প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় , বর্ধমান
পথ দুর্ঘটনার পর আগুন ধরেযাওয়া গড়ির যাত্রীকে সাহসীকতার সঙ্গে উদ্ধার করেছিলেন তিন পুলিশ কর্মী ও এক ধাবা মালিক ।প্রাণে বাঁচেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত মারুতি গাড়ির আরোহী মহম্মদ আলি ।গত মঙ্গলবার ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধমানের গলসির গলিগ্রামে ঘটেগিয়েছিল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা । দুর্ঘটনার পরেই আগুন ধরে যায় একটি মারুতি গাড়িতে । আগুন ধরেযাওয়া গাড়িতে আটকে পড়ায় পুড়ে মৃত্যু হয় খণ্ডঘোষের কেঁউদিয়া নিবাসী চালক রফিকুল আলমের ।
ওই সময়ে গাড়ির ভিতরে আটকে থাকা রফিকুলের সহযোগী মহম্মদ আলি বাঁচাও বাঁচাও বলে আর্ত চিৎকার করতে থাকেন ।মহম্মদ আলিকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য ওইদিন সহসী ভূমিকা পালনকারী গলসি থানার পুলিশ অফিসার অচিন্ত কুমার ঘোষ , কনস্টেবল দীপঙ্কর রায়চৌধুরী , হোমগার্ড খায়রুল আলম ও এক ধাবা মালিক মিলন রায়কে পুরস্কৃত করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ । শুক্রবার গলসি থানায় আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় তাঁদের হাতে পুরস্কৃার তুলেদেন ।
পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এদিন বলেন ,কুয়াসার কারনে গত মঙ্গলবার সকালে গলসির গলিগ্রামে দুর্ঘটনা ঘটে । জাতীয় সড়কে দাঁড়িযে থাকা মারুতি গাড়ির পেছনে ধাক্কি মারে একটি ট্রেলার । ধাক্কা লাগার সাথে সাথেই মারুতি গাড়িটিতে আগুন ধরে যায় । মুহুর্তের মধ্যে আগুন ভয়াবহ আকার নেয় । ওই সময়ে আমাদের এক আফিসার ,এক কনস্টেবশ ও এক হোমগার্ড নিজেদের জীবনের ঝুঁকিনিয়ে মারিতে গাড়ি থেকে এক অগ্নিদগ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ।
এই কাজে স্থানীয় ধাবার মালিক মিলন রায় গুরুত্বপর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন । দমকল পৌছানোর আগেই ধাবা মালিক ধাবার পাম্প চালিয়ে পাইপের সাহায্যে জল এনে গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন । যদিও ওই গাড়িতে থাকা অপর একজনকে উদ্ধার করতে পারা না যাওয়ায় তিনি মারাযান । এই সাহসী ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে । সেকারনেই এদিন তাঁদের সকলকে পুরস্কৃত করা হোল ।




বাংলার মাঝে, খবরের খোঁজে
No comments
Post a Comment