দক্ষিণবঙ্গ

রেলের এ্যাপসে ট্রেন রাইট টাইমে চলছে দেখানো হলেও চলে প্রায় দু’ঘন্টা দেরিতে

Tuesday, March 3, 2020

/ by krishaksetu Bangla

 বর্ধমান ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :-  কু ঝিক ঝিক শব্দে এখন আর ট্রেন ছোটে না। সময় বদলানের সাথে সাথে ভারতীয় রেল  নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে । যাত্রী স্বার্থে চালু করাহয়েছে এ্যাপস । কুন্তু রেলের এ্যাপসে যে ট্রেন একেবারে রাইট টাইমে ছুটছে বলে তথ্য মেলে ঘটে ঠিক তার উল্টোটাই। না কোন মিথ্যা অপ্রচার বা আষাড়ে গল্প নয়।বাস্তবেই মঙ্গলবার এমন ঘটনারই সাক্ষী হলেন বর্ধমান- রামপুরহাট লুপ  লাইনের ট্রেন যাত্রীরা । 
বর্ধমান রামপুরহাট লাইনে পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা,নওয়াদা  প্রভৃতি স্টেশান থেকে ট্রেনে চড়ে প্রতিদিন বহু নিত্যাযাত্রী বর্ধমানে আসেন। ৬৩০১২ ডাউন রামপুরহাট বর্ধমান মেমু  লোকাল ট্রেন ধরার জন্য এদিনও সকাল সাড়ে ৮ টার আগে বহু নিত্যযাত্রী গুসকরা ও নওদা স্টেশানে হাজির হয়েছিলেন । স্টেশানে পৌছে ‘হোয়ার ইস মাই ট্রেন’ এই এ্যাপস মাধ্যমে নিত্যযাত্রীরা ৬৩০১২ ডাউন রামপুরহাট  বর্ধমান মেমু লোকাল ট্রেনের গতিবিধি সার্চ করা শুরু করেন । সেই এ্যাপসে তখন দেখানো হয়  ৬৩০১২ ডাউন রামপুরহাট বর্ধমান মেমু লোকাল সাঁইথিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনটি সকাল ৯টা ৬ মিনিটে গুসকরা স্টেশনে ঢুকবে। এ্যাপসে দেওয়া এই তথ্য থেকে তখন নিত্য যাত্রীরা  জানতে পারেন ট্রেন  মাত্র ১৩ মিনিট দেরিতে চলছে।নিত্যযাত্রী প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় ,  বিশ্বজিৎ মণ্ডল প্রমুখরা বলেন ,এরপর থেকে  ওই এ্যাপসে দীর্ঘক্ষণ আর কোন তথ্য দেওয়া হয়না।প্রায়  ৪০ মিনিট পর ফের  এ্যাপস সক্রিয় হয়।তখন এ্যাপসে দেখানো হয়  ট্রেন গুসকরা স্টেশান পেরিয়ে নওয়াদার ঢাল স্টেশনে পৌঁছে গেছে। নিত্যযাত্রী চিরঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় ,প্রশান্ত চট্টোপাধ্যায় ,বিশ্বজিৎ মণ্ডল প্রমুখরা বলেন এ্যাপসে ওই তথ্য দেখে তারা কার্যত হতবাক হয়েযান। তাঁরা তড়িঘড়ি  ছুটেযান  স্টেশন ম্যানেজারের কাছে।স্টেশন ম্যানেজার ও এ্যাপসে দেওয়া তথ্য দেখে  থ- হয়ে যান। সঠিক জানতে এরপর স্টেশান ম্যানেজার খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেন । তিনি  জানতে পারেন এ্যাপসের তথ্য সঠিক নয়। তখন সবেমাত্র  রামপুরহাট স্টেশান ছাড়ছে ৬৩০১২ ডাউন মেমু লোকাল। নিত্যাযাত্রীরা এরপরেই নিশ্চিৎ হয়েযান ট্রেনটি নির্দিষ্ট  সময়ের প্রায় দু‘ঘন্টা দেরিতে রামপুরহাট থেকে  ছেড়েছে। কিন্ত তখনও এ্যাপসে দেখাতে থাকে ট্রেন প্রায় রাইট টাইমে চলছে। এইসব কিছু বাস্তবে পরখ করার পর  নিত্যযাত্রীদের আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি রেলের ‘হোয়ার ইস মাই ট্রেন’ এ্যাপসে যে তথ্য দেওয়া হয় তার সবটাই  ভুলে ভরা। আদতে এদিনূ চরম ভোগান্তিই পোহাতে হল যাত্রীদের । 
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী সব শুনে রেলের ‘হোয়ার ইস মাই ট্রেন’ এ্যাপ নিয়ে যদিও কিছু বলতে চাননি । তবে তিনি রেলের নিজস্ব এ্যাপস CRIS (কৃশ) ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন । তবে কবে রামপুরহাট বর্ধমান লুপলাইনের ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ কাটবে তার উত্তর অবশ্য রেলের কর্তাদের কাছ থেকে মেলেনি । 



No comments

Post a Comment

loading...
Don't Miss
© all rights reserved
By SDK IT SOLUTION