Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
Showing posts with label বিনোদন. Show all posts

করোনা ভাইরাস নিয়ে লেখা এক কবিতা দেখেনিন এক ক্লিকে

No comments

Thursday, March 26, 2020


রোনা ভাইরাসের কবলে সারা বিশ্ব।মুক্তি পায়নি ভারতবাসীও।এই কঠিন পরিস্থিতির স্বীকার সধারণ মানুষ।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে লকডাউনও জারি রয়েছে।নচিকেতা চক্রবর্তীর কথায় "পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে,স্যাটেলাইট আর কেবলের হাতে ড্রয়িং রুমে রাখা বোকা বাক্সতে বন্দী।" হ্যাঁ ঠিক এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সারা পৃথিবী জুড়ে।যদি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয় তবে ঘরবন্দী হয়েই থাকতে হবে।এই উদ্দেশ্যকে কার্যকরী করার লক্ষ্যে কলকাতা ৩৩ এর ৫৪/১০A দেশপ্রান শাসমল রোডের শিক্ষাভিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিপ্রা মন্ডল লিখলেন একটি কবিতা।


      একতাই   বল

    ভয়  পেয়ো  না  বঙ্গবাসী 
           সাহস  রাখো  মনে ,  
  একজোটে  আজ  লড়ব  মোরা 
        করোনা  ভাইরাসের  সনে । 
   ছাড়ব  নাতো  কাউকে  মোরা 
                  ধরব   কষে   হাল, 
   কেমন  করে  টলায়  দেখি ..
               করে  বেসামাল ? 
   বেরোবোনা  বাইরে   কেউ
            থাকব  সবাই  ঘরে ,
  সদাই  মোরা  সচেতন  থেকে 
        হাত  ধোবো  বারে  বারে ..
  বাড়িতে  কাউকে  ডাকব না আর 
                 যাব  না  কারো  ঘরে  , 
  লড়াই   করে  ভাইরাস   দেখি 
                জেতে   কেমন   করে ! 
  একটি   কথা   সবার  তরে 
                 শোন   দিয়ে   মন ..
  নিজের   মতো  চোলোনা  কেউ 
                বেরিয়ো না   এখন । 
   এই   কথাটি  মনে    রেখো  
                      একতাই    বল , 
  ভাঙতে  বাধ্য   হবেই   শত্রু 
                 যতই   হোক   অটল !  
   যদি    থাকো   এ   সঙ্কটে  
                    একসাথে  সকলে..
দেখবে  শান্ত  হবে  ধরা
              ভরবে ফুলে - ফলে।।

গান গেয়ে গেয়ে সবাইকে লকডাউনে সামিল করাচ্ছেন ওষুধের দোকানের কর্মচারী সুকান্ত

No comments

Tuesday, March 24, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- পুলিশকে বল প্রয়োগের পথে হাঁটতে হলেও নিজের স্বরচিত গানের মধ্যমেই নাগরিকদের  লগডাউনে সামিল করাচ্ছেন সামান্য একজন ওষুধের দোকানের  কর্মচারী। শুনতে অবাক লাগলেও পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার আঝাপুর গ্রাম নিবাসী সুকান্ত ঘোষের এমন  কর্মকাণ্ডের তারিফ নাকরে পারেন নি প্রশাসনিক কর্তারা ।

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জেরবার হয়েরয়েছে  ভারত সহ গোটা  বিশ্ব ।প্রতিদিন ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তেমনই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা । ভাইরাস সংক্রমন  প্রতিহত করতে দেশের অন্যান রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে  লকডাউন ঘোষনা করেছে।প্রাধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদি এবং এই রাজ্যের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে নাগরিকদের কাছে লকডাউন কার্যকর করার আবেদন জানিয়ে চলেছেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও একাংশ নাগরিক  লগডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে চরম উদাসীনতা দেখিয়ে চলেছেন।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার এবং তৃতীয় দিন বুধবার  বেলা পর্যন্ত জেলার বহু জায়গায় খোলা থাকে দোকান বাজার । মঙ্গলবার বর্ধমানের দেওয়ানদিঘী থানার  ভান্ডারডিহি বাজার , বর্ধমানের বড়নীলপুর সব্জিবাজার , জামালপুরের হাট ও বেশকিছু  দোকান বাজারে বহু মানুষ ভিড জমান ।লোকে লোকারন্য থাকে এই সব এলাকার বাজার হাট । একইভাবে  নাগরিকরা বর্ধমান শহর সহ জেলার অন্যান এলাকার সড়কপথেও স্বাভাবিক যাতায়াত শুরু করেদেন । জমায়েত না করার জন্য  প্রশাসনের তরফে  মাইকিং করে প্রচার চালানো হয় । কিন্তু তার পরেও  পরিস্থিতির বদল না হওয়ায় পুলিশ বাধ্য হয়ে  লাঠি উঁচিয়ে পথে নেমে বলপ্রয়োগ করে লকডাউন কার্যকর করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করতে বাধ্য হয়।

অপ্রত্যাশিত এমন পরিস্থিতিতে কিছু একটা  করে দেখানোর জন্য উদগ্রিব হয়ে পড়েন মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে ওষুধের দোকানের কর্মচারী  সুকান্ত ঘোষ । করোনা ভাইরাসের  ভয়াবহতা ও লগডাউন নিয়ে  জনসাধারনকে সচেতন করতে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালনে সামিল হন । মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন মোকাবিলায় জারিকরা  লকডাউন নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা জাগাতে তিনি নিজেই গান লিখে গানের শুর দিয়ে গাওয়া শুরু করে দিয়েছেন ।মঙ্গলবার  সকাল থেকে মসাগ্রাম স্টেশান বাজারে থাকা অমিত কুমার মল্লিকের ওষুধের দোকানে  যারাই ওষুধ কিনতে আসছেন তাদের সামনে সেই গান গেয়ে সুকান্ত ঘোষ  করোনা ভাইরার সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতা জাগিয়ে  চলেন। পাশাপাশি পথ চলতি  সকল মানুষজনকে তিনি  লকডাউনে সামিল হবার  বার্তাও দিয়ে চলেন।
এদিনও এই কাজ চালিয়ে যান সুকান্ত ঘোষ ।

কী গান গাইলো সুকান্ত , দেখতে ক্লিক করুন লেখার উপর

সুকান্ত ঘোষের এমন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর  মজুমদার। তিনি বলেন ,করোনা সংক্রমণ এখন বিশ্ব  মহামারির আকার নিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে  করোনা সংক্রমণ রোখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার যা কিছু গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছে এবং সতর্কতা বার্তা দিয়েছে  তার সবটাই গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন সুকান্ত বাবু । ওনার গান শুনে নাগরিকরা সতর্কতা অবলম্বনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। লগডাউনে যারা অংশ নিচ্ছেন  আখেরে তারাই উপকৃত হবেন । কঠিন এই পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থেই সমাজের স্বার্থে সুকান্ত বাবু অনবদ্য ভূমিকা নিয়েছেন বলে বিডিও এদিন মন্তব্য করেছেন। মসাগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা বাসিন্দারাও জানালেন তাঁরা সুকান্ত ঘোষের গান শুনে উপলব্ধি করেছেন লগডাউন অমান্য করা যাবে না । তাই তারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আর না বের হবার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।


দোলের পরদিন ঘটাকরে অনুষ্ঠিত হল বর্ধমানের জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব

No comments

Tuesday, March 10, 2020


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- র্ধমান জেলা তথা অধুনা পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রাণকেন্দ্র ও রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের দোল উৎসব আজও একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে । এখানে দোল উৎসব পালিত হয় দোল পূর্ণিমার পরের দিন ।রাজা না থাকলেও শতাব্দী প্রাচীন রাজরীতি মেনেই এই উৎসব পালন করে থাকে বর্ধমানবাসী। কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা  বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেণ । প্রথম দিন বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল , দোল পূর্ণিমা তিথি ঠাকুর দেবতার দোল উৎসবের দিন এবং সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে একই সাথে রাজবাড়ির অন্দর মহলেও খেলা হবে দোল  ।
পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে মানব সাধারণের রঙের উৎসব । সেই রীতির আজও সার্থক উত্তরাধিকারী বর্ধমানের মানুষ । ঐতিহ্য মেনে আজও দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রাচীন  বর্ধমানের প্রানকেন্দ্র সর্ব্বমঙ্গলা বাড়িতে দোল উৎসব পালিত হয় এবং বর্ধমানবাসী পরের দিন দোল উৎসব পালন  করে । সেই চিরাচরিত  ঐতিহ্য মেনেই দোল উৎসবের পরদিন  জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবে মাতলো পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজা এলাকার বাসিন্দারা । দীর্ঘ প্রায় চারশো বছর ধরে জোড়া রাধাবল্লভ পূজিত হয়ে  আসছেন  জামালপুরের রায় পরিবারের মন্দিরে ।  রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে  শুক্রবার বিকালে  রঙের উৎসবে মাতলেন জামালপুর বাসি । মন্দির প্রাঙ্গনে বসেছে মেলা । পুজো দেখতে আশপাস এলাকারও  বহু মানুষ এদিন মন্দির প্রাঙ্গনে  জড়ো হন । বর্ধমান জেলায় আজও অন্যতম ঐতিহ্যের সাক্ষ বহন করেচলেছে জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ।
জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসব ঘিরে প্রচলিত রয়েছে নানা লোককথা । জামালপুরের রায় পরিবারের সদস্য প্রশান্ত কুমার রায় জানালেন , তাদের পূর্ব পুরুষরা ছিলেন রাজপুত । প্রায় চার  শতাধিক বছর কাল আগে রাজস্থান থেকে বর্ধমানে বানিজ্য করতে এসেছিলেন তাদের রাজপুত সিংহ বংশিয় এক পূর্ব পুরুষ ।  বর্ধমান জেলার জামালপুরে  তিনি আস্তানা গাড়েন । শত্রু আক্রমণ ঠেকাতে  গড় কাটা হয় আস্তানার চারপাশ জুড়ে  ।  সেই গড়কাটার সময় মাটি থেকে উদ্ধার হয় রাধাকৃষ্ণের অষ্টধাতুর একটি  মূর্তি । রাধাকৃষ্ণ মূর্তিটি রাজপুত পরিবারের কাছে  রাধাবল্লভ নামে পরিচিতি পায় । আস্তানা এলাকায়  ছোট্ট একটি মন্দির গড়ে রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ শুরু করে রাজপুত  পরিবার ।  সেই সমসাময়িক কালেই কোন এক বৈষ্ণব সাধক ওই মন্দিরের সামনে কষ্টিপাথরের কৃষ্ণ মূর্তি এবং অষ্ট ধাতুর রাধা মূর্তি ফেলে রেখে দিয়ে চলে যান ।
সেই থেকে  দোল উৎসবের পরদিন প্রতিপদ তিথিতে জোড়া রাধাবল্লভের মূর্তির পুজোপাঠ হয়ে আসছে  রাধাবল্লভ মন্দিরে । প্রশান্ত বাবু জানালেন পূর্বতন বর্ধমান মহারাজা জামালপুরের  কয়েকটি মৌজা এলাকার জমিদারি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাদের পূর্ব পুরুষদের । সেই সময় কালেই  রাধাবল্লভ কে স্মরণ করে এখানকার জমিদারি মৌজা রাধাবল্লভবাটি মৌজা নামে পরিচিতি পায় । বর্ধমান মহারাজা  কর্তৃক রায়  উপাধিতে ভূষিত হয়  রাজস্থান থেকে জামালপুরে আস্তানা  গাড়া সিংহ পরিবার ।   ভক্তিতে ভর করেই জোড়া রাধাবল্লভের দোল উৎসবের দিনেই  রঙের উৎসবে মাতেন জামালপুরের রাধাবল্লভবাটি মৌজার বাসিন্দারা ।
রায় পরিবারের অপর সদস্য পার্থপ্রতিম রায় জানালেন ,  দোল পূর্ণিমার দিন রাধাবল্লভ  মন্দির প্রাঙ্গনে পরিবারের সকল সদস্য মিলে চাঁচর পোড়ান । পূর্ণিমার পর দিন প্রতিপদ তিথিতে বংশের মন্দিরে হয় রাধা বল্লভের পুজোপাঠ । পার্থপ্রতিম বাবু বলেন , রাধাবল্লভের ভোগ অন্নে শুক্তো   চাই । এদিন সকাল থেকে শুরু হয় পুজোপাঠ ।  রাধাবল্লভের চরণে আবির দিয়ে বিকালে  মন্দির চত্ত্বরে এলাকাবাসী আবির খেলায় মাতেন । সন্ধ্যায় বিতরণ করা হয় অন্ন ভোগ ।

সাধারণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে নাচে গানে মাতালেন চিকিৎসকরা

No comments

Friday, March 6, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের  সম্পর্ক খারাপ হওয়াটা কোন ভাবেই কাঙ্খিত নয় ।পেশায় চিকিৎসক হলেও তারাও আরপাঁচটা সাধারণ মানুষের  মতোই । 
অতীতে যাই ঘটেযাক ।পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি আর নয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরো নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুক্রবার  বিকালে বর্ধমান শহরের  কার্জনগেট চত্ত্বরে  
নাচে গানে মাতোয়ারা হলেন একদল চিকিৎসক ও হবু চিকিৎসক । সাউন্ড বক্সেই বাজলো জমজমাট হিন্দি গান । বিশেষ একটি নির্দিষ্ট রংয়ের টটি-শার্ট আর কালো প্যান্ট পরিহিত হয়ে  সেই  গানের তালেই চললো চিকিৎসকদের নাচ । চিকিৎসকদের এমন মুডে দেখে  প্রথমে অনেকেই চমকে জান । জনতার ভিড়ও উপচে পড়ে কার্জনগেট চত্তরে।
হঠাৎ এই ভাবে শহরের রাজপথে জনতার ভিড়েরমধ্যে চিকিৎসকদের নাচে গানে  মাতোয়ারা হবার কি কারণ থাকতে পারে ? তা জানার জন্য উৎসুক হয়ে পড়েন কার্জনগেট চত্ত্বরে ভিড় করেথাকা মানুষজন । 
পরে অবস্য নাচ গানের  আয়োজনের মূল কারণ  সবাইকে জানান হাসপাতালের চিকিৎসক সংগঠনের  নেতা মহঃ ইমদাদুল হক ও চিকিৎসক শর্মিলা নন্দী ।তাঁরা জানান ,
সাধারণ মানুষের সঙ্গে তারা সম্পর্ক নিবিড় করতে চান ।আগামী ৭ ও ৮ এপ্রিল মেডিকেল কলেজের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘সেনসেশন’ অনুষ্ঠিত হবে। তাকে সামনে রেখেই এদিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে ফ্লাশ মব-এর আয়োজন করেছিলেন । চিকিৎসকদের প্রত্যাশা ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে চিকিৎসকদের সম্পর্ক আগামী দিনে আরো নিবিড় হবেই । 

পল্লিকবির ১৩৭ তম জন্মবার্ষিকী পালন হল মঙ্গলকোটে

No comments

Wednesday, March 4, 2020


কৃষ্ণ সাহা ( মঙ্গলকোট ):-  ঙ্গলবার সারাদিনব্যাপি মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা পালিত হল। এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত পান্ডব গোয়েন্দা খ্যাত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়, বাচিক শিল্পী সোনালী কাজী, প্রাক্তন  জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় দেব কুমার ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম, কবি ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। এদিন মঞ্চে ২৬ জন সংবর্ধিত হন। প্রাবন্ধিক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, প্রকাশক নিগমানন্দ মন্ডল, কাঁথাশিল্পী মনিরুল হক, সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ,শিক্ষাব্রতী শফিকুল ইসলাম  প্রমুখ। এদিন মনন সাহিত্য সংগঠনের তরফে ১৫০ জন দুস্থদের বস্ত্রবিলি ও অন্নভোগ করানো হয়। সমাজসেবী সংগঠন সুসম্পর্ক এর তরফে ১০০ জন দুস্থ পড়ুয়াদের শিক্ষাসামগ্রী বিলি করা হয়  । ডক্টর আর এন ঘোষ মেমোরিয়াল সোসাইটির তরফে ২ জন কৃতিদের আর্থিক সাহায্য করা হয়। সেইসাথে চারুচন্দ্র আর্ট সেন্টার এর পরিচালনায় পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর চিত্র আঁকা হয়। লোকসংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম খান সেফ ড্রাইভ নিয়ে গান পরিবেশন করেন। রাজ্য পরিবহন দপ্তর থেকে সেফ ড্রাইভ কর্মসূচি পালনে  কুমুদ সাহিত্য মেলা কমিটি কে  প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তা যথাযথ পালন হয় এদিন। মেলা কমিটির সম্পাদক মোল্লা জসিমউদ্দিন জানান - এদিন পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর উপর স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।                                                

ভালবাসার দিনে প্রেমিকাকে নিজের কাছে পেতে চেয়ে ধর্ণায় বসলো প্রেমিক

No comments

Friday, February 14, 2020


‌‌‍বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :-  ভ্যালেন্টাইন’স ডেতে এক  ভিন্ন প্রেম কাহিনীর স্বাক্ষী থাকলেন বর্ধমানবাসী।ভালবাসার  মানুষকে কাছে পাবার ব্যাকুলতায় এদিন প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন প্রেমিক ।গোলাপের স্পর্শে অন্য প্রেমিক প্রেমিকারা যখন একে অপরের হৃদয় ছুতে ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ে সেখ রেজাউল  নিজের প্রেমিকাকে কাছে পাবার জন্য ধর্ণায়  বসে আকুতি করে চললেন। ভালবাসার দিনে প্রেমিকাকে কাছে পেতে চেয়ে এক প্রেমিকের এমন আকুতি কিছুটা হলেই হৃদয় দুলিয়ে দেয় অন্য প্রেমিক প্রেমিকাদের ।  
বর্ধমান শহর লাগোয়া সরাইটিকর চ্যান্ডেল পাড়ায় বাড়ি যুবক সেখ রেজাউলের । তাঁর প্রেমিকার বাড়ি সরাইটিকর দক্ষিন পাড়ায় ।তাঁদের বছর পাঁচেকের  প্রেমের  সম্পর্ক ।  রেজাউল জানিয়েছে প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন ।
গত জানুয়ারি মাসে সে  তাঁর প্রেমিকা কে  রেজিস্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। কিন্তু এরপর হঠাৎকরেই একদিন প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তার কাছ থেকে প্রেমিকাকে ছিনিয়ে নেয় । পরে  প্রেমিকার  বাবা কাউকে কিছু না জানিয়ে তার মেয়েকে নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যায়। প্রেমিকার বাড়িও তালাবন্ধ থাকছে । দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়েও  রেজাউল আর তাঁর  প্রেমিকার সঙ্গে  আরকোন যোগাযোগ  করতে পারেনি । প্রেমিকাকে নিজের কাছে ফিরেপেতে চেয়ে এদিন সকালে পোস্টার, প্লাকার্ড হাতে রেজাউল  প্রেমিকার বাড়ির সামনে  ধর্নায় বসে পড়ে । তাঁর পাশে দাঁড়ায় বন্ধু ও পরিজনরা। এলাকার তরুণ তরুণীরাও রেজাউলের ধর্ণাকে সমর্থন  করে  । সারাদিন ধর্ণায় বসে থেকে প্রেমিকার  দেখা অবশ্য পায়নি রেজাউল ।  তবে ভালবাসার দিনে রেজাউলের এই নকসী কাঁথার প্রেমকাব্য যে বর্ধমানের প্রেমিক প্রেমিকাদের কাছে হৃদয়স্পর্ষী হয়েঠেছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । 

সুনীল শেট্টি ও রবীনা ট্যান্ডন এর হাত ধরে উদ্বোধন হতে চলেছে বর্ধমান কাঞ্চন উৎসব ২০২০

No comments

Thursday, January 30, 2020


পূর্ব বর্ধমান ( কৃষ্ণ সাহা ) :- গামী ২ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানে আসছেন বলিউডের অভিনেতা , অভিনেত্রী সুনীল শেট্টি এবং রবিনা ট্যান্ডন। ২ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানের কাঞ্চননগরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ১২তম কাঞ্চন উৎসব। আর এই উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানেই আসছেন বলিউডের এই দুই শিল্পী। 

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই উৎসব কমিটির সভাপতি প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস জানিয়েছেন, এবারে উৎসবের বাজেট ৩০ লক্ষ টাকা। ৯দিনের এই উৎসবে এই দুই বলিউডের শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন দিনে হাজির থাকছেন এক ঝাঁক মুম্বাইয়ের নামকরা গায়ক গায়িকারা। অন্যদিকে, উৎসবের মধ্যেই ৪ ফেব্রুয়ারি বহু প্রতীক্ষিত কাঞ্চন উৎসব তথা কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির এলাকায় তৈরী হওয়া বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ের উদ্বোধন হবার বিষয়টিও এদিন ঘোষণা করেছেন খোকন দাস।

সরস্বতী পুজোর বাজারে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন মধ্যবিত্ত

No comments

Tuesday, January 28, 2020



পূর্ব বর্ধমান ( কৃষ্ণ সাহা ):- রে ঘরে বাগদেবীর পুজো,তাই পুজোর বাজারকে ঘিরে রীতিমতো জমজমাট বর্ধমান শহরের বাজার হাট। মূলতঃ ফল থেকে শুরু করে ফুল পর্যন্ত আকাশ ছোঁয়া বাজার,তারই মধ্যে বাড়ির পুজো ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুজোর জন্য আজ সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত কেনাকাটায় মত্ত সকলে।

পুজোর বাজার করতে এসে ক্রেতারা জানান,অন্যান্য দিনের চেয়ে আজকে দাম অনেকটাই বেশি,অন্যদিকে  বিক্রেতারা বলছেন,বিক্রি অনেকটাই কম, পাশাপশি ফুল বিক্রেতা ও অন্যান্য বিক্রেতারা বলেন ,তাদের বাজার খুব ভালো। সুতরাং ভালোতো হবেই মা সরস্বতীর পুজো বলে কথা ।
বাজার যে চড়া তা আগে থেকেই জানতেন সকলে। তার ওপর যখন সরস্বতী পুজো তখন যে বাজার চড়া হবে তা বলাইবাহুল্য। ফলে প্রতিমা থেকে ফল, ফুল থেকে কুল, সবই বিকিয়েছে চোখ কপালে তোলা দামে। যে প্রতিমা ১০০ টাকাতে গত বছরও মধ্যবিত্তের ঘরে ঘরে পুজো পেয়েছে, সেই প্রতিমাই এবার বিকিয়েছে ৩ গুণ দামে। বড় ঠাকুরেরও দাম বেড়েছে তাল মিলিয়ে। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এতটা দাম বৃদ্ধি নিয়ে চোখ কপালে উঠেছে সকলের। ফলের বাজারও সমান তালেই চড়া। ফলে যে বাজেট ভেবে অনেকে রবিবার বাজারে গিয়েছিলেন পুজোর বাজার করতে, তাঁরা কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝেছেন ওই টাকায় সবটা হবে না। ফলে হয় বাজেট বাড়িয়ে নিয়েছেন, অথবা জিনিসপত্রে কাটছাঁট করে পুজো সারার প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করেছেন।
সরস্বতী পুজো মানেই কুল। টোপা কুল থেকে নারকেল কুল, সবেরই দাম এদিন মধ্যবিত্তের হাতে ছেঁকা দিয়েছে। তবু পুজোয় তো কুল লাগবেই। তাই কিছুটা পরিমাণে কমসম করেই কুল কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে তুলনামূলকভাবে রেহাই দিয়েছে দশকর্মা জিনিসপত্র ও তিলের মিষ্টি। সেগুলোর দাম গতবারের চেয়ে বিশেষ হেরফের হয়নি। ওটুকুই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সকলে। তবে বছরে তো একটাই দিন। দাম যাই হোক না কেন, পুজোর আয়োজন হয়েছে। ঘর সেজেছে। ঠাকুর এসেছে। এবার অপেক্ষা শুধু ঠাকুর মশাইয়ের সুরে সুর মিলিয়ে পুষ্পাঞ্জলির মন্ত্রোচ্চারণের।

খেজুরহাটি জনকল্যান সংঘের বাৎসরিক অনুষ্ঠান

No comments

Monday, January 27, 2020

    ণ্ডঘোষ ব্লকের খেজুরহাটি জনকল্যান সংঘের অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাৎসরিক অনুষ্ঠান, এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানকে ঘিরে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, আজ সংঘের পক্ষ থেকে রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।                                    
 এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় মেলা বসে এবং বহু মানুষ এই মেলাতে জমায়েত হন, আজকের এই রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির এর মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ভারতের পতাকা উত্তোলন করে এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়, তিন দিন ধরে এই অনুষ্ঠান চলে খেজুর হাটি এলাকায়, আজকে প্রায় 100 জন রক্তদাতা রক্ত দান করেন এই রক্তদান শিবিরে পাশাপাশি বহু মানুষ স্বাস্থ্য শিবিরের চিকিৎসার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা করাচ্ছেন, উদ্যোক্তারা জানান তারা প্রায় 24 বছর ধরে এই অনুষ্ঠান করে আসছেন এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকার মানুষ সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন পাশাপাশি এলাকার মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।      

দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রদর্শনী মেলা

No comments

Sunday, January 19, 2020



পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রদর্শনী মেলা। এই মেলাতে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র নিয়ে স্টল বসাই এবং বিক্রিও করে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে তাদের নিজেদের হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম আসবাবপত্র কেনেন ,কথায় বলা যায় এদিন দুবরাজহাট বেরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছিল বিক্রেতা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছিলেন ক্রেতা, 

এছাড়াও বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া ও মেধা ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান অধিকারী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীদিনের ব্যবসা সম্পর্কে সচেতন ও কিভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে তারই একটা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই প্রদর্শনী মেলা।

খন্ডঘোষ থেকে মীর ওজলের রিপোর্ট


বসে আঁকো প্রতিযোগিতার দিন পরিবর্তন

No comments

Saturday, January 18, 2020




পূর্ব বর্ধমানের উচালন উৎসব 2020 (6 তম) বর্ষের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা টি আগামী 19/1/2020( রবিবার) বেলা 10 টায় উচালন ফুটবল মাঠে মেলা প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। 

: আগ্রহী সমস্ত শিল্পীদের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উচালন উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। 

বিশেষ দ্রষ্টব্য- অঙ্কন প্রতিযোগিতা টি 2 দিন এর পরিবর্তে একদিন নেওয়া হবে আগামী 19/1/2020 রবিবার সকাল 10 টায়।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কামালপুরে দামোদরের চরে আয়োজিত হয় মোরগ লড়াই

No comments

কৃষ্ণ কুমার সাহা

প্রতি বছরই নিয়ম করে বসে মোরগ লড়ায়ের আসর। বিজয়ীদের জন্য থাকে নানান রকমের পুরস্কারের ব্যবস্থা। চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই মোরগ লড়ায়ের আসর। মোরগ লড়াই দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বহু উৎসাহী।

মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বর্ধমানে পালিত হচ্ছে ঘুড়ির মেলা, যা এই শহরের একটি ঐতিহ্য । বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতি বছরের মতো এবছরেও ১লা মাঘ বর্ধমান শহর সংলগ্ন দামোদরের তীরে সদর ঘাটে বসেছে ঘুড়ির মেলা ।

কত বছর আগে এই মেলার প্রচলন হয় তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয় ।

মাঝখান্ডা যুব কমিটির উদ্যোগে এই ঘুড়ির মেলা তথা মাঘী উত্‍সব চলে । দামোদরের তীরে এক দিকে থাকে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা, অন্যদিকে মাঠে জমে মেলার জমজমাট আসর । এই মেলা একদিকে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি টিকিয়ে রেখেছে, তেমনি এই মেলায় থাকে গ্রাম বাংলার খেটেখাওয়া মানুষের নিত্য ব্যবহারের কাস্তে-কুড়ুল, কুটীরশিল্পের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি । সঙ্গে থাকে খাব্র ও খেলানার দোকান । হাজাএ জাহার মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না । তাই ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ পাহারার ।

নদীর বালু চরে পোলেমপুর মাঘ উত্‍সব কমিটির আয়োজিত ঘুড়ির মেলা ও মোরগ লড়াই । মুলত: এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতা । এই মোরগ লড়াইয়ে কোনো এন্ট্রি ফি লাগেনা, কার্যতঃএই প্রতিযোগিতায় মোরগ লড়াইয়ের সময় যে মোরগ আত্মসমর্থন করে বা পরাজিত হয় ওই মোরগটি জয়ীর হাতে তুলে দেন ।

পূর্ব বর্ধমানে দামোদরে তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও তর্পন সারলেন লাখো আদিবাসী পূণ্যর্থী

No comments

Thursday, January 16, 2020



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি

এক ঝলক দেখলে মনে হবে এযেন এক অন্য গঙ্গা সাগর। বৃহস্পতিবার লাখো আদিবাসী পূণ্যার্থী  পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরূষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারলেন দামোদরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের  তেলকুপি  গয়া ঘাটে । তর্পন সেরে তারা পুজোও  দিলেন তেলকুপি ঘাটের মারাংবুরু মন্দিরে। পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গা সাগর যেমন ভরে গিয়েছিল হিন্দু পূণ্যার্থী সমাগমে ঠিক তেমনই এই দিন দামোদরের তেলকুপি ঘাটের বালির চড় ঢাকা পড়লো আদিবাসী পূণ্যার্থীদের  ভিড়ে ।


প্রতিবছর ১ মাঘ  জামালপুরের তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও অস্থি বিসর্জন সমারোহে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা  আদিবাসী পূণ্যর্থীরা। শুধু এই রাজ্যের আদিবাসীরাই নয় ,ঝাড়খণ্ড , বিহার ও ওড়িষ্যা রাজ্যের  হাজার হাজার পূণ্যার্থীও এদিন  পূণ্য স্নান সারলেন তেলকুপি গয়া ঘাটে ।


পূণ্য স্নান পর্ব নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করতে গঙ্গাসাগরের মতো  এখানেও এদিন মোতায়েন রাখা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় , জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা , সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার  প্রমুখরা এদিন তেলকুপি ঘাটে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদেন । তেলকুপি ঘাটের  নিরাপত্তা  ব্যবস্থা সামাল দিতে এদিন হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের । দামোদরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল ।  দামোদরের চরেই এদিন বসানো হয়েছিল মেডিকেল ক্যাম্প । জেলা পুলিশ সুপার আদিবাসী সমাজের ৫০ জন্য বিশিষ্ঠ জনের হাতে  তাঁদের ধর্মীয় পোষাক পাঞ্চি তুলেদেন । 


তর্পন উৎসব আয়োজকদের  তফরে  রবীন মাণ্ডি বলেন ,“বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে  গঙ্গাই সবথেকে পবিত্র জলাশয় ।কিন্তু  সেই সুপ্রাচীন কালথেকেই দামোদর নদকেই সবথেকে  পবিত্র জলাশয় হিসাবে মান্যতা দিয়ে আসছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন।  দামোদরের তেলকুপি গয়া ঘাট এই দেশের আদিবাসী  সম্প্রদায়ের  মানুষজনের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ পূণ্য তীর্থভূমি হিসাবে পরিচিত ।বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন মহালয়ার দিন গঙ্গায়  পিতৃপুরুষের উদ্দ্যেশ্যে তর্পন সারেন । আর আদিবাসীরা প্রতিবছর  ১ মাঘ দামোদরের তেলকুপি গায়া ঘাটে পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারেন। তর্পন সেরে আদিবাসীরা তাদের আরাধ্য দেবতা “ শিব তথা  মারাং বুরুর” মন্দিরে   পুজো দেন । ”  আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ , কবি , সাহিত্যিক ও শিল্পীরা এদিন পূণ্য তীর্থ তেলকুপি ঘাটে সমবেত হয়েছিলেন। ধর্মীয় উপাচার সেরে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা এদিন দামোদরে বালির চরে  নাচ গানে মাতোয়ারা হন । বালির চরেই চললো  রান্না করে স্বপরিবার খাওয়া দাওয়া । আদিবাসী তর্পন উৎসব উপলক্ষে  দামোদরের বালির   চরে  এদিন জমজমাট মেলাও বসেছিল।  রীতি মেনে সূর্যাস্তের প্রাক্কালেই  দামোদর ছেড়ে যে যার নিজের  বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন পূণ্যার্থীরা  ।


ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে আপত্তি, নতুন ছবির প্রস্তাব ফেরালেন মিমি

No comments

Tuesday, November 5, 2019

সাত বছরের কেরিয়ারে কোনও দিন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করেননি। এ ধরনের দৃশ্য নিয়ে বরাবরই আপত্তি মিমি চক্রবর্তীর। শোনা যাচ্ছিল, পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্তের আগামী ছবিতে মিমি অভিনয় করতে চলেছেন। তবে সম্প্রতি অভিনেত্রী জানিয়ে দেন, তিনি ছবিটি করতে পারবেন না। 
 পরিচালকের নাম প্রতীম ডি গুপ্ত। প্রতীম তাঁর আগামী এক ছবিতে যিশু সেনগুপ্তর সঙ্গে কাজ করছেন। আর সেই ছবির নায়িকার ভূমিকার জন্যই প্রস্তাব গিয়েছিল মিমি চক্রবর্তীর কাছে। তবে তিনি নাকি সাফ না করে দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতীমের সেই ছবিতে কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে। আর তাতেই নাকি জোর আপত্তি জানিয়েছেন মিমি। কারণ, এখন তিনি শুধু আর টলিউড ইন্ডাস্ট্রির নায়িকা নন, বরং যাদবপুরের মতো কেন্দ্রের সাংসদও।এ ব্যাপারে মিমিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘সমালোচনার জন্য যে আমি ইন্টিমেট সিন করছি না, তা নয়। সাংসদ হওয়াটাও এ ক্ষেত্রে একমাত্র কারণ নয়। আমি কোনও দিনই ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে স্বচ্ছন্দ নই। তা হলে কেরিয়ারের এই পর্যায়ে কেনই বা করব?’’

এদিকে মিমি ব্যস্ত তাঁর প্রথম মিউজিক অ্যালবামের রিলিজ় নিয়ে। আগামী রবিবার তাঁর অ্যালবামের লঞ্চ। তা হলে কি এই মুহূর্তে তাঁকে বড় পর্দায় দেখার সম্ভাবনা নেই? নায়িকা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে। অন্যদিকে, অরিন্দম শীল জানুয়ারি মাস নাগাদ মিমিকে নিয়ে ‘খেলা যখন’ ছবিটি শুরু করতে চান। ‘‘ওই ছবিটা নিয়ে আমি সত্যিই আশাবাদী। এর আগে যখন ছবিটা হওয়ার কথা ছিল, তখন অনেক খেটেছিলাম চরিত্রটা নিয়ে,’’ বক্তব্য মিমির। পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগামী প্রজেক্টেও মিমির থাকার কথা শোনা গিয়েছে।

যাত্রাপালায় শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকের মনজয় করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ

No comments

Thursday, October 31, 2019

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়  বর্ধমান

রাজনীতির মঞ্চ মাত করাতে সিদ্ধহস্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবার মাত করলেন যাত্রা পালার মঞ্চ ।  পৌরাণিক কাহিনী  অবলম্বনে রচিত ‘গঙ্গাপুত্র ভিষ্ম’ যাত্রাপালায়  শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকায় অভিনয় করেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।   আর গঙ্গার ভূমিকায়  বিশিষ্ঠ অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তীর অভিনয় করেন । বুধবার রাতে হওয়া যাত্রাপালায় দুজনের দক্ষ অভিনয়  দেখে মুগ্ধ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরের যাত্রামোদী মানুষজন । একই ভাবে মুগ্ধ হয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় । 

মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, যাত্রাপালা নিয়ে গ্রামগঞ্জের মানুষের একটা আলাদা টান রয়েছে । কিন্তু  নানা কারণে এখন গ্রামীন এলাকায় যাত্রা পালা আর সেভাবে হতে দেখাযায়না ।  প্রায় ষোলো বছর হল শ্রীরামপুরে কোন যাত্রাপালা  হয়নি।তাই নতুন করে যাত্রাশিল্পকে চাঙ্গা করতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন । মন্ত্রী বলেন ,মুখ্যমন্ত্রী যাত্রাশিল্পকে চাঙ্গা করতে অনেক পরিকল্পনা নিয়েছেন ।   যাত্রা শিল্পকে অঁকড়ে  জিবন জীবিকা নির্বাহ হয় বহু শল্পী ও কলাকূশলীর । মন্ত্রী বলেন সরকারের উদ্যোগে যাত্রা শিল্পের সুদিন যে ফিরছে  তার প্রমান দিয়েছে  দর্শকের উপচে পড়া ভিড় । 

ফের বন্ধ জনপ্রিয় ২টি ধারাবাহিকের শুটিং

No comments

Sunday, September 22, 2019


ফের বন্ধ ২টি ধারাবাহিকের শুটিং। জি বাংলা ও স্টার জলসা দুটি চ্যানেলের অত্যন্ত জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রাণি রাসমনি’ ও ‘দেবী চৌধুরানি’ শুটিং আবার বন্ধ হল।

প্রযোজক সুব্রত রায়ের প্রযোজনায় চলছিল ‘করুণাময়ী রাণি রাসমনি’ ও ‘দেবী চৌধুরানি’  দুটি সিরিয়াল। বেশ কিছুদিন ধরেই বকেয়া অর্থ পাওয়া নিয়ে সমস্যা চলছিল টলিপাড়ায়। পারিশ্রমিকের টাকা ঠিক সময়ে দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। সেই কথা মতো ২৯ আগস্ট  শুটিং ফ্লোরে ফেরেন সিরিয়ালের সকল কলাকুশলীরা। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও সেই প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ধর্মঘট শুরু করে টেকনিশিয়ান থেকে ক্যামেরা পার্সেনরা।       

ক্যামেরা পার্সেন ও টেকনিশিয়ানদের অভিযোগ, সম্প্রতি সুব্রত রায়ের প্রোডাকশান থেকে তাঁদেরকে একটি চেক দেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে চেক ভাঙাতে গেলে চেকটি বাউন্স হয়ে যায়। ব্যাংক থেকে ফিরে এসে ক্যামেরা পার্সেন ও টেকনিশিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুটিং বন্ধ  রাখা হয়েছে ২টি ধারাবাহিকের। ফলে, শুক্রবার থেকে দিন ও রাতের কোনও শিফটে শুটিং হয়নি।

জানা গিয়েছে, বকেয়া পারিশ্রমিক না মেটানো পর্যন্ত শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুটিং বন্ধ থাকায় দুটি সিরিয়ালের পুরনো পর্ব সম্প্রচার করবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। ঠিক কবে থেকে আবার শুটিং শুরু হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই জানা যায়নি।

প্রযোজক সুব্রত রায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে প্রত্যেকের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। 
loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION