জামালপুর ( প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ) :- পাট্টা প্রাপকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হল বৃক্ষ পাট্টার জায়গায় তাঁদেরই লাগানো গাছ।এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । বৃক্ষ পাট্টা প্রাপকরা অভিযোগ করছেন শাসক দলের স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর ইন্ধনেই কেটে পাচার করা হয়েছে তাঁদের গাছ ।
যদিও দিনের আলোয় সাতদিন ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের গাছ কেটে পাচার হয়েগেলেও বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তাদের বক্তব্য তাঁরা গাছ কাটার কোন টেন্ডার করেননি ।
প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে দায়ের করা অভিযোগে আব্দুস সালাম জানিয়েছেন , রায়নার বাঁদগাছা থেকে জামালপুরের কৃষ্ণরামপুর পর্যন্ত যাবার একটি পাকা রাস্তা আছে । সেই সড়কপথে বেরুগ্রাম অঞ্চলের শম্ভুপুর থেকে নসিপুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিমি রাস্তার দু-পাশে বৃক্ষ পাট্টা প্রাপকরা গাছ লিগিয়ে ছিলেন । তাঁরাই পরিচর্যা করে গাছ গুলি অনেক বড় করেন । ওই পাকা রাস্তাটি চওড়া করার কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে । তারই মধ্যে গত সাতদিন ধরে দিনের আলোয়
বৃক্ষ পাট্টার জায়গায় থাকা লক্ষ লক্ষ টাকা মূলের গাছ কাটা শুরু হয় । পরে সেই গাছ আবার পাচারও করেদেওয়া হয় । অব্দুস সালাম বলেন , কারা গাছ কেটে পাচার করলো তা জানতে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যান । পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা জানিয়েদেন গাছ কাটার কোন টেন্ডার পঞ্চায়েত করেনি । তাহলে দিনের আলোয় বৃক্ষ পাট্টার জায়গায় থাকা মূল্যবান গাছ কেটে পাচার কারা করলো ? এই প্রশ্নের উত্তরও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি । আব্দুস সালাম বলেন , দূর্নীতিগ্রস্তরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এমনটা নিশ্চিৎ হয়ে তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
প্রশাসনিক কর্তারা এই ঘটনার যথোপযুক্ত
তদন্ত করুক । তাহলেই কেঁচো খুড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে যাবে । একই সঙ্গে স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইলে সবিস্তার তাঁরা ‘ দিদিকে বলো ’ নম্বারে ফোন করে জানাবেন ।
জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন , অভিযোগ আসার পরেই খোঁজ নিয়ে জানা যায় গাছ কাটা হয়েছে । তখনই বিষটি পুলিশকে জানানো হয় । পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে ।যদিও জামালপুর থানার ওসি পুষ্পেন্দু জানা বলেন, পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করিয়েছে এমন বক্তব্য সঠিক নয় । তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
No comments
Post a Comment