হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে  বালা হয়েছে তাদের  বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ ।শুধু নোটিশ লাগানোই নয় ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার যাতে  নিরাপদে থাকতে পারে তার  ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।প্রশাসনের এই উদ্যোগের  তারিফ করেছেন  জেলার আপামোর  বাসিন্দা ।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গোটা  রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাার বাসিন্দা মহলেও  উদবেগ আতঙ্ক কম ছড়ায়নি ।উদ্ভুত এই পরিস্থিতির  মধ্যে যেসব ব্যক্তিরা  বিদেশ  কিংবা  ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরছেন তাদের নুন্যতম ১৪ দিন  নিজের গৃহে অন্তরীণ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও  ভিন রাজ্য ও ভিন দেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা অনেকক্ষেত্রে  চিকিৎসকের সেই পরামর্শ  মানছেন না। তাদের কেউ কেউ বাজার করতে যেমন বেরিয়ে পড়ছেন তেমনই লোকজনের সাথেও মেলামেশাও করছেন।এরফলে ঝুঁকি বাড়ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ।এমনটা আটকাতেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে হোম  কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ  শাটিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে । একই সঙ্গে ওই সকল ব্যক্তিদের হোম কোয়ারান্টিনে  থাকার মুচলেখাও দিতে হচ্ছে পুলিশের কাছে ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নোটিশ লাগানো হচ্ছে তাতে  লেখা থাকছে কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তির নাম ।  এছাড়াও লেখা থাকছে ওই ব্যক্তির পরিবারে মোট  কতজন সদস্য আছেন এবং কতদিন ওই ব্যক্তিকে  হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে তার তথ্য।তবে পোস্টার মারানিয়েও আবার বিপত্তি তৈরি তৈরি হয়েছে । জেলার জামালপুরের  বত্রিশবিঘা গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই মনেকরতে শুরু করেন যাদের বাড়িতে পোস্টার মারা হচ্ছে তারাই করোনা আক্রান্ত । 
এইসব নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয় ।  এই খবর নড়েচড়ে বসে জামালপুর ব্লক প্রশাসন । জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ও  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ  খান সোমবার ওই  গ্রামে পৌছে যান ।
তারা গ্রামের সকল মানুষজনকে বুঝিয়ে বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই বাইরে থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বাড়িতে পোস্টার মেরে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হচ্ছে  । কারুর  বাড়িতে পোস্টার মারা হয়েছে মানেই ওই বাড়ির কোন ব্যক্তি  করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমনটা যারা মনেকরছেন তারা ভুলকরছেন ।এমন মিথ্যা গুজব না ছড়ানোর কথাও  প্রশাসনের কর্তারা  গ্রামসীদের জানিয়ে দেন ।’এরপরেই বত্রিশবিঘা গ্রামের মানুষজনের উদবেগ কাটে । অন্যদিকে আবার জেলার অনেক গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে গ্রামের রাস্তার আটকে দিয়েছেন ।তারা  বাইরের লোকজনকে যেমন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছেন না তেমনই গ্রামের লোক জনকে  বাইরে বেরহতে দিচ্ছেন না ।

যদিও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে  সাধুবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । তিনি নিজেও জেলার বিভিন্ন এলাকায়  ঘুরে ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালানো শুরু করেছেন ।সবাইকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের  নির্দিষ্ট করেদেওয়া পরামর্শ ও নিয়ক কানুন মেনে চলারও বার্তা দিচ্ছেন ।

করোনা আক্রান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়ো পোস্ট করার দায়ে মেমারিতে গ্রেফতার যুবক

No comments

Sunday, March 29, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা সংক্রমণ  বিষয়ক ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ । পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের  নাম সৈকত সিংহ ।মেমারির বোহার গ্রামের বাসিন্দা  পার্থসারথী মজুমদারের অভিযোগের পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে । রবিবার ধৃতকে  পুলিশ পেশ করে বর্ধমান আদালতে । মেমারি নিবাসী তৃণমূলের জেলা যুবনেতা আশিস ঘোষদস্তিদার একই ধরনের মিথ্যা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করায় তার বিরুদ্ধেও পার্থসারথী বাবুর স্ত্রী মৈত্রেয়ী সিংহরায় অভিযোগ দারের করেছেন । করোনা সংক্রমণ  সংক্রান্ত ভূয়ো পোস্ট ঘিরে এখন রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে মেমারিতে ।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , মৈত্রেয়ী  সিংহরায় মেমারির বোহার হাইস্কুলের শিক্ষিকা। মেমারির সিপিএম নেতা সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পরিবারের  আত্মীয়। অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়ো পোস্ট ছেড়ে বলা হচ্ছে,‘ সিপিএম নেতা সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েয় আত্মীয়  পার্থসারথী বাবুর ছেলে কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে বাড়িতে ফিরে ‘ঘাপটি’ মেরে বসে থাকে ।পরে  আশাকর্মীর চাপে সে  ডাক্তারের কাছে যায়। আর তার পরিবার থানার ভয়ে পালিয়েছে। শিক্ষিত মানুষের এই আচরণ লজ্জাজনক’। এই  পোস্ট নজরে আসার পরেই  শনিবার সকালে পার্থসারথিবাবু পুলিশকে বিষয়টি জানান ।তিনি পুলিশকে বলেন ,তাঁর ছেলে ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাচতে  তাঁর ছেলে সেখানেই ঘরবন্দি রয়েছে । অথচ এরকম ভুল পোস্ট করার  হচ্ছে । তার জন্যে তিনি ও তাঁর পরিবার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এমন ভূয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনায় জড়িত চারজনের নামে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানান। দায়ের হওয়া সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ এক যুবকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে  ।


করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো রায়নার সহজপুর গ্রামে

No comments


কৃষ্ণ সাহা ( শ্যামসুন্দর ) :- কডাউনের পঞ্চম দিনে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গৃহীত করলো রায়না এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সহজপুর গ্রামে।শ্যামসুন্দর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুশান্ত বল্লোভের উদ্যোগে সমস্ত গ্রামবাসীদের বিতরন করা হলো মাস্ক,স্যানিটাইজার সহ স্যাভলন সাবান। বাড়ী বাড়ী ঘুরে তারা এই বিতরণ প্রক্রিয়া সারলেন । তার সঙ্গেই প্রত্যেকটি মানুষকে COVID 19 এর প্রকোপ থেকে বাঁচার নিয়মাবলি  সম্পর্কে অবগত করলেন।সুশান্ত বল্লভ মহাশয়ের সাথে এই কাজে সামিল হয়েছেন তার সহকর্মীরা।
      বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই করোনা ভাইরাস।মুক্তি পায়নি বাঙলাও।তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম সতর্কীকরণ প্রচার বেশ সহায়ক হয়েছে।তাঁর এই করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ে নিজের সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেছেন সুশান্ত বল্লভ মহাশয়।তাদের এই কর্মসূচির তারা দুদিন ধরে চালাবেন।গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানালেন
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সুনীতি পণ্ডিত।তার চোখেমুখেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।


করোনা আতঙ্কে পূর্ব বর্ধমান জেলার বাস্তব অবস্থা নিয়ে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি

No comments

Saturday, March 28, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :-  গডাউন চললেও এই রাজ্যের গ্রাম থেকে শহর সর্বত্র ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক।  এই অবস্থায় শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন  সংক্রান্ত  বাস্তব অবস্থা  খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র । এদিন বিকালে তিনি পৌছান মেমারি থানায় । সেখানে জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন ডিজি । পাশাপাশি তিনি মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম ও মেমারি পুরসভার  পুরপ্রধান স্বপন বিষয়ীর সঙ্গে কথা বলে  কোথায় কোনও ঘাটতি আছে কি না তা  জানার চেষ্টা করেন। ডিজি বীরেন্দ্র মেমারির ব্যবসায়ী সমিতির  প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করে জানতে চান পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে  কোথাও কোন  ঘাটতি হচ্ছে কি না ।
লগডাউনের সূযোগ নিয়ে  কালোবাজারি কিংবা খাদ্য দ্রব্য মজুত করে রাখার প্রবণতা বেড়েছে কি সেবিষয়েও  ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের কাছে ডিজি জানতে  চান । বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় মেমারির  ব্যবসায়ী কল্যাণ কমিটির সম্পাদক রামকৃষ্ণ হাজরা বলেন ,ওষুধের  ঘাটতি ও  পরিবহণ সঙ্কট নিয়ে ডিজির সঙ্গে কথা হয়েছে। এই সমস্যা মেটানোর জন্য ডিজি থানা থেকে ‘পাস’ নেওয়ার কথা  বলেছেন। এ ছাড়াও যে কোনও প্রয়োজনে পুলিশ সাহায্য করবে বলে ডিজি  আশ্বাস দিয়ে গেছেন। যাবার সময়ে ডিজি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “কী অবস্থা চলছে, সেটা জানার জন্যে এসেছিলাম । পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করেছি। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্যে বলা হয়েছে। কালোবাজির বা মজুত করার প্রবণতা দেখাগেলে তা নির্মূল করার কথাও বলা  হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় স্কলারশিপের টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেদিল জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র

No comments




প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্যে দৃষ্টান্ত গড়ল
 জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র শুভম ঘোষ।স্কলারশিপ বাবদ পাওয়া টাকার কিছুটা পড়াশুনার জন্য রেখেদিয়ে বাকি ৫ হাজার টাকা  শুভম দান করেদিল মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে । করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে মেধাবী ছাত্র শুভমের এমন ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রশাসনের কর্তারা  ।


পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পাঁচড়া গ্রামে   বাড়ি ছাত্র শুভম ঘোষের। তাঁর বাবা শৈলেন ঘোষ পেশায় চাষি। ছোট বয়স থেকেই শুভম পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী।সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে পড়াশুনার জন্য  সে  ভর্তি হয় জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট  ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার সমস্ত স্কুল , কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার  নির্দেশ দেবার পর শুভম পাঁচড়া গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে ।শুভম জানিয়েছে ,বাড়িতে ফিরে এসে সে জানতে পারে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন।এমনটা জানার পরেই  সে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য মনস্থির করেফেলে।শুভম জানিয়েছে ,সে কলেজ থেকে স্কলারশিপ বাবদ যে অর্থ পেয়েছিল তার কিছুটা পড়াশুনার জন্য রেখেদিয়ে বাকি ৫ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় । শুক্রবার বিকালে জামালপুর  ব্লকের বিডিও অফিসে পৌছে বিডিওর সহযোগীতায় ৫ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা করেছে বলে শুভম জানিয়েছে ।একই সঙ্গে সে এই কঠিন সময়ে সকলকে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যের সকল ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আবেদন  রেখেছে।


জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন ,মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার জন্য ছাত্র শুভম তাঁর বাবাকে সঙ্গে নিয়ে  বিডিও অফিসে হাজির হয়। তার আবেদন শুনে মুখমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার কাজে তাঁকে সর্বতভাবে সহযোগীতা করা হয়েছে । বিডিও বলেন, এই দূর্যোগের সময়ে নিজের স্কলারশিপের টাকা মু্খ্যন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে  দান করে শুভম শুধু যে দৃষ্টান্ত গড়লো এমনটাই নয়। শুভম ছাত্র সমাজের কাছেও ভাল বার্তা দিল । শুভম কে দেখে রাজ্যের অন্য ছাত্ররাও যদি অর্থ দান করে তবে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার আরো  নানা পদক্ষেপ গ্রহনে সক্ষম হবে ।

দুই দাঁতাল হানা দেওয়ায় পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে শিকেয় উঠলো লকডাউন

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :-গডাউনের মধ্যেই জঙ্গল ছেড়ে দুটি দাঁতাল হাতি হানাদিল লোকালয়ের  ধানক্ষেতে ।এই ঘটনা ঘিরে শনিবার  সকালথেকে  ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে  পূর্ব বর্ধমানের  খণ্ডঘোষে। হাতির দল  চাষের জমিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দেখে  লগডাউন ভঙ্গ করেই খণ্ডঘোষের খেঁজুরহাটি , ওঁয়ারি ,কৈশর,
আলিপুর ও নিশ্চিন্তপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষজন হাতি তাড়াতে বেরিয়ে পড়েন । এই খবর পাওয়া মাত্রই খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ এলাকায় পৌছায়।খবর দেওয়া হয়  বন
দফতরে ।বেলায় বন দফতরের রেঞ্জ অফিসার   সহ হুলা পার্টি  খণ্ডঘোষে পৌছায় । তারা  হাতি গুলিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফিরিয়ে দেবার প্রচেষ্টা চালিয়ে  যাচ্ছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে ,এদিন  ভোরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের দিক থেকে দুটি  দাঁতাল হাতি খণ্ডঘোষ এলাকায় ঢুকেপড়ে । গ্রামে হাতি ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সকলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।এরপরেই লগডাউন শিকেয় তুলে একের পর এক  গ্রামের  বাসিন্দা জমি থেকে হাতি তাড়াতে ঘরথেকে বাইরে  বেরিয়ে পড়েন । বন দফতরের তরফে  জানানো হয় শুক্রবার রাতের দিকেই সম্ভবত হাতি দুটি বাঁকুড়ার দিককার  জঙ্গল থেকে বেরিয়ে পড়ে খণ্ডঘোষে চলে এসেছে। চাষজমি ছেড়ে হাতি গুলি যাতে জনবসতি এলাকায়  ঢুকে না পড়ে
তারই তৎপরতা এদিন চালিয়ে যান বর্ধমান ও সোনামুখি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার সহ হুলা পার্টির কর্মীরা। হাতিগুলিকে উত্যক্ত  না করার জন্য বনকর্মীরা  মাইকে লাগাতার  প্রচারও চালিয়ে যান। তারা সন্ধ্যা নামার আগেই হাতি দুটিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে ফেরত পাঠানোর জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো শুরু করেন । তারই মধ্যে হাতির হানায় বরো ধান চাষের ক্ষতি  হওয়া নিয়ে পুলিশ ও বন আধিকারিকদের  সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন  খণ্ডঘোষের চাষিরা। তারা  ক্ষতিপূরণেরও দাবিতে জানিয়েছেন  ।

খডঘোষে এসে  সোনামুখির ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তী বলেন, একমাস আগে দাঁতাল হাতি দুটি বিষ্ণুপুর থেকে সোনামুখি ও  পাত্রসায়ার হয়ে বজরা এলাকায় চলেযায় ।সেখান থেকে ফের হাতি দুটি শুক্রবার  চলেযায় পাত্রসায়ার।শনিবারই হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়েযাবার চেষ্টা হয় । কিন্তু হঠাৎই  মিসিং হয়েযায় দুটি হাতি । চেষ্টা চালানো হচ্ছে খণ্ডঘোষ থেকে পাত্রসায়ার হয়ে হাতি  দুটিকে  জঙ্গলে ফেরৎ পাঠানোর ।খণ্ডঘোষের মানুষজন যদি সহযোগীতা করেন তবেই সেই কাজ দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে রেঞ্জ অফিসার জানিয়েদেন ।সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানাগেছে , সন্ধ্যা নামার  আগেই বনকর্মীরা  হাতি দুটিকে  খণ্ডঘোষ থেকে পাত্রসায়ারের দিকে পাঠিয়ে দিতে  সক্ষম হয়েছেন।


মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই লগডাউন কার্যকর করতে মানবিক ভূমিকায় পথে নামলো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই লগডাউন কার্যকর করতে  বল প্রয়োগের পথ ছাড়লো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ।লোকজনকে পিটিয়ে লগডাউন কার্যকর করার প্রচেষ্টা শিকেয় তুলে  শুক্রবার সকল থেকে মানবিক ভূমিকায় পুলিশ পথে নামে ।একদিকে জেলার পুলিশ সুপার  বিভিন্ন বাজারে পৌছেগিয়ে সবাইকে নির্দিষ্ট দূরত্বে  দাড়িয়ে বাজার হাট করার পরামর্শ  দিলেন। অন্যদিকে  সিভিক ভল্যান্টিয়াররা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে পৌছে গিয়ে হাতজোড় করে সবাইকে লগডাউনে সামিল হবার অনুরোধ করলেন । পুলিশের এই ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে গ্রামের মানুষজন নিজেরাই যে যার ঘরে ঢুকে পড়লেন ।
জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এদিন সাত সকালেই নিজের বাহিনী সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন সবজি বাজার ঘুরে দেখেন ।সবজির দরদাম নিয়ে খোঁজখবর নেবার পাশাপাশি তিনি বাজারে উপস্থিত সকলকে নিদিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাজার করতে বললেন। কেন নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে হবে তার ব্যক্ষ্যাও জনসমক্ষে তুলে ধরেন পুলিশ সুপার । একই সঙ্গে তিনি বাজারে উপস্থিত সকল মানুষ জনকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায়  অযথা বাড়ির বাইরে বের না হয়ে  সবাই লকডাউনে সামিল হন ।

অন্যদিকে এদিনই জামালপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের  সঙ্গেই সিভিক ভল্যান্টিয়ারা
পৌছে যান জামালপুরের  বিভিন্ন গ্রামে । যেখানে তারা মানুষজনকে বাইরে  ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন  সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েছেন । ওই সব মানুষজনের সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে সিভিক ভল্যান্টিয়াররা করনা ভাইরাস  সংক্রমণের ভয়াবহতার কথা তুলে ধরেন । একই সঙ্গে তারা গ্রামবাসীদের  বুঝিয়ে বলেন কেন সবাইকে লগডাউনে  সামিল হতে হবে । সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের এমন অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেননি জামালপুরের মুহিন্দর গ্রাম সহ অন্য সব গ্রামের  বাসিন্দারা ।
তারা আর এক মুহুর্ত দেরি না করে যেযার ঘরে  ঢুকে পড়েন ।জেলার অন্যান থানার পাশাপাশি রায়না থানার পুলিশও  মানবিক ভূমিকায় পথে নেমেছে । এদিন  রান্না করা খাবার নিয়ে বিভিন্ন গরিব মহল্লায় পৌছে যান পুলিশ কর্মীরা ।সেখানকার যারাই  খাবার সংগ্রহ করেন তাদের লগডাউন  মেনে চলার অনুরোধ করেন ওসি পুলক ঘোষ। লগডাউনের কটাদিন সমস্ত গরিব মহল্লায় দুপুরে ও রাত্রে খাবার পৌছে দেবার সিদ্ধান্তও নিয়েছে রায়না থানা । 


পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘুষ্টিয়া গ্রামে চাল - আলু বিতরণ

No comments


কৃষ্ণ সাহা ( রায়না) :- রকারী উদ্যোগের পর এবার চাল - আলু বিতরন করতে দেখা গেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার ঘুষ্টিয়া গ্রামে।রায়না দুই নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ঘুষ্টিয়া তরুণ সংঘ ও পাঠাগারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নিলেন ক্লাবেরই সদস্যরা।এলাকার সমস্ত দুঃস্থ অসহায় ব্যক্তিদের হাতে বিনামূল্যে চাল ও আলু তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবেরই সহ সেক্রেটারি সন্দীপ চ্যাটার্জী।মাথাপিছু তিন কেজি করে চাল ও দু কেজি করে আলু দেওয়ার মতো আয়োজন করেছেন তারা।সেই হিসেবে একশো থেকে দেড়শো জনকে এই পরিষেবা তারা দিচ্ছেন।প্রচারও করেছেন গ্রামে।এই চাল -আলু বিতরনের সমস্ত অর্থ দেওয়া হয়েছে ক্লাবের ফান্ডে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রদান করা খেলার সাথী প্রকল্পের টাকা থেকে। 
 
COVID19 এর গ্রাস থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সারা ভারত জুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। এমতাবস্থায় ঘুষ্টিয়া গ্রামের এই ক্লাবের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ সত্যিই মানবতার নজির গড়লো।ক্লাবের সমস্ত সদস্যদের সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।সেই মতো ভবিষ্যতেও সবরকম প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই খন্ডঘোষে হাতির আক্রমণ

No comments

Friday, March 27, 2020


কৃষ্ণ সাহা ( পূর্ব বর্ধমান ) :- রোনা আতঙ্কের মধ্যেই এবার হাতির আক্রমণ। শনিবার সকাল থেকেই পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের খেঁজুরহাটি, ওয়ারী, কৈশর, আলিপুর, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ধান জমি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুুটো দাঁতাল। শনিবার ভোরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের দিক থেকে এই হাতির দল খণ্ডঘোষ এলাকায় ঢুকেছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

ইতিমধ্যেই বনদপ্তরের হুলা পার্টি হাতি তাড়াতে মাঠে নেমে পড়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত থেকেই হাতি ঢুকে পড়ার খবর ছিলো। হাতি তাড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পানাগড়, বর্ধমান রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার সহ হুলা পার্টির কর্মীরা নেমে পড়েন হাতি তাড়াতে। যদিও এখনো পর্যন্ত জনবসতির কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে ধান জমির আংশিক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে গ্রামে হাতি ঢোকার খবরে এই লকডাউন অবস্থাতেও প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে ঘরে থাকার আবেদন জানানো হয়েছে।

Covid 19 সচেতনতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে

No comments


সুনীতা ঘোষ ( মাধবডিহি ) :- COVID19 এর সম্পর্কে এবার সচেতন বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গৃহীত হল পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে।মাধবডিহি থানার অন্তর্গত ওই গ্রামেরই কয়েকজন সমাজ সচেতন মানুষ একত্রে বাড়ী বাড়ী গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিলেন।
 এর পাশাপাশি তাঁরা খোঁজ  নিলেন মুদির দোকানগুলিতে।প্রাত্যহিক পণ্যদ্রব্যের মূল্য নির্ধারণে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হয়।এই স্বেচ্ছাসেবী মানুষগুলির সাথে সম্পূর্ণ সহায়তা করেছে প্রশাসন।এই কর্মসূচির মূল উদ্যোকতাদের মধ্যে ছিলেন সন্দীপ দাস(শিক্ষক),সুব্রত ভট্টাচার্য(শিক্ষক),পীযুষ খাঁ(শিক্ষক), কৃশানু পাল(শিক্ষক),অভিজিৎ দাস(শিক্ষক),সুবীর দাস,শ্যামল ধারা,অনুপ খাঁ প্রমুখ ব্যক্তিরবর্গ।অবাঞ্ছিত মানুষের আনাগোনা রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের প্রবেশপথগুলিও।তাঁদের চাপে পড়ে গ্রামেরই এক ব্যক্তি বিকাশ ভট্টাচার্য তার মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় মাচাগুলোতে যে গল্পগুজব চলতো তাও বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন তাঁরা।

এছাড়াও করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন তাঁরা।সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন করোনা দমনে দুঃস্থ মানুষদের পাশে থাকার। চলার পথে সামিল হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গরীব দুঃখী মানুষদের।আর তাঁদের এই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

দক্ষিণ দামোদর এলাকায় রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সকল সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে

No comments

Thursday, March 26, 2020



কৃষ্ণ সাহা ( দক্ষিণ দামোদর ):- পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্তর্গত দক্ষিণ দামোদর এলাকায় রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের  সকল সদস্য দের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করে প্রশাসন।
 ইতিমধ্যেই COVID 19 এর কারণে লকডাউন জারি রয়েছে। যার ফলে রাইস মিল সহ অন্যান্য উৎপাদন কেন্দ্র গুলিও বন্ধ রয়েছে।ছুটি নিয়েছে শ্রমিকরা।
ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
যেহেতু ধান - চাল নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে পরে তাই এই ব্যাপারটি নিয়ে যথেষ্ট ভাবছে প্রশাসন।
 এই দিন বৈঠকের চুক্তি অনুযায়ী,যত রাইস মিলের কর্মচারী আসবে তাদের সিভিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে।শুধু তাই নয়, স্থানীয় বিডিও ও ওসির ইস্যু করা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে সাধারণ শ্রমিক সহ কাঁচামাল পরিবহনকারী দের।যাতে প্রত্যহ যাতায়াতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়।
    বর্তমানে চালের দাম কেজি প্রতি পাঁচ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে।আগামী দিনে যাতে সাধারণ মানুষকে খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে না হয়,তার জন্য প্রশাসন মিল গুলিকে যথাযথ ভাবে সাহায্য করবে।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান, সি আই সি সঞ্জয় কুণ্ডু, রায়না এক এর বিডিও সৌমেন বণিক, রায়না দুই বিডিও দীপ্যমান মজুমদার, খণ্ডঘোষ এর বিডিও কমলকান্তি তলাপাত্র, রায়না ওসি পুলক মন্ডল, মাধবডিহি ওসি সুব্রত বেড়া , রায়না বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুই , খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীন বাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রা সহ রাইস মিলের মালিকরা।দেশের এই দুঃসময়ে ন্যায্য মূল্যেই চাল বিক্রি করবেন বলে জানিয়েছেন মিল মালিকরা।

রায়নায় মানুষের সচতনতা বৃদ্ধিতে পথে নামলো প্রশাসন

No comments
ছবি ও তথ্য :- কৃষ্ণ সাহা

সুনীতা ঘোষ ( রায়না ):- বার মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে পথে নামলো প্রশাসন। জেলা পুলিশের সহায়তায় রায়না থানার অন্তর্গত সেহারাবাজার,মোগলমারি, মিরেপোতা সহ দক্ষিণ দামোদর সংলগ্ন বাজার অঞ্চলগুলিতে চলছে পুলিশি টহলদারি।
জনসমাগম যুক্ত অঞ্চলগুলিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন তারা।কমপক্ষে এক মিটার অন্তর দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে মানুষকে।সেই অনুযায়ী চুন দিয়ে দাগ কেটে দেওয়াও হচ্ছে,বলে জানিয়েছেন জনৈক পুলিশ কর্মী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা ভারতবর্ষে টানা একুশ দিন ধরে  লকডাউন জারি রয়েছে।বন্ধ হয়নি সাধারণ মানুষের আনাগোনা।
আইন অমান্য করে রাস্তা ঘাটে প্রায়শই দেখা মিলছে যানবাহনের।পরবর্তী দিনগুলি কিভাবে অতিবাহিত করবেন,এই আশঙ্কায় স্থানীয় দোকানগুলিতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনো ভাবে
ভিড় না জমায় সেদিক থেকেও সতর্ক করা হচ্ছে।খোলা থাকবে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান,এমনকি ওষুধের দোকানও।রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেশন দেওয়া হবে বিনামূল্যে।প্রয়োজনে এক মাসের রেশন একদিনে দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি রয়েছে।এছাড়াও,উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে সাহায্য করবে পুলিশ।
   তবুও মানুষের সচেতনতার অভাব।এই সমস্ত মানুষদেরই আবারও সচেতনতা সম্পর্কে অবগত করতে রাস্তায় নামছে পুলিশ।এই দিন এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান,সি আই সি সঞ্জয় কুন্ডু ,সেহরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তাল সামন্ত সহ পুলিশ বাহিনী সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন।COVID 19 সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি জোড় করে সম্ভব নয়,তাই এক প্রকার  রাস্তায় নেমে বোঝাচ্ছেন তারা।

করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা এক কবিতা দেখেনিন এক ক্লিকে

No comments

রোনা ভাইরাসের কবলে সারা বিশ্ব।মুক্তি পায়নি ভারতবাসীও।এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার সধারণ মানুষ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনও জারি রয়েছে।নচিকেতা চক্রবর্তীর কথায় "পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে,স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী।" হ্যাঁ ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে।যদি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয় তবে ঘরবন্দী হয়েই থাকতে হবে।এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করার লক্ষ্যে কলকাতা ৩৩ এর ৫৪/১০A দেশপ্রান শাসমল রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিপ্রা মন্ডল লিখলেন একটি কবিতা।


      একতাই   বল

    ভয়  পেয়ো  না  বঙ্গবাসী 
           সাহস  রাখো  মনে ,  
  একজোটে  আজ  লড়ব  মোরা 
        করোনা  ভাইরাসের  সনে । 
   ছাড়ব  নাতো  কাউকে  মোরা 
                  ধরব   কষে   হাল, 
   কেমন  করে  টলায়  দেখি ..
               করে  বেসামাল ? 
   বেরোবোনা  বাইরে   কেউ
            থাকব  সবাই  ঘরে ,
  সদাই  মোরা  সচেতন  থেকে 
        হাত  ধোবো  বারে  বারে ..
  বাড়িতে  কাউকে  ডাকব না আর 
                 যাব  না  কারো  ঘরে  , 
  লড়াই   করে  ভাইরাস   দেখি 
                জেতে   কেমন   করে ! 
  একটি   কথা   সবার  তরে 
                 শোন   দিয়ে   মন ..
  নিজের   মতো  চোলোনা  কেউ 
                বেরিয়ো না   এখন । 
   এই   কথাটি  মনে    রেখো  
                      একতাই    বল , 
  ভাঙতে  বাধ্য   হবেই   শত্রু 
                 যতই   হোক   অটল !  
   যদি    থাকো   এ   সঙ্কটে  
                    একসাথে  সকলে..
দেখবে  শান্ত  হবে  ধরা
              ভরবে ফুলে - ফলে।।

লগডাউনের তৃতীয় দিনে পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভের পারদ চড়লো আউশগ্রামে

No comments

Wednesday, March 25, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- গডাউনের তৃতীয় দিনে গ্রামে গঞ্জের বাজারে  অস্বাভাবিক ভাবে  বেড়েগেল পিঁয়াজের দাম ।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হল ৪০ টাকা কেজি দামে। দেশ জুড়ে লগডাউন ঘোষনা হবার সাথে সাথে ২০ টাকা কেজির পিঁয়াজ রাতারাতি ৪০ টাকা হয়ে যাওয়ায়  মাথায় হাত পড়েগেছে বেলাড়ি গ্রামের  মানুষজনের ।ফের হয়তো পিঁয়াজের মূল্য নাগালের বাইরে  চলেযেতে পারে এমনটা আশঙ্কা তৈরি হওয়ায়  এদিন বেলাড়ি গ্রামের বাজারে পেঁয়াজ কেনার  হুড়োহুড়ি পড়েযায়। আর্থিক সামর্থবান ক্রেতারা যে যতটা পারলেন পিঁয়াজ কিনেনিয়ে  নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। বেলা গড়ানোর  সাথেসাথে  বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে পিঁয়াজের   আকাল পড়েযায়  । 

মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণের জরে   ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত সহ গোটা বিশ্বে ।প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে  বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।এই পরিস্থিতি  মোকাবিলার জন্য আগামী ২১ দিন দেশজুড়ে লগডাউন জারি থাকবে বলে মঙ্গলবার ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী।
আউশগ্রামের বেলারি গ্রামের বাসিন্দা সেখ  বাবলু এদিন বলেন , লগডাউনের সূযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লোটার জন্য রারারাতি পিঁয়াজের দাম ডবোল করে দিয়েছে । বাবলু বাবু জানান মঙ্গলবার পর্যন্ত বাজারে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল ।এদিন বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে  সেই পেঁয়াজের দাম ব্যবসায়ীরা ৪০ টাকা কেজি নেওয়া শুরু করেদেন। বেশকিছু ক্রেতা এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেও ব্যবসায়ীরা তানিয়ে কর্ণপাতই করেতে চান না ।উল্টে ওই  ব্যবসায়ীরা যুক্তি দেখানো শুরু করেন, ‘লগডাউনের জন্য পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা বলে চড়া হয়েছে পিঁয়াজের দাম । আগামী কয়েকটা দিন পিঁয়াজের নাকি আকাল ও দেখাদিতে পারে ।’এইসব কথা শুনে আর্থিক ভাবে বিত্তশালী পরিবারে লোকজন যে যতটা পারলেন ৪০ টাকা কেজি দামেই পিঁয়াজ কিনেনিয়ে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন একটু বেলায় যারা বেলারি গ্রামের বাজারে সব্জি কিনতে পৌছান তাঁরা কেউই আর বাজারে পিঁয়াজের দেখা পাননি। জানাগেছে জেলার অন্যান ব্লকের  বাজারেও এদিন  উর্ধ্বমুখী থাকে পিঁয়াজের বাজার দর ।   পিঁয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন আউশগ্রামের বাসিন্দারা ।আউশগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও চিত্তজিৎ বসু যদিও জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা বাজারে চড়া দামে পিঁয়াজ বিক্রী করছেন এমন অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হবে । যদি কেউ পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি করে তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

অন্যদিকে এদিন বেলায় ভিন্ন ছবি দেখা যায় 
পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার কুড়মুনের  সব্জি বাজারে ।বেলা ১০টা পর্যন্ত এখানকার  সব্জি  বাজার চালু রাখার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন ।কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এদিন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত  কুড়মুনের  সব্জি বাজারের ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা চালিয়েযান।এরপরেই পুলিশ বল প্রয়োগ করে সব্জি বাজার থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হঠিয়ে দেয় ।


সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত এই শিক্ষক

No comments

Tuesday, March 24, 2020

ছবি :- ইন্টারনেট


চারিদিকে যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ,সবাই ভীত সন্ত্রস্ত।সকলে গৃহবন্দি।স্কুল ও কলেজ বন্ধ।এই রকম পরিস্থিতে এক দিশা দেখালো বাংলার শিক্ষক কৃশানু পাল।।বর্তমানে তিনি পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে বাসিন্দা।।পেশায় তিনি আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয় কলেজে গ্রন্থাগার কর্মী ও গৃহশিক্ষক।বাংলা গৃহ শিক্ষক হিসাবে পরিচিত অনেক দিন থেকেই।বিশেষ করে সাহায্য কারী শিক্ষক হিসেবে নামডাক প্রচুর।এই পরিস্থিতি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে নিজ প্রচেষ্টায় শিক্ষা দানে ব্যাস্ত।নোটসকে পি.ডি.এফ বানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছেন।শুধু তাই নয় কনফারেন্স কলের মাধ্যমেও শিক্ষাদান করছেন।এই রকম পরিস্থিতে কোনো ভাবে পড়াশোনা থেমে নেই ছাত্র-ছাত্রী দের।।শিক্ষকের এই রকম আন্তরিকতায় খুশি বহু পড়ুয়ারা।শুধু নিজ এলাকা বা নিজ জেলা নয় ভিন্ন প্রান্তের ছাত্র-ছাত্রীরা উপকৃত হচ্ছে।বিশেষ ভাবে উপকৃত হচ্ছে কলেজ পড়ুয়ারা।
ছবি :- শিক্ষক কৃশানু পাল
কেশবপুর কলেজের এক ছাত্র সায়ন সরকার বলে,"কৃশানু স্যার ছাত্র-ছাত্রীদের উপকারে দিনের বেশিভাগ সময় দিয়ে থাকেন,এতে আমরা খুব উপকৃত হই।"আর একদল কলেজ ছাত্রী মৌটুসী,রিঙ্কু,প্রিয়াঙ্কা বলে,"কলেজ বন্ধ,তবে ব্যাক্তিগত ভাবে এই মানবিক কৃশানু স্যার এর দৌলতে আমাদের পড়াশোনার কোনো ঘাটতি হচ্ছে না।" তবে শিক্ষক কৃশানু পাল বলেন,"শিক্ষাদান ই আমার কর্তব্য।ছাত্র-ছাত্রী রাই আমার জীবনের একটা অংশ,ওদের কিছু দিতে পারলে তবে আমার মনের শান্তি আসে।ওদের প্রয়োজনে আমি সব সময় আছি ও থাকবো।গরীব ছাত্র ছাত্রী যারা আর্থিক সমস্যার জন্য পিছিয়ে যায় পড়াশোনা হতে,তাদের পাশে আমি আছি ও থাকবো।"সমাজের মানুষজন সাধুবাদ জানিয়েছেন এই স্যার কে,বর্তমানে এই রকম অবস্থায় এই অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতির জন্য।

গান গেয়ে গেয়ে সবাইকে লকডাউনে সামিল করাচ্ছেন ওষুধের দোকানের কর্মচারী সুকান্ত

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- পুলিশকে বল প্রয়োগের পথে হাঁটতে হলেও নিজের স্বরচিত গানের মধ্যমেই নাগরিকদের  লগডাউনে সামিল করাচ্ছেন সামান্য একজন ওষুধের দোকানের  কর্মচারী। শুনতে অবাক লাগলেও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম নিবাসী সুকান্ত ঘোষের এমন  কর্মকাণ্ডের তারিফ নাকরে পারেন নি প্রশাসনিক কর্তারা ।

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরবার হয়েরয়েছে  ভারত সহ গোটা  বিশ্ব ।প্রতিদিন ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেমনই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা । ভাইরাস সংক্রমন  প্রতিহত করতে দেশের অন্যান রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে  লকডাউন ঘোষনা করেছে।প্রাধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদি এবং এই রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে নাগরিকদের কাছে লকডাউন কার্যকর করার আবেদন জানিয়ে চলেছেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও একাংশ নাগরিক  লগডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছেন।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এবং তৃতীয় দিন বুধবার  বেলা পর্যন্ত জেলার বহু জায়গায় খোলা থাকে দোকান বাজার । মঙ্গলবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার  ভান্ডারডিহি বাজার , বর্ধমানের বড়নীলপুর সব্জিবাজার , জামালপুরের হাট ও বেশকিছু  দোকান বাজারে বহু মানুষ ভিড জমান ।লোকে লোকারন্য থাকে এই সব এলাকার বাজার হাট । একইভাবে  নাগরিকরা বর্ধমান শহর সহ জেলার অন্যান এলাকার সড়কপথেও স্বাভাবিক যাতায়াত শুরু করেদেন । জমায়েত না করার জন্য  প্রশাসনের তরফে  মাইকিং করে প্রচার চালানো হয় । কিন্তু তার পরেও  পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় পুলিশ বাধ্য হয়ে  লাঠি উঁচিয়ে পথে নেমে বলপ্রয়োগ করে লকডাউন কার্যকর করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করতে বাধ্য হয়।

অপ্রত্যাশিত এমন পরিস্থিতিতে কিছু একটা  করে দেখানোর জন্য উদগ্রিব হয়ে পড়েন মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে ওষুধের দোকানের কর্মচারী  সুকান্ত ঘোষ । করোনা ভাইরাসের  ভয়াবহতা ও লগডাউন নিয়ে  জনসাধারনকে সচেতন করতে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালনে সামিল হন । মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় জারিকরা  লকডাউন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে তিনি নিজেই গান লিখে গানের শুর দিয়ে গাওয়া শুরু করে দিয়েছেন ।মঙ্গলবার  সকাল থেকে মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে থাকা অমিত কুমার মল্লিকের ওষুধের দোকানে  যারাই ওষুধ কিনতে আসছেন তাদের সামনে সেই গান গেয়ে সুকান্ত ঘোষ  করোনা ভাইরার সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা জাগিয়ে  চলেন। পাশাপাশি পথ চলতি  সকল মানুষজনকে তিনি  লকডাউনে সামিল হবার  বার্তাও দিয়ে চলেন।
এদিনও এই কাজ চালিয়ে যান সুকান্ত ঘোষ ।

কী গান গাইলো সুকান্ত , দেখতে ক্লিক করুন লেখার উপর

সুকান্ত ঘোষের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর  মজুমদার। তিনি বলেন ,করোনা সংক্রমণ এখন বিশ্ব  মহামারির আকার নিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে  করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যা কিছু গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছে এবং সতর্কতা বার্তা দিয়েছে  তার সবটাই গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সুকান্ত বাবু । ওনার গান শুনে নাগরিকরা সতর্কতা অবলম্বনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। লগডাউনে যারা অংশ নিচ্ছেন  আখেরে তারাই উপকৃত হবেন । কঠিন এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থেই সমাজের স্বার্থে সুকান্ত বাবু অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছেন বলে বিডিও এদিন মন্তব্য করেছেন। মসাগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বাসিন্দারাও জানালেন তাঁরা সুকান্ত ঘোষের গান শুনে উপলব্ধি করেছেন লগডাউন অমান্য করা যাবে না । তাই তারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আর না বের হবার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।


loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION