বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- গুলি চালিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জখম করে সোনা ও টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিল দুস্কৃতিরা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের জুবিলায়। ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত দাস চিকিৎসাধীন রয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দুঃসাহসিক এই দুস্কৃতি হামলার ঘটনা ঘিরে খণ্ডঘোষের ব্যবসায়ী মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । দুস্কৃতিদের ধরতে জোরদার তৎপরতা শুরু করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ।
খণ্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে বাড়ি স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত দাসের ।খণ্ডঘোষেরই সগড়াই বাজারে তাঁর জুয়েলারির দোকান আছে ।ব্যবসায়ীর বাবা গদাধর দাস বলেন ,বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০ টা নাগাদ তাঁর ছেলে শ্রীকান্ত দোকান বন্ধ করে বাইকে চড়ে বাড়ির ফিরছিল । ছেলের সঙ্গে একই বাইকে ছিল কারিগর প্রদীপ গোস্বামী। বহু টাকা মূল্যের সোনা ও রুপোর গহনা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিল তাঁদের সঙ্গেই ।গদাধর বাবু বলেন , একটি বাইকে চড়ে আসা তিন দুস্কৃতি হঠাৎতই জুবিলা হাটতলার কাছে তঁর ছেলের পথ আটকায়। ওই দুস্কৃতিরা প্রথমে কারিগর প্রদীপ গোস্বামীকে লাথি মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় । এরপরেই দুস্কৃতিরা শ্রীকান্তর ডানপায়ে গুলিকরে এবং মাধায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁকে জখম করে ।
শ্রীকান্ত বেসামাল হয়ে পড়েযেতেই দুস্কৃতিরা সোনা ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ তাঁর কাছথেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ।ব্যবসায়ীর ভাই স্বরুপ দাস বলেন ,রাতে তাঁর দাদা দোকানে সোনা ও রুপোর অলংকার এবং টাকা পয়সা রেখে আসতো না । সেইসব নিয়ে প্রতিদিন বাড়ি চলে আসতো । বিয়ের মরশুম চলায় দোকানে সোনা ও রুপোর গহনা এবং টাকা পয়সা বেশি রাখতে হচ্ছিল । স্বরুপ দাস দাবি করেন ,এইসব গোপন বিষয় কোনভাবে জেনেনিয়ে দুস্কৃতিরা পরিকল্পনা করে এই হামলা লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি মনেকরছেন । এদিকে এই শুটআউটের ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খোঁজ চলানো হচ্ছে দুস্কৃতিদের ।
No comments
Post a Comment