দক্ষিণবঙ্গ

বাম ট্রেড ইউনিরনের ডাকা ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব বর্ধমানে

Friday, January 10, 2020

/ by krishaksetu Bangla


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান
বাম ট্রেড ইউনিয়নের  ডাকা  ধর্মঘটের প্রভাব সেভাবে  পড়লো না পূর্ব বর্ধমানে  ।তবে  ধর্মঘট সফল করতে  বুধবার সকাল থেকে জেলার  বিভিন্ন জায়গায়  বাম নেতা ,কর্মী  ও সমর্থকরা  পূর্ণ শক্তি নিয়ে পথে নেমেছিলেন  ।। খণ্ডঘোষের  সগড়াই  মোড় , কেঁউদিয়া, রায়নার সেহারাবাজার,উচিতপুর  প্রভৃতি এলাকায়  সকাল ৬ টা থেকে সড়কপথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা । পাশাপাশি পালসিট ও গলসিতেও বাম কর্মীরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে । বামকর্মীরা সকালে   বর্ধমান হাওড়া মেইন শাখার মেমারি ও পালসিট রেল গেটে  দাঁড়িয়ে  ধর্মঘটের সমর্থনে শ্লোগান দেওয়া শুরু করে । সেই খবর পেয়েই  পুলিশ  সেখানে পৌছে তাঁদের  সরিয়েদেয় । দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে জেলায়  ধর্মঘটের প্রভাব  ফিকে হতে শুরু করে । 


এদিন সাতসকালেই সগড়াইমোড়ে সড়ক পথের উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ  করে ধর্মঘটের সমর্থনে  শ্লোগান দেওয়া শুরু করে বাম  কারীরা। এরফলে বর্ধমান- আরামবাগ রোড ও বর্ধমান -কাড়ালাঘাট রোডে যানবাহন চলাচল একেবারে থমকেযায় । একই রকম কায়দায় সেহারাবাজারেও পথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা। গলসির বড়মুড এলাকায়  ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর  টায়ার জ্বালিয়ে  পথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা।  তাদের অনেকে আবার দলীয় পতাকা হাতেনিয়ে জাতীয় সড়কের উপর শুয়েপড়ে ধর্মঘটের  সমর্থনে  শ্লোগান দিতে থাকে ।  কিছু সময় বাদ পুলিল সেখানে পৌছে তাদের সবাইকে জাতীয় সড়ক থেকে হঠিয়েদেয় ।বামকর্মীরা  পালসিটেও কিছু সময়ের জন্য ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে । সেহারাবাজার এসবিআই শাখা অফিস  ধর্মঘটিরা জোরকরে  বন্ধকরতে চাইলে ব্যাপক উত্তেজনা  ছড়ায় ।
পুলিশ সেখানে পৌছে  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ধর্মঘট সফল করানোর নামে  জোরজবস্তি  ব্যাঙ্কের গেট খুলতে নাদেবার ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে পুলিশ আটক করেছে । সড়কপথ অবরোধ করে রাখা নিয়ে সাধারণের  মধ্যে ক্ষোভবিক্ষোভ ছড়াচ্ছে অাঁচ করে বেলা সাড়ে ৯ টার পর অবরোধ  তুলেনেয়  বাম কর্মীরা । কালনা ও কাটোয়া মহকুমা সহ জেলার অন্যান অংশেও একই  ভাবে বামকর্মীরা  সকালের দিকে   পথে নামে । তবে তারা বিশেষ প্রভাব দেখাতে পারেনি । কোথাও ১০ মিনিট আবার কোথাও ১৫ মিনিটের  মধ্যো পথ অবরোধ তুলেনিতে বাধ্য হন ধর্মঘটিরা । এদিন সকালের দিকে জেলার সড়কপথে  বাস ও ট্রেকার চলাচল কম থাকলেও  বেলা বেড়ার সাথে সাথে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে । ব্যতিক্রম দেখাযায়  জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে । এদিন সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে  সারিদিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন রুটের বহু  বাস ও ট্রেকার ।

এরফলে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষ । দুপুরের দিকে কিছুকিছু বাস ও ট্রেকার পথে নামলেও  যাত্রীদের ভোগান্তি যাকে তাই রয়েযায় । ধর্মঘট নিয়ে এদিন  কোথাও তেমন বড়সড় গোলযোগ অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও   বিক্ষিপ্ত  অশান্তির ঘটনা ঘটে বর্ধমান  শহরের মিউনিসাপাল হাই স্কুলের  সামনে । বেলায় এই বিদ্যলয়ে প্রবেশের মূল  গেটের  সামনে জড়োহয়ে  শিক্ষক ও পড়ুয়াদের  বিদ্যালয়ে প্রবেশে  বাধাদেবার অভিযোগ ওঠে  ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে । তানিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠতেই  শুরু হয়েযায়  ধর্মঘট সমর্থনকারীদের রাস্তায় ফেলে মারধোর । পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামালদেয় ।  ঘটনাস্থল থেকে তিন ধর্মঘট সমর্থনকারীকে পুলিশ আটক করেছে।  অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকালের দিকে  ব্যবসায়ীরা দোকান বাজার খুলতে ভয় পান ।  তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে  জেলার সর্বত্রই  দোকান বাজার সবই  খুলেযায় । স্কুল , কলেজ ,অফিস সবেরই কাজকর্ম  এদিন আরপাঁচটা দিনের মতোই  স্বাভাবিক ভাবে চলে । 


ধর্মঘট সাধারণ মানুষের সমর্থনে  সফল হয়েছে বলে এদিন বিকালে জেলা সিপিআইএম নেতা উদয়শংকর সরকার দাবি  করেন ।  যদিও জেলা তৃণমূলের  সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত  জানিয়েছেন , দোকান ,বাজার ও অফিসের কর্মব্যস্ত চেহারই প্রমান করেদিয়েছে  বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা  ধর্মঘট প্রত্যাক্ষান করেছেন এই জেলার সাধারণ মানুষ ।

No comments

Post a Comment

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION