পূর্ব বর্ধমান:- ঝুলন্ত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো গলসির কুমোরপুর গ্রামে। মৃতার নাম খয়রুন্নেসা বেগম, বয়স ৫৮ বছর। মৃতার স্বামী হোসেন সেখ এর অভিযোগ তার স্ত্রীকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে দাদার পরিবারের লোকজন। ওই বিষয়ে তারা থানায় অভিযোগ করবে বলে জানান।
মৃতার ছেলে জাইদুল সেখের অভিযোগ করেন, ২০০৭ সালে জ্যাঠার মেজ ছেলে সেখ রঞ্জু আহম্মদের সাথে ইসলামিক ধর্ম মতে বিয়ে হয় তার বোন লুৎফুন্নেশা বেগমের। বিয়ের এক বছর পর একটি সন্তান জন্ম দেয় তার বোন। তার পর থেকেই বোনের উপর নির্যাতন শুরু করে জামাইবাবু সেখ রঞ্জু জ্যাঠা সেখ নিজাম আলম ও জ্যেঠিমা সাবিলা বেগম। গ্রামের পাঁচজন মিলে তাদের ঝামেলার মিমাংসাও করে চার পাঁচবার। তাতে সুফল না হওয়ায় একমাস আগে বধু নির্যাতনের মামলা দায়ের করে জাইদুল সেখের বাড়ির লোকজন। তিনি বলেন, গতকাল অর্থাৎ শনিবার গলসি থানার পুলিশ এসে যৌতুকের দেওয়া খাট ফার্নিচার ও আসবাব ফেরত নিতে আসে তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে।
আর তারপর আজ সকাল থেকে তাদের দেখে গালি গালাজ মারধর করতে উদ্দত হয় রঞ্জুর বাড়ির লোকজন। সকালের ঘটনার পর তারা ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে দুপুর নাগাদ তার বাবা সেখ হোসেন বাড়ি ফিরে বাড়িতে তার মাকে দেখতে পায়নি। ওনেক খোঁজাখুঁজির পর গোয়ালে গিয়ে দেখে যে তার মা ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। পা দুটি মাটিতে লুটিয়ে আছে। তারা চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। প্রতিবেশিরা বড়ি নামিয়ে পুরসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃতার ছেলের দাবী তার মাকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক সেখ রঞ্জুর পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে গলসি থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
No comments
Post a Comment