প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান ১৬ ফেব্রুয়ারি
নিখোঁজ ব্যক্তির রক্তাত মৃতদেহ উদ্ধার হল রেল লাইনের ধার থেকে। এই ঘটনা ঘিরে রবিবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাগিলা এলাকায় । হাওড়া-বর্ধমান মেইন শাখার বাগিলা স্টেশানের অদূরে রেল লাইনের একপাশে পড়ে ছিল মৃত ব্যক্তির রক্তাত দেহ ।
অপর পাশে পড়েছিল একটি ব্যাগ এবং তেল সাবান সহ অন্য সামগ্রী । এমনটা দেখেই স্থানীয়রা খবর দেয় মেমারি থানায় । খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ প্রথম ঘটনাস্থলে পৌছায় । পরে দুপুরে ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় আরপিএফ । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি শুরু হয়েছে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, মৃত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন মণ্ডল । আনুমানিক বছর ৫৫ বয়সী এই ব্যক্তির বাড়ি বাগিলার ডিভিসি পড়ায় । তিনি হুগলীর সিমলাগড়ে একটি প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতেন । মৃতর ছেলে শ্রীনিবাস মণ্ডল জানিয়েছে,তিনিও কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। বাগিলার বাড়িতে তাঁর মা ও বাবা থাকতেন । শ্রীনিবাস জানান ,প্রতিদিন সকালে বাগিলি থেকে ট্রেনে চড়ে তাঁর বাবা সিমলাগড়ে কাজে যেতেন । কর্মস্থলে যাবার যান্য শনিবারও একই সময়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন । কিন্তু রাতে তাঁর বাবা আর বাড়ি ফেরেনি । সেই কথা তাঁর মা এদিন বেলায় তাকে ফোনকরে জানান ।
শ্রীনিবাস বলেন , এই খবর পেয়েই বেলায় তিনি বাগিলার বাড়িতে ফিরে আসেন । তার পরেই তিনি জানতে পারেন গরু চরাতে বেরিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাগিলা রেল স্টেশানের অদূরে দেখতে পায় রেল লাইনের ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে । সেই খবর পেয়ে তিনি সেখানে পৌছে দেখেন রেল লাইনের ধারে তাঁর বাবারই মৃতদেহ পড়েরয়েছে । রক্তাত ছিল তাঁর বাবার মাথার অংশ । এই মৃত্যু প্রসঙ্গে শ্রীনিবাস বলেন , তাঁর এবং তঁদের পরিবারের সঙ্গে কারুর শত্রুতা নেই । বাবার মৃত্যু দুর্ঘটনার কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন । মৃতর প্রতিবেশী তরুণ সরকারূ বলেন , হয়তো কোন ভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন মনোরঞ্জন মণ্ডল । তখন মথায় গুরুতর আঘাত লাগার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে । পুলিশি তদন্তে মৃত্যুর সঠিক কারণ সামনে আসবে বলে মৃতর পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশিরা মনেকরছেন । মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে , দুর্ঘটনার কারণেই এই মৃত্যু বলে প্রাথমিক ভাবে মনেকরা হচ্ছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর পরিস্কার হয়ে যাবে ।
No comments
Post a Comment