প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ২২ জানুয়ারি
রাজ্যের শস্য গোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার চাষীদের অভাবী ধান বিক্রী বন্ধের বার্তা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী । সোমবার রায়না ২ ব্লকের উচালন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন , “ধান উৎপাদনে পূর্ব বর্ধমান জেলা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ । পশ্চিম বাংলার অন্য কোন জেলায় এত পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয় না ।রাজ্য সরকার চায়না শস্য গোলার কোন কৃষক কম দামে ধান বিক্রী করে লোকসান করুক ।জেলার সকল চাষীকে কিষান মান্ডিতে গিয়ে ধান বিক্রীর আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী । ”
এদিন রাজ্যের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার , জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান বিশিষ্ঠদের সঙ্গে নিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যদিয়ে ষষ্ঠ বর্ষের উচালন উদ্বোধন করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।
আয়োজকদের তরফে হাসিবুর রহমান জানালেন ,মেলা চলবে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত । মেলায় উপস্থিত হয়ে এদিন স্থানীয় গৌতান মহাবিদ্যালয়ের উন্নতি কল্পে ১ লক্ষ টাকা দান করেন এলাকার সমাজ সেবি গফুর আলি খান । মন্ত্রী ও কৃষি উপদেষ্টা গফুর আলি খানের এই ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে উঠে চাষীদের উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরো বলেন , “চাষীদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য সরকার ৮ হাজার ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে । কৃষক স্বার্থে সরকার সমবায় মাধ্যমে ১৮১৫ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে ধান কিনছে । কিষান মাণ্ডিতে গিয়ে চাষীরা ধান বিক্রী করলে কুইন্টাল প্রতি আরও ১৫ টাকা বেশি অর্থাৎ ১৮৩৫ টাকা দাম পাবেন । এই ব্যবস্থা একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই করেছে । খাদ্যমন্ত্রী এদিন মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত চাষীদের জানান , আমার জন্মভূমি এই জেলার মন্তেশ্বরের বামুনপাড়া গ্রাম । আমার বাবা জমি চাষ করে ফসল বিক্রী করে অনেক কষ্টে আমাদের মানুষ করেছেন । তাই চাষীর চোখের জলের মর্ম আমি বুঝি। সেকারণেই বলছি অভাবি বিক্রী বন্ধকরে শস্য গোলার সকল চাষীরা সবাই কিষাণ মান্ডিতে ধান নিয়েগিয়ে বিক্রী করুন । ধান বিক্রীতে চাষীদের সর্বত ভাবে সহযোগীতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন । ” কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে জেলার চাষীদের ধান নিয়ে কিষান মান্ডি মুখো হবার বার্তা দেন ।
No comments
Post a Comment