প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান
বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘটের প্রভাব সেভাবে পড়লো না পূর্ব বর্ধমানে ।তবে ধর্মঘট সফল করতে বুধবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাম নেতা ,কর্মী ও সমর্থকরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে পথে নেমেছিলেন ।। খণ্ডঘোষের সগড়াই মোড় , কেঁউদিয়া, রায়নার সেহারাবাজার,উচিতপুর প্রভৃতি এলাকায় সকাল ৬ টা থেকে সড়কপথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা । পাশাপাশি পালসিট ও গলসিতেও বাম কর্মীরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে । বামকর্মীরা সকালে বর্ধমান হাওড়া মেইন শাখার মেমারি ও পালসিট রেল গেটে দাঁড়িয়ে ধর্মঘটের সমর্থনে শ্লোগান দেওয়া শুরু করে । সেই খবর পেয়েই পুলিশ সেখানে পৌছে তাঁদের সরিয়েদেয় । দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে জেলায় ধর্মঘটের প্রভাব ফিকে হতে শুরু করে । এদিন সাতসকালেই সগড়াইমোড়ে সড়ক পথের উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে ধর্মঘটের সমর্থনে শ্লোগান দেওয়া শুরু করে বাম কারীরা। এরফলে বর্ধমান- আরামবাগ রোড ও বর্ধমান -কাড়ালাঘাট রোডে যানবাহন চলাচল একেবারে থমকেযায় । একই রকম কায়দায় সেহারাবাজারেও পথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা। গলসির বড়মুড এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে ধর্মঘটিরা। তাদের অনেকে আবার দলীয় পতাকা হাতেনিয়ে জাতীয় সড়কের উপর শুয়েপড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে শ্লোগান দিতে থাকে । কিছু সময় বাদ পুলিল সেখানে পৌছে তাদের সবাইকে জাতীয় সড়ক থেকে হঠিয়েদেয় ।বামকর্মীরা পালসিটেও কিছু সময়ের জন্য ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে । সেহারাবাজার এসবিআই শাখা অফিস ধর্মঘটিরা জোরকরে বন্ধকরতে চাইলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ।
পুলিশ সেখানে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । ধর্মঘট সফল করানোর নামে জোরজবস্তি ব্যাঙ্কের গেট খুলতে নাদেবার ঘটনায় জড়িত পাঁচ জনকে পুলিশ আটক করেছে । সড়কপথ অবরোধ করে রাখা নিয়ে সাধারণের মধ্যে ক্ষোভবিক্ষোভ ছড়াচ্ছে অাঁচ করে বেলা সাড়ে ৯ টার পর অবরোধ তুলেনেয় বাম কর্মীরা । কালনা ও কাটোয়া মহকুমা সহ জেলার অন্যান অংশেও একই ভাবে বামকর্মীরা সকালের দিকে পথে নামে । তবে তারা বিশেষ প্রভাব দেখাতে পারেনি । কোথাও ১০ মিনিট আবার কোথাও ১৫ মিনিটের মধ্যো পথ অবরোধ তুলেনিতে বাধ্য হন ধর্মঘটিরা । এদিন সকালের দিকে জেলার সড়কপথে বাস ও ট্রেকার চলাচল কম থাকলেও বেলা বেড়ার সাথে সাথে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করে । ব্যতিক্রম দেখাযায় জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে । এদিন সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ডে সারিদিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন রুটের বহু বাস ও ট্রেকার ।
এরফলে দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী ও সাধারণ মানুষ । দুপুরের দিকে কিছুকিছু বাস ও ট্রেকার পথে নামলেও যাত্রীদের ভোগান্তি যাকে তাই রয়েযায় । ধর্মঘট নিয়ে এদিন কোথাও তেমন বড়সড় গোলযোগ অশান্তির ঘটনা না ঘটলেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটে বর্ধমান শহরের মিউনিসাপাল হাই স্কুলের সামনে । বেলায় এই বিদ্যলয়ে প্রবেশের মূল গেটের সামনে জড়োহয়ে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধাদেবার অভিযোগ ওঠে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে । তানিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠতেই শুরু হয়েযায় ধর্মঘট সমর্থনকারীদের রাস্তায় ফেলে মারধোর । পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামালদেয় । ঘটনাস্থল থেকে তিন ধর্মঘট সমর্থনকারীকে পুলিশ আটক করেছে। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকালের দিকে ব্যবসায়ীরা দোকান বাজার খুলতে ভয় পান । তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে জেলার সর্বত্রই দোকান বাজার সবই খুলেযায় । স্কুল , কলেজ ,অফিস সবেরই কাজকর্ম এদিন আরপাঁচটা দিনের মতোই স্বাভাবিক ভাবে চলে ।
ধর্মঘট সাধারণ মানুষের সমর্থনে সফল হয়েছে বলে এদিন বিকালে জেলা সিপিআইএম নেতা উদয়শংকর সরকার দাবি করেন । যদিও জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত জানিয়েছেন , দোকান ,বাজার ও অফিসের কর্মব্যস্ত চেহারই প্রমান করেদিয়েছে বাম ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাক্ষান করেছেন এই জেলার সাধারণ মানুষ ।
No comments
Post a Comment