প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় বর্ধমান
প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে হামেশাই শ্বোচ্চার হন এই রাজ্যের বিরোধীরা । কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ ব্লকে যা ঘটেছে তা কার্যতই উলোটপুরান কাণ্ড। অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেন তৃণমূল পরিচালিত কালনা ২ পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা । সোমবার সরকারী ব্লক অফিস বয়কট করে জনপ্রতিনিধিরা গছতলায় বসে জনসাধারনকে পরিষেবা দেবার কাজ সারলেন। ব্লক প্রশাসন জনপ্রতিনিধিদের মতামতকে মান্যতা দিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে এদিন সাফ জানিয়েদেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি । শাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের এই আন্দোলনকে যদিও নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী নেতৃত্ব ।
কালনার সিঙ্গেরকোনে রয়েছে কালনা ২ ব্লকের বিডিও অফিস । সেই ব্লক অফিসেই রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির দফতর । অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা কাজ করছেন। উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জনপ্রতিনিধিদের কিছুই জানান হচ্ছে না বলে দাবি করে ইতিপূর্বে ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশণও দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব । পরবর্তি সময়ে একই অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিলীমা কপ্টি কালনার মহকুমাশাসককেও অভিযোগে জানান । সভাপতি মহকুমা শাসককে অভিযোগে জানান , “বিকাশ বাগ নামে বিডিও অফিসের একজন ষ্টাফকে জনপরিষেবার কাজে ডেকেও তিনি পাননা ।এমনকি ওই স্টাফ দ্বারা তিনি অপমাণিতও হয়েছেন। নিলীমা কপ্টি বলেন , প্রশাসনিক কর্তাদের অসহযোগিতা ও অপমানসূচক আচরণ কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা । সরকারকে হেয় প্রতিপন্ন করে বিরোধীদের মদত যোগাতেই পরিকল্পনা করে ব্লক প্রশাসনের কর্তারা এমন কাজকারবার চালাচ্ছেন । এই ঘটনার প্রতিবাদেই সরকারী অফিস ঘর ও গাড়ি বয়কট করে আন্দোলন শুরু হয়েছে । সুবিচার নামেলা পর্যন্ত গাছতলায় বসেই জনগনকে পরিষেবা দেবার কাজ চালিয়ে যাবেন বলে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এদিন সাফ জানিয়েদেন । ”
বিরোধের নিস্পত্তি ঘটাতে এদিন উদ্যোগ নেন মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি । পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিকালে তিনি নিজের দফতরে বৈঠকে বসেন । দীর্ঘ সময় ধরে চলে বৈঠক । মহকুমাশাসক নীতেশ ঢালি সন্ধায় জানিয়েছেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল । আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করেদেওয়া হচ্ছে । সবাই এক সঙ্গেই কাজ করবেন ।
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিদের আন্দোনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার ।তিনি বলেন,‘ শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের বেআইনী কার্যকলাপ ও কাটমানি খাওয়া বন্ধ হওয়াতেই বিবাদ তৈরি হয়েছে ।সেকারনেই গাছ তলায় বসে নাটক করছেন শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা । কালনার সকল বাসিন্দা তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের এই নাটক সন্মন্ধে ওয়াকিবহাল রয়েছেন । ’
এইভাবেই গাছতলায় বসে পন্চায়েত সমিতির অস্থায়ী অফিসের কাজকর্ম চলছে
No comments
Post a Comment