দক্ষিণবঙ্গ

আত্মা প্রদর্শন ক্ষেত্র ও বিতরণ অনুষ্ঠান হাওড়া জেলার বালি-জগাছা ব্লকে

Sunday, October 27, 2019

/ by krishaksetu Bangla

 গৌরনাথ চক্রবর্ত্তী, পূর্ব বর্ধমান
হাওড়া জেলার বালি-জগাছা ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে সাপুইপাড়া- বসুকাটী পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের পরিচালনায় ATMA প্রকল্পে FARM SCHOOL এর সমাপন দিবস একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্ যাপিত হল চাঁদমারি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের সভাগৃহে শুক্রবার । এলাকার পঁচিশ জন মহিলা উপভোক্তাকে স্বনির্ভরতার লক্ষে ও পারিবারিক সদস্যদের পুষ্টিবিধানের উদ্দেশ্যে ছটি করে ২৮ দিন বয়সের খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁস, হাঁসের খাবার ও প্রয়োজনীয় ঔষধ তুলে দেওয়া হয়। এর আগে পাঁচদিন বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় প্রাণীপালন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
ATMA প্রকল্পাধীন প্রদর্শনী ক্ষেত্রে (DC) তিনজন উপভোক্তাকে দুটি করে ' ব্ল্যাক বেঙ্গল' প্রজাতির ছাগল তুলে দেওয়া হয়।
 আজকের অনুষ্ঠানের সূচনা করে পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষা শ্রীমতি লীনা সাঁতরা বলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের একজন সদস্যকে ২৮ দিন বয়সের উন্নত মানের হাঁস বা মুরগীর বাচ্চা, পাঁচটি  করে ছাগল এবং অধিক পুষ্টি ও ফলন যুক্ত ঘাসের বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। বালি-জগাছায় রাজ্য পরিকল্পনায় ১০০০ জন উপভোক্তাকে মুরগীর বাচ্চা, ৫০ জন উপভোক্তাকে হাঁসের বাচ্চা ও ৩৮ জন উপভোক্তাকে পাঁচটি করে ছাগল এবং রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনা প্রকল্পে ৫৮৯ জন উপভোক্তাকে মুরগির বাচ্চা বিতরণের কাজ চলছে। প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রাণীপালকদের কম খরচে অধিক পুষ্টি জোগাতে অ্যাজোলা চাষ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।

সাপুইপাড়া- বসুকাটী পঞ্চায়েতের প্রাণীসম্পদ বিকাশের সঞ্চালক শ্রী নয়ন কুমার গুহ সভায় অনুরোধ জানান পঞ্চায়েতে একজন স্থায়ী প্রাণীসম্পদ উন্নয়ণ সহায়ক নিয়োগ হলে এলাকার প্রাণীপালকদের বিশেষ উপকার হবে। পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষা শ্রীমতি তনুশ্রী চ্যাটার্জী ও শিশু, নারি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যান স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষা শ্রীমতি তন্দ্রা গাঙ্গুলী উপস্থিত সকলকে উন্নত প্রাণীপালনে উৎসাহ দান করেন। সাপুইপাড়া- বসুকাটী পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রী সৌমেন্দ্র গায়েন প্রাণীসম্পদ বিভাগের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন সভ্যতার শুরু হতে মানুষ প্রাণীপালনের সাথে যুক্ত। 

সকল সম্ভাবনাময় পরিবারের মহিলাদের আরো বেশী করে প্রাণীপালনে যুক্ত হতে হবে। ব্লকের প্রাণীসম্পদ উন্নয়ণ আধিকারিক ডাঃ দেবজ্যোতি ঘোষ তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন প্রয়োজনীয় পুষ্টিবিধানের জন্য প্রত্যেকের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া দরকার এবং দুধ ও মাংস খাওয়াও প্রয়োজন। কিন্তু এখনও দুধ, ডিম, মাংসের ঘাটতি আছে। কৃষির পাশাপাশি উন্নত প্রথায় প্রাণীপালন দৈহিক পুষ্টির ঘাটতি মেটানো ছাড়াও পরিবারের অতিরিক্ত আয়ের সম্ভাবনা তৈরী করে।

শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাণীপালনে যুক্ত হয়ে স্বয়ম্ভর হতে আমাদের দপ্তরে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে প্রাণীসম্পদ বিকাশ বিভাগে বিভিন্ন  সরকারী প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। NABARD ব্যাঙ্কের DEDS ও EDEG প্রকল্পে অনুদানমূলক লোনের সহজ ব্যবস্থা আছে।বড়ো আকারের হাঁস-মুরগীর ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন প্রকল্পে সরকারী অনুদান ও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা আছে। বিগত প্রাণীসুমারী অনুযায়ী রাজ্যে ডিম, দুধ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

উৎসাহী স্বনির্ভর দলগুলিকে (এই ব্লকের লক্ষমাত্রা ৪৭৫ মুরগীপালন ও ২৫ হাঁসপালন) MGNREGA Cell থেকে সরকারী ঘর নির্মাণের পর প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ৫০ টি হাঁস বা মুরগীর বাচ্চা ও খাবার দেওয়া হবে।

বিভাগের সকল কর্মী, প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা এলাকার অন্যান্য জনপ্রতিনিধি সহ অনেক উৎসাহী প্রাণীপালকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সাফল্যমণ্ডিত হয়।

No comments

Post a Comment

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION