রাহুল রায়,কাটোয়াঃ কাটোয়া ১নং ও কাটোয়া ২নং ব্লকের সংযোগস্থল দাঁইহাট চৌরাস্তা মোড়। সেই দাঁইহাট মোড় দিয়ে নদীয়া,বর্ধমান,কাটোয়া রুটের বাস,লরি,টোটো সহ নানা যানবাহন চলাচল করে। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডলের উদ্যোগে দাঁইহাট চৌরাস্তার মোড়ের ব্যবসাদার ও সাধারণ মানুষদের সুবিধার্থে সাংসদ তহবিল থেকে উচ্চ বাতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হলো।শনিবার বিকেলে দাঁইহাট চৌরাস্তার মোড়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভের শুভ উদ্বোধন করলেন সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ১নং ব্লকের বিডিও মহম্মদ বদরুদ্দোজা,কাটোয়া ২নং ব্লকের বিডিও শমীক পানিগ্রাহী,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিষাদ সামন্ত,কাটোয়া ১নং পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জিত মন্ডল,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কোরবান মিদ্দা,কাটোয়া ২নং পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম,জেলা পরিষদের সদস্য মণ্ডল আজিজুল, তুষার সামন্ত,জগদানন্দপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষাল,অগ্ৰদ্বীপ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই সুন্দর মুখার্জী,শ্রীবাটী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাগর প্রধান সহ প্রমুখ। ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যায়ে উচ্চ বাতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। এই উচ্চ বাতিস্তম্ভ নির্মাণ হওয়াতে ব্যবসাদার ও সাধারণ মানুষেরা খুব খুশি।
Showing posts with label উত্তরবঙ্গ. Show all posts
Showing posts with label উত্তরবঙ্গ. Show all posts
সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষকে মানবিক কর্মকাণ্ডে সামিল হবার বার্তা দিতে রক্তদান শিবির
No comments
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি
ধর্ম যার যাই হোক শ্রেষ্ঠ ধর্ম মানবতা।এই বার্তাকে পাথেয় করে অনুষ্ঠিত হল রক্তদান শিবির । পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের পর্বতপুর অগ্রদূত ক্লাব রবিবার এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ।
রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক ও স্বাস্থ কর্মীরা রক্ত সংগ্রহ করেন । ক্লাব সভাপতি প্রণবেশ ঘোষ বলেন, মানবিক কর্মকাণ্ডে সামিল হতেই তাঁদের ক্লাবের তরফে এদিন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ।
সেই রক্তদান শিবিরে ৪০ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেছেন । পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান বলেন , সকল ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ মানবিক কর্মকাণ্ডে সমিল হবেন এটাই কাম্য হওয়া উচিৎ । সেই বার্তাকে সামনে রেখে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে দৃষ্টান্ত গড়েছে অগ্রদূত ক্লাবের সদস্যরা।
ধান জমিতে থেকে মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য আউশগ্রামে
No comments
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি : ফাঁকা ধান জমিতে পড়েছিল মানুষের পায়ের কাটা অংশ । এই ঘটনা জানাজানি হতেই রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামে।খবর পেয়ে
আউশগ্রাম থানার পুলিশ জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌছে ধানজমিতে পড়ে থাকা মানুষের পায়ের কাটা অংশ উদ্ধার করে । কাটা পা কিভাবে জমিতে এল তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দারা এদিন সকালে তাঁদের জমি দেখতে যান। তখনই তাঁরা ফাঁকা ধান জমিতে পড়ে থাকতে দেখেন কোন মানুষের পায়ের গোড়ালির নিচ কাটা অংশ । এলাকার বাসিন্দা আনাদ দফাদার বলেন , গ্রামের একটি পুকুরের অদূরে থাকা ধান জমিতে ওই পায়ের অংশ পড়ে ছিল। তা দেখতে পাবার পরেই স্থানীয়রা আউশগ্রাম থানায় খবর দেয় ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পায়ের কাটা অংশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আউশগ্রাম থানার এক পুলিশ অফিসার বলেন ,প্রাথমিক তদন্তে জানাগেছে সপ্তাহ খানেক আগে বর্ধমান রামপুরহাট লুপলাইনের ভেদিয়ার কাছে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ট্রেনে কাটা পড়েযাওয়া ওই মহিলার মৃতদেহ বর্ধমান জিআরপি উদ্ধার করে ।
কিন্তু ওই দিন জিআরপি মৃত মহিলার পায়ের কাটা অংশ খুঁজে পায় নি।এদিন রেল লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে মানুষের একটি পায়ের কাটা অংশ পাওয়া গেছে। প্রথমিক তদন্তে মনেকরা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া পায়ের কাটা অংশ ওই মহিলারই হতেপারে ।
চলন্ত ট্রেনে ধোঁয়া ঘিরে আগুন আতঙ্ক ছড়ালো কালনায়
No commentsSaturday, February 15, 2020
February 15, 2020
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৫ ফেব্রুয়ারি
চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে ধোঁয়া বেরহতে শুরু করায় আগুন ধরেযাবার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়েপড়েন যাত্রীরা ।শনিবার দুপুরে ঘটনাাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের হাওড়া - কাটোয়া লোকালে । ট্রেনটি পূর্ব বর্ধমানের কালনা স্টেশানে দাঁড়াতেই আতঙ্কিত যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে ট্রেন থেকে নেমে ছুটোছুটি শুরু করেদেন। এই পরিস্থিতি দেখেই ট্রেনের সামনে ছুটেযান আরপিএফ আধিকারিকরা।
খবর পেয়ে স্টেশান আধিকারিকরাও সেখানে পৌছান । ট্রেন দাঁড় করিয়ে রেখে শুরু হয় ধোঁয়ার উৎস খোঁজা । কিছু সময় পরেই জানাযায় ট্রেনের কামরায় আগুন লাগেনি । কালনা জিআরপি ওসি সুজিত হালদার জানিয়েছেন , ব্রেক বাইন্ডিং এর কারনে ধোঁয়া বেরহচ্ছিল । সেই ধোঁয়া দেখেই যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন । যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে ট্রেনটি ফের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ।
উন্নয়নের ছিঁটে ফোটাও জোটেনি ।পানীয় জল , বিদ্যুৎ ও রাস্তার দাবিতে বিডিওর সরনাপন্ন রায়নার বনগ্রামের বাসিন্দারা
No commentsMonday, February 3, 2020
February 03, 2020
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ৩ ফেব্রুয়ারি
শহর এলাকার পাশাপাশি রাজ্যের গ্রাম গঞ্জের উন্নয়ন ঘটাতে সরকারী ভাবে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনুন্নয়নের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ ব্লকের নতু পঞ্চায়েতের বনগ্রাম । বছরের পর বছর ধরে বিদ্যুৎ ,পাকা রাস্তা ও পরিষুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত রয়েগেছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা ।এমন পরিস্থিতি আর মেনেনিতে না পেরে উন্নয়নের দাবিতে সোমবার রায়না ১ ব্লকের বিডিও দফতরে স্মারকলিপি প্রদান করলেন বনগ্রামের বাসিন্দারা। প্রশাসন গ্রামের উন্নয়নের ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা ।
গ্রামবাসী সেখ পিন্টু ইসলাম বলেন, বিগত ৩৪ বছর রাজ্যে বাম সরকার ক্ষমতায় থাকলেও বনগ্রামে কোন উন্নয়ন কাজ হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবার পরথেকে রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চললেও বনগ্রাম এলাকা অনুন্নয়নের অন্ধকারেই ঢাকা পড়ে রয়েছে । চারপাশের গ্রামে নানা উন্নয়ন কাজ হলেও বনগ্রামে নেই কোন পাকা রাস্তা,বিদ্যুৎ ও পরিষুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা ।
অনুন্নয়নের কারনে গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্বিসহ পরিস্থিতির মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে । পানীয় জলের সুব্যবস্থা না থাকায় সারা বছর গ্রামবাসীদের জলকষ্টে ভুগতে হয় । এছাড়াও গ্রামে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ার সন্ধ্যা নামলেই গোটা গ্রাম অন্ধকারে ঢাকা পড়ে । তারফলে গ্রামের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে । এছাড়াও এখনও কাঁচা রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের । পিন্টু ইসলাম বলেন, গ্রীষ্ম ও শীত কালে ওই সব কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষাকালে হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় । খারাপ রাস্তার কারণে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ঢুকতে পারেনা । তারফলে কোন প্রশুতি বা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল নিয়েযাওয়াও দুরহ হয়েওঠে । গ্রামবাসীরা বলেন ,রাজ্যের সর্বত্র গ্রাম গঞ্জের উন্নয়ন ঘটে চললেও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো বনগ্রাম এলাকাই একমাত্র অনুন্নয়নের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে রয়েছে।নানা মহলে দরবার করেও কোন কাজ না হওয়ায় গ্রামের উন্নয়নের দাবিতে এদিন বিডিওকে স্মারক লিপি জমা দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা বলেন , এর পরেও কোন কাজ না হলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন ।
বিডিও সৌমেন বণিক এদিন বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের দাবির বিষয়টি মেনে নিয়েছেন । তিনি বলেন বনগ্রামে পাকা রাস্তা , বিদ্যুৎ ও জলের সমস্যা রয়েছে । আগামী সপ্তাহে আমরা ওই গ্রামে পরিদর্ষনে যাব । গ্রামের রাস্তার উন্নতির জন্য অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে । গ্রামে বিদ্যুৎতের ট্রান্সফরমার বসানোর জন্য বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে । গ্রামবাসীদের পানীয় জলের সমস্যাও দ্রুত মেটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতদিন বনগ্রাম এলাকার উন্নয়নে ব্লক প্রশাসন কেন উদ্যোগ নেয়নি ? এই প্রশ্নের উত্তরে বিডিও সৌমেন বণিক বলেন বনগ্রামের বাসিন্দারা আগে আমাকে কিছুই জানান নি । এদিন গ্রামবাসীরা লিখিত ভাবে তাঁদের দাবির বিয়টি জানিয়েছেন । সেই দাবি মতো বনগ্রামে রাস্তা , পানীয় জন ও বিদ্যুৎতের সমস্যা দ্রুত মেটানোর জন্য পদক্ষেপ । ”
বালির গাড়ি চেকিংয়ে বের হওয়া ভূমি দফতরের কর্মীদের মারধোর । গ্রেফতার ১০ অভিযুক্ত ।
No commentsTuesday, January 28, 2020
January 28, 2020
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৮ জানুয়ারি
বালির গাড়ি চেকিংয়ে বেরহওয়া ভূমি দফতরের আধিকারিকদের মারধোরের ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ । সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম আবসার মোল্লা,নুর হোসেন সেখ ,সবুর মল্লিক ,সেখ পাপ্পু , হাসিবুর মোল্লা ,সামাদ মোল্লা,আয়ূব সেখ , সেখ মনসুর, সেখ মামুদ মনোয়ার ও সেখ মণিরুল । ধৃতদের প্রত্যেকের বাড়ি আউশগ্রাম থানার গেঁরাই গ্রামে । মঙ্গলবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । বিচারক ধৃতদের সকলকে জেল সেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , সোমবার সন্ধ্যায় ভূমি দফতরের আধিকারিকরা সড়কপথে বালির গাড়ি চেকিংয়ে বেরহন । চেকিং করতে করতে ভূমি দফতরের আধিকারিকরা সন্ধ্যার কিছুটা পর আউশগ্রাম ২ ব্লকের অমরপুর অঞ্চলের গেঁরাই বাস স্ট্যান্ডের কাছে পৌছান । তখনই অভিযুক্তরা ভূমি দফতরের কর্মীদের উপর হামলা চালায় । জেলা ভূমি আধিকারিক শশীকুমার চৌধুরী বলেন , পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ভূমি দফতরের আধিকারিক দল গেঁরাই এলাকায় যখন যাচ্ছিলেন তখন একদল লোক ভূমি দফতরের গাড়ির পথ আটকায় । তারা ভূমি দফতরের আধিকারিকদের জোরজবস্তী গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধোর শুরু করে । দফতরের দুটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় । বাধা দিতে গিয়ে পুলিশ হামলাকারীদের হাতে আক্রান্ত হয় । পরে ছোড়া ফাঁড়ি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে আধিকারিকদের উদ্ধার করেন । এই ঘ টনা বিষয়ে রাতেই আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে । জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন , ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১০ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে । তাদেরও গ্রেফতার করা হবে ।
হোটেলের স্টোর রুম থেকে উদ্ধার আটদিন নিখোঁজ থাকা নাবালকের পচা গলা দেহ
No commentsThursday, January 23, 2020
January 23, 2020প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২৩ জানুয়ারি
হোটেলের স্টোর রুম থেকে উদ্ধার হল আট দিন নিখোঁজ থাকা নাবালকের পচাগলা মৃতদেহ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার তুলসীডাঙ্গা গ্রামে । মৃতর নাম রাকেশ মোদক (১৬)। তাঁর বাড়ি
নাদনঘাটের ভাতশালা গ্রামে । হোটেলের লোকজনই রাকেশকে খুন করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন মৃতর পরিবার । তদন্তে নেমে নাদনঘাট থানার পুলিশ হোটেল মালিক পবন দেবনাথ ও তাঁর সহযোগী নিতাই রায়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানাগেছে , দিন দরিদ্র পরিবারের নাবালক ছেলে রাকেশ গত কুড়ি দিন আগে হোটেলে কাজে যোগ দেয় ।
গত ১৪ জানুয়ারি থেকে রাকেশ আর বাড়ি ফেরেনি । পরিবারের লোকজন কোথাও তার খোঁজ না পেয়ে নাদনঘাট ও পূর্বস্থলী থানার দ্বারস্থ হয় । মৃতর অত্মীয়রা বলেন,
পুলিশ রাকেশ কে উদ্ধারের বিষয়ে কোন হেলদোল দেখায়নি । তারই মধ্যে এদিন দুপুরে ওই হোটেল থেকে পচা দুর্গন্ধ বেরহলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় । নাদনঘাট থানার পুলিশ ওই হেটেলের বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালানো শুরু করে । তল্লাশি চালানোর সময়ে হোটেলের স্টোররুম থেকে উদ্ধার হয় নাবালকের পচাগলা মৃতদেহ । মৃতর মা রিঙ্কু মোদক ও বাবা বিকাশ মোদক তাঁদের ছেলের মৃত্যুর জন্য হোটেল মালিক ও তাঁর সহযোগীদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন । হোটেল মালিক ও তার সহযোগীরা মিলে রাকেশকে খুন করে হোটেলের ঘরে দেহ লুকিয়ে রেখেছিল বলে মৃতর বাবা পুলিশের
কাছে অভিযোগ করেন ।
এই অভিযোগ পেয়েই পুলিশ হোটেল মালিক পবন দেবনাথ ও তার সহযোগী নিতাই রায়কে আটক করে । এলাকাবাসী পুলিশকে অভিযোগে বলেন , রাতে এই হোটেল কাম রেস্টুরেন্টে অসাধু
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে নাবালকের মৃত্যুর কারন জানাযাবে । হোটেলের দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে ।
গভীর পুকুরের জলে লোহার রড বোঝাই লরি উল্টে পড়ায় মৃত্যু চালক ও খালাসীর
No commentsWednesday, January 22, 2020
January 22, 2020
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২২ জানুয়ারি
গভীর পুকুরের জলে লোহার রড বোঝাই লরি উল্টে পড়ায় মৃত্যু হল চালক ও খালাসীর । বুধবার ভোরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার মামুদপুর এলাকায় । খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজে হাতলাগায়। পাম্প চালিয়ে পুকুরের জলের গভীরতা কমানোর পর ক্রেনের সাহায্যে পাড়ে তোলা হয় লরিটি। এরপর পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন মিলে পুকুরের পাঁক সরিয়ে বেলায় চালক ও খালাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন ।
দুর্ঘটনার এমন ভয়াবহতা ঘিরে এদিন মামুদপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ।
পুলিশ জানিয়েছে ,মৃতরা হলেন চালক সিকান্দার আনসারি (২৮)এবং খালাসী মুকাদ্দার আনসারি (১৯)।মৃতরা সম্পর্কে দুই ভাই । তাঁরা ঝাড়খন্ড রাজ্যের বাসিন্দা । কাজের তাগিদে তাঁরা দুর্গাপুরে থাকতো । এদিনই মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় কালনা মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে । মন্তেশ্বর থানার পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । প্রাথমিক অনুমানে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন ,ভোররাতে বর্ধমান- নবদ্বীপ রোড ধরে যাবার সময়ে চালক ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণেই ঘটেগেছে এই দুর্ঘটনা ।
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এদিন দুপুরে মন্তেশ্বর থানায় পৌছান মৃতদের আত্মীয় পিয়ারউদ্দিন আনসারি ও আসরাফ আনসারি । তারা জানান , মঙ্গলবার দুর্গাপুর থেকে লরিতে লোহার রড় লোড হয় । সেই রড নবদ্বীপে আনলোড হবার কথা ছিল । সেই মতো মঙ্গলবার বেলাতেই সিকান্দার আনসারি দুর্গাপুর থেকে লরি চালিয়ে রওনা হয় । খালাসী ছিল তার ভাই মুকাদ্দার । পথে মন্তেশ্বরের মামুদপুরে ঘটেযাওয়া ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দা ফরিয়াদ মল্লিক ,আব্বাস উদ্দিন মল্লিক প্রমুখরা বলেন,এদিন ভোর ৪ টে নাগাদ বিকট একটা শব্দ হয় । এরপরেই তাঁরা এবং এলাকার লোকজন ঘরথেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে যেতেই দেখেন রড বোঝাই লরিটি পুকুরের জলে পড়ে রয়েছে । চালক ও খালাসীকে তাঁরা দেখতে না পেয়ে থানায় খবর দেন ।পরে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষজন নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে লরিটি পাড়ে তোলার পর পুকুরের পাঁক সরিয়ে চালক ও খালাসীর মৃতদেহ উদ্ধার ।
অভাবি বিক্রী বন্ধ করে শস্য গোলার চাষীদের ধান বিক্রীর জন্য কিষান মান্ডি মুখী হবার বার্তা দিলেন খাদ্যমন্ত্রী
No comments
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২২ জানুয়ারি
রাজ্যের শস্য গোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীদের অভাবী ধান বিক্রী বন্ধের বার্তা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী । সোমবার রায়না ২ ব্লকের উচালন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন , “ধান উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান জেলা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । পশ্চিম বাংলার অন্য কোন জেলায় এত পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয় না ।রাজ্য সরকার চায়না শস্য গোলার কোন কৃষক কম দামে ধান বিক্রী করে লোকসান করুক ।জেলার সকল চাষীকে কিষান মান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রীর আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী । ”
এদিন রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার , জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান বিশিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে ষষ্ঠ বর্ষের উচালন উদ্বোধন করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।
আয়োজকদের তরফে হাসিবুর রহমান জানালেন ,মেলা চলবে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত । মেলায় উপস্থিত হয়ে এদিন স্থানীয় গৌতান মহাবিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে ১ লক্ষ টাকা দান করেন এলাকার সমাজ সেবি গফুর আলি খান । মন্ত্রী ও কৃষি উপদেষ্টা গফুর আলি খানের এই ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে চাষীদের উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরো বলেন , “চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য সরকার ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে । কৃষক স্বার্থে সরকার সমবায় মাধ্যমে ১৮১৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে ধান কিনছে । কিষান মাণ্ডিতে গিয়ে চাষীরা ধান বিক্রী করলে কুইন্টাল প্রতি আরও ১৫ টাকা বেশি অর্থাৎ ১৮৩৫ টাকা দাম পাবেন । এই ব্যবস্থা একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই করেছে । খাদ্যমন্ত্রী এদিন মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত চাষীদের জানান , আমার জন্মভূমি এই জেলার মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া গ্রাম । আমার বাবা জমি চাষ করে ফসল বিক্রী করে অনেক কষ্টে আমাদের মানুষ করেছেন । তাই চাষীর চোখের জলের মর্ম আমি বুঝি। সেকারণেই বলছি অভাবি বিক্রী বন্ধকরে শস্য গোলার সকল চাষীরা সবাই কিষাণ মান্ডিতে ধান নিয়েগিয়ে বিক্রী করুন । ধান বিক্রীতে চাষীদের সর্বত ভাবে সহযোগীতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন । ” কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে জেলার চাষীদের ধান নিয়ে কিষান মান্ডি মুখো হবার বার্তা দেন ।
দিলীপ ঘোষের পাগলা গারদে থাকা উচিৎ - বললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
No comments
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২২ জানুয়ারি
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কে পাগল বলে কটাক্ষ করেলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।
বুধবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের উচালন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদিয়ে খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন “দিলীপ ঘোষের মতন মানুষদের পাগলা গারদে থাকা উচিত।বিজেপি দলটাই পাগলের দলে পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন “লোকসভা ভোটে রাজ্যের মানুষ দিদিকে অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীকে সমতলে নামিয়ে দিয়েছেন ।
তারপরেও উনি আবার পাহাড়ে হাঁটাহাঁটি করে কী করবেন ? দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন , “পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। পাগলেরা রাস্তায় নেমে পড়েছে। একটা পাগলের কথার জবার সুস্থ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ কী ভাবে দেবেন? রাঁচির গারদ থেকে উনি (দিলীপ বাবু )বেরিয়ে এলেন কীভাবে? গোটা বিজেপি দলটাই পাগলে ভরে গিয়েছে। ওদের অবিলম্বে সুচিকিৎসার প্রয়োজন।”
আন্তরাজ্য একটি গ্যাংএর দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ
No commentsTuesday, January 21, 2020
January 21, 2020পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমান শহর জুড়ে একের পর এক সোনার গহনা চুরি এবং কেপমারীর ঘটনায় আন্তরাজ্য একটি গ্যাংএর দুই পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। মংগলবার বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বর থেকে পরপর বেশ কয়েকটি সোনার গহনা কেপমারীর ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধীরা ভুয়ো পুলিশের পরিচয় দিয়ে এই কাজ করে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তে নেমে বর্ধমান জেলা পুলিশ মধ্য প্রদেশের বুরহানপুর থেকে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
ধৃতদের নাম মহসিন খান ওরফে বাকড় এবং রজনীকান্ত জয়সওয়াল। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অপরাধীরা একটি গাড়িতে মধ্যপ্রদেশ থেকে এখানে আসত। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে তারা পশ্চিম বর্ধমানের রাণীগঞ্জ এলাকায় কোনো হোটেল ভাড়া নিয়ে থাকত এবং সেখান থেকে মোটর বাইক নিয়ে তারা অপরাধ সংঘটিত করে আবার ফিরে যেত। তিনি জানিয়েছেন, পরপর এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ধৃতদের ব্যবহৃত চারচাকা গাড়িটিও। মোটর বাইকের সন্ধান সহ চুরি যাওয়া মাল উদ্ধার এবং এই ঘটনায় আর কারা জড়িত তা জানতে ধৃতদের পুলিশী হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বর্ধমান আদালতে।এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ভাতারে
No comments
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ব্লকের মাহাচান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরুম্বা গ্রামে আজ সকালে প্রাইমারি বিদ্যালয় এর কাছে একটি 65 বছরের বৃদ্ধার মৃতদেহ দেখতে পাই গ্রামবাসী।
এরপর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এরপর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
স্থানীয় মানুষজন ভাতা থানায় খবর দিলে ভাতার থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই মহিলা পরিচয় জানা যায়নি। কিভাবে ,কোথা থেকে ওই মহিলা ওই গ্রামে গিয়ে মরণ সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই মহিলা পরিচয় জানা যায়নি। কিভাবে ,কোথা থেকে ওই মহিলা ওই গ্রামে গিয়ে মরণ সে বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন ওই মহিলা বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। দেখে মনে হচ্ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন। কোথায় বাড়ি তা জানা যায়নি।
বসে আঁকো প্রতিযোগিতার দিন পরিবর্তন
No commentsSaturday, January 18, 2020
January 18, 2020
পূর্ব বর্ধমানের উচালন উৎসব 2020 (6 তম) বর্ষের বসে আঁকো প্রতিযোগিতা টি আগামী 19/1/2020( রবিবার) বেলা 10 টায় উচালন ফুটবল মাঠে মেলা প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে।
: আগ্রহী সমস্ত শিল্পীদের এই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উচালন উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে সকলকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য- অঙ্কন প্রতিযোগিতা টি 2 দিন এর পরিবর্তে একদিন নেওয়া হবে আগামী 19/1/2020 রবিবার সকাল 10 টায়।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে কামালপুরে দামোদরের চরে আয়োজিত হয় মোরগ লড়াই
No comments
কৃষ্ণ কুমার সাহা
প্রতি বছরই নিয়ম করে বসে মোরগ লড়ায়ের আসর। বিজয়ীদের জন্য থাকে নানান রকমের পুরস্কারের ব্যবস্থা। চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে এই মোরগ লড়ায়ের আসর। মোরগ লড়াই দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বহু উৎসাহী।
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে বর্ধমানে পালিত হচ্ছে ঘুড়ির মেলা, যা এই শহরের একটি ঐতিহ্য । বিগত কয়েক দশক ধরে প্রতি বছরের মতো এবছরেও ১লা মাঘ বর্ধমান শহর সংলগ্ন দামোদরের তীরে সদর ঘাটে বসেছে ঘুড়ির মেলা ।
কত বছর আগে এই মেলার প্রচলন হয় তা সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয় ।
মাঝখান্ডা যুব কমিটির উদ্যোগে এই ঘুড়ির মেলা তথা মাঘী উত্সব চলে । দামোদরের তীরে এক দিকে থাকে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা, অন্যদিকে মাঠে জমে মেলার জমজমাট আসর । এই মেলা একদিকে যেমন ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি টিকিয়ে রেখেছে, তেমনি এই মেলায় থাকে গ্রাম বাংলার খেটেখাওয়া মানুষের নিত্য ব্যবহারের কাস্তে-কুড়ুল, কুটীরশিল্পের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি । সঙ্গে থাকে খাব্র ও খেলানার দোকান । হাজাএ জাহার মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা থাকে না । তাই ব্যবস্থা করা হয় পুলিশ পাহারার ।
নদীর বালু চরে পোলেমপুর মাঘ উত্সব কমিটির আয়োজিত ঘুড়ির মেলা ও মোরগ লড়াই । মুলত: এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও মোরগ লড়াই প্রতিযোগিতা । এই মোরগ লড়াইয়ে কোনো এন্ট্রি ফি লাগেনা, কার্যতঃএই প্রতিযোগিতায় মোরগ লড়াইয়ের সময় যে মোরগ আত্মসমর্থন করে বা পরাজিত হয় ওই মোরগটি জয়ীর হাতে তুলে দেন ।
পূর্ব বর্ধমানে দামোদরে তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও তর্পন সারলেন লাখো আদিবাসী পূণ্যর্থী
No commentsThursday, January 16, 2020
January 16, 2020
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি
এক ঝলক দেখলে মনে হবে এযেন এক অন্য গঙ্গা সাগর। বৃহস্পতিবার লাখো আদিবাসী পূণ্যার্থী পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরূষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারলেন দামোদরে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের তেলকুপি গয়া ঘাটে । তর্পন সেরে তারা পুজোও দিলেন তেলকুপি ঘাটের মারাংবুরু মন্দিরে। পৌষ সংক্রান্তিতে গঙ্গা সাগর যেমন ভরে গিয়েছিল হিন্দু পূণ্যার্থী সমাগমে ঠিক তেমনই এই দিন দামোদরের তেলকুপি ঘাটের বালির চড় ঢাকা পড়লো আদিবাসী পূণ্যার্থীদের ভিড়ে ।
প্রতিবছর ১ মাঘ জামালপুরের তেলকুপি গয়া ঘাটে পূণ্য স্নান ও অস্থি বিসর্জন সমারোহে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আদিবাসী পূণ্যর্থীরা। শুধু এই রাজ্যের আদিবাসীরাই নয় ,ঝাড়খণ্ড , বিহার ও ওড়িষ্যা রাজ্যের হাজার হাজার পূণ্যার্থীও এদিন পূণ্য স্নান সারলেন তেলকুপি গয়া ঘাটে ।
পূণ্য স্নান পর্ব নির্বিঘ্নে সমাপ্ত করতে গঙ্গাসাগরের মতো এখানেও এদিন মোতায়েন রাখা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী । জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় , জেলাপরিষদ সভাধিপতি শম্পা ধারা , সহ সভাধিপতি দেবু টুডু জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খান, বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার প্রমুখরা এদিন তেলকুপি ঘাটে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগদেন । তেলকুপি ঘাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সামাল দিতে এদিন হিমশিম খেতে হয় পুলিশ কর্মীদের । দামোদরে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল । দামোদরের চরেই এদিন বসানো হয়েছিল মেডিকেল ক্যাম্প । জেলা পুলিশ সুপার আদিবাসী সমাজের ৫০ জন্য বিশিষ্ঠ জনের হাতে তাঁদের ধর্মীয় পোষাক পাঞ্চি তুলেদেন ।
তর্পন উৎসব আয়োজকদের তফরে রবীন মাণ্ডি বলেন ,“বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে গঙ্গাই সবথেকে পবিত্র জলাশয় ।কিন্তু সেই সুপ্রাচীন কালথেকেই দামোদর নদকেই সবথেকে পবিত্র জলাশয় হিসাবে মান্যতা দিয়ে আসছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। দামোদরের তেলকুপি গয়া ঘাট এই দেশের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ পূণ্য তীর্থভূমি হিসাবে পরিচিত ।বর্ণ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন মহালয়ার দিন গঙ্গায় পিতৃপুরুষের উদ্দ্যেশ্যে তর্পন সারেন । আর আদিবাসীরা প্রতিবছর ১ মাঘ দামোদরের তেলকুপি গায়া ঘাটে পূণ্য স্নান সেরে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পন সারেন। তর্পন সেরে আদিবাসীরা তাদের আরাধ্য দেবতা “ শিব তথা মারাং বুরুর” মন্দিরে পুজো দেন । ” আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ , কবি , সাহিত্যিক ও শিল্পীরা এদিন পূণ্য তীর্থ তেলকুপি ঘাটে সমবেত হয়েছিলেন। ধর্মীয় উপাচার সেরে আদিবাসী পুরুষ ও মহিলারা এদিন দামোদরে বালির চরে নাচ গানে মাতোয়ারা হন । বালির চরেই চললো রান্না করে স্বপরিবার খাওয়া দাওয়া । আদিবাসী তর্পন উৎসব উপলক্ষে দামোদরের বালির চরে এদিন জমজমাট মেলাও বসেছিল। রীতি মেনে সূর্যাস্তের প্রাক্কালেই দামোদর ছেড়ে যে যার নিজের বাড়ির উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন পূণ্যার্থীরা ।
পৃথক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানে পুড়ে ভস্মিভূত দুই গৃহস্থের বাড়ি
No comments
প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ জানুয়ারি
পৃথক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ভস্মীভূত হল দুই গৃহস্থের বাড়ি ।বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় উত্তর বাজারে এলাকায় ।এরপর রাতে মন্তেশ্বরের পিপলন পঞ্চায়েতের করন্দা গ্রামে গৃহস্থের বাড়িতে আগেন লাগে । দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তার মধ্যে দুই এলাকার দুটি বাড়ি আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়েযায় । বাড়িতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র সহ সমস্ত সামগ্রী পুড়ে নষ্ট হয়েযাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন দুই পরিবারের সদস্যরা ।
প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত দুই পরিবারেরই পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , বুধবার সন্ধ্যার মুখে হঠাৎতই শক্তিগড় উত্তর বাজার এলাকা নিবাসী সাবির খাঁর খড়ের চালার বাড়িতে আগুন ধরেযায় । মূহুর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার নেয় ।খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় । দমকল বাহিনী কিছু সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তারই মধ্যে বাড়িতে সঞ্চয় করে রাখা টাকা পয়সা সহ বই খাতা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সব পুড়ে ছাই হয়েযাায়। এই ঘটনা দেখে কান্নায় ভেঙেপড়েন সাবির খাঁর স্ত্রী তনুজা বিবি ও সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া কন্যা তানজিলা ।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ওই দিনই রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মন্তেশ্বরের করন্দা গ্রাম নিবাসী ছবি বাগের মাটির দোতলা বাড়িতে আগুন ধরেযায় । সেই সময়ে পরিবার সদস্যরা বাড়ির নিচের তলার ঘরে খাওয়াদাওয়া কর ছিলেন। প্রতিবেশীরা আগুন দেখে চিৎকার জুড়েদিলে বাগ পরিবারের সদস্যরা ঘরছেড়ে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে পড়েন । মুহুর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার নেয় । স্থানীয়রা পুকুর থেকে বালতিতে জল তুলেএনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন ।আগুন লাগার খবর পেয়ে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায় । খবর দেওয়া হয় দমকলে । বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে ছবি বাগের গোটা বাড়ি পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। আগুনের গ্রাসে বাড়িতে থাকা সঞ্চয়ের টাকা, আসবাবপত্র , গহনা সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দেখে বাগ পরিবারের সদস্যরা কন্নায় ভেঙে পড়েন । পরিবারটিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পিপলন পঞ্চায়েত ।
প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে ফল গাছের চারা তুলে দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ
No commentsSunday, September 22, 2019
September 22, 2019নিজস্ব সংবাদদাতা – প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হল ফল গাছের চারা। আজ কোচবিহারের ডাউয়াগুড়িতে ডাংধরার পাট তল্লিগুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই গাছের চারা বিলি করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রায় ৬৫ টি ছাত্র ছাত্রীর হাতে ফলের চারা দেওয়া হয়।জানা গেছে আজ লেবু ও পেয়ারার চারা দেন। এরপরে লিচ ও আমলকি চারা দেওয়া হবে। জানা গেছে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ছোটবেলা পড়াশোনা করেছেন মন্ত্রী নিজেই।ছেলেবেলার স্কুলে গাছের চারা বিলি করতে এসে নস্টালজিক হয়ে পড়েন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
নিজস্ব সংবাদদাতা –
আজ জলপাইগুড়িতে প্রসন্নদেব মহাবিদ্যালয়ের ৬৯তম প্রতিষ্টাতা দিবস উদযাপন অনুষ্টানের উদ্বোধন করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী মাননীয় রবীন্দ্র নাথ ঘোষ মহাশয়। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে খুশি স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও সকল শিক্ষকেরা।
Subscribe to:
Posts (Atom)
loading...