Showing posts with label লাইফ স্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফ স্টাইল. Show all posts

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের কারণে প্রশাসনের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমান ছাড়তে হল ইতালির তিন মহিলাকে

No comments

Thursday, March 12, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস  আতঙ্ক।  ভারতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই আতঙ্কের জেরেই পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে ভিন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হল ইতালির তিন মহিলাকে ।ভারতে  করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই  ৭৪ ছুঁয়েছে ।এমন আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার তিন ইতালিয় মহিলাকে ঘিরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ও ভাতারবাসী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।সেই  খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস  পরে প্রশাসনের কর্তারা দ্রুত পৌছে যান ইতিলি থেকে আসা ওই মহিলাদের কাছে । বিদেশীনিদের পাসপোর্ট ,ভিসা এবং করোনা আক্রান্ত না হওয়া সংক্রান্ত ডাক্তারি ছাড়পত্র দেখার পরেও প্রশাসনিক কর্তারা কোন ঝুঁকি নিতে চান নি।  প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশে  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনুষ্ঠান না করেই ইতালি থেকে আসা তিন মহিলাকে শেষপর্যন্ত  রাঁচি ফিরে যেতে হয় । 
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,ভারতে আসার কারণ  সম্পর্কে  তিন ইতালিয় মহিলার 
কাছে সবিস্তার জানতে চান পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা ।পুলিশকে  তারা জানান ২৭ ফেব্রুয়ারি  রাত ২ টো নাগাদ তিন বিদেশী মহিলা দমদম বিমান বন্দরে নামেন ।
সেখানে তাদের স্বাস্থ পরীক্ষা হয় । কিন্তু  করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ ধরা না পরায় তিন বিদেশী মহিলাকে বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় । দমদম  বিমানবন্দর থেকে তিন মহিলা সোজা চলেযান 
দুমকা ।সেখানে কয়েকদিন জনজাতিদের  বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ ঘেরে দেখে রাঁচিতে পৌছান । গত বুধবার বর্ধমানে একটি চার্চে এসে ওঠেন তিন বিদেশীনি ।একই বিষয়ক কর্মসূচিতে যোগদিতে এদিন তারা প্রথমে গুসকরায় যান । পরে  পৌছান   ভাতারের জামবুনি গ্রামে ।ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিকের উপস্থিতিতে তিন বিদেশীনির স্বাস্থ পরীক্ষা হয় ।তাদের  পাসপোর্ট , ভিসা সহ অন্য ছাড়পত্রও প্রশাসনিক কর্তারা খতিয়ে দেখেন ।কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ব্লক প্রশাসনিক কর্তারা কোন ঝুঁকি নিতে চাননি । বিডিও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা ইতালির তিন মহিলাকে রাঁচি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন ,বিদেশ থেকে যারাই জেলায় ফিরছেন তাঁদের উপর নজরদারি  চালানো হচ্ছে । ইতালির তিন মহিলার স্বাস্থ পরীক্ষা করা হয় । কিন্তে করোনা আক্রান্ত হবার কোন লক্ষণ মেলেনি । অযথা আতঙ্কিত হবার কিছু নেই ।  ওনারা রাঁচি ফিরে গেছেন । স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে শর্মিষ্ঠা সিংহরায় বলেন, ”  করোনা ভাইরাস নিয়ে জনমানসে ব্যাপক আতঙ্ক  ছড়িয়েছে ।সেই আতঙ্কের কারণেই ইতালি থেকে আসা তিন মহিলাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হল । 

লক্ষ্য সংসার, অটো চালিয়েই নারী দিবসের নজির পুঁটিরাণির

No comments

Saturday, March 7, 2020




তুহিন শুভ্র আগুয়ান ( হলদিয়া ) :- থায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যার উদাহরণ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার গেঁওখালির পুঁটিরাণি দাস। বাড়ির হেঁশেল সামলানোর পাশাপাশি পুঁটিরাণি আজ পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজের হাতে তুলে নিয়েছে অটোর হ্যান্ডেল। সকাল থেকে সন্ধ্যে বাড়ির কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই অর্থ উপার্জনের জন্য গ্রামের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পুঁটিরাণি। আর সেই পুঁটিরাণি আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের জেলা তথা রাজ্যের অন্যতম নজির। 
ছোট থেকে পুঁটিরাণির জীবনে লড়াই ছিল মূল মন্ত্র। ছোটবেলায় বাপের বাড়িতে অভাবের সংসারে বাবার পাশাপাশি মাকেও অর্থ উপার্জন করতে দেখেছে সে। ইটভাটার শ্রমিক থেকে শুরু করে নানান ধরনের কাজ মাকে করতে দেখে অনুপ্রেরণা পায় সে নিজেও। তাই আজ শ্বশুরবাড়ির সংসারে পা রেখে পুঁটিরাণি নিজে সংসারের অভাবের কথা বুঝতে পেরে অর্থ উপার্জনের জন্য অটোকে অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। গেঁওখালি থেকে কুকড়াহাটি গ্রামীণ সড়ক আর পাঁচটা অটোর সঙ্গে দেখা যাবে পুঁটিরাণির অটোও। গত দুই থেকে তিন বছর ধরে স্বামীকে সংসার চালানোর সহযোগিতা করার জন্য অটোকে অন‍্যতম মাধ্যম করে নিয়েছে সে। সকাল হলেই স্বামীর পাশাপাশি পুঁটিরাণিও অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে বেরিয়ে পড়েন অটো নিয়ে। প্রথম প্রথম বেশ কয়েকদিন এভাবে একজন মহিলাকে অটো চালাতে দেখে স্থানীয় অনেকেই ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতেন। কিন্তু তা থেকেও সরে দাঁড়ায়নি পুঁটিরাণি। সে আরও শক্ত করে নিজের অটো চালানোর হাত। ক্রমে ক্রমে তার জীবন সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করে যাত্রীদের কাছে আজ পুঁটিরাণি হয়ে উঠেছে নিজের মেয়ের মতো। আগে যারা পুঁটিরাণির অটোতে চড়তে লজ্জা করতেন আজ তারা নির্দ্বিধায় নিজের মেয়ের অটো ভেবে চলছেন এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। তার এভাবে অর্থ উপার্জনের সংগ্রাম দেখে অনেকে আবার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়াও দেয় তাকে। যা দিয়ে এখন অনেকাংশে স্বাবলম্বী গেঁওখালির বাদুড় গ্রামের পুঁটিরাণি দাস। দোচালা টালির বাড়িতে স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও বৃদ্ধ শ্বশুরকে নিয়ে পুঁটিরাণির সংসার। ছোটবেলায় প্রাইমারি স্কুলে অল্পবিস্তর পড়াশোনার পর বিয়ের বয়স হওয়াতেই বাদুড় গ্রামের অজয় দাসের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পুঁটিরাণি। এরপর শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অনটনের কথা উপলব্ধি করে সে। এরপর নিজেই স্বামীর পাশাপাশি অটোর হ্যান্ডেল ধরেছেন পুঁটিরাণি। পুঁটিরাণি কথায়, "আমি মনে করি ন্যায় এবং সত্যের পথে অর্থ উপার্জনের জন্য কোন জীবিকা ছোট নয়। তা নারী হোক বা পুরুষের ক্ষেত্রে। তাই আমি পরিবারের অভাবের কথা বুঝতে পেরে অটোকে নিজের জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছি। প্রথমে অনেকেই ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন ঠিকই। কিন্তু এখন সকলে নিজের আপন মানুষের মতো হয়ে গেছে।" পুঁটিরাণির অটোর যাত্রীরা বলেন, "আমাদের প্রথমে পুঁটিরাণির অটোতে উঠতে লজ্জা হতো ঠিকই। কিন্তু পুঁটিরাণি এখন আমাদের নিজের মেয়ের মতো হয়ে গেছে। তাই মেয়ের অটোতে উঠতে লজ্জা কিসের?"
সবমিলিয়ে বলা চলে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে অন্যতম জয়ী নারী গেঁওখালির পুঁটিরাণি দাস। তার এই কর্মকে এখন সাধুবাদ জানায় সকলে।

তাপস পালের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মহিষাদল রাজপরিবার

No comments

Wednesday, February 19, 2020


তুহিন শুভ্র আগুয়ান; মহিষাদলঃ- ঙ্গলবার ভোররাতে প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত অভিনেতা তাপস পাল। তার এই মৃত্যুতে এখন শোকস্তব্ধ সকল সিনেমা প্রেমী মানুষজন। আর এর মাঝেই তাপস পালের মৃত্যুর খবর মহিষাদল রাজবাড়িতে পৌঁছতেই নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তাপস পালের একাধিক মুহূর্তের সাক্ষী রয়েছে মহিষাদল রাজবাড়ি। তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিংও করেছেন এখান থেকে। আর তাই সামনে থেকে দেখা প্রিয় এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর মহিষাদলে পৌঁছাতেই স্তব্ধ সকলে।

উল্লেখ, ২০১২ সালে রাজীব কুমার বিশ্বাস পরিচালিত বাংলা সিনেমা খোকা ৪২০ এর বেশ কিছু অংশ শুটিং হয়েছিল মহিষাদল রাজবাড়িতে। যে সিনেমায় বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিখ্যাত এই অভিনেতা তাপস পাল। আর তাই তিনি শ্যুটিং করতে এসেছিলেন মহিষাদল রাজবাড়িতে। শুটিং চলাকালীন বেশ কয়েকদিন তিনি স্থানীয় মহিষাদলের বহু মানুষের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। যার ফলে রয়ে গেছে স্মৃতি। ২০১২ সালের শেষের দিকে তাপস পাল অভিনীত এই বাংলা ছবির বেশ কিছু অংশের শুটিং হয় মহিষাদলে।
সেই সময় তিনি প্রায় এক সপ্তাহ এখানে এসে থেকে ছিলেন। মহিষাদলের বহু মানুষের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাপসবাবুর সরল সাদাসিধে মনোভাবের জন্য এখন মুগ্ধ সেইসব মানুষও। শুটিংয়ের সময় বহু দূর-দূরান্ত থেকে রাজবাড়ী চত্বরে অভিনেতাদের দেখার জন্য ভিড় জমতো। তবে এই ভিড়ে বিরক্ত না হয়েও শুটিংয়ের ফাঁকে কিছু সময় ওইসব মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতেন তাপসবাবু। এমনকি মহিষাদলের বেশকয়েকজন মানুষ এখানে তাপসবাবুর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগও পেয়েছেন। তারা আজ সকালে তাপসবাবুর এইরূপ অকাল প্রয়াণের কথা জানতে পেরে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন।
মহিষাদল রাজবাড়ি দেখভাল করেন স্থানীয় স্বপন চক্রবর্তী। তিনিও শুটিংয়ের সময় একাধিকবার তাপসবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এদিন সকালে এরূপ শোক সংবাদ শুনে তিনি জানান, "উনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমি নিজে উনাকে সামনাসামনি প্রত‍্যক্ষ করেছি। কিছুতেই মনে হচ্ছে না যে উনি আর নেই।"
তাপসবাবুর এই সিনেমার মহিষাদলে শুটিং হওয়ার সময় একটি চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন মহিষাদলের বাসিন্দা পাপিয়া গুমট‍্যা। তিনি জানান, "উনি যখন মহিষাদলে এসেছিলেন তখন একবার আমি উনার সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আজ সকালে উনার মৃত্যুর খবর আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।" 





শীতলা ষষ্ঠী পুজো

No comments

Friday, January 31, 2020

কাটোয়া ( রাহুল রায় ) :-  শীতলা ষষ্ঠী হলেন লৌকিক দেবী। শুক্রবার কাটোয়া ২নং ব্লকের নন্দীগ্রামের রায় পাড়ায় শীতলা ষষ্ঠী দেবীর পুজো হল। পাড়ায় মহিলা তাদের বাড়িতে শীতল ষষ্ঠী রূপে শীল নোরাতে কাপড় জড়িয়ে  পুজো করে। সিঁদুর,হলুদ,গঙ্গা জল,ধুপ,ফল-মিষ্টি ও ফুল দিয়ে পুজো করা হয়। মহিলারা তাদের বাড়ির মঙ্গলকামনার জন্য এই পুজো করে থাকেন। এই পুজো উপলক্ষে মহিলারা বাড়িতে রান্না করেনা।

মেহেন্দি -র রঙ গাঢ় ও দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ উপায়

No comments

Sunday, September 22, 2019



পুজো মানেই নানা রকম সাজের বাহার। নিজস্ব ঢঙে নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা ভাবে নজরকাড়া করে তোলা। সাজগোজ এর সঙ্গে আবশ্যিক হয়ে ওঠে মেহেন্দি-ও।

চুল, ব্যাগ, মেক-আপ, নেলপলিস, কানের দুল, গলার হার, লিপস্টিক, জুতো কোন ড্রেসের সঙ্গে কেমন মানাবে তা নিয়ে অনেক আগে থেকেই শুরু হয় প্রস্তুতি।

তবে মেহেন্দি তো আর অনেক আগে থেকে পড়লে হয় না।

তাছাড়া পুজোর সময় প্যান্ডেল হোপিংয়ের ব্যস্ততায় তা রোজ পড়াও যায় না।

এখন তো ষষ্ঠী থেকে নয়, চতুর্থী থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর প্যান্ডেল দেখা।

তাই আগেভাগে পড়লেও পুজো শেষ পর্যন্ত তা টিকিয়ে রাখতে হলে জেনে রাখুন এই টিপসগুলো-

১. পড়ার আগে অবশ্যই সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

২. তবে হাত ধোয়ার পর হাতে কোনো ক্রিম মাখবেন না। তাহলে মেহেন্দি হাতে বসবে না।

৩. পড়ার পর অন্তত ১২ ঘন্টা রাখাটা জরুরি। তাই সব কাজ সেরে বসুন। তাড়াহুড়োতে তুলে নিলে রঙ ফিকে হবেই।

৪. তাড়াতাড়ি শুকনোর জন্য কোনো মেশিনের ব্যবহার না করাই ভালো।

৫. লক্ষ রাখবেন শুকিয়ে গেলে নিজে থেকেই ঝরতে শুরু করবে। তার আগে জোর করে তুলতে যাবেন না।

৬. শুকিয়ে যাওয়ার পর চিনি দিয়ে ঘষে শুকনোই তুলে নিন।

৭. অনেকে লেবু ব্যবহার করে। কিন্তু লেবু ব্যাবহার না করাই ভালো। লেবুতে অ্যাসিড থাকায় মেহেন্দির রঙ হালকা করে দিতে পারে। 
loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION