সোস্যাল মিডিয়ার বাইরে গিয়ে সত্যিকারের বন্ধু পাতাতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আসতে হবে বাঁকুড়ার ইন্দাসের আকুইএর এই বন্ধুত্বের উৎসবে। স্থানীয় ভাষায় 'সহেলা' আর গাঁয়ের লোক বলে 'সয়লা'।
এবারে আসুন জেনে নিই এই উৎসব শুরুর কথা আকুই গ্রামের প্রবীণ নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানাগেল এই উৎসব শুরুর ইতিহাস আজ অজানা। ছোট থেকেই বাপ ঠাকুরদার হাত ধরে সয়লা দেখতে অভ্যস্ত তাঁরা। স্থানীয় বাসুদেব গুঁই,অর্ধেন্দু রক্ষিত, তারাপদ দত্তরা বলেন," আকুই এ পরমানিক বা বর্গক্ষত্রিয়দের ঠাকুর হলেন দেবী মনসা। তৎকালীন সমাজে অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের হাতেই পুজিত হতেন মা। কিন্তু আকুইএর সয়লা উৎসবে ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করেন।
এমনটাই আশি বছর ধরে দেখে আসছি।" আকুই এর সয়লার সাথে অন্যান্য সয়লার পার্থক্য এখানেই যে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সয়লার প্রস্তুতি শুরু হয় একমাস আগে। গ্রামের সমস্ত দেবদেবীদের মন্দিরে 'গোয়া' অর্থাৎ আনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণ করা হয় পান সুপুরি আর গোটাহলুদ দিয়ে। 'গোয়া চালানো' বলে পরিচিত এই লোকাচার। সয়লার দিন আকুই স্কুল সংলগ্ন মনসা মন্দির থেকে শোভাযাত্রা সহকারে দেবীমুর্তি ও তাঁর সহচর সঙ্গীদের আকুই স্কুলমাঠের স্থায়ী মঞ্চে নিয়ে আসা হয় উৎসবের জন্য। ঠাকুরের নিত্যসেবার জন্য রয়েছে জমিজমা ও এই উৎসবের জন্য বিশেষ পুজো কমিটি। সারাবছর ধরে এরাই সমস্ত কিছু দেখাশোনা করে। তিনদিনব্যাপী নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যাত্রাপালা মেলাতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।







বাংলার মাঝে, খবরের খোঁজে
No comments
Post a Comment