সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে হুগলী জেলা বিজেপির দুপুটে নেতা মধুসূদন দাস বলেন , সমগ্র ধনিয়াখালি জুড়ে সন্ত্রাস রাজ কায়েম করেছেন অসীমা পাত্র । বিজেপির লড়াকু নেতা আশীষ দাস দীর্ঘদিন ধরেই অসীমা পাত্রর টার্গেটে ছিল । তাঁর নির্দেশে পুলিশ আগেও বহুবার আশীষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। এমনকি এনকাউন্টার করেও মেরেদেবার প্রচেষ্টা চলেছ। তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীদের কথা মতোই জামালপুর থানার পুলিশ পরিকল্পনা করে আশীষ সহ চার বিজেপি নেতাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে । মধুসূদন বাবু দাবি করেন বিজেপির নেতা ও কর্মীরা অস্ত্র , বোমা ও গুলি নিয়ে ঘোরাঘুরি করেনা । বরং যারা অসীমা পাত্রর ডান হাত ও বাম হাত বলে পরিচিত তাঁরাই ধনিয়াখালি এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রায়শই রাজ্যের কোথাও না কোথাও বোমা ফেটে তৃণমূলের কারুর হাত আবার কারুর পা উড়ে যাচ্ছে । অস্ত্র নিয়ে ঘোরা তৃণমূলের লোকজনকে পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করেথাকে। মধুসূদন বাবু দাবি করেছেন , ধনেখালির যে চারজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তারা সবাই নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য পুলিশই আশীষদের মারুতি গাড়িতে বোমা , বন্দুক সহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র গুঁজে দিয়েছে বলে মধুসূদন বাবু অভিযোগ করেছেন । একই সঙ্গে হুগলীর এই বিজেপি এদিন স্পষ্ট জানিয়েদেন,তৃণমূলের নেতা ও নেত্রীরা পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে বিজেপি নেতা কর্মীদের জেলে ভরেও দমাতে পারবেনা । আগামীদিনে বিজেপি ধনিয়াখালির বুকে আরে বৃহত্তর লড়াই আন্দোলন শুরু করবে । যদিও বিজেপি নেতার এই বক্তব্য অযৌক্তিক এবং হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র । পাল্টা অভিযোগ তিনি বলেন , বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশের আগে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আশীষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিল তাঁদের দলের কার্যকর্তা বাপন মালিক ওই সব অস্ত্রশস্ত্র এনেছিল । আশীষের এই স্বীকারোক্তির পরেও বিজেপির জেলা সহসভাপতি নির্লজ্জের মতো পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন । পাল্টা অভিযোগে অসীমা পাত্র বলেন , বিজেপির নেতারাই তাঁদের দলের কর্মীদের আরএসএসের ট্রেনিং দিয়ে হাতে অস্ত্র তুলেদিচ্ছে । আর ধরা পড়লেই বলছে তৃণমূল নেতাদের কথায় পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে ।
জামালপুর থানার পুলিশ বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন । এসডিপিও আমিনুল ইসলাম সেখ স্পষ্ট জানিয়েদেন,“মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১ টা নাগাদ জামালপুর থানার মহিষগড়িয়া এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিশ । ওই সময়ে একটি মারুতি ওমনি গাড়িতে চড়ে ছয় জন দশঘড়া - খানপুর রোড হয়ে জামালপুরের দিকে আসছিল । পুলিশ দেখে মারুতি গাড়িটি বাঁক ঘুরিয়ে অন্য পথে পালানোর চেষ্টা করে । সন্দেশ হওয়ায় পুলিশ ওই গাড়িটির পথ আটকায় । তখনই দু’জন গাড়ি থেকে নেমে পালায় । গাড়ির চার আরোহীকে পুলিশ ধরে ফেলে । এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় আগ্নেআস্ত্র , বোমা ,গুলি সহ অন্য অস্ত্রশস্ত্র । পরদিন বুধবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে তদন্তের প্রয়োজনে ৪ দিনের পুলিশ হেপাজতে নেওয়া হয়েছে । ”
No comments
Post a Comment