দক্ষিণবঙ্গ

মাধবডিহির আলমপুরে নৃশংস ভাবে খুন তৃণমূল কর্মী । আটক এক সন্দেহভাজন ।

Thursday, December 5, 2019

/ by krishaksetu Bangla

indra majhi tmc worker Madhabadihi

তৃনমূলের  সক্রীয় কর্মীর  মৃত্যুর খবর পেয়ে এদিনই বেলায়  বর্ধমান হাসপাতালে পৌছান   জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি অভিযোগে বলেন ,অনিল তৃণমূল কংগ্রেস দলের একজন সক্রীয় কর্মী ছিলেন ।  বিজেপি কর্মীরাই অনিল মাঝিকে খুন করেছে বলে মন্তব্য করেন  করেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ । রায়নার তৃণমূল বিধায়ক নেপাল ঘোড়ুইও দাবি করেন মঙ্গলবার রাতে আলমপুর পার্টি অফিসথেকে অনিল বাড়ি ফিরছিল ।

পরিকল্পনা করে ওই রাতে এলাকার  বিজেপি কর্মীরা অনিল মাঝিকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে । যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্তা  বলেন, অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । পাল্টা  তিনি দাবি করেছেন  , তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের লোকজনই দায়ী ।নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই খুন হয়েছেন  তৃণমূল কর্মী । রায়নার সিপিআইএম নেতৃত্ব জানিয়েছে ,২০১৫ সালের ১০ মে রাতে আলমপুর আদিবাসী পাড়া সংলগ্ন এলাকায় খুন হয়েছিলেন তৃণমূল পরিচালিত রায়না ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল আলিম ওরফে বাবলু । সেই খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে  অনিল  মাঝি  বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছে । 
 
মাধবডিহি গ্রামেই মাটির দেওয়াল আর অ্যাজবেসটার্স চালার এক কুটুরি ঘরে  বসবাস দিনদরিদ্র মাঝি পরিবারের ।  অনিল মাঝির চার মেয়ে বিবাহিত । ভিন রাজ্যে  কর্মরত রয়েছে অনিল মাঝির একমাত্র ছেলে।   মৃতর স্ত্রী অনিতা মাঝি এদিন বলেন ,মঙ্গলবার রাতে তাঁর স্বামী বাড়ি ফিরছিল । কিন্তু বাড়ি আর ফেরেনি । এদিন সকাল ৮ টা নাগাদ জানতে পারেন তাঁর স্বামী খুন হয়েছে ।  কারা খুন করে থাকতে পারে সেবিষয়ে অনিতাদেবী কিছু জানাতে পারেন নি ।
মৃতর ভাইপো শুভেন্দু মাঝি জানিয়েছেন , তাঁর জেঠু অনিল মাঝি সক্রীয় ভাবে তৃণমূল পার্টি করতো । অন্যান দিনের মাতো মঙ্গলবারও  রাত   সাড়ে ১০ টা নাগাদ  তাঁর জেঠু মাধবডিহি  বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল । কিন্তু রাতে তিনি  বাড়ি ফেরেননি ।  এদিন সকালে এলাকার লোকজন মাধ্যমে জানতে পারেন  তাঁর জেঠুকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে ।
মাধবডিহির আলমপুরে  আদিবাসী পাড়া লাগোয়া সাঁইপুকুর থেকে জেঠুর ক্ষতবিক্ষত  মৃতদেহ উদ্ধার হয় । কিছুটা দুরে হাটগোড়ে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে জেঠুর মোটর বাইকটি । খুনের ঘটনায় কারা জড়িত থাকতে পারে সেবিষয়ে  মৃতর ভাইপোও কিছু জানাতে পারেনি । এদিন আলমপুর আদিবাসী পাড়ায় পৌছে দেখাযায়  সেখানকার একটি দেওয়ালে রক্ত ছিটকে পড়ায় দাগ রয়েছে । সেখান থেকে সাঁইপুকুর পর্যন্ত  যাওয়ার জায়গায়ও রক্ত পড়ে থাকতে দেখাযায়।  তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ ওই ঘটনাস্থল এলাকা ঘিরে রেখে দিয়েছে । বৃহস্পতিবার ফরেনসিক দল সেখানে তদন্তে যেতে পারে বলে জানাগেছে । 

এদিন সন্ধ্যায় সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানাগেছে , খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ কৃষ্ণ হাঁসদা নাম  সন্দেহ ভাজন এক যুবককে আটক করেছে।  সে ঘটনাস্থল এলকারই বাসন্দা । এদিন খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে  মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০ টা নাগাদ আলমপুর আদিবাসী পড়ার রাস্তায় এক ট্র্যাকটর চালক যুবকের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীর বচসা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল ।


পুলিশ  জনতে পারে সেই যুবককের নাম কৃষ্ণ হাঁসদা ।  এদিন তাঁকে আটক করে পুলিশ  জেরা করা শুরু করে  ।তদন্তকারী পুলিম কর্তাদের  দবি জেরায়  ধৃত খুনের  কথা কবুল করার পরেই রাতে   তাঁকে গ্রফতার করা হয়েছে ।  

No comments

Post a Comment

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION