প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ,বর্ধমান
শ্বশুর বাড়ির দাবি মতো টাকা বাবার বাড়ি থেকে আনতে পারেনি বধূ। সেকারণে নিজের জীবন দিয়ে বধূকে তার মাশুল দিতে হল । মৃতার নাম জুলেখা বিবি (৩৩)। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সাঁইথিয়ার মহিষাদল গ্রামে । বহস্পতিবার বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃত বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয়।গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা বধূকে পুড়িয়ে মারেছে বলে অভিযোগে। সাঁইথিয়া থানার পুলিশ বধূর স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির চারজনকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বধূর বাবার বাড়ির সদস্যরা জানিয়েছেন । অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বধূর পরিজনরা । বধূর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হওয়ায় সময়ে এদিন বর্ধমান হাসপাতাল মর্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবার বাড়ির লোকজন । তাঁরা জানান , দুবছর আগে মহিষাদলের যুবক সেখ সাজাহানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল জুলেখার । তাঁদের একটি কন্যা সন্তান আছে । বাবার বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা বধূর উপর নির্যাতন চালতো । এছাড়াও বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রতিনিয়ন চাপসৃষ্টি করা হত বধূর উপর।
গত দুবছরে চার দফায় বাবার বাড়িথেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েগিয়ে বধূ তাঁর স্বামীর হাতে তুলেদেয় । গত ৮ ডিসেম্বর ফের ১০ হাজার টাকা আনার জন্য শ্বশুর বাড়ির লোকজন বধূকে তাঁর বাবার বাড়ি পাঠিয়েদেয় । কিন্তু বাবার বাড়ির লোকজন টাকা দিতে না পারায় ১০ ডিসেম্বর বধূ শ্বশুর বাড়ি ফিরেআসে । অভিযোগ ওইদিন রাতে শ্বশুর বাড়ির ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময়ে বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন আগুন ধরিয়েদেয় ।
গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশীরা বধূকে বীরভূমের সিয়ান হাসপাতালে নিয়েগিয়ে ভর্তিকরে । সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বধূকে স্থানান্তর করা হব বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ।বুধবার বিকালে সেখানেই বধূর মৃত্যু হয় ।
No comments
Post a Comment