পূর্ব মেদিনীপুর ( নিজস্ব প্রতিনিধি ) :- এলাকায় কারো মৃত্যু হলে প্রথম খবর যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার বাহার পোতা গ্রামের প্রশান্ত সামন্ত কাছে। দাহ বা অন্য কোন কাজ করার জন্য নয়। মৃত ব্যক্তির চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করার জন্য। এলাকায় কারো মৃত্যু হলেই প্রথম তার কাছেই খবর যায়। প্রশান্ত বাবু যেথায় থাকুক না কেন দ্রুত ওই মৃত ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং তার আত্মীয় পরিজন কে কাছে রাজি করানো মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য। এরপর রাজি হলেই দ্রুত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চৈতন্যপুর আই ব্যাঙ্কের সাহায্যে কর্নিয়া সংগ্রহ করেন। প্রশান্ত বাবু বলেন আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেরা তমলুক থানার নীলকুন্ঠ্যা গ্রামের ৩৩ বছরের সৌমেন আদক হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসি।
মৃত সৌমেন আদক এর বাবা ভীম আদক এর কাছে অনুরোধ জানাই যে মৃত ছেলের সৌমেনের মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য। এরপর ভীম বাবু রাজি হয়ে যায় । মৃত সৌমেনের বাবা ভীম বাবু জানান যে আমার ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না, যদি আমার ছেলের চোখ দিয়ে অন্য কোন অন্ধ মানুষ দেখতে পায় তাহলে আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাবে। প্রশান্ত বাবুর কথামতন চৈতন্যপুর আই ব্যাঙ্কের এসে কর্নিয়া সংরক্ষণে নিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত প্রশান্ত বাবু ১২ বছর ধরে এলাকায় প্রায় ৫৩ টি মৃত মানুষদের মরণোত্তর চক্ষুদান করাণ। প্রশান্ত বাবুর হাত ধরে অন্ধ মানুষরা তাদের জীবনের নতুন আলোর দেখতে পাবে। যাদের জীবনের আলো কেড়ে নিয়েছে, সে পথের পথিক হয়ে নতুন আলোর দিশা দেখাচ্ছে গ্রামের নয়নের,নয়ন মনি প্রশান্ত।
No comments
Post a Comment