বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত চালিয়েই দুস্কৃতির নাগাল পেল পুলিশ। গ্রেফতার হয়েছে গুলি চালিয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে জখম করে সোনা ও টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর ঘটনায় জড়িত দুস্কৃতি দলের এক পাণ্ডা। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ মতিলাল সেখ ওরফে মতি নামে ওই দুস্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি খণ্ডঘোষের কেউদিয়া গ্রামে । ছিনতাইকারী দুস্কৃতি মতিলাল কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও উদ্ধার হয়নি ছিনতাই হয়েযাওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ীর টাকা ও সোনার গহনা। সেই সব সামগ্রী উদ্ধার ও বাকি দুস্কৃতিদের খোঁজ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে ১৪ দিন হেপাজতে নেবার আবেদন জানান । বিচারক ধৃতের ৭ দিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুলিশ সূত্রে জানাগেছে,খণ্ডঘোষের জুবিলা গ্রামে বাড়ি স্বর্ণ ব্যবসায়ী শ্রীকান্ত দাসের ।তার খণ্ডঘোষে সগড়াই বাজারে জুয়েলারির দোকান আছে।গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৯ টার পর শ্রীকান্ত দাস দোকান বন্ধ করে বাইকে চড়ে বাড়ির ফিরছিলেন। একই বাইকে সওয়ার ছিলেন শ্রীকান্ত বাবুর দোকানের কারিগর প্রদীপ গোস্বামী। বহু টাকা মূল্যের সোনা ও রুপোর গহনা এবং বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ তাঁদের সঙ্গেই ছিল ।অভিযোগ ওই সময়ে অন্য একটি বাইকে চড়ে আসা তিন সশস্ত্র দুস্কৃতি জুবিলা হাটতলার কাছে হঠাৎতই শ্রীকান্ত বাবুর পথ আটকায় । কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুস্কৃতিরা প্রথমে কারিগর প্রদীপ গোস্বামীকে লাথি মেরে বাইক থেকে ফেলে দেয় । এরপরেই দুস্কৃতিরা ডানপায়ে গুলিকরে এবং মাধায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শ্রীকান্তকে জখম করে । শ্রীকান্ত বেসামাল হয়ে পড়েযেতেই দুস্কৃতিরা সোনা ও নগদ টাকা ভর্তি ব্যাগ তার কাছথেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।জখম অবস্থায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
ব্যবসায়ীর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ । এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার পাশাপাশি পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরের দুস্কৃতিদের খোঁজ চালানো শুরু করে ।অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ দুস্কৃতী দলের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন , ছিনতাইয়ের সময়ে দুস্কৃতিরা যে বাইকটি ব্যবহার করেছিল সেটি উদ্ধার হয়েছে ।ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হবে। পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া সামগ্রী উদ্ধার ও বাকি দুস্কৃতিদেরও খোঁজ চালানো হবে ।
No comments
Post a Comment