বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- ভবন বিপদজন হয়েপড়ার কারণে পঠন পাঠনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।কাটোয়ার ইস্টার্ণ রেলওয়ে অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্বস্থলী কলেজের পড়ুয়ারা তাই এখন আর ক্লাসরুমে ক্লাস করতে পারছেনা।ফের কবে ক্লাসরুমে বসেই পঠন পাঠন সারা যাবে তার উত্তর অজানাই রয়েগেছে পড়ুয়াদের কাছে ।
কর্তৃপক্ষও চাইছেন প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে দ্রুত হোক সমস্যার সমাধান ।
কাটোয়া শহরে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের পাশে রয়েছে পূর্ব রেলের একটি বড় ভবন।
১৯৭২ সাল থেকে সেখানেই চলছে কাটোয়া পশ্চিম চক্রের আধীন ইস্টার্ণ রেলওয়ে অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কাটোয়ার প্রাইমারি স্কুল |
শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন ৫ জন।বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিপদজনক ঘোষনা করে গত বৃহস্পতিবার রেল দফতর ভবনটি সিল করেদেয়। তার জেরে চরম বিপাকে পড়েযায় খুদে পড়ুয়ারা। ভবনের বারান্দাতে তাঁদের বসিয়ে ক্লাস করাতে বাধ্য হন শিক্ষক শিক্ষিকারা । বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মিতা বিশ্বাস বলেন , সিল করে দেওয়া বিদ্যালয় ভবন এখন পাহারা দিচ্ছে আরপিএফ । বাধ্য হয়ে ভবনের বারান্দাতে বসেই এদিন পঠন পাঠন চালিয়েনিয়ে যেতে হয় । ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আরো জানান,পড়ুয়া সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূরণ নথিপত্র ভবনের ভিতরে রয়েগেছে । তা পাওয়া না গেলে সমস্যা তৈরি হবে । তাই বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দুরাবস্থায় পড়া প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্ত না নেবার জন্য রেল দফতরকে চিঠি দিয়ে তিনি সময় চেয়েছিলেন ।কারণ ওই স্কুলের জন্য ৫ শতক জায়গা পুরসভার পক্ষ থেকে কেনা হয়েগেছে । সেই জায়গাতে নতুন স্কুল ভবন গড়তে একটু সময় লাগবে ।খুদে পড়ুয়াদের স্বার্থে সেই সময়টুকুও রেল দফতর যাতে দেয় তার জন্য এদিন ফের তিনি আবেদন জানিয়েছেন । ’
পূর্বস্থলী কলেজ |
অন্যদিকে নির্মানকাজে ত্রুটির কারণে কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী কলেজের নতুন ক্লাস রুমেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্লাসরুম ভোঙে পড়তে পাড়ে এমন আতঙ্কে ওই ক্লাসরুমে ক্লাস করতে চাইছে না পড়ুয়ারা । তার জেরে কলেজে পঠন পাঠনে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। কলেজের ছাত্র সাহেল সেখ , সুধীর দাস প্রমুখ বলেন ,ফাটল মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ওই ক্লাসরুমে ঢোকা নিরাপদ মনে করছেন না । মেরামতি না হওয়া পর্যন্ত ওইসব ক্লাসরুমে তাঁরা কেউ ক্লাস করবেন না । কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে , পড়ুয়া সংখ্যা বাড়ায় ২০১৭ সালে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কলেজের চতুর্থ তলো নতুন ক্লাসরুম তৈরি করা হয় । নির্মান কাজে ত্রুটির কারণে সেইসব ক্লাসরুমে ফাটল দেখাদিয়েছে ।বিপদের আশঙ্কায় পড়ুয়ারা ওইসব ক্লাসরুমে ঢুকতে চাইছে না।কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুচন্দ্রা নিয়োগী বলেন , উদ্ভুত ঘটনার বিষয়টি তিনি উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন ।
No comments
Post a Comment