বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- যে ঘরের মেঝেতে শিশু পুত্র অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিল সেই ঘরথেকেই মিললো মায়ের ঝুলন্ত দেহ।এই ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সন্ধ্যার পরথেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গকোটের শীতলগ্রামে।খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বছর ২৭ বয়সী রিতা রায় এর মৃতদেহ উদ্ধার করে । কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে রিতাদেবীর শিশু পুত্র মৈনাক । মঙ্গলকোট থানার পুলিশ মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , কাটোয়ার দাঁইহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়
রিতা রায়ের বাবার বাড়ি। বছর ৪ আগে মঙ্গলোটের শীতলগ্রাম নিবাসী গোপন রায়ের সঙ্গে রিতাদেবীর বিয়ে হয়। কর্মসূত্রে তিনি এখন বেনারসে রয়েছেন। শাশুড়ির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শ্বশুর বাড়িতে দু’বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে নিয়েই আলাদাই থাকতেন রীতাদেবী । বধূর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রাণেমেরে রিতাদেবীকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনা দেখে ফেলায় প্রমান লোপাটের জন্য রিতার শিশুপুত্রকে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল । বরাত জোরে সে প্রানে বেঁচে গেছে । যদিও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা দাবি করেছেন রিতা মানসিক অবসাদে ভুগছিল । হয়তো সেকারণেই সে নিজের সন্তানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযোগ খতিয়ে দেখাহচ্ছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানাযাবে ।
No comments
Post a Comment