Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts

দরিদ্র মানুষের পাশে নজরুল স্মৃতি সংঘ

No comments

Wednesday, April 1, 2020


রায়না , পূর্ব বর্ধমান-----পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের  প্রায়শই দেখা গেছে কোনো না কোনো ভাবে দরিদ্র মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সে কোন ক্লাবে হোক কিংবা কোন সংগঠন। এবার কালুই  গ্রামের দীন দুঃখী মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটালেন কালুই নজরুল স্মৃতি সংঘের পক্ষ থেকে। এই পরিষেবাটি দেওয়ার জন্য তারা গ্রামের মোট ৬৫ টি দরিদ্র পরিবারকে বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন শেখ রাজিব আলী বলে ক্লাবের সম্পাদক। প্রত্যেকটি পরিবারে তিন কেজি চাল, দেড় কেজি আলু এবং তার সঙ্গে আড়াইশো গ্রাম করে মুসুরির ডাল ,তেল বিতরণ করছেন ক্লাবের সদস্যরা। 


        এর আগেও নজরুল স্মৃতি সংঘ কে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দেখা গেছে। মাস্ক, স্যাভলন সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। যা বারবার উঠে এসেছে আমাদের কৃষক সেতুর ক্যামেরায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুটিরুজি নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে সেই সব মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত ও ক্লাবগুলি। এই দিন উপস্থিত ছিলেন উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনিসুর রহমান সেখ, ক্লাবের সভাপতিসহ সমস্ত সদস্যরা। শরীর অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারেননি প্রধান। কিন্তু তারা তাদের কর্মসূচি বেশ কিছুদিন পরপরই চালিয়ে যাবেন, যতদিন না এই লকডাউন  উইথড্র করে নেওয়া হচ্ছে।


করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা

No comments

Tuesday, March 31, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- ভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল এই বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ সলিউশান চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত  হয়েছে কন্যাশ্রী কন্যা দিগন্তিকা বোসের তৈরি মাস্ক।এছাড়াও ভারত সরকারের
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্কের  কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা শুরুকরে দিয়েছেন।  দিগন্তিকা আশাবাদী  তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক আগামী দিনে ভারতকে  মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন রোধের দিশা  দেখাবে ।


পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌর এলাকায় বাড়ি ছাত্রি দিগন্তিকার ।সে মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিররের(শাখা ২)একাদশ  শ্রেণীর ছাত্রি। দিগন্তিকা জানিয়েছে , করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক  যে মাস্ক সে তৈরি করেছে তার পোষাকি  নাম সে দিয়েছে ‘পিয়োর এয়ার প্রোভাইডার এ্যন্ড ভাইরাস ডেসট্রয়ার মাস্ক ’। কোরোনা ভাইরাস রোধে এই মাস্ক কিভাবে কাজ করবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক পরে কেউ প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে ।আর নভেল করোনা পজেটিভ ধরা পড়া ব্যক্তির মুখে থাকা তার তৈরি মাস্ক নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট বা অন্য কোন ভাইরাস কে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে যাবে। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।কিভাবে তাঁর আবিস্কৃত  মাস্ক এই কাজ করবে ? উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর তৈরি মাস্ক দুটি অংশ নিয়ে তৈরি। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্প এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার । প্রথমে অংশ প্রশ্বাস গ্ৰহনের বাতাস থেকে নির্গত ধূলিকণা ও জল কনা মাস্কের এক অংশ  আটকে দেবে । পরের অংশ ভাইরাস এর লিপিড প্রটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্পের মধ্য দিয়ে মাস্কের ভিতর থেকে  ফুসফুসে যেতে সাহায্য করবে । এছাড়াও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় মাস্কে থাকা অন্য একটি এক মুখি ভাল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে । ত্যাগ করা নিশ্বাস  ওই ভাল্পের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের  ভিতরে প্রবেশ করবে ।সেখানে যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার মাধ্যমে  মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রটিনের  স্তরটি  ভেঙে যাবে । এর ফলেই ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে  । ভাইরাস আর সংক্রমণই ঘটাতে পারবে না।  নভেল করোনা পজেটিভ ধরাপড়া  কোন ব্যক্তি তার আবিস্কৃত মাস্ক পরে থাকলে আর ভাইরাসের কোন অস্তিত্বই থাাকবে না।’মাত্র ২০০ টাকা খরচ করেই এই মাস্ক তৈরি করাযাবে বলে দিগন্তিকা  জানিয়েছে ।


দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্ত বোস জানিয়েছেন,
 তাঁর মেয়ের আবিষ্কৃত মাস্ক ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জের  অন্তর্ভুক্ত করেছে।মন্ত্রকের  ভাইরোলজিস্টরা দিগন্তিকার এই আবিষ্কার নিয়ে খুবই আশাবাদী।এছাড়াও ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন  স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরাও এখন এই মাস্কের কার্যকারীতা  খতিয়ে দেখছেন। উড়িষ্যার বীরসুন্দর সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির আইডিয়া ইনভেশন শাখা 'হ্যাক ফর কোভিড - ১৯ 'এর তালিকা ভুক্ত হয়েছে দিগন্তিকার  আবিস্কৃত মাস্ক ।সুদীপ্তবাবু বলেন ,ইতিপূর্বেই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়ে বেশ কয়েকটি যন্ত্র আবিস্কারের কৃতিত্ব স্বরুপ  দিগন্তিকা জাতীয় পুরস্কার লাভকরেছে ।দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সন্মানিত করেছেন দিগন্তিকাকে ।সুদীপ্ত বাবুর  প্রত্যাশা তাঁর মেয়ে দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্ক এবার দেশবাসীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে । 



করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো রায়নার সহজপুর গ্রামে

No comments

Sunday, March 29, 2020



কৃষ্ণ সাহা ( শ্যামসুন্দর ) :- কডাউনের পঞ্চম দিনে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গৃহীত করলো রায়না এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সহজপুর গ্রামে।শ্যামসুন্দর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুশান্ত বল্লোভের উদ্যোগে সমস্ত গ্রামবাসীদের বিতরন করা হলো মাস্ক,স্যানিটাইজার সহ স্যাভলন সাবান। বাড়ী বাড়ী ঘুরে তারা এই বিতরণ প্রক্রিয়া সারলেন । তার সঙ্গেই প্রত্যেকটি মানুষকে COVID 19 এর প্রকোপ থেকে বাঁচার নিয়মাবলি  সম্পর্কে অবগত করলেন।সুশান্ত বল্লভ মহাশয়ের সাথে এই কাজে সামিল হয়েছেন তার সহকর্মীরা।
      বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই করোনা ভাইরাস।মুক্তি পায়নি বাঙলাও।তবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম সতর্কীকরণ প্রচার বেশ সহায়ক হয়েছে।তাঁর এই করোনা মোকাবিলার লড়াইয়ে নিজের সৈনিক হিসেবে অভিহিত করেছেন সুশান্ত বল্লভ মহাশয়।তাদের এই কর্মসূচির তারা দুদিন ধরে চালাবেন।গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানালেন
ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সুনীতি পণ্ডিত।তার চোখেমুখেও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।


Covid 19 সচেতনতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে

No comments

Friday, March 27, 2020



সুনীতা ঘোষ ( মাধবডিহি ) :- COVID19 এর সম্পর্কে এবার সচেতন বার্তা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গৃহীত হল পূর্ব বর্ধমান জেলার তৈলাড়া গ্রামে।মাধবডিহি থানার অন্তর্গত ওই গ্রামেরই কয়েকজন সমাজ সচেতন মানুষ একত্রে বাড়ী বাড়ী গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিলেন।
 এর পাশাপাশি তাঁরা খোঁজ  নিলেন মুদির দোকানগুলিতে।প্রাত্যহিক পণ্যদ্রব্যের মূল্য নির্ধারণে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা তাও পর্যবেক্ষণ করা হয়।এই স্বেচ্ছাসেবী মানুষগুলির সাথে সম্পূর্ণ সহায়তা করেছে প্রশাসন।এই কর্মসূচির মূল উদ্যোকতাদের মধ্যে ছিলেন সন্দীপ দাস(শিক্ষক),সুব্রত ভট্টাচার্য(শিক্ষক),পীযুষ খাঁ(শিক্ষক), কৃশানু পাল(শিক্ষক),অভিজিৎ দাস(শিক্ষক),সুবীর দাস,শ্যামল ধারা,অনুপ খাঁ প্রমুখ ব্যক্তিরবর্গ।অবাঞ্ছিত মানুষের আনাগোনা রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গ্রামের প্রবেশপথগুলিও।তাঁদের চাপে পড়ে গ্রামেরই এক ব্যক্তি বিকাশ ভট্টাচার্য তার মায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ করে দেন।গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় মাচাগুলোতে যে গল্পগুজব চলতো তাও বন্ধ করতে সমর্থ হয়েছেন তাঁরা।

এছাড়াও করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন তাঁরা।সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন করোনা দমনে দুঃস্থ মানুষদের পাশে থাকার। চলার পথে সামিল হওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গরীব দুঃখী মানুষদের।আর তাঁদের এই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

রায়নায় মানুষের সচতনতা বৃদ্ধিতে পথে নামলো প্রশাসন

No comments

Thursday, March 26, 2020

ছবি ও তথ্য :- কৃষ্ণ সাহা

সুনীতা ঘোষ ( রায়না ):- বার মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে পথে নামলো প্রশাসন। জেলা পুলিশের সহায়তায় রায়না থানার অন্তর্গত সেহারাবাজার,মোগলমারি, মিরেপোতা সহ দক্ষিণ দামোদর সংলগ্ন বাজার অঞ্চলগুলিতে চলছে পুলিশি টহলদারি।
জনসমাগম যুক্ত অঞ্চলগুলিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন তারা।কমপক্ষে এক মিটার অন্তর দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে মানুষকে।সেই অনুযায়ী চুন দিয়ে দাগ কেটে দেওয়াও হচ্ছে,বলে জানিয়েছেন জনৈক পুলিশ কর্মী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা ভারতবর্ষে টানা একুশ দিন ধরে  লকডাউন জারি রয়েছে।বন্ধ হয়নি সাধারণ মানুষের আনাগোনা।
আইন অমান্য করে রাস্তা ঘাটে প্রায়শই দেখা মিলছে যানবাহনের।পরবর্তী দিনগুলি কিভাবে অতিবাহিত করবেন,এই আশঙ্কায় স্থানীয় দোকানগুলিতে সাধারণ মানুষ যাতে কোনো ভাবে
ভিড় না জমায় সেদিক থেকেও সতর্ক করা হচ্ছে।খোলা থাকবে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান,এমনকি ওষুধের দোকানও।রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেশন দেওয়া হবে বিনামূল্যে।প্রয়োজনে এক মাসের রেশন একদিনে দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি রয়েছে।এছাড়াও,উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে সাহায্য করবে পুলিশ।
   তবুও মানুষের সচেতনতার অভাব।এই সমস্ত মানুষদেরই আবারও সচেতনতা সম্পর্কে অবগত করতে রাস্তায় নামছে পুলিশ।এই দিন এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান,সি আই সি সঞ্জয় কুন্ডু ,সেহরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উত্তাল সামন্ত সহ পুলিশ বাহিনী সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেছেন।COVID 19 সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি জোড় করে সম্ভব নয়,তাই এক প্রকার  রাস্তায় নেমে বোঝাচ্ছেন তারা।

করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা এক কবিতা দেখেনিন এক ক্লিকে

No comments

রোনা ভাইরাসের কবলে সারা বিশ্ব।মুক্তি পায়নি ভারতবাসীও।এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার সধারণ মানুষ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনও জারি রয়েছে।নচিকেতা চক্রবর্তীর কথায় "পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে,স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী।" হ্যাঁ ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে।যদি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয় তবে ঘরবন্দী হয়েই থাকতে হবে।এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করার লক্ষ্যে কলকাতা ৩৩ এর ৫৪/১০A দেশপ্রান শাসমল রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিপ্রা মন্ডল লিখলেন একটি কবিতা।


      একতাই   বল

    ভয়  পেয়ো  না  বঙ্গবাসী 
           সাহস  রাখো  মনে ,  
  একজোটে  আজ  লড়ব  মোরা 
        করোনা  ভাইরাসের  সনে । 
   ছাড়ব  নাতো  কাউকে  মোরা 
                  ধরব   কষে   হাল, 
   কেমন  করে  টলায়  দেখি ..
               করে  বেসামাল ? 
   বেরোবোনা  বাইরে   কেউ
            থাকব  সবাই  ঘরে ,
  সদাই  মোরা  সচেতন  থেকে 
        হাত  ধোবো  বারে  বারে ..
  বাড়িতে  কাউকে  ডাকব না আর 
                 যাব  না  কারো  ঘরে  , 
  লড়াই   করে  ভাইরাস   দেখি 
                জেতে   কেমন   করে ! 
  একটি   কথা   সবার  তরে 
                 শোন   দিয়ে   মন ..
  নিজের   মতো  চোলোনা  কেউ 
                বেরিয়ো না   এখন । 
   এই   কথাটি  মনে    রেখো  
                      একতাই    বল , 
  ভাঙতে  বাধ্য   হবেই   শত্রু 
                 যতই   হোক   অটল !  
   যদি    থাকো   এ   সঙ্কটে  
                    একসাথে  সকলে..
দেখবে  শান্ত  হবে  ধরা
              ভরবে ফুলে - ফলে।।

লগডাউনের তৃতীয় দিনে পিঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভের পারদ চড়লো আউশগ্রামে

No comments

Wednesday, March 25, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- গডাউনের তৃতীয় দিনে গ্রামে গঞ্জের বাজারে  অস্বাভাবিক ভাবে  বেড়েগেল পিঁয়াজের দাম ।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হল ৪০ টাকা কেজি দামে। দেশ জুড়ে লগডাউন ঘোষনা হবার সাথে সাথে ২০ টাকা কেজির পিঁয়াজ রাতারাতি ৪০ টাকা হয়ে যাওয়ায়  মাথায় হাত পড়েগেছে বেলাড়ি গ্রামের  মানুষজনের ।ফের হয়তো পিঁয়াজের মূল্য নাগালের বাইরে  চলেযেতে পারে এমনটা আশঙ্কা তৈরি হওয়ায়  এদিন বেলাড়ি গ্রামের বাজারে পেঁয়াজ কেনার  হুড়োহুড়ি পড়েযায়। আর্থিক সামর্থবান ক্রেতারা যে যতটা পারলেন পিঁয়াজ কিনেনিয়ে  নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। বেলা গড়ানোর  সাথেসাথে  বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে পিঁয়াজের   আকাল পড়েযায়  । 

মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমণের জরে   ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত সহ গোটা বিশ্বে ।প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে  বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।এই পরিস্থিতি  মোকাবিলার জন্য আগামী ২১ দিন দেশজুড়ে লগডাউন জারি থাকবে বলে মঙ্গলবার ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী।
আউশগ্রামের বেলারি গ্রামের বাসিন্দা সেখ  বাবলু এদিন বলেন , লগডাউনের সূযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লোটার জন্য রারারাতি পিঁয়াজের দাম ডবোল করে দিয়েছে । বাবলু বাবু জানান মঙ্গলবার পর্যন্ত বাজারে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে পিঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল ।এদিন বেলাড়ি গ্রামের সব্জি বাজারে  সেই পেঁয়াজের দাম ব্যবসায়ীরা ৪০ টাকা কেজি নেওয়া শুরু করেদেন। বেশকিছু ক্রেতা এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করলেও ব্যবসায়ীরা তানিয়ে কর্ণপাতই করেতে চান না ।উল্টে ওই  ব্যবসায়ীরা যুক্তি দেখানো শুরু করেন, ‘লগডাউনের জন্য পিঁয়াজ আমদানি হচ্ছেনা বলে চড়া হয়েছে পিঁয়াজের দাম । আগামী কয়েকটা দিন পিঁয়াজের নাকি আকাল ও দেখাদিতে পারে ।’এইসব কথা শুনে আর্থিক ভাবে বিত্তশালী পরিবারে লোকজন যে যতটা পারলেন ৪০ টাকা কেজি দামেই পিঁয়াজ কিনেনিয়ে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন একটু বেলায় যারা বেলারি গ্রামের বাজারে সব্জি কিনতে পৌছান তাঁরা কেউই আর বাজারে পিঁয়াজের দেখা পাননি। জানাগেছে জেলার অন্যান ব্লকের  বাজারেও এদিন  উর্ধ্বমুখী থাকে পিঁয়াজের বাজার দর ।   পিঁয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন আউশগ্রামের বাসিন্দারা ।আউশগ্রাম ১ ব্লকের বিডিও চিত্তজিৎ বসু যদিও জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীরা বাজারে চড়া দামে পিঁয়াজ বিক্রী করছেন এমন অভিযোগ এখনও পাইনি। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হবে । যদি কেউ পেঁয়াজ নিয়ে কালোবাজারি করে তবে তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে

অন্যদিকে এদিন বেলায় ভিন্ন ছবি দেখা যায় 
পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার কুড়মুনের  সব্জি বাজারে ।বেলা ১০টা পর্যন্ত এখানকার  সব্জি  বাজার চালু রাখার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন ।কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই এদিন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত  কুড়মুনের  সব্জি বাজারের ব্যবসায়ীরা বেচাকেনা চালিয়েযান।এরপরেই পুলিশ বল প্রয়োগ করে সব্জি বাজার থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের হঠিয়ে দেয় ।


করোনা চিকিৎসায় ১০ লক্ষ টাকা দিলেন জামালপুরের বাম বিধায়ক সমর হাজরা

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা ভাইরাস সংক্রমন রুখতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিচার করে লগডাউন কার্যকর করার জন্য সকল দেশবাসীর কাছে আবেদন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসার পরিকাঠামো অন্নয়নের জন্য এই রাজ্যের  সাত  বিজেপি সাংসদ নিজেদের তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন । সব মিলিয়ে সাত সাসদের বরাদ্দ করা অর্থের পরিমান প্রায়  ৭ কোটি টাকা । বরারাদ্দ করা অর্থ নিজ নিজ এলাকার জেলা শাসকের কাছে পৌছে দেবার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছেন সাত বিজেপি সাংসদ ।বর্ধমান -দুর্গাপুরের সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া  দুই বর্ধমান জেলার জন্য যে  ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা   দিয়েছেন তার বেশিরভাগটাই পাচ্ছে পূর্ব বর্ধমান । আহলুওয়ালিয়ার পর এবার পূর্ব  বর্ধমানের  জামালপুর  বিধানসভার বাম বিধায়ক সমর হাজরা একই  খাতে নিজের বিধায়ক তহবিল থেকে  অর্থ বরাদ্দ করলেন ।
বুধবার জেলা প্রশাসন এবং  বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে চিঠি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা  বরাদ্দের কথা জানিয়ে দিয়েছেন সমর হাজরা । এদিন সমর হাজরা বলেন , এলাকার উন্নয়ন খাতে বিধায়কদের ৬০ লক্ষ টাকা পান । সেই টাকা থেকেই  ১০ লক্ষ টাকা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও বর্ধমান হাসপাতালের  চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য  তিনি বরাদ্দ করেলেন । সমর বাবু জানিয়েছেন ,তাঁর অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি  বিধানসভার বাম দলনেতা সুজন চক্রবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছেন । এদিন জেলা প্রশাসনকেও চিঠি দিয়ে তা জানিয়ে দিলেন ।

গান গেয়ে গেয়ে সবাইকে লকডাউনে সামিল করাচ্ছেন ওষুধের দোকানের কর্মচারী সুকান্ত

No comments

Tuesday, March 24, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- পুলিশকে বল প্রয়োগের পথে হাঁটতে হলেও নিজের স্বরচিত গানের মধ্যমেই নাগরিকদের  লগডাউনে সামিল করাচ্ছেন সামান্য একজন ওষুধের দোকানের  কর্মচারী। শুনতে অবাক লাগলেও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম নিবাসী সুকান্ত ঘোষের এমন  কর্মকাণ্ডের তারিফ নাকরে পারেন নি প্রশাসনিক কর্তারা ।

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরবার হয়েরয়েছে  ভারত সহ গোটা  বিশ্ব ।প্রতিদিন ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেমনই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা । ভাইরাস সংক্রমন  প্রতিহত করতে দেশের অন্যান রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে  লকডাউন ঘোষনা করেছে।প্রাধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদি এবং এই রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে নাগরিকদের কাছে লকডাউন কার্যকর করার আবেদন জানিয়ে চলেছেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও একাংশ নাগরিক  লগডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছেন।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এবং তৃতীয় দিন বুধবার  বেলা পর্যন্ত জেলার বহু জায়গায় খোলা থাকে দোকান বাজার । মঙ্গলবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার  ভান্ডারডিহি বাজার , বর্ধমানের বড়নীলপুর সব্জিবাজার , জামালপুরের হাট ও বেশকিছু  দোকান বাজারে বহু মানুষ ভিড জমান ।লোকে লোকারন্য থাকে এই সব এলাকার বাজার হাট । একইভাবে  নাগরিকরা বর্ধমান শহর সহ জেলার অন্যান এলাকার সড়কপথেও স্বাভাবিক যাতায়াত শুরু করেদেন । জমায়েত না করার জন্য  প্রশাসনের তরফে  মাইকিং করে প্রচার চালানো হয় । কিন্তু তার পরেও  পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় পুলিশ বাধ্য হয়ে  লাঠি উঁচিয়ে পথে নেমে বলপ্রয়োগ করে লকডাউন কার্যকর করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করতে বাধ্য হয়।

অপ্রত্যাশিত এমন পরিস্থিতিতে কিছু একটা  করে দেখানোর জন্য উদগ্রিব হয়ে পড়েন মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে ওষুধের দোকানের কর্মচারী  সুকান্ত ঘোষ । করোনা ভাইরাসের  ভয়াবহতা ও লগডাউন নিয়ে  জনসাধারনকে সচেতন করতে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালনে সামিল হন । মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় জারিকরা  লকডাউন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে তিনি নিজেই গান লিখে গানের শুর দিয়ে গাওয়া শুরু করে দিয়েছেন ।মঙ্গলবার  সকাল থেকে মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে থাকা অমিত কুমার মল্লিকের ওষুধের দোকানে  যারাই ওষুধ কিনতে আসছেন তাদের সামনে সেই গান গেয়ে সুকান্ত ঘোষ  করোনা ভাইরার সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা জাগিয়ে  চলেন। পাশাপাশি পথ চলতি  সকল মানুষজনকে তিনি  লকডাউনে সামিল হবার  বার্তাও দিয়ে চলেন।
এদিনও এই কাজ চালিয়ে যান সুকান্ত ঘোষ ।

কী গান গাইলো সুকান্ত , দেখতে ক্লিক করুন লেখার উপর

সুকান্ত ঘোষের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর  মজুমদার। তিনি বলেন ,করোনা সংক্রমণ এখন বিশ্ব  মহামারির আকার নিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে  করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যা কিছু গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছে এবং সতর্কতা বার্তা দিয়েছে  তার সবটাই গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সুকান্ত বাবু । ওনার গান শুনে নাগরিকরা সতর্কতা অবলম্বনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। লগডাউনে যারা অংশ নিচ্ছেন  আখেরে তারাই উপকৃত হবেন । কঠিন এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থেই সমাজের স্বার্থে সুকান্ত বাবু অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছেন বলে বিডিও এদিন মন্তব্য করেছেন। মসাগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বাসিন্দারাও জানালেন তাঁরা সুকান্ত ঘোষের গান শুনে উপলব্ধি করেছেন লগডাউন অমান্য করা যাবে না । তাই তারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আর না বের হবার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।


গোপীনাথপুর গ্রামে শুরু হলো করোনা ভাইরাস মুক্তকরণ কর্মসূচী

No comments

Sunday, March 22, 2020


কৃষ্ণ সাহা ( শ্যামসুন্দর ):- পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্যামসুন্দর অঞ্চলের অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামে শুরু হলো করোনা ভাইরাস মুক্তকরণ কর্মসূচী।গোপীনাথপুরেরই "রাজা রামমোহন স্মৃতি সংঘ" পাঠাগারের পরিচালনায় এই দিন বাড়ী বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষদের বিতরণ করা হলো মাস্ক।বেড়েছে মাস্কের দাম।চাহিদা অনুযায়ী খোলা বাজারে অনেক সময় মাস্ক মিলছে না।পথ চলতি মানুষদেরও মাস্ক স্যানিটাইজার দিয়ে সমান ভাবে সাহায্য করছেন তারা।পাঠাগারের প্রেসিডেন্ট পার্থসারথি ঘোষের নেতৃত্বে ও ক্লাবের অন্যান্য  সহায়তায় ওই এলাকাকে পরিষেবা প্রদান করে চলেছেন নিঃস্বার্থ ভাবে।স্থানীয় এক মহিলার কথা অনুযায়ী,পরিবারের প্রত্যেকেই মাস্ক দেওয়া হচ্ছে এবং তার বিনিময়ে কোনো অর্থ গ্রহণও করেননি । এই ক্লাব এই প্রথমবার নয়,আগেও বিভিন্ন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

 মাস্ক বিতরণেই থেমে থাকেননি তারা।স্যানিটাইজার,ফিনাইল,ব্লিচিং পাউডার সহ ঘরবাড়ী পরিষ্কার রাখার সমস্ত উপকরণ বাড়ী বাড়ী গিয়ে যোগান দিচ্ছেন তারা।তার সাথে সাথে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন।প্রয়োজনীয় কারণ ছাড়া বাড়ী থেকে বেরোতে নিষেধও করছেন।
 এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কারফিউ জারি রয়েছে।রাস্তাঘাটে দেখা মিলছে খুব কম সংখ্যক মানুষের।কিন্তু তাদের কর্মদ্যোগ চলে আসছে প্রায় সাতদিন ধরে,জানালেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পার্থসারথি ঘোষ।আগামী দিনেও এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান তারা। রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। এই মুহূর্তে মানুষের পাশে থেকে নিজের সর্বস্ব দিয়ে সাহায্য করে চলেছেন রাজা রামমোহন স্মৃতি সংঘের সদস্যগণ।

সেহারাবাজারে করোনা ভাইরাস এর জন্য প্রচারাভিযান

No comments

কৃষ্ণ সাহা ( সেহারাবাজার ):- পূর্ব বর্ধমান জেলার সেহারা অঞ্চলে শুরু হল প্রচারাভিযান।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের বিনামূল্যে চাল ও আলু বিতরণ করা হবে।এটাই হল প্রচারকার্যের বিষয়বস্তু। COVID19 তীব্রতা বাড়ছে দিনের পর দিন।বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।আজ পর্যন্ত মেলেনি প্রতিষেধক। সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেই।বেশ কিছুদিন বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত বাইরে না বেরোনোর সতর্কবার্তা জারি করেছে সরকার।উপযুক্ত খাদ্যসামগ্রী ও পথ্য মজুত থাকলেই সাধারণ মানুষের পক্ষে গৃহবন্দী হয়ে থাকা সম্ভব।তাই এমন উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে।অভিভাবক ছাড়া অন্য কারও হাতে এই চাল আলু তুলে দেওয়া হবে না।আগামী সোম এবং মঙ্গলবার প্রাইমারি ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ হবে।এই মর্মেই সেহারা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সমস্ত গ্রামে প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রচারকার্যে অংশগ্রহণকারী তৃণমুল কর্মী প্রকাশ মন্ডল।

সারাদেশের সাথেই পূর্ব বর্ধমানের বুজরুকদিঘিতে শঙ্খধ্বনি ও বাজনার মাধ্যমে শুরু হলো অভিনন্দন জানানোর পালা

No comments

কৃষ্ণ সাহা ( বুজরুকদিঘি ) :- পাঁচটা বাজতেই শঙ্খধ্বনি ও বাজনার মাধ্যমে শুরু হলো অভিনন্দন জানানোর পালা।পূর্ব বর্ধমান জেলার বুজরুকদিঘী গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষ শঙ্খধ্বনি,হাততালি দিয়ে ও বাজনা বাজিয়ে সাধুবাদ জানালেন নিরন্তর সেবায় নিয়োজিত মানুষদের।ডাক্তার,নার্স,সাফাই কর্মী, বীর সেনাদল যাঁরা নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা না করে সমাজ সেবায় নিজেদের একাত্ম করে তুলেছেন।
তাদের আরও উৎসাহ দিতেই এরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন সেহারা পঞ্চায়েতের বুজরুকদিঘী গ্রামের বাসিন্দারা।ইতিমধ্যেই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা চারশো জন ছাড়িয়ে,মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের।এই সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে তার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নার্স - ডাক্তার সহ অন্যান্য কর্মীরা।

এই বিশাল কর্মযজ্ঞে এগিয়ে যেতে এবং সাফল্যের পথ প্রশস্ত করতে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশকে মান্যতা দিয়েই এমন আয়োজন করেছেন তারা,এমনটাই জানিয়েছেন উক্ত গ্রামের এক শিক্ষক অপূর্বলাল গুপ্ত।

করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে মাটি খুঁড়ে বেরকরা পোড়া কাঠকয়লার তিলক পরার হিড়িক পরেগেছে পূর্ব বর্ধমানে

No comments

Saturday, March 21, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা ভারাস সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতেই  গুজবের জরে  বেড়ে গিয়েছিল গোমুত্র ও
 গোবরের কদর। এবার বাড়ির ঈশান কোনে গর্ত খুঁড়ে  বেরকরা কাঠকয়লা দিয়ে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর  হিড়িক পড়েগেছে ।বাড়িতে থাকা ছোট পাথরের উপর সেই কাঠকয়লা ঘসে নিয়ে তার তিলক কপালে লাগালেই নাকি করোনা আক্রান্ত হতে হবেনা ।এই গুজবে ভর করেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজন শুরু করে দিয়েছেন কপালে  কাঠকয়লা তিলক লাগানো । মুখে মাস্ক ব্যবহার শিকেয় তুলে গ্রামবাসীরা করোনার দাওয়াই হিসাবে পোড়া কাঠের তিলক পরাতে ভরসা করায় উৎকন্ঠা বেড়েছে চিকিৎসক  মহলে । 
 কাঠকয়লার তিলক নিয়ে গুজবের  মারাত্বক প্রভাব পড়েছে হুগলী ও পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পূর্ব বর্ধমান  জেলার  জামালপুর ব্লকের পাঁচড়া,বেরুগ্রাম,আঝাপুর,কোলসরা,আবুহাটি সহ রায়নার উচালন ,সেহারাবাজার এবং আউশগ্রাম ব্লকের অভিরামপুরের বাসিন্দারা সবাই এখন মেতেছেন কপালে পোড়া কাঠকয়লার তিলক পরাতে । শনিবার  জামালপুরে পাঁচড়া ও  বেরুগ্রাম এলাকায় পৌছে  দেখাযায় অনেক বাসিন্দা তাঁদের বাড়ির ঈশান কোনে গর্ত খুঁড়তে ব্যস্ত ।কেউ কেউ গর্ত খুঁড়ে পাচ্ছেন পোড়া কাঠের টুকরো। আবার কেউ কেউ তাঁদের  বাড়ির  ঈশান কোনে গর্ত খুঁড়েতেই  পোড়া কাঠ ছাড়াও  বেরিয়ে আসছে  সিঁদুরের পাতা ও কড়ি । সবকিছুই স্বযত্নে তুলে নিয়ে ওইসব বাসিন্দারা ঘরে চলে যাচ্ছেন । একই ভাবে পোড়া কাঠের টুকরো অর্থাৎ কঠকয়লা নিয়ে ঘরে ঢুকেপড়েন  জামালপুরের পাঁচড়া গ্রামের  বাসিন্দা সুমন চট্টোপাধ্যায়। এদের দেখাদেখি প্রতিবেশীরাও 
পোড়া কাঠকয়লা উদ্ধারে নেমে পড়েন । 

পোড়া কাঠকয়লার তিলক কি দাওয়াইয়েয়  কাজ করবে তা সুমন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে  জানতে চাওয়া হলে তিনি আজব কথা শোনালেন । সুমনবাবু  বলেন,হুগলী নিবাসী  তাঁদের এক আত্মীয় জানিয়েছেন ‘তারকেশ্বর মন্দিরের এক পুরোহিত স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন প্রতেক বাসিন্দা তাদের  বাড়ির সদর দরজার ডানদিকে গর্ত খুঁড়লেই পোড়া কাঠ অর্থাৎ কাঠকয়লা মিলবে। সেই কাঠ কয়লার টুকরো গঙ্গাজল সহ পাথরে ঘসে কপালে তিলক পরলেই  করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলবে। করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাবার এটাই ঠাকুরের ওষুধ। ’সুমন বাবু স্পষ্ট জানিয়েদেন 

 এই কথা শোনার পর তিনিও তা মানার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।আউশগ্রামের অভিরামপুর 
গ্রামের বধূ মামনি রজক এদিন আবার যা বললেন তা জানলে কার্যত  বিশ্বের তাবড় চিকিৎসকরাও চমকে উঠবেন ।  মামনিদেবী বলেন ,‘করোনা সংক্রমণ রোধে কি করতে হবে তা নাকি ঠাকুর এক পুরোহিতকে  স্বপ্নাদেশে জানিয়ে দিয়েছে । সেই স্বপ্নাদেশ অনুযায়ী  সূর্য ওঠার আগে বাড়ির তুলসী মন্দির কিংবা বাড়ির দরজার ডানদিকে গর্ত খোঁড়া শুরু করেদিতে হবে ।গর্ত খুঁড়লেই পোড়া কাঠ মিলবে।  সেই পোড়া কাঠের টুকরো গুড়িয়ে নিয়ে গঙ্গাজল দিয়ে মিশিয়ে কপালে তিলক পরলে আর  করোনা আক্রান্ত হতে হবে না ।’ মামনিদেবী এদিন নিজে সেটাই করেছেন বলে জানিয়েজেন । তিনি নিজের কপালে ওই তিলক পরেছেন এবং বাড়ির সবাইকেও একই তিলক পরিয়েছেন । প্রতিবেশীরাও একই রকম ভাবে কাঠকয়লার তিলক পরতে বলেছেন বলে মামনিদেবী জানিয়েছেন  ।
মামনিদেবীর প্রতিবেশী পরিবারের বধূ মিঠু মুখোপাধ্যায় বলেন , করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য তিনি এদিন  বাড়ির দরজার ডানদিকে গর্ত খুঁড়েতেই পোড়া কাঠের টুকরো পান ।  কাঁসার পাত্রে গঙ্গাজল ও  তুলসী পাতা দিয়ে তারমধ্যে ওই  পোড়া কাঠের টুকরোটি  ফেলেদিয়ে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেন । প্রার্থনা শেষে ওই কাঠকয়লার গুঁড়োর তিলক নিজে কপালে পরেন এবং বাড়ির স্বামী ও  সন্তানদের কপালেও তিলক পরিয়ে দিয়েছেন। 
দুপুর গড়ানোর পর এই গুজব জেলার সর্বত্র  দাবানলের  মত ছড়িয়ে পড়ে । সর্বত্র জয়ধ্বনি  দিয়ে পোড়া কাঠকয়লার  তিলক কপালে পরার হিড়িক পড়েযায়। করোনার দাওয়াই হিসাবে গ্রামে গঞ্জের মানুষজন কপালে পোড়া কাঠকয়লার তিলক পরতে অতি  উৎসাহী হয়েপড়ায় দুশ্চিন্ত বেড়েছে স্বাস্থ কর্তাদের । 
শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাওয়া পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য তাপস কুমার কার্ফা এদিন বলেন সবটাই বুজরুকি কাণ্ড ঘটছে ।পোড়া কাঠকয়লার তিলক পরে করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই মিলতে পারে না । বরং করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং চিকিৎসকদের দেওয়া   পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে । চিকিৎসকদের পরামর্শই  সবাইকে মেনে চলতে হবে । মুখে মাস্ক ব্যবহার করা , এক জায়গায় ভিড়ভাট্টা না করা এবং নিজের হাত সহ গোটা শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাই  করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ বলে তাপস কার্ফা জানিয়েছেন । বিগত কয়েকদিন ধরে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এই একই উপদেশ দিয়ে চলেছেন রাজ্যের বিশিষ্ঠ  চিকিৎসক ও স্বাস্থ দপ্তরের কর্তারা ।কোন গুজবে কান না দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এবং চিকিৎসকদের পরামর্শকে গুরুত্ব দিতে হবে এই অনুরোধ নাগরিকদের কাছে রেখেছেন চিকিৎসকরা ।  ।

করোনা সংক্রমণ রুখতে পুলিশেকে সঙ্গে নিয়ে রেল স্টেশান চত্তরে পর্যটক দলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন চিকিৎসকরা

No comments

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের  নির্দেশে পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে  স্বাস্থ দফতর ।  
সরকারী সেই নির্দেশ কার্যকর করতে শনিবার সাতসকালেই হাওড়া - বর্ধমান কর্ড শাখার পূর্ব বর্ধমানের মসাগ্রাম স্টেশানে পৌছেযান জামালপুর ব্লক হাসপাতালের চিকিৎসক  স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ আধিকারিকরা।ভিন রাজ্যে ভ্রমন সেরে ফেরত আসা পর্যটকদের দাঁড় করিয়ে সেখানেই হল স্বাস্থ্য পরীক্ষা। 
এদিন সকাল ৮টা ১০ মিনিট নাগদ ডাউন লোকল ট্রেন থেকে মসাগ্রামে নামেন সিমলা ,কুলু ও মানালি থেকে ফিরেআসা  একদল  পর্যটক । তারা ট্রেন থেকে নামতেই স্টেশান চত্ত্বরে ক্যাম্প করে বসে থাকা চিকিৎসক ও পুলিশ অফিসাররা তাদের  পথ আটকান ।চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সকল পর্যটকের  স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন । পর্যটকের নাম , ঠিকানা ও ফোন নম্বার নথিভুক্তও করা হয়  । 
জামালপুর ব্লক স্বাস্থকেন্দ্রের বিএমওএইচ 
ডাঃ আনন্দমোহন গড়াই জানিয়েছেন, জামালপুরের আঝাপুরের প্রায় ৭০ জনের একটি দল গত ১৩ মার্চ সিমলা ,কুলু ও মানালি বেড়াতে যান। শুক্রবার রাতে খবর আসে ৭দিনের ট্যুর সেরে ওই পর্যটকরা ডাউন  কালকা মেলে চড়ে বর্ধমানে ফিরছেন। শনিবার সকালে বর্ধমান  স্টেশানে নেমে তারা লোকাল ট্রেনে চড়ে মসাগ্রামে নামবে । সেই খবর মেলার পরেই ওই পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা  না করে ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন সাত সকালে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক হাসপাতালের চিকিসক পার্থসারথী সিংহ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা মসাগ্রাম স্টেশান চত্ত্বরে হাজির হয়েযান । চিকিৎসক পার্থসারথী  সিংহ জানিয়েছেন , পর্যটকদের 
 প্রত্যেকেরই বাড়ি আঝাপুর এলাকায় । ওই 
পর্যটকদের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি থার্মাল ক্লিনিং করা হয়েছে।  কারুর শরীরেই  অবশ্য এদিন করোনা সংক্রমণের লক্ষণ দেখাযায়নি । তবে যেহেতু ভিন রাজ্য ঘুরে তারা ফেরত এসেছেন তাই তাদের আগামী  ১৪ দিন বাড়িতেই কোরান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে  ।যদিও আঝাপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা লিখিত ভাবে এদিন  বিএমওএইচ কে জানিয়েছেন ,ভিন রাজ্যে বেড়ানো সেরে ফেরত আসা ব্যক্তিরা কেউ বাড়িতে থাকছেন না ।  ফিরে এসেই তারা এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা শুরু করে দিয়েছে ।সেকারণে  আঝাপুরের অনেক  বাসিন্দাই  আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন । এবিষয়ে বিএমওইচ জানিয়েছেন , চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে ওই ব্যক্তিরা না চললে প্রয়জনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।  


করোনা ভাইরাস আতঙ্কে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে ল্যাংচা, সীতাভোগ ও মিহিদানা ব্যবসায়

No comments

Friday, March 20, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- রোনা ভাইরাস আতঙ্কে দেখানেই খরিদ্দারের ।তার জেরে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের প্রসিদ্ধ সীতাভোগ,ল্যাংচা ও মিহিদানা  ব্যবসায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন শক্তিগড়ের ল্যাংচা, সীতাভোগ ও  মিহিদানা  ব্যসায়ীরা।করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে সাধারণ মানুষ তাঁদের  মিষ্টান্ন  দোকান মুখো  না হলে ব্যবসা লাটে উঠবে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা । 
বর্ধমানের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন  মানেই ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিহিদানা।পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের দুধারে সারিবদ্ধ ভাবে রয়েছে অসংখ্য ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিদিনার দোকান । দূরপাল্লার বাস ও অন্যান যানবাহনে চড়ে এই সড়কপথ ধরে যাওয়া বহু মানুষ আগে  বর্ধমানের প্রসিদ্ধ এই তিন মিষ্টি কেনার জন্য দাঁড়াতেন । করোনা আতঙ্কে এখন সব উলোট পালট ঘটে গেছে । শক্তিগড়ের  মিষ্টি ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ ঘোষ  শুক্রবার জানালেন ,দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসের যাত্রীরাই হলেন তাঁদের  বড় খরিদ্দার । কিন্তু এখন বাস যেমন কম  চলছে তেমনই  বাসে থাকছে হাতে গোনা কয়েকজন যাত্রী । করোনা ভাইরাস আতঙ্কে খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘরথেকে বাইরে বের হচ্ছেন না ।দোকানে একটু বেশী লোক থাকলে খরিদ্দাররা সড়ে পড়ছেন । আতঙ্কে  ব্যবসার পরিস্থিতিটাই এখন কেমন যেন পাল্টে গেছে । দূরপাল্লার বাস কিংবা অন্য কোন যানবাহন  শক্তিগড়ে হল্ট করলেও  যাত্রীরা ল্যাংচা খাওয়া তো দূরের কথা বাড়ির জন্য কিনছেন না। শুধু চা খেয়েই তাঁরা গাড়িতে চড়ে বসছেন। 

বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন যাত্রীদের ল্যাংচা কিংবা সীতাভোগ , মিহিদানা কেনার অনুরোধ  করাহলে  তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন এখন  বাইরের খাবার তারা ঘরে নিয়ে যাবেন না । করোনা আতঙ্কে খরিদ্দারা এই ভাবে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়ায়  ল্যাংচা , সীতাভোগ ও মিহিদানা ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে বলে  মিষ্টি ব্যসায়ীরা জানিয়েছেন । ব্যবসায়ীরা আরো জানান , বিক্রি কমে যাওয়ায় তাঁরা উৎপাদনও কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। বিক্রি একেবার তলানীতে।কর্মীদের মাইনেও হচ্ছে না।এমন  মহাসংকট আগে কোন দিও তৈরি হয় নি ।শক্তিগড়ে মিষ্টি ব্যবসায় যে মহাসংকট তৈরি করেদিন করোনা ভাইরাস আতঙ্ক।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেশবাসীর মুক্তি প্রার্থনায় গোপীনাথের মন্দিরে পুজো দিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

No comments

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ):- রোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরবার ভারত সহ গোটা বিশ্ব । গবেষনা চললেও এখনও মারণ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিস্কৃতি পাবার কোন ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি । ফলত প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি থেকে দেশবাসীর মুক্তিলাভ কামনায় দেবতার দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । মাথায় পুজোর ডালা নিয়ে শুক্রবার বেলায় মন্ত্রী স্বপন দেবানাথ পৌছালেন বহু কলের প্রাচীন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অগ্রদ্বীপের  গোপীনাথের মন্দিরে ।ভক্তিভরে তিনি বাবা গোপিনাথের পুজো দিলেন ।
প্রার্থনাও করলেন । পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানালেন , “করোনা  ভাইরাস সংক্রমণের  হাত থেকে গোটা ভারতের মানুষ যাতে মুক্তি পায় সেই প্রার্থনা গোপীনাথের  কাছে জানাতেই হাজির হয়েছি। ”। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে  যোগ দিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেছিলেন , ‘মায়ের প্রসাদ খেলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হবে না ’।এই মহামারির  সময়ে  রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রীরা দেবতার জয়গান গাওয়া শুরু করায় চিন্তিত চিকিৎসক মহল । তারা মনে করছে  নেতা , মন্ত্রীদের দেখে রাজ্যের সর্বত্র যদি এখন পুজো পাঠ ও হোম যজ্ঞের হিড়িক পড়েযায়  তাহলে চরম বিপত্তি তৈরি হবে । 

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণে প্রশাসনের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান ছাড়তে হল ইতালির তিন মহিলাকে

No comments

Thursday, March 12, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস  আতঙ্ক।  ভারতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই আতঙ্কের জেরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হল ইতালির তিন মহিলাকে ।ভারতে  করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই  ৭৪ ছুঁয়েছে ।এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার তিন ইতালিয় মহিলাকে ঘিরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ও ভাতারবাসী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।সেই  খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস  পরে প্রশাসনের কর্তারা দ্রুত পৌছে যান ইতিলি থেকে আসা ওই মহিলাদের কাছে । বিদেশীনিদের পাসপোর্ট ,ভিসা এবং করোনা আক্রান্ত না হওয়া সংক্রান্ত ডাক্তারি ছাড়পত্র দেখার পরেও প্রশাসনিক কর্তারা কোন ঝুঁকি নিতে চান নি।  প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠান না করেই ইতালি থেকে আসা তিন মহিলাকে শেষপর্যন্ত  রাঁচি ফিরে যেতে হয় । 
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,ভারতে আসার কারণ  সম্পর্কে  তিন ইতালিয় মহিলার 
কাছে সবিস্তার জানতে চান পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ।পুলিশকে  তারা জানান ২৭ ফেব্রুয়ারি  রাত ২ টো নাগাদ তিন বিদেশী মহিলা দমদম বিমান বন্দরে নামেন ।
সেখানে তাদের স্বাস্থ পরীক্ষা হয় । কিন্তু  করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ ধরা না পরায় তিন বিদেশী মহিলাকে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । দমদম  বিমানবন্দর থেকে তিন মহিলা সোজা চলেযান 
দুমকা ।সেখানে কয়েকদিন জনজাতিদের  বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ঘেরে দেখে রাঁচিতে পৌছান । গত বুধবার বর্ধমানে একটি চার্চে এসে ওঠেন তিন বিদেশীনি ।একই বিষয়ক কর্মসূচিতে যোগদিতে এদিন তারা প্রথমে গুসকরায় যান । পরে  পৌছান   ভাতারের জামবুনি গ্রামে ।ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিকের উপস্থিতিতে তিন বিদেশীনির স্বাস্থ পরীক্ষা হয় ।তাদের  পাসপোর্ট , ভিসা সহ অন্য ছাড়পত্রও প্রশাসনিক কর্তারা খতিয়ে দেখেন ।কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ব্লক প্রশাসনিক কর্তারা কোন ঝুঁকি নিতে চাননি । বিডিও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা ইতালির তিন মহিলাকে রাঁচি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন ,বিদেশ থেকে যারাই জেলায় ফিরছেন তাঁদের উপর নজরদারি  চালানো হচ্ছে । ইতালির তিন মহিলার স্বাস্থ পরীক্ষা করা হয় । কিন্তে করোনা আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ মেলেনি । অযথা আতঙ্কিত হবার কিছু নেই ।  ওনারা রাঁচি ফিরে গেছেন । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে শর্মিষ্ঠা সিংহরায় বলেন, ”  করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমানসে ব্যাপক আতঙ্ক  ছড়িয়েছে ।সেই আতঙ্কের কারণেই ইতালি থেকে আসা তিন মহিলাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হল । 

সাধারণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে নাচে গানে মাতালেন চিকিৎসকরা

No comments

Friday, March 6, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের  সম্পর্ক খারাপ হওয়াটা কোন ভাবেই কাঙ্খিত নয় ।পেশায় চিকিৎসক হলেও তারাও আরপাঁচটা সাধারণ মানুষের  মতোই । 
অতীতে যাই ঘটেযাক ।পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি আর নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুক্রবার  বিকালে বর্ধমান শহরের  কার্জনগেট চত্ত্বরে  
নাচে গানে মাতোয়ারা হলেন একদল চিকিৎসক ও হবু চিকিৎসক । সাউন্ড বক্সেই বাজলো জমজমাট হিন্দি গান । বিশেষ একটি নির্দিষ্ট রংয়ের টটি-শার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত হয়ে  সেই  গানের তালেই চললো চিকিৎসকদের নাচ । চিকিৎসকদের এমন মুডে দেখে  প্রথমে অনেকেই চমকে জান । জনতার ভিড়ও উপচে পড়ে কার্জনগেট চত্তরে।
হঠাৎ এই ভাবে শহরের রাজপথে জনতার ভিড়েরমধ্যে চিকিৎসকদের নাচে গানে  মাতোয়ারা হবার কি কারণ থাকতে পারে ? তা জানার জন্য উৎসুক হয়ে পড়েন কার্জনগেট চত্ত্বরে ভিড় করেথাকা মানুষজন । 
পরে অবস্য নাচ গানের  আয়োজনের মূল কারণ  সবাইকে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক সংগঠনের  নেতা মহঃ ইমদাদুল হক ও চিকিৎসক শর্মিলা নন্দী ।তাঁরা জানান ,
সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা সম্পর্ক নিবিড় করতে চান ।আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল মেডিকেল কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘সেনসেশন’ অনুষ্ঠিত হবে। তাকে সামনে রেখেই এদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে ফ্লাশ মব-এর আয়োজন করেছিলেন । চিকিৎসকদের প্রত্যাশা ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের সম্পর্ক আগামী দিনে আরো নিবিড় হবেই । 

করোনা নিয়ে বর্ধমান হাসপাতালে বিশেষ শিবির ও জেলাশাসকের বিশেষ সভা

No comments

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক । তারই পরিপ্রেক্ষিতে  গোটা দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যেও  বিশেষ সতর্কতা মূলক  ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।কলকাতার হাসপাতাল গুলিতে ইতিপূর্বেই  করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে । শুক্রবার থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চালু করা হল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের  চিকিৎসার ওয়ার্ড ।কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে এদিন ওয়ার্ড চালুর পরেই  বর্ধমান হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের  নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির  হয় ।হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রুগী বা সন্দেহ জনক কোন রুগী ভর্তি হলে প্রাথমিক ভাবে কি করণীয় সেই বিষয়ে আলোচনা হয় প্রশিক্ষণ শিবিরে । 

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে জানান ,ইতিমধ্যেই  দেশে জনা  ৩০ ব্যক্তির  মানুষ  করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে  খবর মিলেছে। সেইজন্যই দেশের সব রাজ্যেকে  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক করোনা ভাইরাস নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ নেনে বর্ধমান হাসপাতালও সদর্থক ব্যবস্থা নিল ।একই বিষয়নিয়ে জেলা শাসক বিজয় ভারতি এদিন জেলার সকল প্রসাসনিক আধিকারিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন । জেলাশাসক  জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে  ২৭ জন  বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে এসেছেন  । তাদের পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে । মেডিকেল  টিম তাঁদের চেক করবে ।বিজয় ভারতি আরো জানান করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে কিকি করণীয় সেই সংক্রান্ত  লিফলেট তেরি করে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হবে ।  ছাত্র ছাত্রীদের  সচেতন করতে সেই লিফলেট জেলার প্রতিটি স্কুলেও পৌছে দেওয়া হবে । 
বিশেষ মাস্কের কালো বাজারি কোন ভাবেই হতে দেওয়া হবেনা। কেউ মাস্কের কলোবাজারি করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে চিন,জাপান ,
ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিন কোরিয়া থেকে সম্প্রতি বর্ধমানের বাড়িতে ফিরে এসেছেন এমন ৯ জনকে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দফতর ।  ওই সকল ব্যক্তিদের আপাতত বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করেছে  প্রশাসন । ওই ব্যক্তিদের সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়ে  স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার  সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ দফতর । একই সঙ্গে ৫০ হাজার বিশেষ মাস্ক (এন ৯৫) ও অন্যান প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট মজুত করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্বাস্থ বিভাগ 


চিন ছাড়িয়ে করোনা আতঙ্ক এবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে

No comments

Thursday, March 5, 2020


তুহিন শুভ্র আগুয়ান ( ভগবানপুর ) :-  চিন নয় এবার করোনা আতঙ্ক এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে। চীনের পাশাপাশি নোবেল করোনা ভাইরাস যখন দিল্লি শহরজুড়ে মৃত্যুর হার বাড়িয়ে চলেছে  ঠিক সেই সময় করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে শহর ভগবানপুরে। জানা গেছে, ভগবানপুরের বনমালিপুর গ্রামের এক বাসিন্দা নিজের ব্যবসায়ীক ট‍্যুরে ইন্দোনেশিয়া যাত্রা করেছিলেন। এরপরই বর্তমানে দেশে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এমনকি ওই ব্যবসায়ী শরীরের মধ্যে করো না আক্রান্তের বিভিন্ন লক্ষণ পাওয়া গেছে।
তাই তাকে বর্তমানে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই যুবক পেশায় একজন ইমারতি ব্যবসায়ী। তিনি গত জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ নিজের ব্যবসায়িক ট্যুরে ইন্দোনেশিয়া যাত্রা করেছিলেন। এরপর তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে আসেন। তবে তিনি থার্মাল স্ক‍্যানিং না করেই নিজের বাড়িতে ফিরে আসায় গোটা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ঘটনায় এই খবর স্থানীয় স্বাস্থ্য দপ্তরে পৌঁছালে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক পুলিশ ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার দেহে করোনাভাইরাস এর বিভিন্ন লক্ষণ পাওয়া যায়। এরপর তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। তবে তিনি প্রথমে আসতে না চাইলেও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাকে জোর করে জেলার মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এনিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল জানিয়েছেন, "স্থানীয়দের তরফে খবর পেয়ে এক্ষেত্রে তৎপরতার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই জেলা স্বাস্থ্য সর্বদা দপ্তর সচেতন রয়েছে। ঐ ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শারীরিক পরীক্ষা করানো হবে।"তবে এই মূহুর্তে ভগবানপুরের এই করোনা ভাইরাসের কথা গোড়া জেলায় ছড়িয়ে পড়ায় এখন ব‍্যাপক আতঙ্কের ছায়া নেমে এসেছে।

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION