প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান
দুরন্ত এক্সপ্রেস নাম লিখে দুরন্ত গতীতে চলতে থাকা লরির একের পর এক ধাক্কায় মৃত্যু হল দুজনের । জখম হয়েছেন আরো একজন । শুক্রবার বেলায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে জিটিরোডে বর্ধমানের নবাবহাট ও দিঘিরপাড় এলাকার মাঝে।পুলিশ জানিয়েছে,মৃতরা হলেন সেখ মহম্মদ নয়িম ওরফে সুরজ (২৫) এবং সেখ মিলন ওরফে রবিউল (৩০)। আশঙ্কা জনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপালে চিকিৎসাধীন রয়েছে রবিউলের শ্যালক সেখ মঞ্জুর । দুর্ঘটনাস্থল এলাকায় থাকা মানুষজন পিছু ধাওয়া করে ঘাতক লরিটিকে ধরেফেলে । তারই মধ্যে লরি ছেড়ে পালায় চালক ও খালাসী । এদিনই বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃতদের দেহের ময়নাতদন্ত হয় । লরিটি আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , পূর্ব বর্ধমানের গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে সেখ মহম্মদ নয়িমের বাড়ি । সে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার একটি নার্সিংহোমের গাড়ির চালক ছিল । এদিন বেলায় সে নবাবহাট মোড়ে দাঁড়িয়েছিল । ওই সময়ে দুরন্ত গতীতে চলতে থাকা লরিটি তাঁকে সজোরে ধাক্কা মেরে । ঘটনাস্থলেই নয়িমের মৃত্যু হয় । এই ঘটনা দেখেই লরি চালক আরো গতী বাড়িয়ে পালাতে শুরু করে । পালানোর সময়ে লরিটি দিঘিরপাড় এলাকায় ফের ধাক্কা মারে বাইক আরোহীদের । ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালক সেখ মিলনের । গুরুতর জখম হন ওই বাইকে সওয়ার থাকা তাঁর শ্যালক সেখ মঞ্জুর ।
পুলিশ সৃত্রে জানাগেছে , বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা পাড়ায় মিলনের বাড়ি । সে নবাবহাটের পিএইচই অফিসে গার্ডের কাজ করতো। ডিউটি শেষ হবার পর এদিন বেলায় সেখান থেকে শ্যালক মঞ্জুরকে নিজের বাইকে চাপিয়ে নিয়ে মিলন বাড়ি ফিরছিল । লরির ধাক্কায় বেঘোরে তাঁকে প্রাণ হারাতে হল । স্থানীয়রা মনেকরছেন লরি চালক মদ্যপান করে দুরন্ত গতীতে লরি চালাচ্ছিল । তার জেরেই ঘটেছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা । পুলিশ লরি চালকের খোঁজ শুরু করেছে ।
No comments
Post a Comment