আমিরুল ইসলামের রিপোর্ট।
ভাতার ব্লকের বড়বেলুন গ্রামে প্রায় 700 বছরের পুরাতন বড় মায়ের কালীপূজা হয় মহা ধুমধামে। এই পূজাকে ঘিরে চারদিন ধরে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক লক্ষ মানুষ আসেন বড় মায়ের পুজো দেখতে।কথিত আছে বর্তমানে যেখানে মায়ের মন্দির তৈরি হয়েছে বিগত 700 বছর আগে সেখানে ছিল বন জংগলে ভরা ছিল। মন্দির এর কাছাকাছি ছিল একটি শ্মশান। কেতুগ্রাম ব্লকের কোন একটি জায়গা থেকে ভিগুরাম স্বামী নামে এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশে বড়বেলুন গ্রামে আসেন ।এবং এই শ্মশানে তিনি মা কালীর মূর্তি তৈরি করে পুজো করতে থাকেন। তিনি স্বপ্না আদেশে পেয়েছিলেন যা তা হল, প্রতিদিন একটি করে মায়ের মূর্তি গড়তে হবে এবং সন্ধ্যায় পুজো করে সেই মায়ের মূর্তি কে বিসর্জন করতে হবে। এভাবেই তিনি কয়েক বছর ধরে মায়ের পূজা চালিয়ে গেছিলেন ।
আরও পড়ুন: খণ্ডঘোষের যুবককে সন্মানিত করলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী
একদিন তিনি মায়ের পূজা করে মাকে বিসর্জন করে যখন ফিরে এলেন মন্দিরে তখন তিনি দেখতে পেলেন মায়ের মূর্তি প্রায় 14 হাত অর্থাৎ 21 ফুট হয়ে গেছে ।তিনি ভয় পেয়ে যান ।ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তিনি শুনতে পান কোন একটা আওয়াজ এবং সেই আওয়াজ ছিল তুমি ভয় পেয়ো না আমি এই রুপি বছর বছর পূজিত হব। তখন থেকেই মাএর মূর্তি 14 হাতে তৈরি করা হয় এখনও পর্যন্ত সেই একই নিয়ম নীতি চলে আসছে। এই পূজাকে ঘিরে চারদিন ধরে বসে গ্রামে মেলা। বিসর্জনে দিনে প্রায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম হয় ।পুলিশ প্রশাসনের নজর থাকে এলাকায় ।
No comments
Post a Comment