বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- মারণব্যাধি আক্রান্ত এক যুবকের চিকিৎসার জন্য পথে নেমে অর্থ সংগ্রহকরা শুরু করলো মানবিক হৃদয় সম্পন্ন একদল ছাত্র ছাত্রী । বুধবার পড়ুয়াদের এমন মহানুভবতার স্বাক্ষী থাকলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বড় মিত্রপাড়ার বাসিন্দারা । পথে নেমে সংগ্রহ করা ৭ হাজার ২১ টাকা এদিন মারণব্যাধি আক্রান্ত যুবক তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবার হাতে তুলেদিলেন পড়ুয়ারা। যুবকের বাবা চিত্তরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় পড়ুয়াদের আশীর্বাদ জানিয়ে তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন ।
কালনার বড়মিত্র পাড়ায় বাড়ি মারণব্যাধি আক্রান্ত যুবক তন্ময়ের । নিতান্তই দিন দরিদ্র পরিবার । তন্ময়ের বাবা চিত্তরঞ্জন বাবু রান্নার কাজ করেন। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তন্ময়ের দাদা ।অভাবের কারণে তন্ময় বেশিদূর লেখাপড়া চালিয়েনিয়ে যেতে পারেনি । সংসারে অভাব মেটাতে সে কাপড়ের দোকানে কাজে যোগদেয়। তিনমাস আগে এমনই দিন দরিদ্র পরিবারের যুবক তন্ময়ের জিভে ক্যান্সার ধরা পড়ে । সে এখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । তাঁর কেমোথেরাপি সহ আনুষঙ্গিক চিকিৎসার জন্য লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন ।
সেই টাকা কিভাবে যোগাড় হবে তা ভেবেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার।
ছাত্র সৌরভ হালদার ,দিশানী দত্ত প্রমুখরা বলেন , ছেলার চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগাড় করতে না পেরে চোখের জল ফেলা ছাড়া আরকোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না যুবকের বাবা সহ পরিবারের সদস্যরা । এই কথা জানার পরেই তাঁরা পরিবাটির পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন । এদিন তাঁরা একদল ছাত্র ছাত্রী মিলে কালনা শহরের বিভিন্ন দোকান ও চেনা পরিচিতর কাছেগিয়ে আবেদন করে অর্থ সংগ্রহ করেন । এই ভাবে সংগৃহীত ৭ হাজার ২১ টাকা এদিনই তন্ময়ের বাবা চিত্তরঞ্জন বাবুর হাতে তুলে দিয়েছেন ।
সৌরভ হালদার বলেন ,এর আগেও আমরা একইভাবে সুকুমার মোদক নামে এক ক্যান্সার আক্রান্তের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম । তিনি এখন সুস্থ হয়ে অটো চালাচ্ছেন । তন্ময়ের বাবা বলেন সবাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিলে তিনিও তাঁর ছেলেকে সুস্থকরে বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারবেন ।
No comments
Post a Comment