প্রদীপ কুমার মন্ডল,খণ্ডঘোষ
১৮৫৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র দেবশর্মা বর্ধমান জেলায় ৫ টি মডেল স্কুল তৈরি করে ছিলেন দাঁইহাট,মানকর,জৌগ্রাম, আমোদপুর ও খন্ডঘোষে।খণ্ডঘোষ গ্রামে খণ্ডঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি পদার্পন করেন এবং ওনার পদধূলিতে ধন্য হয়েছিল এই স্কুল।তারই স্মৃতি বিজড়িত খণ্ডঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে ওনার দ্বিশত জন্ম জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন পালন করলো স্কুল পরিচালন কমিটি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ,জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাদক্ষ নারায়ণ হাজরা,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসিত কুমার বাগদি,জেলা পরিষদের দুই সদস্য অপার্থিব ইসলাম ও বিশ্বনাথ রায় এবং খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েতের প্রধান বাপি সাঁতরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন নারীশিক্ষার ব্যাপারে ও বাল্য বিবাহ রোধ তথা বিধবা বিবাহ চালু করার ব্যাপারে ওনার পদক্ষেপ আজ বাঙালির হৃদয়ে বিরাজমান।উনিই বাংলাভাষার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণ প্রথম ভাগ পরে দ্বিতীয় ভাগ রচনা করেছিলেন।
এনআরসি আতঙ্কে এবার মৃত্যু পূর্ব বর্ধমানে
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিদেশে থাকার সময় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পর আর্থিক অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারার কথা শুনে উনি ভালোরকম আর্থিক সাহায্য করেছিলেন।তারই জন্য কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যাসাগর মহাশয় কে দানসাগর বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভাশীষ মন্ডল বলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মন্ত্রী ও উপস্থিত বিশিষ্ট বাক্তিবর্গরা। স্কুলটি মডেল স্কুল করার সময় খণ্ডঘোষে ওনি এসে একটি নাট মন্দিরে উঠেছিলেন।আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে আবেদন জানাই ওই নাট মন্দিরটি যেন হেরিটেজ ঘোষণা করুক সরকার।আর স্কুলের পরিকাঠামোর উপর শিক্ষা দপ্তর কিছু অনুদান করুক যাতে করে একটা লাইব্রেরী ও সাইকেল স্ট্যান্ড করতে পারি।স্কুলের মিড ডে মিলের খাবার ছেলেরা যাতে করে একটি হল ঘরে বসে খায় তার জন্যও আবেদন জানাচ্ছি।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তৈরি স্কুলের সম্মান রাখার জন্য আমরা সবাই বধ্য পরিকর।ওনার মত মহান মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই আমরা চলে এসেছি আগামী দিনেও চলব।
No comments
Post a Comment