দক্ষিণবঙ্গ
রাজনীতি

pujo

দূর্গা পুজো

my city

বর্ধমান

travel

ভ্রমন

Farmar

কৃষি কাজ

YouTube Chanel

News By Picture

krishaksetu

টেকনোলজি

দরিদ্র মানুষের পাশে নজরুল স্মৃতি সংঘ

No comments

রায়না , পূর্ব বর্ধমান-----পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের  প্রায়শই দেখা গেছে কোনো না কোনো ভাবে দরিদ্র মানুষদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সে কোন ক্লাবে হোক কিংবা কোন সংগঠন। এবার কালুই  গ্রামের দীন দুঃখী মানুষদের খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটালেন কালুই নজরুল স্মৃতি সংঘের পক্ষ থেকে। এই পরিষেবাটি দেওয়ার জন্য তারা গ্রামের মোট ৬৫ টি দরিদ্র পরিবারকে বেছে নিয়েছেন বলে জানালেন শেখ রাজিব আলী বলে ক্লাবের সম্পাদক। প্রত্যেকটি পরিবারে তিন কেজি চাল, দেড় কেজি আলু এবং তার সঙ্গে আড়াইশো গ্রাম করে মুসুরির ডাল ,তেল বিতরণ করছেন ক্লাবের সদস্যরা। 


        এর আগেও নজরুল স্মৃতি সংঘ কে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দেখা গেছে। মাস্ক, স্যাভলন সাবান, হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে সচেতন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে। যা বারবার উঠে এসেছে আমাদের কৃষক সেতুর ক্যামেরায়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুটিরুজি নেই বললেই চলে। এই মুহূর্তে সেই সব মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন পঞ্চায়েত ও ক্লাবগুলি। এই দিন উপস্থিত ছিলেন উচালন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনিসুর রহমান সেখ, ক্লাবের সভাপতিসহ সমস্ত সদস্যরা। শরীর অসুস্থ থাকার কারণে আসতে পারেননি প্রধান। কিন্তু তারা তাদের কর্মসূচি বেশ কিছুদিন পরপরই চালিয়ে যাবেন, যতদিন না এই লকডাউন  উইথড্র করে নেওয়া হচ্ছে।


করোনা মোকাবিলায় কন্যাশ্রীর টাকা দিলেন দুই ছাত্রী

No comments

পূর্ব বর্ধমান: করোনা মোকাবিলায় এবার কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করলেন এক কলেজ পড়ুয়া। একইসঙ্গে ওই কলেজ পড়ুয়ার বোন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সেই টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করল। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ বেনফেড গলির বাসিন্দা ইশিকা ব্যানার্জী এদিন জেলাশাসকের হাতে তাঁর কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০হাজার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল। ইশিকা জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে বহু ছাত্রছাত্রী নানাবিধ অসুবিধায় পড়েছে। তাদের খাওয়াদাওয়া সহ পড়াশোনায় যাতে কিছু সাহায্য করা যায় তার জন্যই সে এই অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করল।

উল্লেখ্য, ইশিকা বর্ধমানের মানকড় কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। অন্যদিকে, এদিন দিদির সঙ্গেই তার মূল্যবান সঞ্চয়কে তুলে দিল ঈশাণী ব্যানাজ্জী। সে বর্ধমান হরিসভা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে সে এদিন জেলাশাসকের হাতে ১১১১ টাকা তুলে দিয়েছে মুখ‌মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। ঈশাণী জানিয়েছেন, তার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস যদি অন্য ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগে তাহলেই সে খুশী হবে।

শুধু এটাই নয় এদিন ইশিকা ও ঈশাণীর মা গৃহবধু মিঠু ব্যানার্জ্জীও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১লক্ষ টাকা দান করেছেন। উল্লেখ্য, ইশিকার নামেই তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। সেখান থেকেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এই অর্থ তিনি দান করেছেন বলে জানিয়েছেন মিঠুদেবী। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মিঠুদেবীর ননদ মিতা মুখার্জ্জীও।


করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধের বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা

No comments

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- ভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক বিশেষ মাস্ক আবিস্কার করে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেদিল এই বাংলার এক কন্যাশ্রী কন্যা। ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ সলিউশান চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত  হয়েছে কন্যাশ্রী কন্যা দিগন্তিকা বোসের তৈরি মাস্ক।এছাড়াও ভারত সরকারের
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্কের  কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা শুরুকরে দিয়েছেন।  দিগন্তিকা আশাবাদী  তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক আগামী দিনে ভারতকে  মারণ ভাইরাস করোনা সংক্রমন রোধের দিশা  দেখাবে ।


পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌর এলাকায় বাড়ি ছাত্রি দিগন্তিকার ।সে মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিররের(শাখা ২)একাদশ  শ্রেণীর ছাত্রি। দিগন্তিকা জানিয়েছে , করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধক  যে মাস্ক সে তৈরি করেছে তার পোষাকি  নাম সে দিয়েছে ‘পিয়োর এয়ার প্রোভাইডার এ্যন্ড ভাইরাস ডেসট্রয়ার মাস্ক ’। কোরোনা ভাইরাস রোধে এই মাস্ক কিভাবে কাজ করবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর আবিস্কৃত মাস্ক পরে কেউ প্রশ্বাস নিলে ধূলিকণা ও ভাইরাস মুক্ত বাতাস ফুসফুসে প্রবেশ করবে ।আর নভেল করোনা পজেটিভ ধরা পড়া ব্যক্তির মুখে থাকা তার তৈরি মাস্ক নিঃশ্বাস ,হাঁচি , কাশি থেকে নির্গত ড্রপলেট বা অন্য কোন ভাইরাস কে প্রতিনিয়ত নষ্ট করে যাবে। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা একেবারেই কমে যাবে।কিভাবে তাঁর আবিস্কৃত  মাস্ক এই কাজ করবে ? উত্তরে দিগন্তিকা জানায় ,তাঁর তৈরি মাস্ক দুটি অংশ নিয়ে তৈরি। প্রথম অংশে রয়েছে দুটি একমুখী ভাল্প এবং দ্বিতীয় অংশে রয়েছে দুটি আধার । প্রথমে অংশ প্রশ্বাস গ্ৰহনের বাতাস থেকে নির্গত ধূলিকণা ও জল কনা মাস্কের এক অংশ  আটকে দেবে । পরের অংশ ভাইরাস এর লিপিড প্রটিনকে ধ্বংস করে বিশুদ্ধ বাতাস একমুখী ভাল্পের মধ্য দিয়ে মাস্কের ভিতর থেকে  ফুসফুসে যেতে সাহায্য করবে । এছাড়াও নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় মাস্কে থাকা অন্য একটি এক মুখি ভাল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে । ত্যাগ করা নিশ্বাস  ওই ভাল্পের মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আর একটি আধারের  ভিতরে প্রবেশ করবে ।সেখানে যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তার মাধ্যমে  মাত্র কয়েক সেকেন্ডে ভাইরাসের লিপিড প্রটিনের  স্তরটি  ভেঙে যাবে । এর ফলেই ভাইরাস নষ্ট হয়ে যাবে  । ভাইরাস আর সংক্রমণই ঘটাতে পারবে না।  নভেল করোনা পজেটিভ ধরাপড়া  কোন ব্যক্তি তার আবিস্কৃত মাস্ক পরে থাকলে আর ভাইরাসের কোন অস্তিত্বই থাাকবে না।’মাত্র ২০০ টাকা খরচ করেই এই মাস্ক তৈরি করাযাবে বলে দিগন্তিকা  জানিয়েছে ।


দিগন্তিকার বাবা সুদীপ্ত বোস জানিয়েছেন,
 তাঁর মেয়ের আবিষ্কৃত মাস্ক ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক কোভিড-১৯ সলিউশন চ্যালেঞ্জের  অন্তর্ভুক্ত করেছে।মন্ত্রকের  ভাইরোলজিস্টরা দিগন্তিকার এই আবিষ্কার নিয়ে খুবই আশাবাদী।এছাড়াও ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন  স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরাও এখন এই মাস্কের কার্যকারীতা  খতিয়ে দেখছেন। উড়িষ্যার বীরসুন্দর সাই ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির আইডিয়া ইনভেশন শাখা 'হ্যাক ফর কোভিড - ১৯ 'এর তালিকা ভুক্ত হয়েছে দিগন্তিকার  আবিস্কৃত মাস্ক ।সুদীপ্তবাবু বলেন ,ইতিপূর্বেই প্রযুক্তি বিজ্ঞানের সহায়তা নিয়ে বেশ কয়েকটি যন্ত্র আবিস্কারের কৃতিত্ব স্বরুপ  দিগন্তিকা জাতীয় পুরস্কার লাভকরেছে ।দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সন্মানিত করেছেন দিগন্তিকাকে ।সুদীপ্ত বাবুর  প্রত্যাশা তাঁর মেয়ে দিগন্তিকার আবিস্কৃত মাস্ক এবার দেশবাসীকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে । 



লকডাউনে পথ কুকুরদের খাবার যোগাচ্ছে জামালপুরের একদল যুবক

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যয় ( বর্ধমান ) :- লকডাউন চলায় রাজ্যের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরেও বন্ধ রয়েছে হোটেল ,কারখানা ও অফিস কাছারি । শুনশান হয়ে রয়েছে পথঘাট।সেই কারণে  অভুক্ত থাকছিল পথ কুকুরা। এই বিষয়টি ব্যথিত  করে তোলে জামালপুর হাটতলা এলাকার একদল যুবককে।তারা সিদ্ধান্ত নেয় লকডাউনের কটাদিন তারাই সবাই মিলে পথ কুকুরদের দুবেলা  খাবারের  জোগান দেবে।  জামালপুর হাটতলা এলাকা নিবাসী কৌশিক পতিহার , প্রবীর নায়েক প্রমুখরা বলেন তারা  নিজেদের আর্থিক খরচায় পথ কুকুরদের জন্য খাবার রান্না করছেন ।
বড় গামলায় সেই খাবার ভরেনিয়ে জামালপুরের বিভিন্ন গ্রামে পৌছে গিয়ে তা পথ কুকুরদের খাওয়াচ্ছেন।  কৌশিক পতিহার বলেন, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন - সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ’ এই বাণীকে পাথেও করেই  তারা  পথ কুকুরদের খাবারে  অভাব মেটাচ্ছেন । এভাবেই লকডাউনের কটা দিন দুবেলা পথ কুকুরদের খাওয়ানোর কাজ চালিয়ে যাবার শপথও নিয়েছেন হাটতলার  যুবকরা।আপামোর জামালপুরবাসী হাটতলা এলাকার পশুপ্রেমি যুবকদের এমন কর্মকাণ্ডে তারিফ করেছেন । 


উড়িষ্যা থেকে রেললাইন ধরে হেঁটে পূর্ব বর্ধমানের মসাগ্রাম ও জৌগ্রামে পৌঁছালেন শয়ে শয়ে পরিযায়ী শ্রমীক - পাশে দাঁড়ালো প্রশাসন

No comments



প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- কডাউনের জেরে চরম দুর্বিপাকে পড়েগিয়েছেন  ভিন রাজ্য  ও ভিন জেলায় কাজ করতে যাওয়া  শ্রমিকরা। করোনা নিয়ে  কেন্দ্র নতুন নির্দেশিকা জারি করায় তাদের ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। নিজের নিজের বাড়ি ফেরার জন্য হেঁটো  মাইলের পর মাইল পথ পেরিয়ে এসেও ওই সব শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা আর হলনা ।পথই এখন তাঁদের জীবন, পথই এখন তাঁদের  মরণের  স্থান হয়ে উঠেছে।
শুনতে অবাক লাগলেও সোমবার বেলা পর্যন্ত  ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পূর্ব বর্ধানের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের আঝাপুর ও জৌগ্রামে  শুধুই শোনা যায়  বাড়ি ফিরতে চাওয়া শয়ে শয়ে  মানুষের আকুল আর্তি ।খবর পেয়ে জামালপুর থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে পৌছেযান ।ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সকল পরিযায়ী শ্রমীদের জন্য পানীয়  জল ও খবারদাবারের ব্যবস্থ্যা করেন প্রশাসনের কর্তারা।আপাতত বাড়ি ফেরার চিন্তা ভাবনা ত্যাগ করে প্রায় ৫ শতাধীক পরিযায়ী শ্রমিকেকের ঠাঁই হয়েছে জৌগ্রামের একটি স্কুলে ।


রুটি রুজি যোগাড়ের জন্য পূর্ব বর্ধমানের প্রতিবেশী জেলার প্রায় ৫ শতাধীক  শ্রমিকের কেউ ভিন রাজ্যে  আবার কেউ ভিন  জেলায় কাজ করতে গিয়েছিলেন । করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষনা হবার পরেই এইসকল পরিযায়ী শ্রমিক  ও তাঁদের পরিবার সদস্যরা চরম দুর্বিপাকে পড়েযান । তাঁদের কাজকর্মও  বন্ধ হয়েযায়।  খাবার দাবার জোগড় করাও  দায় হয়েওঠে।  এমন পরিস্থিতি তৈরি হবার পরেই  তারা  যে যার নিজের বাড়ি ফেরার পথ খোঁজা শুরু করেদেন।উড়িষ্যার কটকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী  শ্রমিকরা নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য তিন দিন আগে রেলপথ ধরে  হাঁটা শুরু করেন । আর যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন জেলায় কাজে গিয়েছিলেন  তারা বাড়ি ফেরার জন্য সড়ক পথ ধরে হাঁটা শুরু করেদেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের স্ত্রী ও শিশু সন্তানরাও হাঁটা পথে রওনা হতে বাধ্য হন । এইসব শ্রমিকদের বেশির ভাগজনই বিহার ও ঝাড়খন্ড রাজ্যের  বাসিন্দা। বাকিরা মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও  আসানসোলের বাসিন্দা। দীর্ঘ পথ হাঁটতে হাঁটতে  ক্লান্ত হয়ে পড়ে এই সকল পরিযায়ী  শ্রমিকদের  বড় একটি দল এদিন সকালে জৌগ্রামে জাতীয় সড়কের ধারে বসেপড়েন । অপর একটি দল মসাগ্রামে জাতীয় সড়কের আন্ডার পাসের নিচে বসে পড়েন ।


এই খবর পাবার পরেই ত্রাতার ভুমিকায় তাদের কাছে পৌছেযান জামালপুর থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানা ও পঞ্চায়েত সমিতির  সভাপতি মেহেমুদ খান । ওসি পুষ্পেন্দু জানা ও মেহেমুদ খান দ্রুত ওই সকল শ্রমিকদের জন্য খাবার ও পানীয়  জলের ব্যবস্থা করেন ।
পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে সহযোগীতার হাত বাড়িযে দেয় জৌগ্রামের  শাসক দলের কর্মিরাও ।


উড়িষ্যায় কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা  এদিন জামালপুরের প্রশাসনিক কর্তাদের বলেন ,বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেদেবার জন্য তারা উড়িষ্যা পুলিশের কাছে আবেদন করেছিলেন ।  কিন্তু উড়িষ্যা পুলিশ  তাঁদের সঙ্গে অত্যন্ত নির্মম ও খারাপ ব্যবহার করেছে। সামান্য খাবার দেওয়া তো দূরের কথা উল্টে  হুমকি ও হুঁশিয়ার দিয়ে তাঁদের দ্রুত উড়িষ্যা ছাড়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয় । সেকারণে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফেরার জন্য রেলপথ ধরেই হাঁটা শুরু করতে বাধ্য হন ।
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির  সভাপতি  মেহেমুদ খান বলেন , ‘উচ্চ কর্তৃপক্ষের  নির্দেশ না আসাপর্যন্ত সকল পরিযায়ী শ্রমিককে জৌগ্রামের  গোপালপুরের স্কুলে থাকতে বলা হয়েছে । তাঁদের খাবারদাবার, পানীয়  জল সবকিছুর ব্যবস্থা করা হয়েছে ।’  সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানাগেছে এদিনই একই রকম ভোগান্তির  শিকার হয়ে  বীরভূমের রামপুরহাটের  মোরগ্রামের ১৪ জন শ্রমিক  পৌছান মেমারিতে । মেমারি ১ ব্লক প্রশাসনও একই ভাবে ওই সকল পরিযায়ী  শ্রমিকদের জন্য সাহায্যের  হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ।
আপতক মেমারির বাগিলার একটি স্কুলে ঠাঁই হয়েছে ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিকের ।

হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তিতের বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ- দিতে হচ্ছে মুচলেখা

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ):- কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে সর্বাত্মক  ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।একই ভাবে সংক্রমন রুখতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ।বর্তমান পরিস্থিতিতে  জেলার কোথাও কেউ যাতে হোম কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ না করেন তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে । জেলার যেসব এলাকার ব্যক্তিদের  হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে  বালা হয়েছে তাদের  বাড়ির দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে নোটিশ ।শুধু নোটিশ লাগানোই নয় ওই ব্যক্তি ও তার পরিবার যাতে  নিরাপদে থাকতে পারে তার  ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।প্রশাসনের এই উদ্যোগের  তারিফ করেছেন  জেলার আপামোর  বাসিন্দা ।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গোটা  রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাার বাসিন্দা মহলেও  উদবেগ আতঙ্ক কম ছড়ায়নি ।উদ্ভুত এই পরিস্থিতির  মধ্যে যেসব ব্যক্তিরা  বিদেশ  কিংবা  ভিনরাজ্য থেকে জেলায় ফিরছেন তাদের নুন্যতম ১৪ দিন  নিজের গৃহে অন্তরীণ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তা সত্ত্বেও  ভিন রাজ্য ও ভিন দেশ থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা অনেকক্ষেত্রে  চিকিৎসকের সেই পরামর্শ  মানছেন না। তাদের কেউ কেউ বাজার করতে যেমন বেরিয়ে পড়ছেন তেমনই লোকজনের সাথেও মেলামেশাও করছেন।এরফলে ঝুঁকি বাড়ছে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ।এমনটা আটকাতেই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে হোম  কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তিদের বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ  শাটিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে । একই সঙ্গে ওই সকল ব্যক্তিদের হোম কোয়ারান্টিনে  থাকার মুচলেখাও দিতে হচ্ছে পুলিশের কাছে ।প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে নোটিশ লাগানো হচ্ছে তাতে  লেখা থাকছে কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা ব্যক্তির নাম ।  এছাড়াও লেখা থাকছে ওই ব্যক্তির পরিবারে মোট  কতজন সদস্য আছেন এবং কতদিন ওই ব্যক্তিকে  হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে তার তথ্য।তবে পোস্টার মারানিয়েও আবার বিপত্তি তৈরি তৈরি হয়েছে । জেলার জামালপুরের  বত্রিশবিঘা গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই মনেকরতে শুরু করেন যাদের বাড়িতে পোস্টার মারা হচ্ছে তারাই করোনা আক্রান্ত । 
এইসব নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হয় ।  এই খবর নড়েচড়ে বসে জামালপুর ব্লক প্রশাসন । জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ও  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ  খান সোমবার ওই  গ্রামে পৌছে যান ।
তারা গ্রামের সকল মানুষজনকে বুঝিয়ে বলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবেই বাইরে থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিদের বাড়িতে পোস্টার মেরে কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হচ্ছে  । কারুর  বাড়িতে পোস্টার মারা হয়েছে মানেই ওই বাড়ির কোন ব্যক্তি  করোনা আক্রান্ত হয়েছে এমনটা যারা মনেকরছেন তারা ভুলকরছেন ।এমন মিথ্যা গুজব না ছড়ানোর কথাও  প্রশাসনের কর্তারা  গ্রামসীদের জানিয়ে দেন ।’এরপরেই বত্রিশবিঘা গ্রামের মানুষজনের উদবেগ কাটে । অন্যদিকে আবার জেলার অনেক গ্রামের বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে গ্রামের রাস্তার আটকে দিয়েছেন ।তারা  বাইরের লোকজনকে যেমন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছেন না তেমনই গ্রামের লোক জনকে  বাইরে বেরহতে দিচ্ছেন না ।

যদিও জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে  সাধুবাদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । তিনি নিজেও জেলার বিভিন্ন এলাকায়  ঘুরে ঘুরে সচেতনতা প্রচার চালানো শুরু করেছেন ।সবাইকে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের  নির্দিষ্ট করেদেওয়া পরামর্শ ও নিয়ক কানুন মেনে চলারও বার্তা দিচ্ছেন ।

করোনা আক্রান্ত নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়ো পোস্ট করার দায়ে মেমারিতে গ্রেফতার যুবক

No comments


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) :- সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা সংক্রমণ  বিষয়ক ভুয়ো পোস্ট করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ । পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের  নাম সৈকত সিংহ ।মেমারির বোহার গ্রামের বাসিন্দা  পার্থসারথী মজুমদারের অভিযোগের পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে । রবিবার ধৃতকে  পুলিশ পেশ করে বর্ধমান আদালতে । মেমারি নিবাসী তৃণমূলের জেলা যুবনেতা আশিস ঘোষদস্তিদার একই ধরনের মিথ্যা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করায় তার বিরুদ্ধেও পার্থসারথী বাবুর স্ত্রী মৈত্রেয়ী সিংহরায় অভিযোগ দারের করেছেন । করোনা সংক্রমণ  সংক্রান্ত ভূয়ো পোস্ট ঘিরে এখন রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে মেমারিতে ।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে , মৈত্রেয়ী  সিংহরায় মেমারির বোহার হাইস্কুলের শিক্ষিকা। মেমারির সিপিএম নেতা সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পরিবারের  আত্মীয়। অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূয়ো পোস্ট ছেড়ে বলা হচ্ছে,‘ সিপিএম নেতা সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েয় আত্মীয়  পার্থসারথী বাবুর ছেলে কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে বাড়িতে ফিরে ‘ঘাপটি’ মেরে বসে থাকে ।পরে  আশাকর্মীর চাপে সে  ডাক্তারের কাছে যায়। আর তার পরিবার থানার ভয়ে পালিয়েছে। শিক্ষিত মানুষের এই আচরণ লজ্জাজনক’। এই  পোস্ট নজরে আসার পরেই  শনিবার সকালে পার্থসারথিবাবু পুলিশকে বিষয়টি জানান ।তিনি পুলিশকে বলেন ,তাঁর ছেলে ব্রিটেনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাচতে  তাঁর ছেলে সেখানেই ঘরবন্দি রয়েছে । অথচ এরকম ভুল পোস্ট করার  হচ্ছে । তার জন্যে তিনি ও তাঁর পরিবার বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এমন ভূয়ো পোস্ট ছড়ানোর ঘটনায় জড়িত চারজনের নামে তিনি ও তাঁর স্ত্রী থানায় অভিযোগ জানান। দায়ের হওয়া সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানার পুলিশ এক যুবকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে  ।


loading...
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION